অর্পিত সম্পত্তি “খ” তালিকা হতে অবমুক্ত করার দরখাস্ত

অর্পিত সম্পত্তি “খ” তালিকা হতে অবমুক্ত করার দরখাস্ত।

 

মোকাম: বিজ্ঞ জিলা জজ  অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন ট্রাইবুনাল, ঢাকা

সম্পত্তি প্রত্যর্পন কেস নম্বর ১২৯/২০২৪

 

১। মোঃ আরিফুল হক,

২। মোঃ আশরাফুল হক,

৩। নিলুফার ইয়াসমিন,

পতি-এ. কে. এম. সারোয়ার বাবু,

 

৪। শিরিন আক্তার,

পতি-মনি হয়দার,

 

৫। শাহিনা ইসলাম, পতি-দ্বীন ইসলাম,

৬। শারমিন নাহার শিমু,

পতি-মোঃ খোরশেদ আলম,

১-৬নং দরখাস্তকারীগণের পিতা মৃত-হাজী এমদাদুল হক,

সাং-৭৪, আফছার করিম রোড, থানা-সাবেক শ্যামপুর হালে-কদম তলী, জেলা-ঢাকা।

—————–দরখাস্তকারী/বাদীগণ।

-বনাম-

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জেলা প্রশাসক, ঢাকা, সাং-জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, থানা-কোতয়ালী, ঢাকা-১১০০।

——————–প্রতিপক্ষ/বিবাদী।

 

অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন ২০০১ সালের ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন (সংশোধন) আইন, ২০১১ এর ৯ নং ধারা ও ১০ (১) নং ধারার বিধান মতে নালিশী সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির “খ” তালিকা হইতে অবমুক্ত করতঃ দরখাস্তকারী/ বাদীগণের বরাবরে প্রত্যর্পন করিবার মোকদ্দমা।

 

মোকদ্দমার তায়দাদঃ- ৬,০০,০০০/ (ছয় লক্ষ) টাকা।

 

দরখাস্তকারী/বাদীগণের বিনীত নিবেদন এই যে,

 

১। অত্র আরজীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি যাহা অতঃপর অত্র আরজীতে নালিশী/ বিরোধীয় সম্পত্তি বলিয়া উল্লেখ হইবে যাহা জিলা ঢাকার থানা সাবেক কেরাণীগঞ্জ তৎপর তেজগাঁও তৎপর ডেমরা তৎপর শ্যামপুর হালে কদমতলী অধীন শ্যামপুর মৌজাস্থিত সি. এস. ৫৮৬ খতিয়ানের সি. এস. ১২১৮ দাগের ২৭ শতাংশ সম্পত্তি এবং উক্ত একই খতিয়ানের ১২২৪ দাগের ৪৪ শতাংশ একুনে ৭১ শতাংশ সম্পত্তিতে জোত সূত্রে রায়তি স্থিতিবান ছিলেন জনৈক রাম চরণ মন্ডলগং। বর্ণিত রামচরণ মন্ডল গং নালিশী সম্পত্তিসহ তাহাদের স্বত্ব দখলীয় উক্ত সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় সি. এস. জরিপ আমলে আসিলে সি. এস. খতিয়ান নম্বর ৫৮৬ দাগ নং ১২১৮ জমির পরিমান ২৭ শতাংশ এবং দাগ নং ১২২৪ জমির পরিমাণ ৪৪ শতাংশ উল্লেখে বর্ণিত রামচরণ মন্ডলগংদের নামে অর্থাৎ রামচরণ মন্ডল ক্রান্তি), কালিচরণ মন্ডল –(তিন আনা পাঁচ গন্ডা দুই কড়া দুই –(তিন আনা পাঁচ গন্ডা দুই কড়া দুই ক্রান্তি) উভয়ের পিতা মৃত-ডাউরি মন্ডল এবং লক্ষ্মীকান্ত মন্ডল, পিতা মৃত-গৌর চন্দ্র মন্ডল—– -(তিন আনা পাঁচ গন্ডা দুই কড়া দুই ক্রান্তি) অর্থাৎ প্রত্যেকে অংশে মালিক ও স্বত্বাধিকারী উল্লেখে সঠিক ও শুদ্ধরূপে বর্ণিত সি. এস. ৫৮৬ নম্বর খতিয়ানটি প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

 

২। উল্লেখ্য, বর্ণিত রামচরণ মন্ডল গং সি. এস. ৫৮৬ খতিয়ানের উল্লেখিত দুইটি দাগের ৭১ শতাংশ সম্পত্তিতে এজমালীতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহাদের স্ব স্ব ভোগ দখলের সুবিধার্থে নালিশী খতিয়ানসহ তাহাদের অন্যান্য সম্পত্তিসহ সি. এস. ৫৮৬ খতিয়ানের সমুদয় সম্পত্তি ঘরোয়া আপোষ বণ্টনে মৌখিকভাবে বণ্টন করিয়া লইলে নালিশী সি. এস. ১২১৮ দাগের ২৭ শতাংশ সম্পত্তি কালিচরণ মন্ডলের ছাহাম প্রাপ্ত হয়।

 

৩। বর্ণিত কালিচরণ মন্ডল তাহার ছাহাম প্রাপ্ত বর্ণিত সি. এস. ১২১৮ দাগের ২৭ শতাংশ সম্পত্তিতে তাহার নিরঙ্কুশ ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ২ (দুই) পুত্র যথাক্রমে (ক) ইন্দ্র মোহন মন্ডল এবং চন্দ্র মোহন মন্ডলকে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। পরবর্তীতে বর্ণিত ইন্দ্র মোহন মন্ডল গং দুই ভ্রাতা সমান ৮ (আট) আনা অংশে এজমালিতে ভোগ দখলে রত থাকেন।

 

৪। বর্ণিত ইন্দ্র মোহন মন্ডলগং দুই ভ্রাতা তফসিল বর্ণিত নালিশী দাগের সমুদয় ২৭ শতাংশ সম্পত্তিতে এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বর্ণিত ইন্দ্র মোহন মন্ডল তাহার নিজস্ব ঋণ পরিশোধের জন্য এবং বর্ণিত চন্দ্র মোহন মন্ডল তাহার লেখাপড়া ও ভরণ পোষনের জন্য তফসিল বর্ণিত নালিশী সমুদয় ২৭ শতাংশ সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিলে জনৈক হরি মোহন মন্ডল, পিতা মৃত-পদ্মলোচন মন্ডল উহা জানিতে পারিয়া বাজার সর্বোচ্চ মূল্যে খরিদ করিতে সম্মত হইলে বর্ণিত ইন্দ্র মোহন মন্ডল স্বয়ং এবং তাহার নাবালক ভ্রাতা চন্দ্র মোহন মন্ডলের পক্ষে বিগত ০৭/০৪/১৯২৩ তারিখে সম্পাদিত এবং ঢাকার ৩য় জয়েন্ট সাব রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৪১৭৬ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল তাহার বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

৫। বর্ণিত হরিমোহন মন্ডল তাহার খরিদা নালিশী সম্পত্তিতে তাহার নিজস্ব ও একক মালিকানায় সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞাতসারে প্রকাশ্য মতে দ্বাদশ বর্ষের বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় এস. এ. জরীপ আমলে আসিলে তাহার নামে এস. এ. সাবেক ৫৮৬/১ এবং এস. এ. দাগ নম্বর ১২১৮ জমির পরিমাণ ২৭ শতাংশ উল্লেখে তাহার নামে সঠিক ও শুদ্ধরূপে বর্ণিত এস. এ. খতিয়ানটি প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

 

৬। অতঃপর বর্ণিত হরিমোহন মন্ডল তাহার স্বত্ব দখলীয় নালিশী সম্পত্তিসহ তাহার অপরাপর সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় মতিলাল মন্ডল-কে ১ (এক) পুত্র তথা তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। বর্ণিত মতিলাল মন্ডল নালিশী সম্পত্তিসহ তাহার পিতৃ ত্যাজ্য অপরাপর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় তাহার ঋণ পরিশোধ ও নগদ টাকার বিশেষ আবশ্যক হওয়ায় তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিসহ আরও কতিপয় সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিলে জনৈক জিতু মিয়া, পিতা মৃত- নজিমদ্দিন উপযুক্ত মূল্যে খরিদ করিতে সম্মত হইলে বর্ণিত মতিলাল মন্ডল এবং অপর কতিপয় সম্পত্তির মালিক দখলকারগণ এক সঙ্গে বিগত ২০/০৫/১৯৫৯ তারিখে সম্পাদিত এবং সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৫৮৪১ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে নালিশী সম্পত্তিসহ উক্ত দলিলে উল্লেখিত সমুদয় সম্পত্তি সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল উক্ত ক্রেতার বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

৭। অতঃপর বর্ণিত জিতু মিয়া নালিশী সম্পত্তিসহ তাহার খরিদা অপরাপর সম্পত্তিতে তাহার নিরঙ্কুশ ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে থাকাবস্থায় অন্যত্র সম্পত্তি খরিদ করিবার নিমিত্তে নালিশী সমুদয় সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিলে বাদীগণের মাতা মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বেগম এবং ফজলুর রহমান, পিতা-মৌলভী চান মিয়া এবং আব্দুল কাদির, পিতা-মুন্সী নেওয়াজ আলী অর্থাৎ প্রত্যেকে সমান অংশ তথা ০৯ (নয়) শতাংশ করিয়া সম্পত্তি খরিদ করিতে সম্মত ৩ হইলে বর্ণিত জিতু মিয়া কর্তৃক বিগত ০৪/০৯/১৯৬৭ তারিখে সম্পাদিত এবং জিলা রেজিস্ট্রার ঢাকা অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ১৬৯৩৯ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল উক্ত ক্রেতাগণের বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

৮। অতঃপর বর্ণিত মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বেগম গং তাহাদের খরিদা নালিশী দাগের সমুদয় সম্পত্তিতে সমান ১/৩ অংশ তথা ০৯ (নয়) শতাংশ করিয়া এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাস্থায় বর্ণিত ফজলুর রহমান অন্যত্র তাহার সুবিধামত জমি খরিদের উদ্দেশ্যে নালিশী দাগের তাহার ০৯ (নয়) শতাংশ সম্পত্তিসহ আরও কতিপয় সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিলে বাদীগণের মাতা মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বেগম এবং পূর্বোল্লেখিত আব্দুল কাদির উক্ত সম্পত্তি উপযুক্ত মূল্যে খরিদ করিতে সম্মত হইলে বর্ণিত ফজলুর রহমান কর্তৃক বিগত ১৭/১২/১৯৬৯ তারিখে সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত ১৭৯৭৬ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল তাহাদের বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

৯। অতঃপর বর্ণিত মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বেগম এবং বর্ণিত আব্দুল কাদির নালিশী দাগের ২৭ (সাতাইশ) শতাংশ সম্পত্তিতে সমান অর্দ্ধাংশে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহাদের নামে এস. এ. রেকর্ড অনুযায়ী নামজারী জমা ভাগ কেস নম্বর ৩২৩৫ তারিখ ২০/০৩/১৯৭৬ মূলে নামজারী জমাভাগ করতঃ পৃথক খতিয়ান খুলিয়া ডি. সি. আর, প্রাপ্ত হইয়া তাহাদের দেয় খাজনাদি নিয়মিত পরিশোধ পূর্বক বর্ণিত হোসনে আরা বেগম নালিশী সম্পত্তির কিছু অংশে দোতলা বিল্ডিং এবং অবশিষ্টাংশে পাকা টিনশেড নির্মাণ করতঃ তথায় বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ওয়াসা সংযোগ লইয়া তাহার দেয় যাবতীয় বিলাদি পরিশোধক্রমে তাহার পরিবার পরিজন লইয়া ভোগ দখলে থাকাবস্থায় আর, এস. জরীপ আমলে আসিলে মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বেগমের নামে আর, এস, খতিয়ান নম্বর ২৩০৬ এবং আর. এস. দাগ নম্বর ৫৬২৩ এবং জমির পরিমাণ ১৩৭২ অযুতাংশ এবং বর্ণিত আব্দুল কাদিরের নামে আর, এস. খতিয়ান নম্বর ৫৩৬ আর, এস, দাগ নম্বর ৫৬২৬ জমির পরিমাণ ১৩২০ অযুতাংশ উল্লেখে সঠিক ও শুদ্ধরূপে বর্ণিত আর, এস. খতিয়ান প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

 

১০। অতঃপর বর্ণিত আব্দুল কাদির নালিশী দাগের তাহার অর্থাংশে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহাদের ভোগ দখলের সুবিধার্থে নালিশী দাগের সম্পত্তিসহ তাহাদের অপরাপর সম্পত্তিতে বিগত ১৮/০৮/১৯৯২ তারিখে সম্পাদিত এবং ডেমরা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিষ্ট্রিকৃত ৫৫০০ নম্বর বণ্টননামা দলিল মূলে নিজেদের মধ্যে বণ্টন করিয়া লইলে ও দিলে নালিশী দাগের আব্দুল কাদিরের অর্দ্ধাংশ বাদীগণের মাতা মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বেগম এর ছাহাম প্রাপ্ত হয়। ফলে বর্ণিত হোসনে আরা বেগম নালিশী দাগে তাহার নিজের খরিদ সূত্রে ৮ (আট) আনা এবং বর্ণিত বণ্টননামা দলিল মূলে আব্দুল কাদিরেরর ৮ (আট) আনা একুনে সমুদয় ১ (ষোল) আনা তথা ২৭ শতাংশ সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত হন ও থাকেন।

 

১১। অতঃপর বর্ণিত মোসাম্মাৎ হোসনে আরা বেগম নালিশী দাগের সমুদয় সম্পত্তিতে তাহার নিরঙ্কুশ ও একক মালিকানায় দ্বাদশ বর্ষের বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ঢাকা মহানগর জরীপ আমলে আসিলে তাহার নামে মহানগর খতিয়ান নম্বর ৬২৫৯ এবং দাগ নম্বর ১৩০৬২ এবং জমির পরিমাণ ২৬০৪ অযুতাংশ উল্লেখে সঠিক ও শুদ্ধরূপে বর্ণিত মহানগর খতিয়ান প্রচারিত ও প্রাকিশত হয়। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, নালিশী দাগের দক্ষিন পার্শ্ব দিয়া ২০ (বিশ) ফুট রাস্তা যাওয়ায় এবং উক্ত রাস্তার ভিতর নালিশী দাগের সম্পত্তি হইতে কিছু সম্পত্তি যাওয়ায় ২৭ শতাংশের হলে বাদীগণের মাতার নামে ২৬০৪ অযুতাংশ সম্পত্তি রেকর্ড হইয়াছে।

 

১২। বর্ণিত হোসনে আরা বেগম উপরিউক্ত বর্ণনা অনুযায়ী নালিশী দাগের সমুদয় সম্পত্তিতে তাহার নিরঙ্কুশ ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ১-২নং দরখাস্তকারীদ্বয়কে ২ (দুই) পুত্র এবং ৩-৬নং দরখাস্তকারীগণকে ৪ (চার) কন্যা তথা তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ফলে দরখাস্তকারী-বাদীগণ নালিশী দাগের সমুদয় সম্পত্তিতে তাহাদের মাতার ওয়ারিশ সূত্রে মালিক স্বত্বাধিকারী নিয়ত হইয়া তাহারা মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তাহাদের প্রাপ্যাংশ এজমালিতে ভোগ দখলে রত আছেন।

 

১৩। উল্লেখ্য, অত্র আরজীর ৬নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুাযায়ী বর্ণিত হরিমোহন মন্ডলের নামে নালিশী সম্পত্তির এস. এ. খতিয়ান প্রস্তুত হইলেও তাহার মৃত্যুর পর তদিয় পুত্র মতিলাল মন্ডল বিগত ২০/০৫/১৯৫৯ তারিখে সম্পাদিত এবং সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৫৮৪১ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে নালিশী দাগের সমুদয় সম্পত্তি জনৈক জিতু মিয়ার নিকট সাফ বিক্রয় করিয়া বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল তাহার বরাবরে বুঝাইয়া দেন। ফলে ১৯৫৯ সন হইতে পরবর্তীতে নালিশী সম্পত্তি যদিও একাধিক হাত বদল হইয়া বর্তমান দরখাস্তকারীগণের নিকট আসিয়াছে কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অন্য কোন হিন্দু ক্রেতার আবির্ভাব ঘটে নাই। ফলে নালিশী সম্পত্তি কিংবা উহার কোন অংশ অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভূক্ত হইবার কোন কারণ ছিল না এবং নাই। কিন্তু তারপরেও তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন, ২০০১ (সংশোধিত-২০১১) এর আওতাধীন ঢাকা জেলার কদমতলী থানাধীন জুরাইন মৌজার এর প্রত্যর্পনযোগ্য “খ” তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বিগত ০৮/০৩/২০১২ তারিখে প্রজ্ঞাপন জারী ও বিগত ১৭/০৯/২০১২ তারিখে গেজেট প্রকাশিত হয় যাহার ক্রমিক নম্বর ১৯ উল্লেখ করতঃ মূল মালিকের নামের ঘরে সুরেশ চন্দ্র দাসগং এবং সম্পত্তির পরিমাণ ২৭ শতাংশ উল্লেখ করিয়া উক্ত গেজেট প্রকাশিত হইয়াছে যাহা শুরু হইতেই বে-আইনী, অবৈধ এবং উক্ত আইন অনুযায়ী বাতিলযোগ্য। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি সেই সি. এস. রেকর্ড হইতে অদ্যাবধি সুরেশ চন্দ্র দাসগংদের কখনও কোনরূপ মালিকানা ছিল না কিম্বা থাকিবারও কোন কারণ ছিল না বিধায় উক্ত নামে অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হওয়া ভুল এবং অশুদ্ধ বিধায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকা হইতে বাদীগণের বরাবরে প্রত্যর্পন করিবার আদেশ দেওয়া আবশ্যক।

 

১৪ মোকদ্দমার কারণঃঅত্র মোকদ্দমার কারণ বিগত ১৭/০৯/২০১২ তারিখে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন ২০০১ (সংশোধিত-২০১১) এর আওতাধীন ঢাকা জেলার প্রত্যর্পন যোগ্য “খ” তফসিলভুক্ত অর্পিত সম্পত্তির তালিকায় নালিশী সম্পত্তির গেজেট প্রকাশ হওয়ার দিন হইতে অত্রাদালতের এলাকাধীন হালে কদমতলী থানার অন্তর্গত মৌজা জুরাইন তথা তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে উদ্ভব হইয়া অদ্য পর্যন্ত বিদ্যমান আছে।

 

১৫ মোকদ্দমার তায়দাদঃঅত্র মোকদ্দমাটি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন ২০০১ (সংশোধিত-২০১১) এর আওতাধীন মোকদ্দমা হওয়ায় এবং বর্তমান মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তির জন্য উক্ত আইনের অধীনে ট্রাইবুনাল গঠিত হওয়ায় বর্তমান মোকদ্দমার মূল্য ৬,০০,০০০/ (ছয় লক্ষ) টাকা ধার্য্য করিয়া নির্দ্ধারিত =১০০০/ (এক হাজার) টাকার কোর্ট ফি প্রদান পূর্বক বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল।

 

অতএব দরখাস্তকারী/বাদীগণের বিনীত প্রার্থনা,

 

(ক) নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি যাহার এস. এ. খতিয়ান নম্বর সাবেক ৫৮৬/১ এস. এ. দাগ নম্বর ১২১৮ যাহার আর, এস. খতিয়ান নম্বর যথাক্রমে ২৩০৬ আর. এস. দাগ নম্বর ৫৬২৩ জমির পরিমাণ ১৩৭২ এবং আর. এস. খতিয়ান নম্বর ৫৩৬ আর. এস. দাগ নম্বর ৫৬২৬ জমির পরিমাণ ১৩২০ অযুতাংশ যাহা অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে “খ” গেজেটে প্রকাশিত ১৯নং ক্রমিকে উল্লেখে লিপিবদ্ধ হইয়াছে উহা কর্তন করিয়া বাদীগণের অনুকূলে প্রত্যর্পন করিবার আদেশ দিতে;

 

এবং

 

(খ) মোকদ্দমার অবস্থা ও ব্যবস্থা মতে বিজ্ঞ আদালতের ন্যায় বিচারে বাদীগণ অন্য কোন প্রকার প্রতিকার প্রাপক হইলে তাহাও প্রদানের ডিক্রি দিতে;

 

নালিশী সম্পত্তির তফসিলঃ

জিলা ঢাকা থানা সাবেক কেরাণীগঞ্জ তৎপর তেজগাঁও তৎপর ডেমরা তৎপর শ্যামপুর হালে কদম তলীর অধীন মৌজা জুরাইনস্থিত সি. এস. খতিয়ান নম্বর ৫৮৬ সি. এস. দাগ ১২১৮ জমির পরিমাণ ২৭ শতাংশ যাহার এস. এ. খতিয়ান নম্বর সাবেক ৫৮৬/১ এস. এ. দাগ নম্বর ১২১৮ জমির পরিমাণ ২৭ শতাংশ যাহার আর, এস, খতিয়ান নম্বর যথাক্রমে ২৩০৬ আর. এস. দাগ নম্বর ৫৬২৩ জমির পরিমাণ ১৩৭২ এবং আর. এস. খতিয়ান নম্বর ৫৩৬ আর, এস. দাগ নম্বর ৫৬২৬ জমির পরিমাণ ১৩২০ যাহার ঢাকা মহানগর খতিয়ান নম্বর ৬২৫৯ মহানগর দাগ নম্বর ১৩০৬২ জমির পরিমাণ ২৬০৪ অযুতাংশ। যাহার চৌহদ্দিঃ-উত্তরেঃ-সেকেন্দারগংদের সম্পত্তি, দক্ষিনেঃ-২০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা, পূর্বেঃ-মুসলিমগংদের সম্পত্তি এবং পশ্চিমেঃ-৮ ফুট প্রশস্ত রাস্তাএই চৌহদ্দিভুক্ত ২৬০৪ অযুতাংশ সম্পত্তি এবং তদস্থিত যাবতীয় স্থাপনা অত্র মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি বটে।

 

 

হলফনামাঃ

 

আমি মোঃ আরিফুল হক, পিতা মৃত-হাজী এমদাদুল হক, বর্তমান বয়স-৩৯ বৎসর, সাং-৭৪, আফছার করিম রোড, থানা-সাবেক শ্যামপুর হালে-কদম তলী, জেলা-ঢাকা, পেশা-ব্যবসা, ধর্ম- ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, এই মর্মে প্রতিজ্ঞাপূর্বক ঘোষণা করিতেছি যেঃ-

 

১। আমি উপরিউক্ত মোকদ্দমার ১নং বাদী এবং ২-৬নং বাদীগণ সকলেই আমার সহোদর ভ্রাতা-ভগ্নি। আমি উপরিউক্ত মোকদ্দমায় আমার নিজ পক্ষে এবং অপর বাদীগণের পক্ষে অত্র মোকদ্দমায় যাবতীয় তদ্বিরাদি গ্রহণ করিয়া থাকি এবং উপরিউক্ত মোকদ্দমার সকল বিষয় অবগত আছি এবং হলফ দেওয়ার যোগ্য বটে।

 

২। উপরিউক্ত মোকদ্দমার আরজীতে আমরা কোন কথা গোপন করি নাই এবং কোন অসত্য তথ্য প্রদান করি নাই। আরজীতে উল্লেখিত সকল বর্ণনা আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য এবং উহার সত্যতা স্বীকারে অত্রাদালতের হলফ কমিশনার সাহেবের সম্মুখে সকল বাদীগণের পক্ষে আমি ১নং বাদী অদ্য ২৯/০১/২০১৩ তারিখে সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় অত্র হলফনামায় নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম।

 

——————

হলফকারী

 

হলফকারী আমার পরিচিত এবং তিনি আমার সম্মুখে তাহার দস্তখত করায় আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।

 

 

——————-

অ্যাডভোকেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *