শ্রম আদালতের রায় মালিকপক্ষ কার্যকর না করলে মালিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলার দরখাস্ত

শ্রম আদালতের রায় মালিকপক্ষ কার্যকর না করলে উহার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়েরের দরখাস্তের নমুনা:

 

মোকাম: বিজ্ঞ প্রথম শ্রম আদালত, ঢাকা।

বি.এল. এ. (ফৌজদারী) মামলা নং- ৪৪০/২০২৪

 

ওমর ফারুক,

পিতা: আব্দুল কাফি,

বর্তমান ঠিকানা: ৮/১৯, স্যার সৈয়দ রোড (২য় তলা),

মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

———————–বাদী।

 

-বনাম-

 

১। জং সু ইয়ং, ব্যবস্থাপনা পরিচালক

২। জনাব ফারুক হোসেন, চেয়ারম্যান, মেসার্স কে এন্ড বি ইন্ড্রাট্রিজ  লিমিটেড, সর্ব সাং- জোবেদা টাওয়ার (নীচ তলা), চান্দনা চৌরাস্তা, ঢাকা রোড, থানা: জয়দেবপুর, জেলা: গাজীপুর-১২০৭

——————-আসামীপক্ষ।

 

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৯৩ এবং ৩১০ ধারার আওতায় শাস্তি ও প্রতিকার প্রাপ্তির নিমিত্তে মাননীয় আদালত কর্তৃক আদেশ  প্রদানের আবেদন।

 

বাদী পক্ষের পক্ষের বিনীত নিবেদন এই যে,

 

১. বাদী বিগত ১০/০৫/২০১৫ তারিখ হইতে আসামীর প্রতিষ্ঠানে সহকারী অপারেটর হিসাবে কাজে যোগদান করিয়া অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সহিত কাজ করিয়া আসিতেছিলেন। ১ নং আসামী কোম্পানী/প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ২ নং আসামী কোম্পানী/প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান। তাহারাই বাদীর মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি বটে।

 

২. বাদীকে বিগত ১৩/০৭/২০১৪ তারিখে ১ ও ২ নং আসামীর নির্দেশে তাহাদের আজ্ঞাবহ কর্মকর্তা ঐ প্রতিষ্ঠানের কাজ হইতে চলিয়া যাইতে বলেন এবং মৌখিক টার্মিনেশন প্রদান করিয়া কাজ/প্রতিষ্ঠান হইতে বাহির করিয়া দেন। পরবর্তীতে বাদী তাহার আইনগত পাওনাদি ১ ও ২ নং আসামীর নিকট একাধিকবার চাহিলেও তাহাকে তাহার পাওনাদিসহ কাজে যোগদান করিতে দেওয়া হয় নাই। অতঃপর বাদী আসামীদের নিকট তাহার বকেয়া মজুরী ও আইনগত সকল পাওনাদি চাহিয়া বিগত ০৫-০৮-২০১৫ইং তারিখে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে অনুযোগপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অনুযোগপত্র পাইবার পরেও আসামীদ্বয় পাওনাদি পরিশোধ না করিলে বাদী মাননীয় আদালতে বাংলাদেশ শ্রম আইন মোকদ্দমা নং- ১৩৪৯/২০১৪ দায়ের করেন।

 

৩. বিজ্ঞ আদালত উক্ত মজুরী পরিশোধ মোকদ্দমাটি একতরফা শুনানী করত: বিগত ০২/০৮/২০১৫ ইং তারিখে উক্ত মোকদ্দমায় রায় প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত বাদীকে রায় প্রদানের তারিখ হইতে ৩০ দিনের মধ্যে আইনগত বকেয়া পাওনাদিসহ কাজে যোগদান করিবার জন্য আসামীকে নির্দেশ প্রদান করেন।

 

৪. মাননীয় আদালতের রায় কার্যকর করিবার জন্য রায়ের কপিসহ বাদী বার বার যোগাযোগ ও তাহার পাওনা পরিশোধের জন্য আসামীদের সহিত যোগাযোগ করিলেও আসামী বিজ্ঞ আদালতের রায় মোতাবেক বাদীর পাওনাদি পরিশোধ না করিয়া বাদীকে বারবার ঘুরাইতেছেন। অতঃপর বাদী ১৮/০৮/২০১৫ ইং তারিখে পত্রের মাধ্যমে আসামীদের নিকট আদালতের রায় কার্যকর করিবার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামী বাদীকে বিজ্ঞ আদালতের রায় অনুযায়ী তাহার পাওনাদি অদ্যাবদি পরিশোধ করেন নাই।

 

৫. বিজ্ঞ শ্রম আদালত কর্তৃক প্রদত্ত বিগত ০২/০৮/২০১৫ তারিখের রায় কার্যকর না করিয়াআসামী বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৯৩ ধারার বিধান লংঘন করত: শাস্তিযোগ্য অপরাধ সাধন করিয়াছেন।

 

৬. আসামীগণ মাননীয় আদালতের রায় অনুসারে বাদীর ন্যায্য পাওনাদি পরিশোধসহ কাজে যোগদান করিতে না দেওয়ায় বাদী বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ২৯৩ ধারার বিধান মোতাবেক আসামীর বিরুদ্ধে শাস্তি প্রার্থনা করিয়াঅত্র মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হইলেন।

 

৭. ইহাছাড়াও অত্র দরখাস্তের ৩নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত মজুরী পরিশোধ করিবার জন্য আসামীর প্রতি নির্দেশ প্রদান করত: বাদী বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ধারা ৩১০ মোতাবেক মাননীয় আদালতের নিকট প্রার্থনা করিতেছেন।

 

৮. দরখাস্তকারীর দায়েরকৃত অত্র মোকদ্দমা মাননীয় আদালতের আঞ্চলিক এখতিয়ারভূক্ত এবং বিচার্য অধিক্ষেত্রের মধ্যে রহিয়াছে বিধায় বিজ্ঞ আদালত বিচার করিবার ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

 

অতএব হজুর আদালতের নিকট বাদীর বিনীত প্রার্থনা এই যে, আসামীর  অপরাধ আমলে গ্রহণ করিয়া আসামীর বিরুদ্ধে সমন/ওয়ারেন্ট জারী  করিয়া আদালতে বিচার ও দণ্ড প্রদান করিতে এবং বাদীকে তাহার প্রাপ্য মজুরী পরিশোধ করিবার জন্য আসামীর প্রতি নির্দেশ দিতে হুজুর  আদালতের মর্জি হয়।

 

এবং

 

যাহার জন্য বাদী বিজ্ঞ আদালতের নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকিবে। ইতি তাং-

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *