ই-নামজারি করার পদ্ধতি

ই-নামজারি করার পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে বুঝে নিজেই নামজারি করুন।

 

ই-নামজারি কি:

সরকার রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ সহ ভূমি সংক্রান্ত অন্যান্য আইন অনুযায়ী দীর্ঘদিন পর পর ভূমি জরিপের মাধ্যমে ভূমির মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান সৃস্টি করে ভূমির মালিকানা স্বত্বলিপি প্রস্তুত করে। ভূমি জরিপের পর কোনো খতিয়ানে রেকর্ডীয় ভূমি মালিকের মৃত্যুর ফলে উত্তরাধিকার সূত্রে কিংবা ক্রয়-বিক্রয় বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর সূত্রে মালিকানা পরিবর্তন হলে উক্ত ভূমির মালিকানা স্বত্ব হালনাগাদ (Update) করার জন্য সহকারি কমিশনার(ভূমি) এর নিকট নামজারি (Mutation) এর আবেদন করতে হয়। যেকোনো ভাবে ভূমির মালিকানা পরিবর্তনের সাথে সাথে অতি সহজে এবং দ্রুত নামজারি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় অনলাইনে নামজারি ফি পরিশোধ ও ই-নামজারি করার ব্যবস্থা চালু করেছে।

 

ই-নামজারি করার পদ্ধতি:

সহজে ই-নামজারি করতে হলে অনলাইনে নির্ভুলভাবে ফরম পূরণ এবং সঠিক তথ্য ও ডকুমেন্ট প্রদান করে নামজারির আবেদন করতে হবে। ই-নামজারি করার পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো:

 

অনলাইনে ই-নামজারি প্রক্রিয়াটি মোট ৫টি ধাপে সম্পন্ন হবে।

5 steps

 

সকল ডকুমেন্টসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নিচের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করুন।

 

১। প্রথমে land.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন।

 

Photo: land.gov.bd

 

(২) একটু স্ক্রল করে নিচে গিয়ে “নামজারি” তে ক্লিক করুন।

 

নামজারি, Photo: land.gov.bd

 

(৩) তারপর “নামজারি আবেদন” বক্সে ক্লিক করে আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।

 

নামজারি আবেদন, Photo: land.gov.bd

 

(৪) আবেদন ফরম পূরণ করে উহা দাখিলের সময় আবেদন ফি বাবদ ২০/- এবং নোটিশ জারি ফি বাবদ ৫০/- মোট ৭০/ টাকা অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে। অনলাইনে এই ফি পরিশোধের জন্য বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায়, ভিসা কার্ড, মাস্টার্ড কার্ড সহ বিভিন্ন অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করা যাবে।

 

(৫) নামজারির জন্য আবেদিত জমিটি ক্রয়, ওয়ারিশ, হেবা, ডিক্রি, নিলাম, বন্দোবস্ত কিংবা অন্যান্য কি সূত্রে অর্জিত হয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।

 

(৬) আবেদিত জমির ক্রমান্বয়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা এবং মৌজা সিলেক্ট করতে হবে। একটি মৌজার জমির জন্য একটি নামজারির আবেদন করা যাবে। একাধিক মৌজার জমির জন্য পৃথক পৃথক  নামজারি আবেদন করতে হবে।

 

(৭) সর্বশেষ জরিপ রেকর্ডের ভিত্তিতে নামজারির আবেদন করতে হবে। সেজন্য সি.এস, এস.এ/এমআরএস, আরএস/বিএস, মহানগর, দিয়ারা এর মধ্যে আপনার এলাকার জন্য যেটি প্রযোজ্য এই জরিপটি সিলেক্ট করতে হবে। এজন্য এ বিষয়ে আগেই নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

 

(৮) একই মৌজাভুক্ত একাধিক খতিয়ান থেকে আরও দাগে আরো জমি একই নামজারিতে যুক্ত করতে হলে “আরও খতিয়ান সংযুক্ত করুন” এবং “আরও দাগ সংযুক্ত করুন” এ ক্লিক করে যুক্ত করতে হবে।

 

(৯) স্মার্ট ও নির্ভুলভাবে কাজটি করার জন্য কম্পিউটারে একটি ফোল্ডার করে ওয়ার্ড ফাইলে জমির খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, আবেদিত জমির পরিমাণ, খতিয়ানে উক্ত দাগে জমির পরিমাণ, মোট আবেদিত জমির পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য অভ্র নিকশ ফন্টে টাইপ করে রাখতে পারেন। জমির পরিমাণ একরে প্রদান করবেন। তাহলে আবেদনের সময় তথ্যগুলো কপি পেস্ট করে ব্যবহার করতে সুবিধা হবে।

 

(১০) আবেদন ফরম পূরণের সময় নিম্নলিখিত তথ্যগুলো টাইপ করতে হবে:

(ক) দলিলসূত্রে জমির মালিক হলে দলিল নম্বর, দলিলের তারিখ ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নাম।

(খ) খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক হলে মালিকদের নাম, পিতা/স্বামীর নাম ও পূর্ণ ঠিকানা।

(গ) আবেদনকারীর নাম, পূর্ণ ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এন.আই.ডি/ পাসপোর্ট/ জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র নম্বর ও ইমেইল এড্রেস।

(ঘ) যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (RJSC) কর্তৃক নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান/সরকারি প্রতিষ্ঠান/সংস্থা/RJSC নিবন্ধন ছাড়া বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের নাম, প্রতিনিধির নাম, প্রতিনিধির এন.আই.ডি নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর, পদবি, RJSC রেজিট্রেশন নং, নিবন্ধন তারিখ ও ঠিকানা।

(ঙ) যাদের নাম হতে কর্তন করে নামজারি দেয়া হবে তাদের এবং যাদেরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে নোটিশ দিতে হবে তাদের সকলের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর।

(চ) আবেদনকারী কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদন করলে উক্ত প্রতিনিধির নাম ও পূর্ণ ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, এন.আই.ডি/পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধন নম্বর ও ইমেইল এড্রেস, বয়স ও আবেদনকারীর সাথে সম্পর্ক।

(ছ) জমির দাতা কিংবা দাতা মৃত হলে তার ওয়ারিশের এবং দাতা কোন প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিনিধির নাম ঠিকানা, এন.আই.ডি নম্বর, জন্ম তারিখ ও মোবাইল নম্বর, পদবি ও ঠিকানা।

 

(১১) আবেদন ফর্ম পূরণের সময় ছবিগুলো jpg বা png ফরমেটে ও নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো pdf ফরমেটে স্ক্যান করতে হবে এবং সর্বোচ্চ 1.25 MB এর মধ্যে হতে হবে।

(ক) আবেদনকারী কিংবা প্রতিনিধি প্রত্যেকের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,

(খ) প্রত্যেকের নিজ নিজ স্বাক্ষর,

(গ) জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/জন্ম নিবন্ধ সনদ,

(ঘ) আবেদনকারী RJSC নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান হলে নিবন্ধন সনদ,

(ঙ) উওরাধিকার সূত্রে নামজারি হলে উত্তরাধিকার সনদ পত্র,

(চ) সর্বশেষ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের দাখিলা,

(ছ) জমির খতিয়ানের কপি,

 

(১২) ক্রয়সূত্রে হলে দলিলের কপি,

(১৩) আদালতের রায়-ডিক্রি সূত্রে হলে রায় ডিক্রির কপি,

(১৪) অন্য কোনো সূত্রে হলে সংশ্লিষ্ট কাগজাদির কপি।

 

(১৫) pdf ফাইলের সাইজ কমানোর জন্য https://www.pdf2go.com/resize-pdf কিংবা https://www.sejda.com/compress-pdf অথবা অন্য কোন অনলাইন টুল ব্যবহার করে pdf ফাইলের সাইজ কমানো যায়।

 

(১৬) Microsoft Office – Edit Pictures – Compress Pictures ব্যবহার করে jpg অথবা png ফাইলের সাইন কমানো যায়।

 

(১৭) কারিগরি ত্রুটি কিংবা ডকুমেন্ট এর ঘাটতি থাকলে ডকুমেন্ট ছাড়াও আবেদন সাবমিট করা যাবে। সেক্ষেত্রে নিম্নের যেকোনো একটি অপশন সিলেক্ট করতে হবে-

(ক) “আমি আবেদন সাবমিট করার ৩ কর্মদিবসের মধ্যে সকল ডকুমেন্ট এসিল্যান্ড অফিসে এসে জমা দিবো”

অথবা

(খ) “আমি শুনানির দিন সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিবো।”

 

নির্ভুলভাবে সকল তথ্য ফরমে লেখার জন্য আগেই কম্পিউটারে একটী ফোল্ডারে ওয়ার্ড ফাইলে অভ্র নিকশ ফন্টে টাইপ করে সেইভ করে রাখুন।

 

(১৮) আবেদনকারিকে নিচের বিষয় সমূহ নিশ্চিত করে একটি ঘোষণা প্রদান করতে হবে-

ক) সর্বশেষ রেকর্ড/সর্বশেষ নামজারি হতে জমির মালিকানার ধারাবাহিকতা/ মধ্যবর্তী হস্তান্তরের প্রমাণপত্র/বায়া দলিলসমূহ আছে কিনা?

খ) আবেদনকারীর দলিলমূলে মালিকানা দাবী ও হিস্যা সঠিক আছে কি না?

গ) আবেদিত জমি দখলে আছে কি না? জমি দখলে না থাকে, তার ব্যাখ্যা আবেদনের সঙ্গে প্রদান করতে হবে।

ঘ) আংশিক খাস/ অর্পিত/ অধিগ্রহণকৃত আছে কি না? আবেদিত জমি আংশিক খাস/ অর্পিত/ অধিগ্রহণকৃত হলে নিষ্কণ্টক অংশ আলাদাভাবে চিহ্নিত করার প্রমাণক সহ ব্যাখা দিতে হবে।

ঙ) আবেদিত জমিতে কোন দেওয়ানী মামলা আছে কিনা ? মামলা থাকলে হস্তান্তরে কোনো নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? নিষেধাজ্ঞা নাই মর্মে আদালতের ইনফরমেশন স্লিপ সংযুক্ত করতে হবে।

চ) জমিতে সরকারি স্বার্থ আছে কি না? থাকলে কোন ধরণের স্বার্থ আছে, তা নির্বাচন করতে হবে। দাগে সরকারি স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অংশ (খাস / অর্পিত / পরিত্যক্ত / ওয়াকফ / বিনিময় / দেবোত্তর / অধিগ্রহণকৃত / খাসমহাল / কোর্ট অফ ওয়ার্ডস / সরকারি সংস্থা / অন্যান্য) চিহ্নিত করে আবেদিত জমি এর বাইরে হলে কোন অংশে তা চিহ্নিত করতে এবং ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে।

ছ) সর্বশেষ অর্থ বছর পর্যন্ত ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করা আছে কি না? ভূমি উন্নয়ন কর হাল নাগাদ না থাকলে আবেদনকারী তা হারাহারি ভাবে বকেয়াসহ হালনাগাদ পরিশোধ করবেন মর্মে ঘোষণা দিতে হবে।

জ) আবেদনে বর্ণিত তফসিল জমি এপার্টমেন্ট বা ফ্লোর স্পেস কি না? যদি তা হয় তবে এপার্টমেন্ট নম্বর প্রদান করতে হবে, শুধু জমির জন্য এপার্টমেন্ট/ফ্লোর নম্বর প্রদান করতে হবে না।

ঝ) আবেদনকারী/আবেদনকারীগণের এই মৌজায় বর্তমানে কোনো খতিয়ান আছে কিনা? যদি তাদের আবেদিত জমির মৌজায় এক বা একাধিক খতিয়ান থাকে, তাহলে হ্যাঁ নির্ধারণ করে খতিয়ান নম্বর/ নম্বরসমূহ এন্ট্রি করুন। দুটি খতিয়ান নম্বরের মাঝে কমা (,) অথবা সেমিকোলন (।) ব্যবহার করবেন। ঘোষণা প্রদানের পর, জমির তফসিল সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে।

 

(১৯) ফরম পূরণ সম্পন্ন হলে “দাখিল” বাটনে ক্লিক করে একটি প্রিভিউ দেখা যাবে। প্রিভিউ এর কপি সেভ ও প্রিন্ট করে রাখুন। প্রিভিউটি ঠিক থাকলে “আবেদন জমা” বাটনে ক্লিক করার পর আবেদন নম্বরসহ একটি পেজ আসবে, সেটিও সেভ ও প্রিন্ট করে রাখুন। আবেদন নম্বরটি ট্র্যাকিং নম্বর হিসেবে ব্যবহার করে পরবর্তীতে আপনার এই নামজারির সকল তথ্য অনুসন্ধান করতে পারবেন।

 

(২০) আবেদনপত্র জমা হয়ে গেলে আবেদন নম্বর সহ যে পেইজ আসবে সেই পেইজে আবেদন ও নোটিশ ফি বাবদ একত্রে ৭০/-টাকা অন-লাইনে জমা করতে হবে। পেমেট হয়ে গেলে আবেদন নম্বর সহ পেমেন্ট কনফার্মেশন মেসেজ আসবে। পেমেন্ট রিসিপ্ট প্রিন্ট করে রাখবেন। মেসেজের নিচে থাকা আবেদন প্রিন্ট প্রিন্ট করে ও পিডিএফ কপি সেভ করে নেওয়া যাবে।

 

(২১) এরপর সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর অফিসে গিয়ে অথবা http://oh.lams.gov.bd লিংকে অনুরোধ করে অনলাইনে শুনানি করা যাবে।

 

(২২) একটি ভূমি নামজারি প্রক্রিয়া সাধারণত ২৮ দিনে নিস্পত্তি হয়ে থাকে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) চূড়ান্ত অনুমোদনের আদেশ দিলে একজন অফিস সহকারী অনলাইনে খতিয়ান প্রস্তুত করবেন। খতিয়ান প্রস্তুত হয়ে গেলে ডিসিআর (DCR) ফী প্রদানের জন্য সিস্টেমে প্রদত্ত মোবাইলে SMS পাঠানো হবে।

 

(২৩) SMS পাওয়ার পর land.gov.bd তে প্রবেশ করে ই-মজারি পেইজে আবেদন ট্র্যাকিং অপশনে গিয়ে বিভাগ সিলেক্ট করে আবেদন নম্বর জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে ট্রাকিং করে আবেদন মঞ্জুর হয়েছে কিনা যাচাই করা যাবে।

 

(২৪) আবেদন মঞ্জুর হলে অনলাইনে ডিসিআর (DCR) ফী ১,১০০ টাকা পরিশোধ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। অনলাইনে ডিসিআর (DCR) ফী ১,১০০ টাকা পরিশোধ করা হলে অনলাইনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালান প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালান পরিশোধিত হলে https://mutation.land.gov.bd/ এই লিঙ্ক এ গিয়ে আবেদন ট্র্যাকিং করে খতিয়ান প্রিন্ট এবং ডিসিআর প্রিন্ট কপিটি পাবেন।

 

বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয়ের ০২/১১/২০২১ ইং তারিখের স্মারক নং ৩১.০০.০০০০.০৪২.৮.০১১.২০-৫৫৯ নির্দেশনা অনুযায়ী QR Code/কিউআর কোডযুক্ত (Quick Response Code) অনলাইন ডিসিআর (Duplicate Carbon Receipt), ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে প্রদত্ত ডিসিআর -এর সমতুল্য এবং আইনগতভাবে বৈধ ও সর্বক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য ও ব্যবহারোপযোগ্য হবে। তাই ভূমি অফিসে গিয়ে কোন ম্যানুয়াল ডিসিআর সংগ্রহ করার প্ররয়োজন নাই।

 

আইনগত সহায়তার জন্য আমাদের রয়েছে সুদক্ষ ও দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিজ্ঞ আইনিজীবী প্যানেল। ভূমির ই-নামজারিসহ যেকোন আইনগত সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন:

 

জাস্টিস ফোরাম,

সার্বিক পরিচালনা: এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন

ঢাকা জজ কোর্ট, কোতয়ালী, ঢাকা।

অথবা

রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

01711068609 / 01540105088

ইমেইল: justiceforum@ainbid.com

ওয়েবসাইট: www.ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *