ড্রাগ লাইসেন্স করার নিয়ম

 

ড্রাগ লাইসেন্স করার নিয়ম

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওষুধের ব্যবসা করার জন্য ফার্মেসী প্রতিষ্ঠা করতে হলে ড্রাগ লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।

 

ড্রাগ লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ-

নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই ড্রাগ লাইসেন্স সরবরাহ করে থাকে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ঔষধ ভবন, মহাখালী, ঢাকা-১২১২।

 

ড্রাগ লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্যতা-

ড্রাগ লাইসেন্স পেতে হলে অবশ্যই নিজে ফার্মাসিস্ট হতে হবে অথবা একজন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ দিতে হবে। ফার্মাসিস্ট সাধারণত তিন ধরণের হয়-

(১) গ্রেড-এ

(২) গ্রেড-বি

(৩) গ্রেড-সি

 

এই তিন গ্রেডের যেকোন ফার্মাসিস্ট ড্রাগ লাইসেন্স পেতে পারেন।

 

ড্রাগ লাইসেন্স এর জন্য যেসকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে-

দ্য বেঙ্গল ড্রাগ রুলস, ১৯৪৬ অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি, মজুত, বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও বিতরণে ড্রাগ লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য একটি নির্ধারিত ফরম ৭ (Prescribed form 7) এর মাধ্যমে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করতে হয়। এই আবেদন ফরম ৭ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কার্যালয় অথবা ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা যায়।

 

ড্রাগ লাইসেন্স এর জন্য ফরম-৭ নিম্নলিখিত কাগজপত্রসহ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের জমা দিতে হবে-

(১) পূরণকৃত ফরম-৭,

(২) মালিকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

(৩) ট্রেড লাইসেন্সের কপি,

(৪) ফার্মাসিস্ট-এর রেজিস্ট্রেশন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,

(৫) নিজে ফার্মাসিস্ট না হলে ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারপত্র (মূলকপি),

(৬) ব্যাংক স্বচ্ছলতার সনদপত্র,

(৭) দোকান ভাড়ার রসিদ বা চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,

(৮) নিজে  দোকানের মালিক হলে মালিকানা দলিলের ফটোকপি ও সর্বশেষ মাসের বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি,

(৯) লাইসেন্স ফি ১৫% ভ্যাট সহ জমা দেয়ার ট্রেজারী চালান,

(১০) দোকানের ছবি।

 

ফার্মাসিস্ট লাইসেন্স কিভাবে পাবেন-

(১) ফার্মাসিস্টের সনদ/ লাইসেন্সের জন্য ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত তিন মাস মেয়াদী একটি কোর্স সম্পন্ন করে পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এই কোর্স পরিচালিত হয় দেশের বিভিন্ন জেলার কেমিস্টস এন্ড ড্রাগ্গিস্টস সমিতির মাধ্যমে।

(২) প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ঔষধ প্রশাসনের সভা হয়, যেখানে তথ্যগুলো যাচাই বাছাই সাপেক্ষে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

(৩) লাইসেন্স ফি ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে জমা দিতে হয়। পৌর এলাকার (City Corporation) জন্য এই ফি ২,৫০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে ১,৫০০ টাকা। ট্রেজারী চালানের কোড: ১-২৭১৫-০০০০-১৮৬৩

(৪) দুই বছর পর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়। পৌর এলাকার জন্য নবায়ন ফি ১৮০০ টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে এটি ৭০০ টাকা।

(৫) সকল ধরণের ফি এর উপর ১৫% ভ্যাট দিতে হয়, ভ্যাট এর চালান কোড: ১-১১৩৩-০০১৫-০৩১১

 

ড্রাগ লাইসেন্স পেতে কত দিন সময় লাগে-

নতুন লাইসেন্স পেতে হলে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগে যাচাই বাছাইয়ের জন্য। আর লাইসেন্স নবায়নের জন্য পাঁচ থেকে সাত কর্ম দিবস লাগে।

 

ফার্বেমেসীর ধরণ-

বাংলাদেশের ওষুধের দোকানের মান উন্নয়নের জন্য ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প, Better Health in Bangladesh (BHB) ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করছে।

 

এই প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসীর একটি আদর্শ মান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই মান অনুযায়ী বাংলাদেশে ওষুধের দোকানসমূহ দুই ভাগে বিভক্ত থাকবে। যথা-

(১) মডেল ফার্মেসি, (মডেল ফার্মেসির জন্য ৩০০ বর্গফুট)

(২) মডেল মেডিসিন শপ, (মেডিকেল শপের জন্য ১২০ বর্গফুট)

 

এই আদর্শ মান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।

 

ডিজিটাল ড্রাগ লাইসেন্স-

BHB প্রকল্পের প্রতিনিধিবৃন্দ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করে Automated Drug Licensing and Renewal System/ অটোমেটেড ড্রাগ লাইসেন্সিং অ্যান্ড রিনিউয়াল সিস্টেম (ADLRS) তৈরি করে। এই সিস্টেমের আওতায় গত ১৮ নভেম্বর ২০২১ থেকে ADLRS -এর মাধ্যমে অনলাইনের ড্রাগ লাইসেন্স এর আবেদন করা যায়। https//dgda.gov.bd

 

ড্রাগ লাইসেন্স পেতে কোন সহায়তা লাগলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন-

 

মহীউদ্দীন এন্ড এসোসিয়েটস

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন

১৬, কোইলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতওয়ালী, ঢাকা অথবা

রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, ঢাকা।

01711-068609 / 01540-105088

Email- adv.mohiuddin80@gmail.com

Website- ainbid.com

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *