ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র নমুনা

Spread the love

বিসৃমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।

“গঠন তন্ত্র”

 

পিচ হার্বার ফাউন্ডেশন (PHF)

(Peace Harbor Foundation)

 

যেহেতু দেশ ও বিশ্বব্যাপী সমাজ সেবা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হইয়াছে। সেহেতু ফাউন্ডেশনটি সুষ্ঠু ও সুন্দর ভাবে পরিচালনার লক্ষে অত্র “গঠন তন্ত্র” প্রণয়ন করা হইলো।

 

ধারা-১: প্রতিষ্ঠানের নাম : সংস্থাটি পিচ হার্বার ফাউন্ডেশন নামে পরিচিত ও কার্যকর হইবে। ইংরেজি অনুবাদে Peace Harbor Foundation (PHF) নামে পরিচিত হইবে।

 

ধারা ২- সংস্থার ঠিকানা: বাড়ি-১, রোড-২, ব্লক- এ, বনশ্রী, রামপুরা। ঢাকা

 

ধারা ৩- এলাকার কার্য এলাকা সমগ্র বাংলাদেশ। তবে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ক্রমে বিশ্বব্যাপী তথা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সম্প্রসারণ করা হইবে।

 

ধারা- ৪: পতাকা, মনোগ্রাম ও পোষাক।

ক) পতাকা- দৈর্ঘ্য ৩ ফুট ও প্রস্থ ২ ফুট (৩:২) সাইজের সাদা রঙের পটভূমির মাঝখানে লাল রঙের সূর্য । সূর্যের নীচে Peace Harbor লেখা থাকিবে।

 

খ) মনোগ্রাম- দুই দিক থেকে তিনটি করে কোন আকৃতি মাঝখানে এসে একত্রিত হয়ে একটি আকৃতিতে পরিণত হয়েছে এবং নীচে নীচে Peace Harbor লেখা থাকিবে।

 

গ)  পোষাক- যেকোন পোষাকের উপর পড়ার জন্য পিচ হার্বার ফাউন্ডেশন এর লোগো চিহ্নিত সাদা গাউন পোষাক।

 

ধারা- ৫ : সংস্থার আদর্শ।

এই সংস্থা একটি অরাজনৈতিক, বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী এবং সেবামূলক সংস্থা। একাধিক বিষয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের সমন্বয়ে সমাজ কল্যাণ মূলক ও মানব হিতৈষী সংস্থা। জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার সমূহ বাস্তবায়নসহ মানবাধিকার বিষয় ও যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা, জনগণের অধিকার সংরক্ষণে আইনগত সহযোগীতা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করন।

 

ধারা- ৬ : সংস্থার উদ্দেশ্য

ক)      বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

(খ)      শহরের বঞ্চিত, বাস্তহারা ও বস্তিবাসীদের গ্রামমুখী করে কর্মসংস্থান ও আবাসনের মাধ্যমে গ্রামে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করন।

(গ)      সমাজের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অনগ্রসর ও অবহেলিত মানুষের পাশে সর্বভাবে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে মৎস্য চাষ,  বৃক্ষরোপণ, হাঁস-মুরগীর খামার, গরুছাগল মোটা তাজা করণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।

(ঘ)      শিশুদের লালন-পালন, প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

(ঙ)      প্রতিবন্ধী শিশুদের পিতামাতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, যাতে তারা তাদের শিশুদের প্রয়োজনীয় যত্ন নিতে পারে।

(চ)      প্রতিবন্ধীদের সু-শিক্ষায় শিক্ষা দানের মাধ্যমে সকল সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করণ।

(ছ)      গনতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করা।

(জ)     দেশের স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধ করা।

(ঝ)     ভূমিহীন ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দর্জি, নকশিকাঁথা বুনন, হস্তশিল্প, বাঁশ-বেত ও কাঠের ইত্যাদি কাজকর্মের প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্যবহারিক জিনিস তৈরী করার মাধ্যমে আর্থিক ভাবে সচ্ছলতা দান করা।

(ঞ)     যৌতুক, বাল্যবিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, বহু বিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

(ট)      প্রসূতি মায়ের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং কৌটার দুধ নয়, মায়ের দুধই প্রধান প্রচার করা।

(ঠ)      জনসংখ্যা সীমিত করণের জন্য পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম পরিচালনা, প্রচলন ও বাস্তবায়ন করে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

(ড)      নিয়মিত/ অনিয়মিত দুস্থদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা।

(ঢ)      নিরক্ষরতা দূরীকরণ ও জীবন ভিত্তিক শিক্ষার জন্য শিশু, প্রাপ্ত বয়স্ক ও অসমর্থ ব্যক্তিদের জন্য শিক্ষা কেন্দ্র স্থাপন এবং পূণর্বাসন কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা এবং পরিবেশ উন্নয়নে উদ্বুদ্ধ করা হয়।

(ণ)      প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, ব্যাপক সামাজিক বনায়ন গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে ও মানবিক উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

(ত)      শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নে শাক-সবজি ফলমূল ও অন্যান্য পুষ্টি/ ফল দায়ক বৃক্ষ রোপণে জনগণকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে পুষ্টিহীনতা দূর করা।

(থ)      স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শাক-সবজি ফল-মুল নিয়ে কম খরচে পুষ্টিকর শিশু খাদ্য তৈরী করার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।

(দ)      অসামাজিক কার্যকলাপের ক্ষতিকর অভ্যাস ও মানসিক বিকৃতিমূলক অভ্যাসের আমূল পরিবর্তন আনয়ন ও পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা।

(ধ)      সংস্থার কার্যক্রমের জন্য স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় করা এবং সরকার হতে লীজ এর ব্যবস্থা করা সরকারের নীতির আলোকে আইনগত বা বিধিগত আদেশে বা অনুমোদনে সকল ধরণের সমাজ উন্নয়ন ও সমাজ কল্যাণকর কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহ গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার কাজ করা।

(ন)      যে সমস্ত ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কর্মকান্ডের সহিত জড়িত আছেন, তাদের সমন্বয়ে সামজিক সংস্কার ও বিধিবদ্ধতার অভিশাপ থেকে নারী সমাজকে মুক্ত করার জন্য আলোচনা সভা সেমিনার সিম্পোজিয়াম কর্মশালা এবং প্রচারনা কার্যক্রম পরিচালনা করা।

(প)      শিক্ষিত বা অশিক্ষিত বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং আয় থেকে দায় শোধের ভিত্তিতে রিক্সা অটোরিক্সা মিশুক এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর মাধ্যমে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা।

(ফ)     প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য সেবা, ত্রাণ ও পূনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা ও সরকারী কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।

(ব)      ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার জন্য ফুল/ মক্তবের ব্যবস্থা করা।

(ভ)      চিত্ত বিনোদনের জন্য পর্যায়ক্রমে গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত ব্যায়ামাগার, খেলা-ধুলা পাঠাগার স্থাপন ও অন্যান্য অনুষ্ঠানাদির ব্যবস্থা করা।

(ম)      সর্বোপরি বন্ধুত্বের ভাঙ্গন নয়, বন্ধুত্ব রক্ষাই সংস্থার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

 

ধারা- ৭ : সদস্য/ সদস্যার প্রকারভেদ :

এ সংস্থায় মোট চার প্রকার সদস্য থাকিবে। যথাঃ

ক) সাধারন সদস্য খ) দাতা সদস্য গ) আজীবন সদস্য ঘ) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

 

ধারা- ৮ : সদস্য/ সদস্যা হওয়ার নিয়মাবলী :

ক)      সাধারণ সদস্যঃ বাংলাদেশী ১৮ বৎসর হইতে তদুর্ধ নাগরিক অনুমোদন সাপেক্ষে এই প্রতিষ্ঠানের সদস্য হইতে পারিবেন। সদস্য ফি ১০০ (একশত) টাকা এবং বাৎসরিক চাঁদা ১২০০/- (এক হাজার দুইশত) টাকা হারে নিয়মিত প্রদান করিতে হইবে। পরবর্তীতে সদস্য হইতে ইচ্ছুক প্রার্থী/ প্রার্থিনীকে কার্যকারী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট আবেদন করিতে হইবে। তাহার আবেদন যে কোন সদস্য কর্তৃক সুপারিশ হইতে হইবে। কার্যকরী পরিষদের সভায় তাহার আবেদন বিবেচনা করা হইলে সদস্য হিসাবে গণ্য হইবেন।

 

খ)       দাতা সদস্যঃ যদি কোন ব্যক্তি এক কালীন সর্বনিম্ন = ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা অথবা সমপরিমাণ অর্থের মালামাল (হাবর/অস্থাবর) প্রতিষ্ঠানের নামে দান করেন, তবে তিনি দাতা সদস্য হিসাবে গণ্য হইবেন। দাতা সদস্যের ভোটের অধিকার থাকিবেনা। তবে উপদেশ ও পরামর্শ দিতে পারিবেন।

 

গ)       আজীবন সদস্যঃ যদি কোন ব্যক্তি সংস্থার নামে এক যোগে সর্বনিম্ন ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা অথবা সমপরিমান অর্থের মালামাল দান করেন, তবে তিনি আজীবন সদস্য হিসাবে গণ্য হইবেন। কার্যকরী পরিষদে আজীবন সদস্যের ভোটাধিকার থাকিবে। তবে তাহারা নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করিতে পারিবেন না। আজীবন সদস্য সংস্থার পক্ষ হইতে বিশেষ সম্মানের অধিকারী হইবেন।

 

ঘ)       প্রতিষ্ঠাতা সদস্যঃ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় যাহাদের অবদান বেশি তাহারা প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হইবেন। প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ নিয়মিত চাঁদা প্রদান করিবেন। তাহারা ভোট প্রয়োগ ও নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করিতে পারিবেন।

 

ধারা-০৯ : সদস্যপদ বাতিল/ স্থগিত হইবার কারণ।

ক)      কোন সদস্য পর পর ছয় মাসের মাসিক চাঁদা পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইলে।

খ)       কোন সদস্য নোটিশ পাওয়া সত্ত্বে ও পর পর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকিলে।

গ)       কোন সদস্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করিলে।

ঘ)       কোন সদস্য মানসিক ভারসাম্য হারাইলে অথবা নিরুদ্দেশ হইলে।

ঙ)       কোন সদস্য সংস্থার স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজে লিপ্ত থাকিলে।

চ)       কোন সদস্য সরকার কর্তৃক দেউলিয়া ঘোষিত হইলে।

ছ)       কোন সদস্য সরকারী আইনে আদালত কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত হইলে।

জ)      কোন সদস্য মৃত্যুবরণ করিলে।

ঝ)      উক্ত সংস্থায় চাকুরী করলে তার সদস্য পদ বাতিল হইবে।

 

ধারা – ১০: সদস্যপদ পুনবহালের নিয়ম।

অত্র গঠনতন্ত্রের ৯নং ধারায় বর্ণিত কারণে বাতিল / স্থগিত সদস্যগণ ১ (ঘ, জ) উপ-ধারা বাদে তাহাদের সদস্য পদ লাভের জন্য পুনরায় আবেদন করিতে পারিবেন। তবে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে পুনঃ সদস্য পদ লাভের জন্য কার্যকরী পরিষদের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক বরাবর আবেদন করিতে পারিবেন। কার্য্যকরী পরিষদের সভায় প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনা করিয়া আবেদনটি গ্রহণ অথবা বাতিল হইলে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সাধারণ পরিষদের নিকট প্রেরণ করিতে হইবে। চূড়ান্ত ভাবে আবেদন বিবেচিত হইলে। পুনঃ ভর্তি ফি সহ বকেয়া মাসিক চাঁদা পরিশোধ করিতে হইবে। তবে দাতা ও আজীবন সদস্যদের বেলায় ভর্তি ফি ও মাসিক চাঁদা পরিশোধ প্রযোজ্য হইবে না।

 

ধারা – ১১: সাংগঠনিক কাঠামো :

 

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য তিনটি পরিষদ থাকিবে যথাঃ

ক) সাধারণ পরিষদ খ) কার্যকরী পরিষদ গ) উপদেষ্ঠা পরিষদ।

 

উপধারা ক) # সাধারণ পরিষদের ক্ষমতা : সাধারণ পরিষদ এর ক্ষমতা হইবে নিম্নরুপ যথাঃ

 

  • সংস্থার সকল ক্ষমতা সাধারণ পরিষদের উপর ন্যাস্ত থাকিবে। সংস্থার স্বার্থে সকল পরিষদের দায়িত্ব পালন ও সার্বিক পরিচালনা করবেন।
  • সাধারণ পরিষদ প্রয়োজনে এমন যে কোন বা সকল পরিষদের মেয়াদকাল দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারিত কার্যক্রমের মেয়াদ কাল শেষ হওয়ার পূর্বেই বিলুপ্ত করিতে পারিবেন।
  • সংস্থার প্রয়োজনীয় খরচের ভাউচার অনুমোদন করা।
  • বিশেষ কার্য সম্পাদনের সাব কমিটি গঠন করা।
  • সকল সভার কার্যদিন তারিখ, সময়, এজেন্ডা নির্ধারণ করা।
  • সংস্থার প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ন্ত্রণ করা।
  • পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে প্রকল্প গ্রহণ বাস্তবায়ন এবং কর্মকর্তা/কর্মচারীদের দায়িত্ব নির্ধারণ করা।
  • বিচার কার্য সম্পাদন ও সদস্য পদ গ্রহণ বা বাতিলের চূড়ান্ত অনুমোদন এই পরিষদ করিবেন।

 

উপধারাঃ খ) # কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মধ্য হইতে ০৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ নিম্ন লিখিতভাবে গঠিত হইবে।

  • সভাপতি —– ১ (এক) জন
  • সহ-সভাপতি —– ১ (এক) জন
  • সাধারণ সম্পাদক —– ১ (এক) জন
  • সহ-সাধারণ সম্পাদক —– ১ (এক) জন
  • অর্থ সম্পাদক —– ১ (এক) জন
  • কার্যনির্বাহী সদস্য —– ১ (এক) জন

 

কার্যকরী পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ 

 

  1. i) সভাপতিঃ

তিনি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আহ্বানকৃত প্রতি সভায় উপস্থিত থাকিয়া সভাপতিত্ব করিবেন। প্রতিষ্ঠানের যে কোন সংকট বা নিয়ম শৃঙ্খলা প্রশ্নে তিনি বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন। কোন বিতর্কিত বিষয়ে সমানভাবে ভোট পড়ে তার জন্য সভাপতি অতিরিক্ত একটি ভোট প্রদান করিতে পারিবেন। প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চলিতেছে কিনা তাহার প্রতি তিনি সৃষ্টি রাখিবেন।

 

  1. ii) সহ-সভাপতিঃ

সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ সভাপতি তাহার সকল দায়িত্ব পালন করিবেন। সহ সভাপতি সর্বদাই সভাপতির কাজে সহযোগিতা প্রদান করিবেন এবং সভাপতির নিকট জবাবদিহি করিবেন।

 

iii)    সাধারণ সম্পাদকঃ

প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করিবেন। সভাপতির অনুসাধারণ সম্পাদক প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার কাজের দায়িত্ব পালন করিবেন। সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি বার্ষিক বাজেট বার্ষিক পরিকল্পনা তৈরী এবং তাহার অনুমোদনের জন্য সভায় পেশ করিবেন। সভাপতির অনুমতিক্রমে তিনি সকল প্রকার সভা আহবান করিবেন। সকল প্রকার অফিসিয়াল কার্যক্রম, হিসাব সংরক্ষণ ব্যাংকের সহিত যোগাযোগ, কার্যক্রম গ্রহন ও বাস্তবায়ন করিবেন।  অফিসের ফাইল ও রেকর্ড পত্র সংরক্ষণসহ সকল প্রকার কাজের দায়িত্ব পালন করিবেন।

 

  1. iv) সহ-সাধারন সম্পাদকঃ

সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে সহ-সাধারণ সম্পাদক তাহার সকল দায়িত্ব পালন করিবেন। বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করিবেন।

 

  1. v) অর্থ সম্পাদকঃ

ক) অর্থ বিষয়ক যাবতীয় আয় ব্যয় হিসাব ভাউচারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করিবেন।

খ) প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ, রশিদ বই ও যাবতীয় হিসাব নিকাশ যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন।

গ) প্রতিষ্ঠানের অর্থ তহবিল নির্দিষ্ট তফশীল ব্যাংকে প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত হিসাব নম্বরে জমা রাখিবেন।

ঘ) কার্যকরী পরিষদের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক এর অনুমোদন সাপেক্ষে হিসাব পরিচালনা করিবেন।

ঙ) প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আয়-ব্যয় হিসাব সংরক্ষণে সাধারণ পরিষদের নিকট জবাবদিহি দিতে বাধ্য থাকিবেন।

 

  1. vi) কার্যনির্বাহী সদস্যঃ

কার্যকরী পরিষদের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক প্রদত্ত দায়িত্ব সদস্যগণ পালন করিবেন।

 

উপধারা -গ # উপদেষ্টা পরিষদঃ

সংস্থা/ সংগঠন পরিচালনার স্বার্থে প্রয়োজনীয়তা ও পরামর্শ প্রদানের নিমিত্তে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি/ দাতা ও আজীবন সদস্যদের মধ্য হইতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠিত হইবে। এই পরিষদের সদস্যদের কোন ভোটাধিকার থাকিবে না। কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে এই কমিটি বিলুপ্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

 

ধারা – ১২: কার্যকরী পরিষদের মেয়াদকালঃ

ক) এই পরিষদের মেয়াদ কাল হইবে সর্বোচ্চ ০২ (দুই) বৎসর।

খ) সাধারন পরিষদ যেকোন সময় এই পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষনা করিতে পারিবেন এবং পরিবর্তী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পাদন করিবেন।

 

ধারা – ১৩: আঞ্চলিক পরিষদঃ

আঞ্চলিক পরিষদে সাধারণ পরিষদ থাকিবেনা। যাহার কাঠামো হইবে নিরুপ:

ক) কার্যকরী পরিষদ: এই পরিষদের কাঠামো ও ক্ষমতা হইবে ধারা-১১ এর উপধারা খ এর মত।

খ) উপদেষ্টা পরিষদঃ এই পরিষদের কাঠামো ও ক্ষমতা হইবে ধারা-১১ এর উপধারা গ এর মত।

 

ধারা – ১৪: কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগঃ

প্রতিষ্ঠানের জন্য কর্মকর্তা/ কর্মচারী নিয়োগের প্রশ্ন দেখা দিলে সাধারণ পরিষদের সুপারিশক্রমে কার্যকরী কমিটি কর্তৃক একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করিতে হইবে। উক্ত কমিটি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করিবেন।

 

ধারা – ১৫: প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎসঃ

সদস্য চাঁদা দান অনুদান, দেশী বিদেশী সরকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দান অনুদান এই প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস হিসাবে গণ্য হইবে। আয়কৃত সকল অর্থই জনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যয় করিতে হইবে।

 

ধারা – ১৬: অর্থ প্রশাসনঃ

ক) হিসাব সংক্রান্তঃ

প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানীয় যেকোন সিডিউল ব্যাংকে কার্যকরী কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদক এর যৌথ নামে সঞ্চয়ী/ চলতি হিসাব পরিচালিত হইবে। টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অর্থ সম্পাদকদের মধ্যে যে কোন দুই জনের স্বাক্ষর এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যাইবে। বিভিন্ন সূত্র হইতে প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখিতে হইবে এবং প্রয়োজনীয় অর্থ চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করিতে হইবে। অর্থ উত্তোলন ও খরচের ব্যাপারে কার্যকরী কমিটির অনুমোদন থাকেতে হইবে। সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকার বেশি হাতে রাখিতে পারিবেন না।  ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বা এর উর্দ্ধে এমন বড় ধরনের খরচের প্রশ্ন দেখা দিলে সাধারণ পরিষদে অনুমোদনের জন্য পেশ করিতে হইবে কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক ও অর্থসম্পাদিক সকল ব্যায়ের হিসাব সংরক্ষণ করিবেন।

 

খ) অডিটঃ

সাধারণ পরিষদের সদস্যদের মধ্য হইতে তিন (৩) সদস্য বিশিষ্ট আভ্যন্তরীন অডিট কমিটি গঠন করিবেন। তাহারা প্রতি বছরের জুলাই মাসে পূর্ববর্তী বছরের আয়/ব্যয় হিসাব অডিট করে জুলাই এর মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করিবেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের আয়/ব্যয়ের হিসাব নিবন্ধীকরণ কর্তৃপক্ষ অথবা অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করাইয়া নিতে হইবে।

 

ধারা – ১৭: সভার প্রকার ভেদ ও অনুষ্ঠানের নিয়মঃ

প্রধানতঃ অত্র সংস্থার সাধারণ সভা, কার্যকরী পরিষদ এর সভা, তলবী সভা, জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হইবে। সাধারণ সভার জন্য ১৫ দিন পুর্বে কার্য্যকরী সভা ও তলবী সভার জন্য ৭ দিন এবং জরুরী সভার জন্য ২৪ ঘণ্টা পূর্বে নোটিশ প্রদান করিতে হইবে। নোটিশ বহিতে সভার স্থান, তারিখ ও সময় উল্লেখ থাকিতে হইবে। সাধারণ সভা বছরে ১ বার এবং কার্যকরী সভা প্রতি তিন মাসে একবার হইবে।

 

ধারা – ১৮: তলবী সভা আহবানের নিয়মঃ

যদি নির্ধারিত সময়ে কোন পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত না হয় অথবা সংস্থার স্বার্থে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে সভা আহবানের প্রয়োজন দেখা দেয়, সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যর সভা আহ্বানের জন্য লিখিতভাবে কার্যকরী পরিষদের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের নিকট লিখিত আবেদন দাখিল করিতে হইবে। কার্যকরী পরিষদের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক ৭ দিনের মধ্যে সভা আহ্বানে ব্যর্থ হইলে আবেদনকারী সদস্যগণ নোটিশ প্রদান পূর্বক সভা আহ্বান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে পারিবেন। যাহা সংস্থার সাধারণ পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হইতে হইবে।

 

ধারা – ১৯: কোরামঃ

সাধারণ ভাবে কোন সভা কোরামের জন্য সংশ্লিষ্ট পরিষদের সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য উপস্থিতির প্রয়োজন হইবে। তবে গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য সাধারণ পরিষদের দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন হইবে। কোরামের অভাবে সভা স্থগিত থাকিলে কার্যকরী পরিষদ ঘোষিত আদেশে পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হইবে এবং এই সভায় কোরাম পূরণ প্রয়োজন হইবে না।

 

ধারা – ২০: নির্বাচন সংক্রান্তঃ

ক) নির্বাচন কমিশনঃ

প্রতি দুই বৎসর পরপর সংস্থার কার্য্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। সাধারণ সদস্য/সদস্যাদের হইতে তাহাদের ভোট বা সমর্থনের মাধ্যমে কার্য্যকরী পরিষদ গঠিত হইবে। কার্য্যকরী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ১ (এক) মাস পূর্বে নির্বাচন কার্য সম্পাদন করিতে হইবে। নির্বাচন কার্য পরিচালনার জন্য সমাজ এর গন্যমান্য এক জন প্রতিনিধি এবং সাধারণ পরিষদ হইতে ০২ (দুই) জন সর্বমোট ০৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হইবে। উক্ত নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন সহ নির্বাচন কার্য পরিচালনা করিবেন। নির্বাচন শেষ হইবার ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে পুরাতন কমিটি নতুন কমিটির নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করিবেন।

 

খ) ভোটার তালিকাঃ

সাধারণ সদস্যগণ ভোটার থাকিবেন। ভোটার তালিকা কার্য্যকরী পরিষদ প্রণয়ন করিবেন। কোন সদস্য পর পর তিন মাস চাঁদা বাকি রাখিলে তিনি ভোটার হইতে পারিবেন না। নির্বাচনের ৩০ (ত্রিশ) দিন পূর্বে ভোটার তালিকা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করিতে হইবে। কোন সদস্য ভূক্ত হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে কোন নির্বাচনের অংশগ্রহন বা ভোট প্রদান করিতে পারিবেন না। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পূর্বে সাধারণ পরিষদের অনুমোদন লাগিবে।

 

গ) নির্বাচন প্রার্থীর যোগ্যতাঃ

সংস্থার যে কোন সাধারণ সদস্য কোন চাঁদা বা অন্য কোন পাওনা না থাকিলে দেউলিয়া, পাগল বা আদালতে দোষী সাব্যস্ত না হইলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন।

 

ধারা – ২১: প্রকল্প কার্যক্রম বিবরণঃ

ক) শিক্ষা মূলকঃ সংস্থান কাৰ্য্য এলাকায় পুরুষ মহিলা ও শিশুদের শিক্ষা মূলক কাৰ্য্যক্রম এর মাধ্যমে নিরক্ষরতা দূরীকরণ হিসাবে দেশকে উন্নয়ন করা।

খ) দল গঠনঃ সংস্থার আওতাধীন গ্রাম ও শহর অঞ্চলের ছোট ছোট দল গঠন পূর্বক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।

গ) বিনোদন মূলকঃ কেরাত, গজল, নাত এ রসুল, লুডু, কেরাম প্রতিযোগিতা, জারীগান, দাবা হাজ্জ্ব ভলিবল ইত্যাদি প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন করা।

ঘ) সমবায় ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাঃ সমবায়ীদের মধ্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ক্ষেত্রেঃ

সুতা, বাশ ও বেতের কাজ সেলাই, টাইপ ও উলের কাজ এর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সৃষ্টি, মৎস চাষ কৃষি কাজ হাস ও মুরগী পালন প্রকল্প ইত্যাদি প্রশিক্ষণ ও প্রকল্প সৃষ্টি।

ঙ) কৃষি কার্যক্রমঃ বীজ, কীটনাষক ঔষধ সার শাক সবজী বাগান কৃষি খামার স্থাপন ধান উৎপাদন এবং বিভিন্ন প্রকার কৃষি ব্লক এর মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা।

(চ) মহিলা উন্নয়ন কার্যক্রমঃ দেশের মহিলা যুবতীদের জন্য সেলাই হস্ত ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ফলের চাষ পশু পালন হাস মুরগী পালন পরিবার পরিকল্পনা ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র ইত্যাদি স্থাপন করা।

ছ) জরুরী বিশেষ সাহায্যঃ বিধবা, এতিম, বিকলাংগ, গরীব মেয়েদের বিবাহ, বন্যা ঝড় আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ ও বিবিধ রিলিফ বিতরণ করা।

জ) তথ্যপ্রযুক্তি মূলকঃ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তথ্য প্রযুক্তি মূলক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা।

 

ধারা – ২২: গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিবর্তনঃ

গঠনতন্ত্রের বর্ণিত ধারা-১১ এর উপধারা ক ব্যতীত যেকোন ধারা পরিবর্তন সংশোধন ও নতুন ধারা সংযোজনের জন্য সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের মতামত থাকিতে হইবে। পরবর্তীতে নতুন ধারা সংযোজনের নিবন্ধন কর্তপক্ষের অনুমোদন নিতে হইবে।

 

ধারা – ২৩: প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তিঃ

যদি কোন কারন বশতঃ প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি প্রয়োজন হয়, সেইক্ষেত্রে মোট সদস্যের তিন পঞ্চমাংশের ভোটে উক্ত প্রস্তাব সাধারণ পরিষদের নিকট পেশ করিতে হইবে। সাধারণ পরিষদ নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাইবেন। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি কার্যকরী হইবে না। বিলুপ্তি অনুমোদনের পর প্রতিষ্ঠানের স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি এবং দায় দেনা নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের অনুকূলে চলিয়া যাইবে। ইহাতে কাহারো কৈফিয়ত বা অভিযোগ গ্রহণ যোগ্য হইবে না।

 

ধারা – ২৪: শপথনামা কারীঃ

সাধারণ পরিষদের যে কোন সদস্য নতুন সদস্যকে এবং নবনির্বাচিত সদস্যদের নির্বাচনের পর দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বে শপথ নামা পাঠ করাইবেন। আঞ্চলিক কমিটির ক্ষেত্রে সাধারণ পরিষদের সদস্য বা মনোনীত ব্যক্তি শপথ নামা পাঠ করাইবেন।

 

ধারা – ২৫: শপথনামাঃ  

আমি ——————————- স্বজ্ঞানে শপথ নিতেছি যে, আমি “পীচ হার্বার ফাউন্ডেশন” এর গঠনতন্ত্র পরিপন্থি কোন কাজে লিপ্ত থাকিনা। সর্বপরি বন্ধুত্বে ভাঙ্গন নয় বন্ধুত্ব রক্ষাই হইবে আমার/আমাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আমি সৃষ্টিকর্তার নামে আরও শপথ নিতেছি যে প্রিয় মাতৃভাষা জন্মভূমি ও বিশ্বের সকল মানুষকে ভালবাসিব। কোন ভেদাভেদ না মানিয়া সকল শিশু কিশোর ও যুবকদের জন্য এই বিশ্বকে আর সুখী সমৃদ্ধ ও সুন্দর করিয়া গড়িয়া ভুলিব।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *