ঘোষণামূলক মোকদ্দমার আর্জি (SA and RS Record সংশোধন)
মোকাম: রূপগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, নারায়ণগঞ্জ।
দেওয়ানী মোকদ্দমা নম্বর ১৩৮/২০২৪
১। মোসাঃ হামিদা,
পতি- মৃত হাশিম পন্ডিত, পিতা- মৃত জাহাদ বকস ভূঁঞা,
সাং উত্তর মাধার চর, থানা: শিবপুর, জেলা: নরসিংদী।
২। মোঃ মাসুদ ভূইয়া
৩। মোঃ তামীম ভূইয়া
৪। মোসাঃ রুনি আক্তার
৫। মোসাঃ স্বপ্না আক্তার
সর্ব পিতা- মৃত-বাসেদ ভূইয়া,
৬। রাহিমা বেগম, পতি- মৃত বাসেদ ভূঁইয়া,
সর্ব সাং- মাছুমা বাদ, থানাঃ-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
——————- বাদীগণ।
=বনাম=
১। আবুল হোসেন
২। আইয়ুব
৩। আলী হোসেন
সর্ব পিতা- মৃত ছানাউল্লাহ কাজী,
সর্ব সাং- মাছুমাবাদ, থানা- রূপগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ।
৪। সাহেদা
সর্ব পিতা মৃত-ছানাউল্লাহ কাজী, পাঁচরুখি,
থানা-আড়াই হাজার, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
৫। রাজিয়া,
পিতা- মৃত ছানাউল্লাহ কাজী,
সাং-বাইলা, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
৬। আলমগীর
৭। মফিদুল
৮। নাজমা
সর্ব পিতা- মৃত জামাল ভূইয়া।
৯। আব্দুল মজিদ ভূইয়া
১০। মন্তাজ বিবি,
পতি- মিয়ান উদ্দিন
১১। ফাতেমা বিবি,
পতি- মৃত মিরাজউদ্দিন সর্ব পিতা মৃত-আলী বক্স ভূইয়া।
১২। সামসুল করিম মীর
পিতা- মৃত ওসমান আলী মীর।
১৩। মোসাঃ সুফিয়া খাতুন
পিতা মৃত-ওসমান আলী মীর।
১৪। সামসুল করিম মীর
১৫। রওশন
১৬। আকছিরুন
মাতা ময়মন নেছা বিবি, সর্ব সাং-দাউদপুর, পুটিনা,
থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
১৭। মোঃ দেলোয়ার হোসেন
পিতা মৃত-তোফাজ্জল হোসেন
১৮। মোজাম্মেল
১৯। মনির
২০। মোঃ জাকারিয়া
২১। মোঃ দিল মোহাম্মদ
সর্ব পিতা মৃত-চান মিয়া।
২২। মোসাঃ আম্বিয়া
পতি সাং-দাউদপুর পুটিনা, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
২৩। মোঃ বাবুল
২৪। মোঃ বাতেন
উভয়ের পিতা- মৃত আবুল হাশেম।
——————— মূলবিবাদীগণ।
২৫। বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ।
২৬। অতিঃ জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), নারায়ণগঞ্জ।
উভয়ের সাকিন- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
২৭ । সহকারী কমিশনার (এ/সি ল্যান্ড),
সাকিন-সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, জেলা-নারায়ণগঞ্জ।
———————– মোকাবেলা বিবাদীগণ।
ঘোষনার মোকদ্দমা।
মোকদ্দমার তায়দাদঃ- ৪,০০,০০০/ (চার লক্ষ) টাকা।
বাদীগণ নিম্ন লিখিত মর্মে নালিশ দায়ের করিলেন,
১। জিলা সাবেক ঢাকা হালে নারায়ণগঞ্জ, থানা রূপগঞ্জ মাছিমাবাদ মৌজাস্থিত সি. এস. ১৯ খতিয়ানের ২৫৭ দাগের ৫৬ শতাংশ, ২৭০ দাগে ৪৮ শতাংশ এবং ২৬১ দাগের ৫৬ শতাংশ সর্বমোট ১.৬০ (এক দশমিক ছয় শূন্য) একর বা ১৬০ (একশত ষাট) শতাংশ সম্পত্তির জোত মূলে রায়তি স্থিতিবান ছিলেন বাদীগণের পূর্ব পুরুষ জনাব নাজিম ভূঁইয়া।
২। বর্ণিত নাজিম ভূঁইয়া উপরোলে-খিত সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তিন পুত্র যথাক্রমে (ক) ইজ্জত আলী, (খ) ইমাম বক্স এবং (গ) আয়েত বক্স-কে তদীয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করিলে বর্ণিত ইজ্জত আলীগং তাহাদের পিতৃ ত্যাজ্য উপরোলে-খিত সম্পত্তিতে সমান অংশে (পাঁচ আনা ছয় গন্ডা দুই কড়া দুই ক্রান্তি) অংশে এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় সি. এস. জরীপ আমলে আসিলে তাহাদের প্রত্যেকের নামে সমান (পাঁচ আনা ছয় গন্ডা দুই কড়া দুই ক্রান্তি) অংশে তাহাদের নামে সঠিক ও শুদ্ধরুপে বর্ণিত সি. এস. ১৯ খতিয়ানটি প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।
৩। উল্লেখ্য, বর্ণিত ইজ্জত আলী গং উপরোল্লিখিত সম্পত্তিতে এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহাদের স্ব স্ব ভোগ দখলের সুবিধার্থে উল্লেখিত খতিয়ানের সমুদয় সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আপোষ বণ্টনে মৌখিক ভাবে বণ্টন করিয়া লইলে সি.এস. ২৫৭ দাগের ০.৫৬ (দশমিক পাঁচ ছয়) একর বা ৫৬ (ছাপ্পান্ন) শতাংশ সম্পত্তি বর্ণিত ইজ্জত আলীর ছাহাম ভূক্ত হয়।
৪। অতঃপর বর্ণিত ইজ্জত আলী সি. এস. ২৫৭ দাগের ৫৬ শতাংশ সম্পত্তিতে তাহার নিরঙ্কুশ ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে থাকা অবস্থায় ৩০ শতাংশ সম্পত্তি বিগত ১৪/০৯/১৯৪৭ তারিখে সম্পাদিত ও রেজিষ্ট্রীকৃত ৪৫৩৭ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে জনৈক তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার নিকট সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল তাহার বরাবরে বুঝাইয়া দিলে বার্ণত তোফাজ্জল হোসেন তাহার খরিদা সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে তাহার ওয়ারিশগণ উক্ত সম্পত্তিতে ভোগ দখলে বৃত থাকেন এবং এখনও আছেন।
৫। উল্লেখ্য, বর্ণিত ইজ্জত আলী ২৫৭ দাগের অবশিষ্ট ৫২ শতাংশ সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় ৬ পুত্র যথাক্রমে (ক) মালেক বক্স ভূঁইয়া, (খ) জাহাদ বক্স ভূঁইয়া, (গ) জামাল বক্স ভূঁইয়া, (ঘ) আলী বক্স ভূঁইয়া, (ঙ) আজিম উদ্দীন ভূঁইয়া, (চ) হাকিম উদ্দিন ভূঁইয়া এবং ১ (এক) কন্যা ময়মন নেছা এবং স্ত্রী সবজতন নেছা-কে তদীয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যু বরণ করেন। ফলে বর্ণিত ২৫৭ দাগের ৫২ শতাংশ সম্পত্তিতে তদিয় স্ত্রী ০.৬৫৬ শতাংশ, প্রত্যেক পুত্র ০.৭০৬ শতাংশ এবং বর্ণিত কন্যা ০.৩৫৩ শতাংশ সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।
৬। উল্লেখ্য, বর্ণিত মালেক বক্সগং উপরেলে-খিত বর্ণনানুযায়ী বর্ণিত সি. এস. ২৫৭ দাগের ৫২২ শতাংশ সম্পত্তিতে তাহাদের স্ব স্ব অংশ অনুযায়ী এজমালীতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ইজ্জত আলীর পুত্র আলী বক্স তাহার ০.৭০৬ শতাংশ সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ২ পুত্র যথাক্রমে (ক) জামাল ভূঁইয়া ও (খ) আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া এবং ২ (দুই) কন্যা যথাক্রমে (ক) মমতাজ বিবি ও (খ) ফাতেমা বিবি-কে তদিয় ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ফলে বর্ণিত আলী বক্সের প্রত্যেক পুত্র ০.২৩৫ শতাংশ এবং প্রত্যেক কন্যা ০.১১৭ শতাংশ সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।
৭। পরবর্তীতে বর্ণিত সবজতননেছা তাহার দুই আনা অংশে অর্থ্যাৎ ০.৬৫৬ শতাংশ সম্পত্তিতে তাহার উলে-খিত পুত্র, কন্যা এবং পৌত্র ও পৌত্রীদের সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় উপরোক্ত ৫ পুত্র এবং ১ কন্যা ও ২ পৌত্র ও ২ পৌত্রীকে তদীয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে তাহার বর্ণিত সরজতন নেছার ত্যাজ্য বিত্তে তাহার প্রত্যেক পুত্র ০.০১ (দশমিক শূন্য এক) একর এবং কন্যা ০.০০৫ (দশমিক শূন্য শূন্য পাঁচ) একর এবং প্রত্যেক পৌত্র ০.০০৩৩ (দশমিক শূন্য শূন্য তিন তিন) একর এবং প্রত্যেক পৌত্রী ০.০০১৬ (দশমিক শূন্য শূন্য এক ছয়) একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন। ফলে সি.এস. রেকর্ডীয় মালিক ইজ্জত আলীর ওয়ারিশ যথাক্রমে (ক) আব্দুল মালেক তাহার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ০.০৭০৬ অযুতাংশ এবং মাতার ওয়ারিশ সূত্রে ০.০১ অযুতাংশ অর্থ্যাৎ সর্বমোট ০.০৮০৬ একর, (খ) জাহাদ বক্স ভূঁইয়া ০.০৮০৬, (গ) জামাল বক্স ভূইয়া ০.০৮০৬, (ঘ) আজিম উদ্দিন ভূঁইয়া ০.০৮০৬। (ঙ) হাকিম বক্স ভূঁইয়া ০.০৮০৬, (চ) ময়মন নেছা তাহার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ০.০৩৫৩ একর, মাতার ওয়ারিশ সূত্রে ০.০০৫ একর অর্থাৎ সর্বমোট ০.০৪০৩ একর, (ছ) জামান ভূইয়া পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ০.০২৩৫ এবং পিতামহীর ওয়ারিশ সূত্রে ০.০০৩৩ (দশমিক শূন্য শূন্য তিন তিন) একর অর্থাৎ সর্বমোট ০.০২৬৮ (দশমিক শূন্য দুই ছয় আট) একর, (জ) আব্দুল মজিদ ভূঁইয়া ০.০২৬৮ (দশমিক শূন্য দুই ছয় আট) একর, (ঝ) মমতাজ বিবি পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ০.০১১৭ একর এবং পিতামহীর ওয়ারিশ সূত্রে ০.০০১৬ (দশমিক শূন্য শূন্য এক ছয়) একর অর্থাৎ সর্বমোট ০.০১৩৩ (দশমিক শূন্য এক তিন তিন) একর এবং (ঞ) ফাতেমা বিবি ০.০১৩৩ (দশমিক শূন্য এক তিন তিন) একর।
৮। উল্লেখ্য, আরজীর ৭নং পরিচ্ছেদের বর্ণানুযায়ী জাহাদ বক্স সি. এস. ২৫৭ দাগের ৫২ ২ শতাংশ সম্পত্তির কাতে ০.০৮০৬ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় ১ পুত্র মৌঃ আব্দুল বাসেত ভূঁইয়া এবং ১ কন্যা মোসাম্মাৎ হামিদা (১নং বাদী)-কে তদীয় ত্যাজ্যবিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ফলে তাহার অপর ভ্রাতা ভগ্নী ও ভ্রাতুষ্পুত্র ও কন্যাদের সহিত স্ব স্ব অংশ অনুযায়ী এজমালীতে ভোগ দখলকার থাকা অবস্থায় তাহাদের স্ব স্ব ভোগ দখলের সুবিধার্থে উক্ত সমুদয় সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আপোষ বন্টনে মৌখিকভাবে বন্টন করিয়া লইলে অত্র আরজীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি যাহা অতঃ পর নালিশী সম্পত্তি বলিয়া উলে-খ হইবে উহা বর্ণিত জাহাদ বক্স এর ছাহাম প্রাপ্ত হয়।
৯। অতঃপর বর্ণিত জাহাদ বক্স নালিশী সম্পত্তিতে তাহার নিজস্ব ও একক মালিকানায় দ্বাদশ বর্ষে বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় মোসাম্মৎ হামিদা (১নং বাদী)-কে ১ (এক) কন্যা এবং আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়াকে এক পুত্র তথা তদীয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ফলে, ১নং বাদিনী তাহার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে ০.০২৬৮ একর এবং আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া ০.০৫৩ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশি স্বত্ব লাভ করেন। প্রসঙ্গতঃ পরবর্তীতে বর্ণিত আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া তাহার ওয়ারিশী স্বত্বে প্রাপ্ত ০.০৫৩ একর সম্পত্তিতে তদিয় ভগ্নি ১নং বাদীর সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ২ ও ৩ নং বাদীকে দুই পুত্র এবং ও ৪ ও ৫নং বাদীকে দুই কন্যা এবং ৬ নং বাদীনিকে তদীয় স্ত্রী তথা তাহার ত্যাজ্যবিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোকগমন করেন। ফলে ২- ৬ বাদীগণ তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে মুসলিম উক্তরাধীকার আইন অনুযায়ী বর্ণিত আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়ার ত্যাজ্যবিত্তে ওয়ারিশি স্বত্ব লাভ করেন। বলা আবশ্যক, বাদীগণ তাহাদের স্ব স্ব অংশ অনুযায়ী তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে কিছু অংশে ঘর দরজা উত্তোলন পূর্বক এবং কিছু অংশে ফলজ ও বনজ গাছপালা সৃজনক্রমে এবং অবশিষ্ট সম্পত্তিকে উঠান হিসেবে ব্যবহার করতঃ বিবাদীগণসহ সংশিষ্ট সকলের জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য মতে দ্বাদষ বর্ষের বহু ঊর্ধ্বকাল যাবৎ ভোগদখলে রত আছেন।
১০। উল্লেখ্য, বাদীগণের স্বত্ব দখলীয় নালিশী সম্পত্তির খাজনা বাদীগণ নিয়মিত পরিশোধ করেন কি- না তাহা বাদীগণের জনৈক আত্মীয় কথা প্রসঙ্গে জানিতে চাহিলে ২নং বাদী তাহাকে জানান যে, ২৫ বিঘা পর্যন্ত সম্পত্তির খাজনা যেহেতু সরকার মওকুফ করিয়া দিয়াছেন সেহেতু তাহাদের খাজনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু উক্ত আত্মীয় জনান যে, ২৫ বিঘা সম্পত্তির খাজনা মওকুফ হইলেও অন্যান্য কর পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক। যদি তাহা বাদীগণ না করেন তাহা হইলে ভবিষ্যতে তাহাদের অসুবিধা হইতে পারে। বাদীগণ উক্তরূপ জানিতে পারিয়া ২নং বাদী বিগত তারিখে সংশি-ষ্ট তহশিল অফিসে খাজনা পরিশোধ করিতে গেলে তহশিলদার নালিশী সম্পত্তির সংশি-ষ্ট রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করিয়া তাহাকে জানান যে, যেহেতু নালিশী সম্পত্তির আর, এস, পর্চা বাদীগণের নামে কিম্বা তাহাদের পূর্ববর্তী আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া কিম্বা জাহাদ বক্স এর নামে লিপিবদ্ধ না হওয়ায় তাহার পক্ষে বাদীগণের নিকট হইতে নালিশী সম্পত্তির খাজনা গ্রহণ করা সম্ভব নহে।
১১। অতঃপর ২ নং বাদী বিগত — — — — ইং তারিখে নালিশী সম্পত্তির এস. এ. এবং আর, এস. পর্চার সইমোহরী নকল তুলিয়া দেখিতে পান যে বাদীগণ তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে বর্ণিত জাহাদ বক্সের ওয়ারিশ হওয়া স্বত্বেও নালিশী সম্পত্তির আর, এস, পর্চায় জাহাদ বক্সের নাম লিপিবদ্ধ হয় নাই। তদুপরি তাহারা আরও জানিতে পারেন যে, জাহাদ বক্সের এস. এ. পর্চায় পূর্ণ দুই আনার পরিবর্তে আনা লিপিবদ্ধ হইয়াছে যাহা তাহার প্রাপ্যাংশের চাইতে কম। এমনকি তাহারা আরও দেখিতে পান যে নালিশী আর. এস. পর্চায় বর্ণিত জাহাদ বক্সের নাম লিপিবদ্ধ হয় নাই যাহা ভুল এবং অশুদ্ধ। ফলে ২নং বাদী জায়গা জমির বিষয় যাহারা একটি ভাল জানেন তাহাদের সহিত আলোচনা করিয়া নালিশী সম্পত্তির এস. এ. পর্চায় জাহাদ বক্সের নামে কম লিপিবদ্ধ হওয়া এবং আর, এস পর্চায় তাহার নাম না আসা ইত্যাদি বিষয়কে ত্রুটি মুক্ত করিবার নিমিত্তে জানিতে পারেন যে, যদি এস. এ. এবং আর. এস. পর্চায় যাহাদের নাম লিপিবদ্ধ হইয়াছে তাহারা যদি বাদীগণকে না-দাবী নামা দলিল সহি সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রি করিয়া দেন তাহা হইলে উক্ত ভুল শুদ্ধ হইবে। ফলে ২নং বাদী নং বিবাদীকে বিগত তারিখে তাহাদের বরাবরে না-দাবীনামা দলিল সহি সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া দিতে বলিলে তিনি সরাসরি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে ২নং বাদী পর্যায়ক্রমে– –বিবাদীকেও উক্তরূপ বলিলে তাহারা সকলেই অস্বীকার করিলে বাদীগণ নালিশী সম্পত্তির এস. এ. এবং আর. এস. পর্চা দ্বারা বাধ্য নহেন বিধায় বাদীগণ ঘোষণামূলক ডিক্রীর প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিলেন।
১২। উল্লেখ্য, নালিশী সি, এস, ১৯ খতিয়ানের ২৬১ দাগের ৫৬ শতাংশ এবং ২৭০ দাগের ৪৮ শতাংশ আরজীর পরিচ্ছেদের বর্ণানুযায়ী সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক যথাক্রমে ইমাম বক্স ও আয়েত বক্স এর ছাহাম প্রাপ্ত দাগদ্বয়ের সম্পত্তি এবং তাহারা তাহাদের উক্ত সম্পত্তি সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে তাহাদের ওয়ারিশগণ উক্ত সম্পত্তিতে বর্তমানে ভোগ দখলে রত আছেন। যেহেতু উক্ত সম্পত্তি বহু পূর্বেই ঘরোয়াভাবে ভাগ বণ্টন হইয়া পৃথক হইয়া গিয়াছে সেইহেতু উক্ত সম্পত্তি অত্র মোকদ্দমায় অর্ন্তভূক্ত করা হইল না এবং উক্ত সম্পত্তিতে যাহারা ভোগ দখলে আছেন তাহাদিগকেও অত্র মোকদ্দমায় পক্ষভূক্ত করা হইল না।
১৩। উল্লেখ্য, নালিশী সি. এস. ২৫৭ দাগের ৫৬ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে বাদীগণ ০.০৮০৬ একর সম্পত্তিতে ভোগ দখলে রত আছেন এবং অবশিষ্ট ০.০৪৭৯ একর সম্পত্তিতে ১-২৪ নং বিবাদীগণ কেহ বা খরিদসূত্রে কেহ বা ওযারিশি সূত্রে ভোগ দখলে রত আছেন। কাজেই, নালিশী সি. এস. ২৫৭ দাগের সম্পত্তিতে যাহারা ভোগ দখলে রত আছেন, কেবলমাত্র তাহাদিগকেই বিবাদী শ্রেনীভূক্ত করিয়া বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল।
১৪। উল্লেখ্য, অত্র মোকদ্দমার মোকাবেলা বিবাদীদ্বয়ের অধিনস্থ নং মোকাবেলা বিবাদীর অফিসে নালিশী সম্পত্তির নামজারীর বিষয়টি জড়িত হওয়ায় তাহাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার না চাহিয়া শুধুমাত্র তাহাদের উপস্থিতিতে বর্তমান মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি হওয়া আবশ্যকহেতু তাহাদিগকে মোকাবেলা বিবাদী করিয়া বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল। কিন্তু যদি তাহারা বাদীগণের আরজীর বিরুদ্ধে লিখিত জবাব দাখিল করিয়া অত্র মোকদ্দমায় প্রতিযোগীতা করেন তাহা হইলে মূল বিবাদীগণের বিরুদ্ধে প্রার্থীত প্রতিকার তাহাদের বিরুদ্ধেও চাওয়া হইয়াছে বলিয়া গন্য ও বিবেচিত হইবে।
১৫। মোকদ্দমার কারণঃ-বাদীগণ পক্ষে ২নং বিবাদী যখন বিগত তারিখে তহশিল অফিস হইতে জানিতে পারেন যে, নালিশী সম্পত্তির আর. এস. পর্চা তাহাদের পূর্ববর্তী জাহাদ বক্সের নামে লিপিবদ্ধ হয় নাই তখন অত্র মোকদ্দমার কারণ সর্ব প্রথম উদ্ভব হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত পর্চার সইমোহরী নকল প্রাপ্ত হইবার তারিখে এবং সর্বশেষে বিগত তারিখে যখন বিবাদীগণ নালিশী সম্পত্তির আর. এস. পর্চা ভুল হওয়ায় বাদীগণের বরাবরে না-দাবীনামা দলিল লিখিয়া দিতে অস্বীকার করিবার তারিখে অত্র মোকদ্দমার কারণ সর্বশেষে উদ্ভব হইয়া অত্রাদালতের এক্তিয়ারাধীন নারায়ণগঞ্জ জিলার রূপগঞ্জ থানাধীন তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে উদ্ভব হইয়া এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে।
১৬। মোকদ্দমার মূল্যায়নঃ- যেহেতু বর্তমান মোকদ্দমাটি একটি সাধারণ ঘোষনা মূলক মোকদ্দমা এবং বাদীগণ নালিশী সম্পত্তির দখলে রহিয়াছে। সেইহেতু অত্র মোকদ্দমার মূল্য =৪,০০,০০০/ (চার লক্ষ) টাকা ধার্য্য করিয়া দুইটি ঘোষনার জন্য ৩০০+৩০০/=৬০০/ (ছয়শত) টাকার কোর্ট ফি প্রদান পূর্বক বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল।
অতএব বাদীগণের বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়াঃ- (ক) বাদীগণ নালিশী সম্পত্তির ২ (ষোল) আনার মালিক মর্মে ঘোষনা মূলক ডিক্রী দিতে;
এবং
(খ) নালিশী সম্পত্তির এস. এ. পর্চায় জাহাদ বক্সের নামে— এর স্থলে অংশ লিপিবদ্ধ হওয়া ভুল এবং অশুদ্ধ এবং একইভাবে নালিশী সম্পত্তির আর. এস. পর্চায় বর্ণিত জাহাদ বক্সের নাম না আসা সম্পূর্ণ ভুল এবং অশুদ্ধ এবং উক্ত এস. এ. এবং আর, এস, খতিয়ান তথা পর্চা দ্বারা বাদীগণ বাধ্য নহেন মর্মে বাদীগণের অনুকূলে এবং বিবাদীগণের প্রতিকূলে ডিক্রী দিতে;
এবং
(ঘ) মোকদ্দমার যাবতীয় খরচের ডিক্রী বাদীগণের অনুকূলে এবং বিবাদীগণের প্রতিকূলে দিতে;
এবং
(ঙ) আইন ও ইকুইটি মতে বাদীগণ আর যে সকল প্রতিকার প্রার্থী হয় তদমর্মে ডিক্রী দিতে।
তপসিলঃ- ক”
সাবেক ঢাকা হালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন মাছিমাবাদ মৌজাস্থিত সি. এস. ১৯ খতিয়ানের ২৫৭ দাগের ৫৬ শতাংশ যাহার এস. এ. খতিয়ান নম্বর সাবেক ১৯/৩ হালে ১৭ এস. এ. দাগ নম্বর ২৫৭ যাহার আর, এস. খতিয়ান নম্বর ২৪ আর.এস. দাগ নম্বর যথাক্রমে ১৪৪ দাগে ০৭ শতাংশ, ১৪৫ দাগে ০২ শতাংশ, ১৪৬ দাগে ১০ শতাংশ, ১৪৭ দাগে ৩৭ শতাংশ। আর. এস. ৪টি দাগে সর্বমোট ৫৬ শতাংশ সম্পত্তি।
তপসিল-খ” তথা নালিশী সম্পত্তির পরিচয়ঃ-
উপরিউক্ত জেলা, থানা ও মৌজাস্থিত সি. এস. খতিয়ান ও দাগের সম্পত্তি যাহার আর.এস. খতিয়ান নম্বর ২৪ আর. এস. দাগ নম্বর ১৪৭ জমির ৩৭ শতাংশ উক্ত সম্পত্তির অন্দরে ০.০৮০৬ একর। যাহার চৌহদ্দিঃ-উত্তরেঃ- আলমগীরগংদের সম্পত্তি, দক্ষিনেঃ-বাদীগণের নিজস্ব সম্পত্তি, পূর্বেঃ- বাদীগণের নিজস্ব সম্পত্তি এবং পশ্চিমেঃ-আব্দুল মজিদ ভূঁইয়ার সম্পত্তি।
সত্যপাঠ:
উপরোক্ত বর্ণনা আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য ও সঠিক জানিয়াঅদ্য অত্য সত্যপাঠে আমি আমার নিজ নাম সহি স্বাক্ষর করিলাম।
—————————
সত্যপাঠকারীর স্বাক্ষর।