দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নিয়মে বাদীপক্ষে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত।
মোকাম: বিজ্ঞ সহকারী জজ ৬ষ্ঠ আদালত, ঢাকা।
দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ১১৪/২০২৪
ফজলু মিয়া গং
——————-বাদী।
-বনাম-
আব্দুর রাহমান গং
—————-বিবাদী।
দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নিয়ামানুযায়ী বাদীপক্ষে দরখাস্ত।
বাদীপক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১. বাদী নালিশী সম্পত্তি লইয়া চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনায় নিম্নোক্ত কারণে অত্রাদালতে দায়ের করিয়াছে।
(ক) জিলা-ঢাকা, থানা-কেরানীগঞ্জ হালে ডেমরাস্থিত মৌজা মাতুয়াইলে অন্তর্গত সি,এস ১৬৪ নং খতিয়ানের অধীনে এস, এস, ২২৩নং খদিয়ানের অধীনে সি,এস, ও এস,এ, ১১৫৪নং দাগের ৩৯ শতাংশ এবং সি, এস, ও এস,এ ২৮২১ নং দাগে ৮৫ শতাংশ একুনে ১.২৪ শতাংশ, যাহা নিম্ন ‘ক’ তফসিলে বর্ণিত হইয়াছে তাহার জোত এবং রায়তি স্বত্বে মালিক ছিলেন শেখ আহাম্মদ।
(খ) উক্ত শেখ আহাম্মদ তাহার একমাত্র পুত্র আব্দুল বাছেদ, স্ত্রী পানি বিবি ও ৩ কন্যা যথাক্রমে আছিরুন্নেছা, সমিরুন্নেছা ওরফে সফুরন্নেছা এবং বাহারুন্নেছা-কে তাহার সমৃদয় সম্পত্তিতে ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন।
(গ) পরবর্তীতে শেখ আহাম্মদ এর স্ত্রী পানি বিবি স্বামীর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি তথীয় কন্যা সমিরুন্নেছা ওরফে সফুরুন্নেছা বরাবরে ০৯/০৩/১৯৩৪ ইং তারিখে ৭৭২ নং রেজিষ্ট্রীকৃত দলিলমূলে হস্তান্তর পূর্বক নিঃস্বত্ববান হন।
(ঘ) পরবর্তীতে কন্যা বাহারুন্নেছা প্রথম পুত্র সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন এবং কয়েকদিন পর উক্ত ভূমিষ্ট সন্তান মৃত্যুবরণ করেন। ফলে উক্ত বাহারুন্নেছা কর্তৃক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি তাহার স্বামী প্রাপ্ত হন এবং তাহার উক্ত স্বামী প্রথমে স্ত্রী ও পরে পুত্র হইতে প্রাপ্ত সম্পত্তির সমূদয় অংশ হস্তান্তর পূর্বক নিঃস্বত্ববান হন।
(ঙ) উক্ত সমিরুন্নেছা ওরফে সফুরেন্নছা তাহার মাতা পানি বিবি হইতে দলিলমূলে প্রাপ্ত ও পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি বিষয়ে তাহার একমাত্র ভাতা আঃ বাসেত ও অপর বোন আছিরুন্নেছা অর্থাৎ ১-৩নং বিবাদীর মাতার সহিত ২৬/০৬/১০৯৪১ইং তারিখে ১৮৯৮নং রেজিস্ট্রকৃত বণ্টননামা দলিল মূলে তিনি অনালিশী ২৮১৯নং দাগের ০৯ (নয়) শতাংশ জমি গ্রহণ করিয়া নালিশী দাগের জমিসহ অন্যান্য অনালিশী দাগের সম্পত্তি তাহার একমাত্র ভ্রাতা ও অপর বোনকে দিয়া স্বত্ব ও দখল ত্যাগ করেন।
(চ) পরবর্তীতে আঃ বাছেদ, সফরুন্নেছা ওরফে সমিরুন্নেছা ও অপর বোন শ্রমতি আচিরুন্নেছা তাহাদের পিতার ওয়ারিশ সুত্রে বিগত ২৬/০৬/১৯৪১ইং তােিখ ১৮৯৮নং বণ্টননামা দলিলমূলে বাটোয়ারা করিয়া দেন। উক্ত দলিল সম্পাদন ও রেজিষ্ট্রী করিয়া নেওয়ার সময় তাহাদের মাতা অর্থাৎ শেখ আহম্মেদের স্ত্রী পানি বিবি জীবিত থাকায় তাহার স্বামীর মৃত্যুতে প্রাপ্ত ২ (দুই) আনা অংশ প্রাপ্ত হইলেও তাহার ইচ্ছায় তাহার ২ (দুই) আনা অংশ সম্পত্তি তাহার ১ পুত্র ও ও ২ কন্যাগণের মধ্যে বিভাজিত হইয়া তাহার নাম ব্যতীরেকেই উক্ত বাটোয়ারা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রী হয়। উল্লেখ্য, উক্ত বাটোয়ারা দলিলের কর্মমতে তাহাদের পরম শ্রদ্ধেয় মাতা পানি বিবি ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের সুপরামর্শে ও বিভাজিত মতে আঃ বাছেদ ২৮২১নং দাগের (যাহা উক্ত দলিলে ভুল বশতঃ ১৮২১ লিপিবদ্ধ হইয়াছে) সম্পূর্ন ৮৫ শতহাংশ জমি, ২৮১৯নং দাগে ৮০ শতাংশের কাতে ২৭ শতাংশ, ১২৪নং দাগের ১৯ শতাংশ, ১১৫৪ নং দাগের সম্পূর্ণ ৩৯ শতাংশ, ১০২৮নং দাগে ৬৩ শতাশং ও ১০৩২নং দাগে ২৪ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হইয়া তাহার মাতার মৌখিক নির্দেশ ২৮২১নং দাগে ৮৫ শতাংশ জমি হইতে ৪২ শতাংশ জমি তাহার বোন সফুরুন্নেছার স্বামী আঃ মন্নাফের বরাবরে একই দিনে অর্থাৎ ২৬/০৬/১৯৪১ইং তারিখে ১৮৯৬নং দলিলমূলে দান করেন। যদিও আঃ মন্নাফ ও ছফুরুন্নেছার একগুয়েমীর কারণে এবং তাহাদের মাতা ও অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের অনুরোধে উক্ত দলিলটি ৩০০/- টাকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সাফ কবলা দলিল করাইতে বাধ্য করা হয়। উল্লেখ্য আঃ মন্নাফের উক্ত পরিমাণ টাকা দেওয়ার সঙ্গতি ছিল না, এমনকি উক্ত সময়ে আঃ বাছেদের সম্পত্তি বিক্রয়ের কোন কারণ ছিল না। আরো উল্লেখ্য, তাহার মাতার উচ্ছানুযায়ী আঃ মন্নাফের বরাবরে উল্লেখিত ৪২.৫০ (সাড়ে বিয়াল্লিশ) শতাংশ জমি দেওয়া সত্ত্বেও আঃ মন্নাফের স্ত্রী ছফুরুন্নেছা বিবি ২৮১৯নং দাগে ৯ শতাংশ বাড়ীর জমি প্রাপ্ত হন এবং আছিরন নেছা বিবি ১০২৮নং দাগের ৯৩ শতাংশ জমি হইতে ৩০ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হন। উল্লেখিত সময়ে সামাজিক প্রেক্ষাপটে উক্ত দলিলে তাহার মাতা পানি বিবিকে সাক্ষী হিসাবে সহি/টিপসহি দিতে বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তিনি দলিলে সহি দিতে অস্বীকৃত জ্ঞাপন করায় তাহাকে সাক্ষী হিসাবে অন্তভুক্ত করা যায় নাই তবে তাহার ইচ্ছায়-ই তাহার অপর কন্যা আছিরুন্নেছার স্বামী মাছুম আলী সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন।
(ছ) উপরোক্ত অবস্থার আলোকে এস,এস, খতিয়ানে নালিশী দাগের শুধুমাত্র ১-৪ নং বাদীদের পিতা আঃ বাসেত ও তাহার বোন জামাই আঃ মন্নাফের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা থাকিলেও ভুল বশতঃ উক্ত দুই জনের নামসহ উক্ত সমিরুন্নেছার নাম ও লিপি হয়। যাহা সঠিক নহে এবং উইলপির ফলে উক্ত সমিরুন্নেছার নালিশী দাগের কোন জমিতে কোন স্বত্ব অর্জিত হয় নাই। ফলে দখল থাকার কোন প্রশ্নই আসে না। অধিকন্তু ১-৪নং বাদীদের পিতা উক্ত জমি ১৯৪১ইং সনের বাটোয়ারা দলিলমূলে প্রাপ্ত হইয়া দীর্ঘকাল যাবৎ অন্যের নির্বিবাদে ও নিষ্কন্টক অবস্থায় ভোগ দখল করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় নামজারীক্রমে ভোগ দখলে নিয়ত হন ও রহেন।
(জ) উক্ত অবস্থার আলোকে নালিশী সম্পত্তি বিগত আর,এস, জরিপ মূলে এস, এ, রেকডীয় ভুল তথ্য সংশোধন করতঃ সঠিকভাবে ১-৪ নং বাদীদের পিতা মোঃ আঃ বাসেত ও আবদুল মন্নাফের নামে লিপিবদ্ধ, প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।
(ঝ) ১-৪নং বাদীদের পিতা নালিশী দাগে তাহার সাহাম প্রাপ্ত ২৮২১নং দাগের ৮৫ শতাংশ জমির মধ্যে ৪২ শতাংশ জমি আব্দুল মন্নাফ বরাবরে বিগত ২৬/০৬/১৯৪১ইং তারিখে রেজিস্ট্রীকৃত সাফ কবলা দলিল নং-১৮৯৬ মূলে হস্তানাত দলিল করিয়া দেয়। তাহার অবশিষ্ট ৪২ শতাংশ সম্পত্তি হইতে বিগত ২৬০৭/১৯৯৮ইং তারিখে রেজিস্ট্রীকৃত হেবা বেল এওয়াজ দলিল নং-৫৭৮৭নং দলিল মূলে কন্যা সাহিদা বেগম এবং নাতী মোঃ শাহআলম বরাবের ৪২২ (সাড়ে বিয়াল্লিশ) শতাংশ সম্পত্তি হস্তস্তর কৃরেন এবং বিগত ০৩/০৫/১৯৯৯ইং তারিখে ২৮৪৮নং রেজিষ্ট্রীকৃত দলিল মূলে ৪২ (সাড়ে চার) শতাংশ এবং অবশিষ্ট ৩৩২ (সাড়ে তেত্রিশ) শতাংশ বিগত ২৫/০৭/২০০১ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রীকৃত হেবা বেল এওয়াজ দলিল নং-৪১৩৯ মূলে তাহার চার পুত্র যথাক্রমে (১) ফজলু মিয়া, ৯২) শহিদ মিয়া, (৩) বাবুল মিয়া ও (৪) জাকির মিয়ার বরাবরে হস্তান্ত করতঃ নিভূস্বত্ববান হন।
(ঞ) আব্দুল বাছেদ এর নিকট হইতে কন্যা সাহিদা বেগম ও নাতি মোঃ শাহআলম ৪ (সাড়ে চার) শতাংশ সম্পত্তি মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া সাহিদা বেগমের পুত্র মোঃ শাহআলম তাহার ২০ (সোয়া চার) শতাংশ সম্পত্তি মাতা সাহিদা বেগম বরাবরে বিগত ২২/০৩/২০০৮ইং তারিখে তাহার মাতা মোসাঃ সাহিদা বেগম বরাবরে হেবা বেল এওয়াজ দলিলমূলে দান করতঃ নিঃস্বত্ববান হইলে উক্ত মোসাঃ সাহিদা বেগম ২০ (সোয়া চার) শতাংশ সম্পত্তি একই তারিখে অর্থাৎ ২২/০৩/২০০৮ইং তারিখে ২৮৯৮নং রেজিস্ট্রীকৃত হেবা বেল এওয়াজ দলিলমূলে তাহার ৪ ভ্রাতা অর্থাৎ বাদীগণ বরাবরে হেবা করতঃ নিঃস্বত্ববান হন।
(ট) উক্ত প্রকারে ২সং বাদী পিতার নিকট হইতে ৪ ১/২ (সাড়ে চায়) শতাংশ সম্পত্তি ১-৪ নং বাদী ৩৩ ১/২ (সাড়ে তেত্রিশ) শতাংশে সম্পত্তি এবং ভগ্নী সাহিদা বেগমের নিকট হইতে ৪ ১/২ (সাড়ে চার) শতাংশ সম্পতি ভিন্ন ভিন্ন দলিল মূলে প্রাপ্ত হইয়া যথারীতি নামজারীক্রমে খাজনাদি আদায়ে ভোগ দখলে নিয়ত হয় ও আছে।
(ঠ) বাদীগণ যাহারা ইতোমধ্যে চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন এবং দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থানের পর দেশে ফিরিয়া অসিয়ত তাহাদের স্বত্ব লখনীয় জমিতে বসবাসের উপযোগী করিয়া তুলিবার প্রয়াস গ্রহণ করায় সম্পূর্ণ দ্বিখ্যা দাবীতে বিরাণী নাছিমা আক্তার বাদী হইয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে সেঃ ২৯/২০০৪ এবং ৬ষ্ঠ স ৬ষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৪৪/২০০৩ রুগ্ন করে, গাধা পরবর্তীতে বদলী হইয়া এর্থ যুগ্ম জিলা জজ আদালতে ৭৮/০৪ হিসাবে নম্বর যুক্ত হয়। পরবর্তীতে নাছিমা আক্তার দেঃ ৭৮/০৪ মামলাটি উত্তোলন করিয়া লয়।
(ড) নালিশী সম্পত্তিতে ১নং বাদী ফজলু মিয়ার ৯টি ঘর আছে এবং ১টি পাকঘর ও ১টি গোসলখানা আছে। গ্যাস পানি, বিদ্যুৎ আছে এবং ভাড়াটিয়া বসাইয়া ভাড়ানি আদায় করিয়া আসিতেছেন। ২নং বাণীর ১টি ২০ ফুট ২২ ফুট ফার্নিচার কারখানা আছে এবং সকল বাদীদের অংশেই নানা প্রকার বৃক্ষাদি আছে। তন্মধ্যে নারিকেল গাছ, কলা গাছ ও কাফিলা গাছও আছে।
(ঢ) বাদীগণ অত্যন্ত সহজ, সরল ও সামাজিক মর্যাদা সম্পন্ন লোক। অপরদিকে বিষাদীপক্ষ দুশোরী ও নূরস্ত প্রকৃতির লোক বটে। তাহারা না পারে এমন কোন কাজ নাই। তাহারা অর্থ ও জন বলে বলীয়ান।
(ণ) বাদীগণের স্বত্ব দখলীয় নালিশী সম্পত্তিতে বিবাদীগণ এক দলবদ্ধ হইয়া বাদীগণকে উচ্ছেদের জন্য হুমকি প্রদান সহ নালিশী সম্পত্তিতে বাদীদের কে বল প্রয়োগে উচ্ছেদের পায়তারা করিতেছে।
(ত) বাদীপক্ষের স্বত্ত্ব দখলীয় নিম্ন তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে বিবাণীশক্ষ অন্যায় বল প্রয়োগে প্রবেশ করিতে না পারে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিতে না পারে এবং নানা প্রকারের মাধালা মোকদ্দমা উদ্ভব হইতে না পারে। তজ্জন্য চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দ্বারা বিবাদীগণকে বারত করা প্রয়োজন। কাজেই বিবাদীগণ যাহাতে বাদীপক্ষের স্বত্ব দখলীয় নালিশী সম্পত্তিতে অন্যায় ও অবৈধভাবে প্রবেশ করিতে না পারে এবং জোরপূর্বক নালিশী সম্পত্তির আকার ও প্রকারের কোন পরিবর্তন করিতে না পারে এবং নালিশী সম্পত্তি যাহাতে অন্যায় ও অবৈধভাবে বেচা-বিক্রী করিতে না পারে তদন্তর্মে বিবানীগণের বিরুদ্ধে এক চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারীর নিমিত্তে বাণীগণ অত্র বিজ্ঞ আদালতের শরানাপন্ন ও আশ্রয় নিতে বাধ্য হইলেন।
(থ) নালিশের কারণঃ অত্রাদালতের যাত্রাবাড়ী থানা এলাকাধনি নালিশী নিম্ন ‘খ’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে ১-১০নং বিবাদীগণ এক দলবদ্ধ হইয়া নালিশী সম্পত্তিতে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করার জন্য চক্রান্তের দিন এবং নালিশী সম্পত্তিতে প্রবেশের হুমকি সহ বেচা বিক্রী করিয়া দিবার হুমকির দিন অর্থাৎ ০৪/০৪/২০১১ইং তরিখে অত্রাদালতের এলাকাধীন যাত্রাবাড়ী খানা মাতুয়াইল এলাকায় উদ্ভব হইয়াছে।
২. বিবাদীগণ স্বত্ব দখলীয় নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে যদি জোড়পূর্বক প্রবেশ করে অত্র পক্ষকে বে-দখল করে তাহা হইলে অত্র দরখাস্তকারী-বাদী পক্ষের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হইবে।
৩. পক্ষগণের মধ্যে যেহেতু নালিশী সম্পত্তি লইয়া অত্র চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা বিচারধনি আছে সেখানে বাদী ও বিবাদীগণের মধ্যে বিবাদ বিসম্বাদ বাড়াইবার এক হীন অপচেষ্টা চরিতার্থের লক্ষ্যে বিবাদী পক্ষ নিম্ন তফসিল বর্ণিত দরখাস্তকারীগণের স্বাত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে অন্যায় ও অবৈধভাবে জোরপূর্বক প্রবেশ করিতে, আকার ও প্রকার পরিবর্তন করিতে, বাদীগণকে উচ্ছেদ করিতে এবং নালিশী সম্পত্তি বেচা-বিক্রি করিবার বিবাদীগণের অপচেষ্টায় বাদীগণ ক্ষতিগ্রস্ত হইবে।
৪. বিবাদীরা ধনে জনে অত্যন্ত বলীয়ান। বিবাদীগণ বিভিন্ন অপঃ তৎপরতায় লিপ্ত হইয়াছে।
৫. অত্র দরখাস্তকারী-বানী পক্ষ সুনিশ্চিত যে, ম্মিন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি যেতে তাহারা ধারাবাহিকভাবে ভোগ দখল করিয়া আলাদা সীমানা সহরদ চিহ্নিত করিয়া গৃহাদি নির্মাণক্রমে ভোগ দকল করিয়া আসিতেছে সেহেতু তাহারা তাহাদের উক্ত সম্পত্তি অত্র বিজ্ঞ আদালতের সুবিচারে পার্থিত ডিক্রী পাইবে। কাজেই অত্র মোকদ্দমার বিচার কার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিবাদী-প্রতিপক্ষ যাহাতে নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করিতে না পারে, আকার ও প্রকার পরিবর্তন করিতে না পারে, বাদীগণকে উচ্ছেদ করিতে না পারে এবং নালিশী সম্পত্তি যাহাতে কোথাও বেচা বিক্রী করিতে না পারে তম্মর্মে অত্র বিজ্ঞ আদালত হইতে এক অস্থায়ী নিষেধজ্ঞার আদেশ জারী হওয়া একান্ত আবশ্যক। অন্যথায় পক্ষগণের মধ্যে বিচরাধীন চিরস্থায়ী নিষেধজ্ঞার বিষয়টি নিষ্ফল হইয়া যাইবে কিংবা বহুরুপ মোকদ্দমা সহ জটিলতা বৃদ্ধি পাইবে এবং অত্র পক্ষের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হইবে।
৬. অত্র বাদীপক্ষে নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইবার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান আছে এবং অত্র মোকদ্দমায় নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইবার Prima facie case বিদ্যমান আছে।
৭. নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনয়নে ও নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইবার সুবিধা ও অসুবিধার ভারসাম্য অত্র দরখাস্তকারীর অনুকূলে এবং প্রতিপক্ষের সম্পূর্ণ প্রতিকূলে রহিয়াছে।
৮। যেহেতু অত্র মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নালিশি সম্পত্তিতে প্রতিপক্ষ যাহাতে অবৈধ অনুপ্রবেশের মাধ্যমে জোরপূর্বক আকার ও প্রকার পরিবর্তন করিতে না পারে, বাদীগণকে উচ্ছেদ করিতে না পারে এবং নালিশী সম্পত্তি যাহাতে কোথাও বেচা-বিক্রী করিতে না পারে তৎমর্মে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে এক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ না হইলে অত্র পক্ষের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হইবে। এবং এইরূপ ক্ষতি অর্থ দ্বারা পূরণ যোগ্য নহে।
অতএব, উপরোক্ত অবস্থা ও কারনাধীনে ১-৪নং বাদী- দরখাস্তকারী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে, অত্র মোকদ্দমা চলাকালীন সময় প্রতিপক্ষ যাহাতে ‘খ’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে অন্যায় ও অবৈধভাবে জোরপূর্বক প্রবেশ করিতে না পারে, আকার ও প্রকার পরিবর্তন করিতে না পারে, বাদীগণকে উচ্ছেদ করিতে না পারে এবং নালিশী সম্পত্তি যাহাতে কোথাও বেচা-বিক্রিী করিতে না পারে তৎমর্মে বিবাদী/ প্রতিপক্ষগণের প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানে উভয় পক্ষের শুনানী অন্তে এক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বিবাদীগণকে বারিত করিতে;
এবং ইত্যবসরে প্রতিপক্ষ-বিবাদীগণ নিম্ন ‘খ’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করিতে না পারে, আকার ও প্রকার পরিবর্তন করিতে না পারে, বাদীগণকে উচ্ছেদ করিতে না পারে এবং নালিশী সম্পত্তি যাহাতে কোথাও বেচা-বিক্রী করিতে না পারে তন্মর্মে এক অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ দ্বারা বিবাদীগণকে বারিত করিতে হুজুরের একান্ত মর্জি হয়।
তফসিল ক
জিলা ঢাকার সাবেক থানা-কেরাণীগঞ্জ, অতঃপর তেজগাঁও পরবর্তীতে ডেমরা, হালে যাত্রাবাড়ী মৌজা ৩৩২নং মাতুয়াইল অন্তর্গত সি,এস, ১৬৪, এস,এম ২২৩নং খতিয়ানের অধীন সি, এস, ও এস,এ ১১৫৪নং দাগের ৩৯ শতাংশ এবং উক্ত সি,এস ও এস,এ, খতিয়ানের অধীনে সি,এস, ও এস, এ ২৮২১নং দাগের ৮৫ শতাংশ একুনে ১.২৪ শতাংশ জমি ও ভিটি বাড়ী।
তফসিল খ
জিলা ঢাকার সাবেক থানা-কেরাণীগঞ্জ, অতঃপর তেজগাঁও, পরবর্তীতে ডেমরা, হালে যাত্রাবাড়ী মৌজা ৩৩২নং মাতুয়াইল অন্তর্গত সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের অধীনে সি,এস, ১৬৪, এস,এম ২২৩নং 1 খতিয়ানের অধীন সি, এস, ও এস,এ ২৮২১ নং দাগে ৮৫ শতাংশের কাতে ৪২০ শতাংশ, যাহার আর, এস, খতিয়ান নং-২৮৪, আর,এস, দাগ নং-৩৭৮১, ঢাকা সিটি জরিপ খতিয়ান দাগ নং-২২৮০৬, ২২৮০৭, ২২৮০৯, রকম নাল ও ভিটি বাড়ী যাহার চৌহদ্দিঃ উত্তরে-রাস্তা; দক্ষিণে- বাবুল মিয়; পূর্বে-ইমান আলী; পশ্চিমে-রাস্তা।
হলফনামা
আমি, ফজলু মিয়া, পিতা-মৃত আব্দুল বাছেদ মিয়া, সাং-মাতুয়াইল পশ্চিমপাড়া, থানা-যাত্রাবাড়ী, জিলা- ঢাকা-১৩৬২ বয়স-৬৫ বৎসর, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, পেশা- অবসর, এই মর্মে প্রতিজ্ঞাপূর্বক হলফ করিয়া এই ঘোষণা দিতেছি যে,
১। আমি অত্র মোকদ্দমার ১নং বাদী অপর বাদীগণ আমার ভাই।
২। আমি অত্র মোকদ্দমা বিষয় সম্যক অবগত আছি।
৩। আমি হলফনামা করিতে উপযুক্ত বটে।
অত্র নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে বর্ণিত সমস্ত বক্তব্য আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সম্পূর্ণ সত্য ও সঠিক জানিয়া অদ্য ১২/০৪/২০১১ইং তারিখ সময় ১০.৩০ ঘটিকার সময় হলফনামা কমিশনার সাহেবের সম্মুখে হাজির হইয়া অত্র হলফনামায় স্বাক্ষর কলিাম।
হলফকারীর স্বাক্ষর
হলফকারী আমার পরিচিত। সে আমার সম্মুখে স্বাক্ষর করিয়াছে। আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।
এডভোকেট