বিশ্বের যেকোন দেশের ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এই লিচের লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে “অনলাইন ভিসা আবেদন” পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব সহজে আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
ভিসা কি:
মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যায়। যেহেতু বিশ্বের প্রতিটি দেশ আলাদা এবং তাদের সরকার ব্যবস্থাও আলাদা। তাই অন্য কোন দেশে প্রবেশ করতে চাইলে সেই দেশের সরকারের অনুমতি নিতে হয়। এক দেশ থেকে অন্য দেশে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি পত্রই হলো ভিসা। একজন ব্যক্তি যে দেশে প্রবেশ করতে আগ্রহী সেই দেশ থেকে ভিসা বা অনুমতি পত্র নিতে হয়।
পাসপোর্ট ও ভিসার পার্থক্য:
পাসপোর্ট হচ্ছে অন্য কোন দেশে যাওয়ার জন্য নিজ দেশের অনুমতি পত্র আর ভিসা হচ্ছে অন্য কোন দেশে প্রবেশের জন্য সেই দেশের অনুমতি পত্র। অর্থাৎ পাসপোর্ট হচ্ছে নিজ দেশের ডকুমেন্ট আর ভিসা হচ্ছে বিদেশী ডকুমেন্ট। পাসপোর্টের জন্য এখন অনলাইনে আবেদন করা যায় যার বিস্তারিত আমাদের এই ওয়েবসাইটে লেখা আছে। ভিসার জন্যও অনলাইনে আবেদন করা যায়।
অনলাইন ভিসা আবেদন:
যে দেশে আপনি যেতে আগ্রহী সেই দেশ থেকে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে প্রায় সব কিছুই অনলাইনে করা যায়। ভিসার কার্যক্রম অনলাইনে থাকলেও ভিসা তৈরি বাংলাদেশর কোন এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে করতে হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করার মাদ্যমে হবে ভিসার কার্যক্রম শুরু হয়। পারমিট এর কয়েকটি কথা লিখে সিল দিয়ে ভিসা দেয়া হয়ে থাকে। অনেক দেশ থেকে বিভিন্ন কাজের ভিসা প্রদান করে। যা সাধারণত এজেন্সি কিংবা দালালের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হয়।
ভিসার প্রকার:
ভিসা বিভিন্ন প্রকার রয়েছে। নিম্নে বিভিন্ন ধরণের ভিসার উল্লেখ করা হলো:
(১) কাজের ভিসা,
(২) ভ্রমণ ভিসা,
(৩) ব্যবসা ভিসা,
(৪) স্টুডেন্ট ভিসা,
(৫) গৃহকর্মী ভিসা,
(৬) এক্সচেঞ্জ ভিজিট ভিসা,
(৭) সাংবাদিক ভিসা,
(৮) মেডিকেল ভিসা
ভিসা আবেদনের নিয়ম:
যেকোন দেশের ভিসার জন্য দুই ভাবে আবেদন করা যায়। যথা-
(ক) এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে:
এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে ভিসা পেতে চাইলে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ভিসা তৈরীর সকল তথ্য, ডকুমেন্টস এবং প্রয়োজনীয় সরকারি ফি ও তাদের সার্ভিস চার্জ প্রদান করলে ভিসা প্রসেসিং থেকে শুরু করে কার্যক্রম শেষ হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম তারাই সম্পন্ন করে আপনাকে ভিসা প্রদান করবেন।
(খ) অনলাইনে আবেদন:
(১) অনলাইনে ভিসা আবেদন করার জন্য যেকোন ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ বারে Bangladesh visa লিখে সার্চ করতে হবে অথবা সরাসরি https://visa.gov.bd/ এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
(২) ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর পেইজটি স্ক্রল করে নিচের দিকে এসে “I have read the above information and the relevant guidance notes’ এই লেখাটির পূর্বে চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে “Next” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
(৩) তারপর পরের পেইজে “Application Security” লেখার নিচের বক্সে নিজের ইমেইল টাইপ করে এবং পরের বক্সে সিকিউরিটি কোড টাইপ করে “Next” বাটনে ক্লিক করতে হবে।
(৪) এরপর ভিসার আবেদন ফর্ম আসবে। এই ফর্মের সকল তথ্য দিয়ে ফরমটি ফিল আপ করে প্রিন্ট করতে হবে।
(৫) সঠিকভাবে পূরণকৃত এই ফর্মের প্রিন্ট কপি এবং এর সাথে সকল ডকুমেন্ট এটাচ করে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস/ হাই কমিশনে জমা দিতে হবে।
ভিসা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
(১) পূরণকৃত আবেদন ফরম (Application form)
(২) পাসপোর্ট (Passport)
(৩) আপনার ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (PP saize photo)
(৪) নির্ধারিত ফি (Fee)
(৫) ইনভাইটেশন লেটার (Invitation Letter)
(৬) ব্যাংক সলভেন্সি ও ব্যাংক বিবরনী (Bank solvency and bank statement)
(৭) সম্পদের বিবরনী ( প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে)।
(৮) ব্যবসায়িক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
(৯) চাকুরীর ক্ষেত্রে ছুটির লেটার।
(১০) অন্যান্য কাগজপত্র দেশ ও ভিসার উপর নির্ভর করে প্রয়োজন হলে সেগুলো।
ভিসার মেয়াদ:
ভিসার মেয়াদ কত দিন তা ভিসাতে উল্লেখ থাকে। সাধারণত ভিসা তৈরি করার পর তিন মাস মেয়াদ থাকে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো যায়।
প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
জাস্টিস ফোরাম,
ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।
অথবা
রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা
01711068609 / 01540105088
ইমেইল: justiceforum@ainbid.com
ওয়েবসাইট: www.ainbid.com