মামলায় আপোষ নামা দলিলের নমুনা 

মামলায় আপোষ নামা দলিলের নমুনা

 

আপোষ নামা

 

মোঃ মামুন (৩০), পিতা- মোঃ জালাল উদ্দিন, সাং- দক্ষিণ নাল্লাপোল্লা, থানা- আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম।

———————বাদী/প্রথম পক্ষ।

-বনাম-

(১) নিতীশ চন্দ্র মন্ডল (২৬), পিতা- ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল, সাং- গোপিনাথপুর, থানা- হরিরামপুর, জেলা- মানিকগঞ্জ, (২) মোঃ রিয়াজুল আমিন রাসেল (২২), পিতা- মিজানুর রহমান, সাং- আম বাগান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা। (৩) হোসাইন মোঃ শামীম ইকবাল (২২), পিতা- মোঃ শওকত আলী, সাং- জিনজিরা, সাভার, ঢাকা, (৪) মোঃ জালাল উদ্দিন (৪০), পিতা- মৃতঃ জলিল উদ্দিন গাজী, সাং- জিনজিরা, সাভার, ঢাকা। পক্ষে- (১) ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল (২) মোঃ মিজানুর রহমান (৩) ও (৪) শওকত আলী

——————বিবাদী/দ্বিতীয় পক্ষ।

 

১। পরম পরুণাময় আল্লাহ তালায়ার নাম স্মরণ করিয়া অত্র আপোষ নামার বয়ান শুরু করিলাম। দ্বিতীয় পক্ষের মালিকানাধীন প্রাইবেট কার নং চট্টো মেট্রো ১১-০২-১২ প্রথম পক্ষ/বাদী পিকআপ ভ্যান ঢাকা মেট্রো ১১-৩২১৪ বিগত ১১/১২/২০১৪ ইং তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা- আরিচা মহা সড়কে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১নং গেইট (প্রান্তিক) এর সামনে ধাক্কা দিলে দ্বিতীয় পক্ষের প্রাইভেট কারটি বাম পাশের পিছনের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমতাবস্থায় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এবং প্রাইভেট কারের মালিকসহ গাড়ী দুইটি বিশ্ববিদ্যালয় বিশমাইল গেইটে আটক করে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত ছাত্ররা প্রথম পক্ষের গাড়িতে রক্ষিত মালামালসহ গাড়ী ও মালের মালিক বাদী মোঃ মামুন হোসেনকে আটক রাখে। ভুল বুঝাবুঝির এক পর্যায়ে প্রথম পক্ষের নিকট দ্বিতীয় পক্ষ অর্থাৎ প্রাইভেট কারের মালিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্ষতিপূরণ দাবী করে। ইতিমধ্যে প্রথম পক্ষ তার বড় ভাই এবং পিক- আপ ভ্যানের মালিককে খবর দিলে তাহারা পুলিশ প্রশাসনকে সংবাদ দিয়ে আরো লোকজন নিয়ে রাত ১০.০০ ঘটিকার সময় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ মাইল গেইটে আসে। এক পর্যায়ে প্রথম পক্ষের লোকজন প্রাইভেট কারের মালিক কে ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করবে বলিয়া বিশমাইল গেইটের বাহিরে আনিয়া ডাকাত ও ছিনতাইকারী বলিয়া ডাক চিৎকার করিলে ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হয় এবং প্রাইভেট কারের মালিক হোসাইন মোঃ শামীম হায়দার, ড্রাইভার মোঃ জালাল উদ্দিন এবং উপস্থিত ছাত্র নিতিশ চন্দ্র মন্ডল ও মোঃ রিয়াজুল আমিন রাসেলকে মারধোর করিয়া পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দৃষ্কৃতিকারী হিসাবে দেখাইয়া দিলে পুলিশ তাদেরকে ধরে থানায় নিয়ে আশুলিয়া থানার মামলা নং ২৫(১২)/২০১৪ ধারা ৩৯৪/৩৬৫/৩৮৫/৪১১ দন্ডবিধি দায়ের করে। আমি প্রথম পক্ষ/বাদী ভুল তথ্যের ভিত্তিতে অসাবধনতা বশতঃ পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে অত্র মামলাটি আশুলিয়া থানায় দায়ের করিতে বাধ্য হয়েছিলাম।

 

২। অদ্যকার উপস্থিত বিজ্ঞ শালিশগণের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝির অবসান করিলাম এবং আমি প্রথম পক্ষ/বাদী আসামী/বিবাদীগণের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত আশুলিয়া থানায় মামলা নং ২৫(১২)২০১৪ ধারা ৩৯৪/৩৬৫/৩৮৫/৪১১ দন্ডবিধি প্রত্যাহার/উত্তেলন করিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলাম।

 

৩। আশুলিয়া থানার মামলা নং ২৫(১২)২০১৪ ধারা ৩৯৪/৩৬৫/৩৮৫/৪১১ দন্ডবিধি থেকে আসামী/বিবাদী (১) নিতীশ চন্দ্র মন্ডল (২৬), (২) মোঃ রিয়াজুল আমিন রাসেল (২২), (৩) হোসাইন মোঃ শামীম ইকবাল (২২), (৪) মোঃ জালাল উদ্দিন (৪০) গণ জামিনপ্রা জামিনপ্রাপ্ত হইলে অথবা মামলা থেকে অব্যহতি পাইলে আমার কোন আপত্তি থাকিবে না বা রইল না।

 

৪। উভয় পক্ষ অত্র বিষয়টি সম্পর্কে একে অপরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আর কোন মামলা মোকদ্দমা দায়ের করিবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হইল এবং অত্র আপোষনামার শর্তাবলী ভঙ্গ করিয়া কোন পক্ষই কোন আদালতে আশ্রয় গ্রহণ করিলে তাহা সর্ব আইন কিংবা আদালতে অগ্রাহ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।

 

৫। প্রথম পক্ষ/বাদী বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত থাকিয়া আসামী (১) নিতীশ চন্দ্র মন্ডল (২৬), (২) মোঃ বিয়াজুল আমিন রাসেল (২২), (৩) হোসাইন মোঃ শামীম ইকবাল (২২), (৪) মোঃ জালাল উদ্দিন (৪০) গণের জামিন ও মামলা প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগীতা করিতে বাধ্য থাকিবো।

 

৬। উভয় পক্ষ পূর্বের ন্যায় স্ব স্ব অবস্থানে থাকিয়া শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখিবে এবং স্ব অবস্থানে বন্ধুসুলভ আচরণ করিবেন।

 

এতদ্বার্থে আমরা উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র আপোষনামা পড়িয়া, অন্যের দ্বারা পড়াইয়া উহার মর্মাথ অবগত হইয়া উপস্থিত শালিশগণের মোকাবেলায় নিজ নিজ নাম সহি স্বাক্ষর করিলাম। ইতি, তারিখ-

 

শালিশগণের নাম, ঠিকানা ও স্বাক্ষর

 

১। মামুন হোসেন প্রথম পক্ষ/বাদী

 

 

২।

 

 

হলফনামা

আমি মোঃ ফারুক, পিতা- মোঃ রওশন আলী, মাতা- আমেনা খাতুন, সাং- চৈরশিকা, থানা- সলঙ্গা, জেলা- সিরাজগঞ্জ, হাল সাং- দক্ষিণ কলমা, ডাকঘর- ডেইরীফার্ম, থানা- সাভার, জেলা- ঢাকা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলামী, পেশা-ব্যবসা এই মর্মে হলফ পূর্বক ঘোষনা করিতেছি যে,

 

১। আমি জন্মগত ভাবে বাংলাদেশী স্থায়ী অধিবাসী ও নাগরীক।

 

২। নিম্ন বর্ণিত পুরাতন গাড়ী আমি দলিল দাতা কৃষ্ণা চাকমা, স্বামী-নব জ্যোতি খীসা এর নিকট হইতে খরিদ করিয়া খরিদ সূত্রে মালিক থাকিয়া রীতিমত পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। বর্তমানে আপনি মোঃ শামীম ইকবাল (বাদশা), পিতা- মোঃ শওকত আলী, মাতা মোসাম্মৎ মালেকা বেগম, সাং- জিনজিরা, ডাকঘর- ডেইরীফার্ম, থানা- সাভার, জেলা- ঢাকা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা এর নিকট বিক্রয় করিয়াছি।

 

৩। বর্তমানে আমার নগদ টাকার বিশেষ আবশ্যক হওয়ায় আমার পুরাতন “টয়োটা করোলা- ২, সিডান গাড়ী” গাড়ী খানা প্রকাশ্য সাফ বিক্রয়ের প্রস্তাব ঘোষণা করিলে আপনি অত্র দলিল গ্রহিতা উহা খরিদ করিতে ইচ্ছুক হইয়া উহার মোট মূল্য মং ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা বলিয়াছেন। সে মতে আপনার কথিত মূল্যই বাজার উচিৎ এবং সবোর্চ্চ মূল্য হওয়ায় আমি অত্র দলিল দাতা উক্ত মূল্যে বিক্রয় করিতে সম্মত হইয়া অদ্যরোজ হাজিরান মজলিশে উপস্থিত হইয়া নিম্নবর্ণিত সাক্ষীগণের মোকাবেলায় আপনার নিকট হইতে উক্ত মুল্যের সাকুল্য মং ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নগদ একযোগে বুঝিয়া পাইয়া ও নিয়া স্বীকার ও অঙ্গীকার করিতেছি যে, অদ্য হইতে উক্ত পুরাতন “টয়োটা করোলা- ২, সিডান গাড়ী” আপনার নিজ দায়িত্বে পরিচালনা করিবেন এবং “টুয়োটা করোলা- ২, সিডান গাড়ী” এর যাবতীয় মালিক হইয়া আমার পূর্বের মালিকের নামের পরিবর্তে যাবতীয় কাগজ পত্রাদি আপনার নিজ নামে করতঃ উহা রীতিমত পরিচালনা করিতে পারিবেন। তাহাতে আমি কিংবা আমার পক্ষে কেহ কোন প্রকার ওজর- আপত্তি বা দাবি দাওয়া করিতে পারিব না ও পারিবেক না। করিলেও তাহা সর্ব আদালতে অগ্রাহ্য, বাতিল ও নামঞ্জুর বলিয়া গন্য হইবে।

 

প্রকাশ থাকে যে, নিম্নবর্ণিত পুরাতন “টয়োটা করোলা- ২, সিডান গাড়ী” আমি অত্র দলিল দাতা ইতিপূর্বে অন্য কাহার ও নিকট হস্তান্তর সূচক কোন কার্যাদি করি নাই বা কাহারো নিকট দায়বদ্ধ বা জামিনাবদ্ধ রাখি নাই কিংবা এর বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃক কোন ঋন গ্রহণ করি নাই বা কোন অফিস আদালত কর্তৃক মামলা মোকদ্দমার অন্তর্ভুক্ত নহে। নিম্ন বর্ণিত “টয়োটা করোলা- ২” সিডান গাড়ী” সম্পূর্ণ নির্দায় ও পরিমাক্তাবস্থায় আপনার নিকট সাফ বিক্রয় করিলাম। অদ্যকার তারিখের পূর্বে গাড়ীর কোন মামলা থাকিলে তাহা আমি অত্র দলিল দাতা নিজ খরচে নিজ দায়িত্বে মামলা নিষ্পত্তি করিতে বাধ্য থাকিব। কিন্তু ভবিষ্যতে গাড়ীর কোন মামলা মোকদ্দমা বা কোন প্রকার ঝামেলার সৃষ্টি হইলে তাহার জন্য আমি অত্র দলিল দাতা কোন দায়ভার গ্রহণ করিব না।

 

বিক্রিত পুরাতন প্রাইভেট কার গাড়ীর বিবরণ

১। রেজিঃ নং- চট্টো মেট্রো- খ- ১১-০২১২, ২। যানের বর্ণনা-CAR (SEDAN) TOYOTA MOTOR CORPORATION 1991 সিডান, ৩। চেসিস নং- উত্থ৩০-০১৭৬৯৫৪৪। ইঞ্জিন নং- ২১- ২০৪৮৯৮৭, ৫। আসন সংখ্যা ০৫ জন (চালকসহ), ৬। অশ্ব শক্তি-১৩০০ সি.সি। ৭। খালী গাড়ীর ওখন ৮৩০ কেজি, ৮। গাড়ীর রং- সাদা, ৯। ব্যবহৃত জ্বালানী- পেট্রোল/গ্যাস, ১০। সিলিন্ডার সং-০৪।

 

উপরোক্ত বর্ণনা আমার জ্ঞান মতে সত্য। অত্র হলফনামা আমি পড়িয়া ও শুনিয়া উহার মর্ম সম্পূর্ণরূপে অবগত হইয়া অত্র হলফনামা সহি- সম্পাদন করিলাম।

 

স্বা/- ফারুক

হলফকারীর স্বাক্ষর।

 

হলফকারী আমার সম্মুখে সহি- সম্পাদন করিয়াছে। আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *