এজমালী সম্পত্তি বন্টনের মোকদ্দমার বিভিন্ন আর্জি

এজমালী সম্পত্তি অর্থাৎ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি প্রত্যেকের হিস্যা অনুযায়ী বন্টনের মোকদ্দমার বিভিন্ন আর্জি

 

 

মোকাম: বিজ্ঞ ৫ম যুগ্ম জিলা জজ আদালত, ঢাকা।

দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১১৯/২০২০২৪

 

১। মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিক,

২। ইদ্রিস আহমেদ,

৩। মোঃ নজরুল ইসলাম,,

৪। কামরুল ইসলাম,

৫। শহিদুল ইসলাম,

৬। মামুন ইসলাম,

৭। মঞ্জুরুল ইসলাম,

৮। মদুরুল ইসলাম,

৯। জাহিদুল ইসলাম,

১০। রাবেয়া খাতুন,

 

সর্ব পিতা মৃত-আব্দুল হাকিম,

 

১১। বেগম সোনাবান,

পতি-মৃত আব্দুল হাকিম,

 

সর্ব সাকিন-নতুন বান্দুরা, থানা-নবাবগঞ্জ, জিলা-ঢাকা।

হালে- ২৫ নং ভজহরি সাহা স্ট্রীট, থানা-সূত্রাপুর, জিলা ও শহর-ঢাকা।

 

১২। শেখ ওয়াসেক,

১৩। শেখ ওয়াজেদ,

১৪। শেখ মজিবুর রহমান,

১৫। মোসাঃ হামিদা বেগম,

 

সর্ব পিতা মৃত-শেখ হাফিজুর রহমান,

 

১৬। শেখ আল আমিন,

পিতা মৃত-শেখ আজিজুর রহমান,

 

১৭। সুফিয়া বেগম,

 

পতি মৃত-শেখ আজিজুর রহমান,

 

১৮। সবুরা বেগম, মাতা মৃত-আমেনা খাতুন,

১৯। মোঃ লিটন মিয়া,

২০। মোঃ লিপন মিয়া,

২১। মোঃ রাজু

২২। মোসাঃ লাইলী বেগম,

২৩। মোসাঃ লাভলী বেগম,

২৪। মোসাঃ লীনা বেগম,

 

সর্ব পিতা মৃত-মোঃ হারুনূর রশিদ,

সর্ব মাতা মৃত-রুবিয়া বেগম,

 

২৫। মোঃ মুরাদ, পিতা আব্দুস সালাম,

২৬। আব্দুস সালাম, পিতা মৃত-কোরবান খাঁ,

উভয়ের সাকিন-জালকুড়ি, থানা-সিদ্ধেশরী, জিলা-নারায়ণগঞ্জ।

 

২৭। মোসাঃ রোকেয়া বেগম,

পিতা মৃত-আব্দুস সামাদ, মাতা মৃত-মতিয়া খাতুন,

সর্ব সাকিন-নতুন বান্দুরা, খানা-নবাবগঞ্জ, জিলা-ঢাকা।

 

২৮। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,

২৯। মোঃ আলমগীর,

৩০। মোসাঃ ফরিদা বেগম, সর্ব পিতা মৃত-মোঃ ফজলুল হক,

সর্ব সাকিন-কাওনা কান্দি, থানা-নবাবগঞ্জ, জিলা-ঢাকা।

 

৩১। আলীমদ্দিন,

৩২। মোঃ আরিফ,

৩৩। মোঃ আক্তার

৩৪। মোঃ মোক্তার,

৩৫। মোসাঃ আম্বিয়া বেগম,

৩৬। মোসাঃ রাবিয়া বেগম, সর্ব পিতা মৃত-শেখ সৈয়দ আলী,

৩৭। মোসাঃ কোহিনূর বেগম, স্বামী মৃত-শেখ সৈয়দ আলী,

সর্ব সাকিন-নতুন বান্দুরা, থানা-নবাবগঞ্জ, জিলা-ঢাকা।

১২, ১৬, ১৭, ২০, এবং ৩১ হইতে ৩৩ নং বাদীগণ পক্ষে

নিযুক্তীয় আমমোক্তার মোঃ নজরুল ইসলাম,

পিতা মৃত-আব্দুল হাকিম, ২৫ নং ভজহরি সাহা স্ট্রীট, থানা-সূত্রাপুর, জিলা-ঢাকা।

——————-বাদীগণ।

 

-বনাম-

 

১। আব্দুল জলিল,

পিতা মৃত-সাদেক আলী,

 

২। মোঃ সুলতান,

৩। মোঃ হিরন,

৪। মোসাঃ সবজান খাতুন,

৫। মোসাঃ জাহানারা বেগম,

 

সর্ব পিতা মৃত-গুঞ্জর আলী,

 

৬। সুমন, পিতা-মোঃ বাবুল,

৭। মোঃ বাবুল, পিতা মৃত-নোয়াব আলী,

৮। শেখ জাফর,

৯ শেখ জুলহাস,

১০। শেখ জানু,

১১। মোসাঃ করিমন নেছা,

 

সর্ব পিতা মৃত-দুর্জন আলী,

 

১২। মোঃ মজিবর রহমান,

১৩। মোঃ মোতালেব,

১৪। মোঃ মতিউর রহমান,

১৫। মোঃ আব্দুর রহিম,

১৬। মোসাঃ সুফিয়া বেগম,

১৭। মোসাঃ হাসিনা বেগম,

১৮। মোসাঃ নাসিমা বেগম,

 

সর্ব পিতা মৃত-আব্দুল লতিফ,

১৯। গোলাপ জান বিবি,

পতি মৃত-আব্দুল লতিফ,

 

২০। শেখ কফিল উদ্দিন,

২১। শেখ কহেল উদ্দিন,

২২। শেখ জনু,

২৩। মোসাঃ পাখি বেগম,

২৪। মোসাঃ মন্টি বেগম,

২৫। মোসাঃ নীল বানু,

 

সর্ব পিতা মৃত-শেখ ইয়াছিন,

 

২৬। কাশেম আলী,

পিতা মৃত-আছর উদ্দিন মোল্লা,

২৭। নূরী বেগম,

২৮। কুলসুম বিবি,

২৯। হালিমন নেছা,

 

সর্ব পিতা মৃত-আছর উদ্দিন মোল্লা, সর্ব সাকিন-বারদুয়ারী,

থানা-নবাবগঞ্জ, জিলা-ঢাকা।

 

————————বিবাদীগণ।

 

এজমালী সম্পত্তি বণ্টনের মোকদ্দমা। 

সমূদয় সম্পত্তির মূল্যঃ-১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা।

বাদীগণের ছাহামের অংশের মূল্যঃ- ৫,০০,০০০/ (পাঁচ লক্ষ) টাকা।

 

বাদীগণের বিনীত নিবেদন এই যে,

 

১। নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি অতঃপর অত্র আরজীতে যাহা নালিশী সম্পত্তি বলিয়া উল্লেখ হইবে উহা ঢাকা জিলার নবাবগঞ্জ থানাধীন নতুন বান্দুরা মৌজাস্থিত যাহার সি. এস. জে. এল. নম্বর ১১৩ সি. এস. খতিয়ান নম্বর ২২৩ সি. এস. দাগ নম্বর ১০৬ জমির পরিমাণ ১.১৭ যাহার সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক দখলকার ছিলেন বাদী এবং বিবাদীগণের পূর্ববর্তী আলম শেখ, পিতা মৃত- শেখ এবাদুল্লা। বর্ণিত আলম শেখ তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিসহ নালিশী খতিয়ান ও দাগের সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বিগত সি. এস. জরীপ আমলে আসিলে তাহার নামে উপরিউক্ত সি. এস. ২২৩ নম্বর খতিয়ানটি সঠিক ও শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

 

২। অতঃপর বর্ণিত আলম শেখ তফসিল বর্ণিত নালিশী খতিয়ান ও দাগের সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ৩ (তিন) পুত্র যথাক্রমে (ক) সাদেক আলী, (খ) মন্সুর আলী ও (গ) শেখ মাদু এবং ২ (দুই) কন্যা যথাক্রমে (ক) রহিমন নেছা ও (খ) নূর জাহান বেগম-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ফলে আলম শেখের প্রত্যেক পুত্র অর্থাৎ সাদেক আলী ৩ ভ্রাতা প্রত্যেকে ২৯২৫ একর এবং আলম শেখের প্রত্যেক কন্যা অর্থাৎ রহিমন নেছা গং ২ ভগ্নি প্রত্যেকে ১৪৬২৫ একর সম্পত্তিতে তাহাদের পিতার ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।

 

৩। অতঃপর বর্ণিত সাদেক আলী তাহার পিতার ত্যাজ্য তফসিল বর্ণিত নালিশী দাগ ও খতিয়ানের ২৯২৫ একর সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ৪ (চার) পুত্র যথাক্রমে (ক) গঞ্জর আলী, (খ) দূর্জন আলী, (গ) আব্দুল লতিফ এবং ১ নং বিবাদী আব্দুল জলিল-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে বর্ণিত সাদেক আলীর ত্যাজ্য বিত্তে তাহার প্রত্যেক পুত্র তাহাদের পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।

 

৪। অতঃপর বর্ণিত গুঞ্জর আলী তাহার পিতা সাদেক আলীর ত্যাজ্য বিত্তে অর্থাৎ ০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় তিনি ৪ (চার) পুত্র যথাক্রমে (ক) মোঃ সুলতান (২নং বিবাদী), (খ) মোঃ বোরহান উদ্দিন (অবিবাহিত অবস্থায় মৃত), (গ) মোঃ হিরন (৩নং বিবাদী) এবং (ঘ) মোঃ সোহরাব উদ্দিন (অবিবাহিত অবস্থায় মৃত)-কে এবং ৩ (তিন) কন্যা যথাক্রমে (ক) সবজন খাতুন (৪নং বিবাদী), (খ) জাহানারা বেগম (৫নং বিবাদী) এবং (গ) আলেজা বেগম (বর্তমানে মৃত)-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর বর্ণিত মোঃ বোরহান উদ্দিন ও মোঃ সোহরাব উদ্দিন অবিবাহিত অবস্থায় তাহার উপরিউক্ত ভ্রাতা- ভগ্নিদেরকে তাহাদের ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে বর্ণিত গুঞ্জর আলীর উপরিউক্ত ওয়ারিশগণের মধ্যে প্রত্যেক পুত্র ০২০৮৯২৮৫৭ একর এবং প্রত্যেক কন্যা ০১০৪৪৬৪২৮ একর করিয়া সম্পত্তিতে মালিকানা তথা ওয়ারিশী স্বত্ব অর্জন করেন অর্থাৎ বর্ণিত গুঞ্জর আলীর ওয়ারিশ ২ হইতে ৭নং বিবাদীগণ সম্মিলিতভাবে তাহার ত্যাজ্য,০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে মালিকানা তথা ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন। পরবর্তীতে বর্ণিত আলেজা বেগম তাহার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ০১০৪৪৬৪২৮ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় ৬নং বিবাদীকে তদিয়া একমাত্র পুত্র এবং ৭নং বিবাদীকে তদিয়া স্বামী তথা তদিয়া ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ফলে ৬নং বিবাদী তাহার মাতার ওয়ারিশ সূত্রে .০০৭৮৩৪৮২১ একর এবং ৭নং বিবাদী তাহার স্ত্রীর ওয়ারিশ সূত্রে ০০২৬১১৬০৭ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।

 

৫। অতঃপর বর্ণিত দূর্জন আলী তাহার পিতা সাদেক আলীর ত্যাজ্য বিত্তে অর্থাৎ ০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় তিনি ৩ (তিন) পুত্র যথাক্রমে (ক) শেখ জাফর (৮নং বিবাদী), (খ) শেখ জুলহাস (৯নং বিবাদী), (গ) শেখ জানু (১০নং বিবাদী) এবং ১ (এক) কন্যা করিমন নেছা-কে (১১নং বিবাদী)-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে দূর্জন আলীর প্রত্যেক প্রত্যেক পুত্র ০২০৮৯২৮৫৭ একর এবং কন্যা ০১০৪৪৬৪২৮ একর করিয়া নালিশী সম্পত্তিতে তথা খতিয়ানে মালিকানা তথা ওয়ারিশী স্বত্ব অর্জন করেন। অর্থাৎ বর্ণিত দূর্জন আলীর ওয়ারিশ ৮ হইতে ১১নং বিবাদীগণ সম্মিলিতভাবে তাহার ত্যাজ্য,০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে মালিকানা তথা ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।

 

৬। অতঃপর বর্ণিত আব্দুল লতিফ তাহার পিতা সাদেক আলীর ত্যাজ্য বিত্তে অর্থাৎ ০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় তিনি ৪ (চার) পুত্র যথাক্রমে (ক) মোঃ মজিবর রহমান (১২নং বিবাদী), (খ) মোঃ মোতালেব (১৩নং বিবাদী), (গ) মোঃ মতিউর রহমান, (১৪নং বিবাদী) এবং (ঘ) মোঃ আব্দুর রহিম (১৫নং বিবাদী) এবং ৩ (তিন) কন্যা যথাক্রমে (ক) মোসাঃ সুফিয়া খাতুন (১৬নং বিবাদী), (খ) মোসাঃ হাসিনা বেগম (১৭নং বিবাদী), এবং (গ) মোসাঃ নাসিমা বেগম (১৮নং বিবাদী) এবং স্ত্রী গোলাপ জান বিবি (১৯নং বিবাদী)-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। অর্থাৎ বর্ণিত আব্দুল লতিফের ওয়ারিশ ১২ হইতে ১৯নং বিবাদীগণ সম্মিলিতভাবে তাহার ত্যাজ্য ০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে মালিকানা তথা ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।

 

৭। বর্ণিত সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক বর্ণিত আলম শেখের অপর পুত্র বর্ণিত মুন্দুর আলী তাহার পিতার ত্যাজ্য বিত্তে অর্থাৎ তফসিল বর্ণিত নালিশী ২৯২৫ একর সম্পত্তিতে তাহার অপর ভ্রাতা-ভগ্নিদের সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহার উক্ত সমুদয় সম্পত্তি তদিয় স্ত্রী সাহাতন নেছার বরাবরে হস্তান্তর করতঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির খাস দখল তাহার বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন। বলা আবশ্যক, সাহাতন নেছার উক্ত নামীয় উক্ত দলিল ১নং বিবাদীর দখলে রহিয়াছে।

 

৮। অতঃপর বর্ণিত সাহাতন নেছা তাহার স্বামীর নিকট হইতে উপরিউক্তভাবে উল্লেখিত সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া তাহার নিজস্ব ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে থাকাবস্থায় উক্ত সম্পত্তি জনৈক হাসান আলী দফাদারের নিকট ১৪ ৪ শতাংশ সম্পত্তি এবং ১নং বিবাদী আব্দুল জলিলগংদের নিকট অবশিষ্ট সম্পত্তি সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল উক্ত ক্রেতাগণের বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববর্তী হন। অতঃপর বর্ণিত হাসান আলী দফাদার তাহার খরিদা সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় জনৈক আবুল হোসেনের নিকট সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল উক্ত ক্রেতা আবুল হোসেনের বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন। পরবর্তীতে বর্ণিত আবুল হোসেন তাহার খরিদা সম্পত্তি বর্তমান মোকদ্দমার ১৩-১৪নং বাদী এবং ১৬-১৭নং বাদীগণের পূর্ববর্তী শেখ আজিজুর রহমানের নিকট সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন। ফলে ১৩- ১৪ নং বাদী এবং বর্ণিত শেখ আজিজুর রহমান তাহাদের খরিদা সম্পত্তিতে তাহাদের স্ব স্ব অংশ অনুযায়ী ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বর্ণিত শেখ আজিজুর রহমান ১৬নং বাদীকে ১পুত্র এবং ১৭নং বাদীকে তদিয় স্ত্রী তথা একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন।

 

৯। সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক বর্ণিত আলম শেখের অপর পুত্র শেখ মাদু তাহার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ২৯২৫ একর সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ২ (দুই) পুত্র যথাক্রমে (ক) শেখ হাফিজ উদ্দিন ও (খ) শেখ আব্দুল হাকিম এবং ২ (দুই) কন্যা যথাক্রমে (ক) আমেনা খাতুন এবং (খ) মতিয়া খাতুন-কে তাঁদয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে প্রত্যেক পুত্র ০৯৭৫ একর এবং প্রত্যেক কন্যা ০৪৮৭৫ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।

 

১০। অতঃপর বর্ণিত শেখ হাফিজ উদ্দিন তাহার পিতা বর্ণিত শেখ মাদুর ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত,০৯৭৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় ৩ (তিন) পুত্র যথাক্রমে (ক) শেখ ওয়াসেক, (১২নং বাদী), (খ) শেখ ওয়াজেদ (১৩নং বাদী), (গ) শেখ মজিবুর রহমান (১৪নং বাদী) এবং এক পৌত্র শেখ আল আমিন (১৬নং বাদীকে) এবং ১ (এক) কন্যা হামিদা বেগম (১৫নং বাদী)- কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে বর্ণিত শেখ হাফিজ উদ্দিনের প্রত্যেক পুত্র এবং একই সঙ্গে তাহার পৌত্র অর্থাৎ ১৬নং বাদী প্রত্যেকে তাহার (হাফিজ উদ্দিনে) ত্যাজ্য বিত্তে ০২১৬৬৬৬৬৬ একর এবং তাহার একমাত্র কন্যা তাহার ত্যাজ্য বিত্তে ০১০৮৩৩৩৩৩ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন। ফলে বর্ণিত হাফিজ উদ্দিনের ত্যাজ্য .০৯৭৫ একর সম্পত্তিতে তাহার ওয়ারিশ ও অধস্তন ওয়ারিশগণ অর্থাৎ ১২ হইতে ১৭নং বাদীগণ সম্মিলিতভাবে মালিকানা তথা ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন এবং অত্র আরজীর ৮নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী খরিদা ১৪ শতাংশ বা ১৪৫০ একর সম্পত্তি এবং আরজীর ১২নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী বর্ণিত আমেনা খাতুনের ওয়ারিশী স্বত্বে ০০৮১২৫ একর অর্থাৎ ২৫০২৫ একর সম্পত্তি অপর সহ-শরীকদের সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে আছেন।

 

১১ । অতঃপর বর্ণিত শেখ আব্দুল হাকিম তাহার পিতা বর্ণিত শেখ মাদুর ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত ০৯৭৫ একর সম্পত্তিতে এবং আরজীর ১২নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী তদিয় ভগ্নি আমেনা খাতুনের ওয়ারিশ সূত্রে ০০৮১২৫ একর সম্পত্তিতে অর্থাৎ তাহার পিতার ও ভগ্নির ওয়ারিশ সূত্রে সম্মিলিতভাবে ১০৫৬২৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় ৯ (নয়) পুত্র যথাক্রমে (ক) মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিক (১নং বাদী), (খ) মোঃ ইদ্রিস আহমেদ (২নং বাদী), (গ) মোঃ কামরুল ইসলাম (৩নং বাদী), (ঘ)  মোঃ নজরুল ইসলাম (৪নং বাদী), (ঙ) মোঃ সহিদুল ইসলাম (৫নং বাদী), (চ) মোঃ মামুন ইসলাম (৬নং বাদী), (ছ) মোঃ মঞ্জুর ইসলাম (৭নং বাদী), (জ) মোঃ মদুর ইসলাম (৮নং বাদী), এবং (ঝ) মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৯নং বাদী)-কে এবং ১ (এক) কন্যা রাবেয়া খাতুন (১০নং বাদী) এবং স্ত্রী বেগম সোনা বান-কে (১১নং বাদী)-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে বর্ণিত আব্দুল হাকিমের ত্যাজ্য ১০৫৬২৫ একর সম্পত্তিতে তাহার ওয়ারিশ ১ হইতে ১১নং বাদীগণ সম্মিলিতভাবে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করত: এবং অপর সহ-শরীকদের সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে আছেন।

 

১২। অতঃপর বর্ণিত আসেনা খাতুন আমার পিতা বর্ণিত শেখ মাসুর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১৯৮৭৫ একর সম্পতিতে মালিক দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় ও (তিন) কন্যা যথাক্রমে (ক) করিয়া বেগম, (গ) সাহেরা খাতুন এবং (গ) সবুরা খাতুন (১৮নং বাদী) এবং তদিয় সহোদর ২ (দুই) বারা প্রি হামন ও আবুল হাকিম কে অনিয়া ত্যাজ্য বিওভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে বর্ণিত হাদিস উদ্দিনগং ২হাতা তাহাসের অগ্নি আমেনা খাতুনের রাজ্য বিয়ে ০১৯২৫ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন এবং অপরদিকে বর্ণিত রুবিয়া বেগমলা ও ভগ্নি তাহাদের মাতার ত্যাজ্য বিত্তে সম্মিলিতভাবে ০৩২৫ অর্থাৎ প্রত্যেকে ০১-০৮-৩০০০০ একর করিয়া সম্পত্তি প্রাপ্ত হন। ফলে ১৮৭ং বাদী সবুরা বেগম তাহার মাতৃ ত্যাজ্য সম্পত্তিতে তাহার প্রাপ্ত ভংগে তাহার অপরাপর সহ-পরীকদের সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে রত আছে।

 

১৩। অতঃপর বর্ণিত রুবিয়া বেগম তাহার মাতা আমেনা খায়ুনের তাজ্য ০১০৮৩০০০০ n সম্পত্তিতে তাহার অপর সহ-শরীকদের সহিত এজমালিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় ও (তিন) পূর্ব যথাক্রমে (ক) মোঃ লিটন (১৯নং বাদী), (খ) মোঃ লিপন (২০নং বাদী) ও (গ) মোঃ রায় (২১নং বাদী) এবং ৩ (তিন) কন্যা যথাক্রমে (ক) লাইলী বেগম, (২২নং বাদী), (খ) লাভলী বেগম, (২৫নং বাদী) এবং (গ) লীনা বেগম (২৪নং বাদী)-কে তদিয়া ত্যাজ্য বিয়য়েণী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে বর্ণিত রুবিয়া বেগমের ওয়ারিশগণ অতি ১৯ হইতে ২৪ নং বিবাদী সম্মিলিতভাবে তাহাদের মাতার ত্যাজ্য ০১০৮৩৩৩৩৩ একর সম্পত্তিতে মালিকানা লাভ করেন এবং অপর সহ-পরীকদের সহিত এজমালিতে রোগ দখলে আছেন।

 

১৪। অতঃপর বর্ণিত সাহেরা বেগম তাহার মাতা আমেনা খাতুনের আজ্য ০১০৮০০০০০ একর সম্পত্তিতে তাহার অপর সহ-পরীকদের সহিত এজমালিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় ১ (এক) পুত্র মুরাদ (২৫নংবাদী) এবং স্বামী আব্দুস সালাম (২৬নং বাদী)-কে তদিয়া আজ্য বিয়রোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে ২৫ এবং ২৬ নং বাদীয়ার সম্মিলিতভাবে বর্ণিত সাহেরা বেগমের ত্যাজ্য ০১০৮০০০০০ একর সম্পত্তিতে এজমালিয়ে অপর সহ-শরীকদের সহিত ভোগ দখলে রত আছেন।

 

১৫। অতঃপর শেখ মাদুর অপর কন্যা বর্ণিত মতিয়া খাতুন তাহার পিতা বর্ণিত শেখ মামুর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ০৪৮৭৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় ১ (এক) পুত্র মোঃ ফজলুল হক এবং ১ (এক) কন্যা রোকেয়া বেগম (২৭নং বাদী)-কে তদিয়া তজ্য বিতভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। অতঃপর বর্ণিত ফজলুল হক তাহার মাতৃ আজ্যা সম্পত্তিতে তাহার অপর সহ-শরীকদের সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ২ (দুই) পুত্র যথাক্রমে (ক) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (২৮নং বাদী), এবং (খ) মোঃ আলমগীর (২৯নং বাদী) এবং ১ (এক) কন্যা মোসাঃ ফরিদা বেগম (৩০নং বাদী)-কে তদিয় আজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। ফলে বর্ণিত ২৭ হইতে ৩০ নং বাদীগণ সম্মিলিতভাবে বর্ণিত মতিয়া খাতুনের ত্যাজ্য ০৪৮৭৫ একর সম্পত্তিতে তাহাদের অপর সহ-শরীকদের সহিত এমনদিয়ে ভোগ দখলে রত আছেন।

 

১৬। অতঃপর বর্ণিত সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক বর্ণিত আলম শেখের কন্যা রহিমন দেখা আমার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১৪৬২৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় ২ (দুই) পুত্র যথাক্রমে (ক) শেখ ইয়াছিন এবং (খ) শেখ সৈয়দ আলী-কে তদিয় আজ্য বিষয়োগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন।

 

১৭। অতঃপর বর্ণিত শেখ সৈয়দ আলী তাহার মাতার অ্যাজা ০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে স্লোগ দখলে থাকাবস্থায় ৪পুত্র যথাক্রমে আলীমদ্দিন (৩১নং বানী), মোঃ আরিফ (৩২নং বাদী), মোঃ আক্তার (৩০নং বাদী) ও মোঃ মোক্তার (৩৪নং বিবাদী) এবং ২ কন্যা যথাক্রমে মোসাঃ আমিয়া বেগম (বং বানী) ও মোসাঃ রাজিয়া বেগম (৩৬নং বাদী) এবং স্ত্রী মোসাঃ কোহিনুর বেগম-কে (৫৭নং বাদী)-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। ফলে ৩১ হইতে ৩৭নং বাদীগণ সম্মিলিতভাবে ০৭০১২৫ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী হতু লাভ করেন।

 

১৮। অতঃপর বর্ণিত শেখ ইয়াছিন তাহার মাতার ত্যাজ্য ০৭৩১২৫ একর সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বিগত ১৭/০৬/১৯৬৪ তারিখে সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত ২৪২১ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে ০৬৫০ একর সম্পত্তি সাহাতন নেছার নিকট সাফ বিক্রয় করতঃ দখল বুঝাইয়া দেন। অতঃপর বর্ণিত ইয়াছিন তাহার অবশিষ্ট ০০৮১২৫ একর সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ৩পুত্র যথাক্রমে শেখ কফিল উদ্দিন (২০নং বিবাদী), শেখ কহেল উদ্দিন (২১নং বিবাদী) ও শেখ জনু (২২নং বিবাদী) এবং ৩ কন্যা যথাক্রমে মোসাঃ পাখি বেগম (২৩নং বিবাদী), মোসাঃ মন্টি বেগম (২৪নং বিবাদী) ও মোসাঃ নীল বানু (২৫নং বিবাদী)-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন।

 

১৯। অতঃপর বর্ণিত সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক বর্ণিত আলম শেখের অপর কন্যা নূর জাহান বেগম তাহার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ১৪৬২৫ একর সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত থাকাবস্থায় ১পুত্র (ক) আছর উদ্দিন মোল্লাকে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে বর্ণিত আছর উদ্দিন মোল্লা কাশেম আলীকে ১পুত্র (২৬নং বিবাদী) এবং নূরী বেগম (২৭নং বিবাদী), কুলসুম বিবি (২৮নং বিবাদী) এবং হালিমন নেছা (২৯নং বিবাদী)-কে ৩কন্যা তথা তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন কনের। ফলে পুত্র কাশেম আলী তাহার মাতার ত্যাজ্য বিত্তে ০৫৮৫ একর এবং প্রত্যেক কন্যা তাহাদের মাতার ত্যাজ্য বিত্তে ০২৯২৫ একর সম্পত্তিতে ওয়ারিশী স্বত্ব লাভ করেন।

 

২০। অত্র আরজীর উপরিউক্ত বর্ণনা অনুযায়ী বাদীগণ বর্ণিত আলম শেখের অধস্তন ওয়ারিশ হিসাবে তফসিল বর্ণিত নালিশী খতিয়ান ও দাগে সম্মিলিতভাবে ৫১০৬২৫ একর সম্পত্তিতে মালিক ও স্বত্বাধিকারী। কিন্তু বাদীগণ তাহাদের প্রাপ্য ৫১০৬২৫ একর সম্পত্তি হইতে কম সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকায় এবং সমুদয় নালিশী সম্পত্তি এজমালিতে থাকায় এবং বাদী ও বিবাদীদের মধ্যে নালিশী সম্পত্তি বাই মিটস অ্যান্ড বাউন্ড কখনও ভাগ-বন্টন না হওয়ায় বাদীগণ তাহাদের প্রাপ্যাংশের চাইতে কম সম্পত্তিতে ভোগ দখলে রত আছেন। তদুপরি নালিশী সম্পত্তি এজমালিতে থাকায় উক্ত সম্পত্তির দেয় খাজনা ট্যাক্সাদি এজমালিতে থাকায় তাহা পরিশোধের ক্ষেত্রেও বাদী- বিবাদীগণের মধ্যে মাঝে মধ্যেই মতানৈক্য দেখা দেয় এবং উক্ত বিষয়ে কথা কাটাকাটি তথা ঝগড়া-বিবাদে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু নালিশী সম্পত্তি এজমালী সম্পত্তি হেতু এবং উক্ত সম্পত্তি পক্ষগণের মধ্যে আইনানুযায়ী কোন ভাগ-বন্টন না হওয়ায় বাদীগণ বিগত ২২/০১/২০১০ তারিখে ২নং বিবাদী মোঃ সুলতান ও আরও কতিপয় বিবাদীকে নালিশী সম্পত্তি বণ্টন করিয়া দিতে ও লইতে অনুরোধ করিলে তাহারা (বিবাদীগণ) বাদীগণের অনুরোধে প্রথমে আমতা আমতা করিলেও পরবর্তী উক্তরূপ বণ্টন করিয়া দিতে ও লইতে সরাসরি অস্বীকার করেন। ২নং এবং ১২নং বিবাদীগণ নালিশী সম্পত্তি বণ্টন করিয়া দিতে ও লইতে অস্বীকার করায় বাদীগণ অত্রাকারে বন্টনের ডিক্রির প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিতে বাধ্য হইলেন। প্রসঙ্গতঃ আরও উল্লেখ্য, ১২, ১৬, ১৭, ২০, এবং ৩২ নং বাদীগণ বর্তমানে দেশের বাহিরে থাকায় তাহাদের পক্ষে অত্র মোকদ্দমায় প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য ৩নং বাদী মোঃ নজরুল ইসলামকে ফোনের মাধ্যমে তাহাদের আমমোক্তার নিযুক্ত করিয়াছেন এবং তাহারা দেশে ফিরিয়া আসিলেই লিখিত আমমোক্তানামা দলিলের মাধ্যমে ৩নং বাদীকে তাহাদের আমমোক্তার নিযুক্ত করিবেন।

 

২১। মোকদ্দমার কারণঃ-তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি পক্ষদ্বয়ের মধ্যে ইতোপূর্বে বাই মিটস অ্যান্ড বাউন্ড ভাগ বন্টন না হইবার কারণে অত্র মোকদ্দমার বণ্টনের নালিশের কারণ সর্বদাই বিদ্যমান রহিয়াছে। কিন্তু তবুও বাদীগণ কর্তৃক বিবাদীগণকে নালিশী সম্পত্তি বণ্টন করিয়া দিতে ও লইতে অনুরোধ করিলে বিবাদীগণ তাহা সরাসরি অস্বীকার করায় অত্র মোকদ্দমার কারণ বিগত ২২/০১/২০১০ তারিখে অত্রাদালতের এলাকাধীন নবাবগঞ্জ থানার অন্তর্গত নতুন বান্দুরা মৌজাহিত তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে অত্র মোকদ্দমার কারণ উদ্ভব হইয়া এখনও বিদ্যমান আছে।

 

২২। মোকদ্দমার মূল্যায়নঃ-সমুদয় নালিশী সম্পত্তির আনুমানিক বাজার মূল্য =১০,০০,০০০/= (দশ লক্ষ) টাকা ধার্য করিয়া যেহেতু বাদী এবং বিবাদীগণ নালিশী সম্পত্তিতে এজমালিতে ভোগ দখলে আছেন সেইহেতু বাদীগণের ছাহামের মূল্য =৫,০০,০০০/ (পাঁচ লক্ষ) টাকা ধার্য্য করিয়া নির্দ্ধারিত তথা ঠিকা টাকার কোর্ট ফি প্রদান পূর্বক বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা গেল।

 

অতএব বাদীগণের বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়াঃ-

 

(ক) তফসিল বর্ণিত নালিশী সমুদয় সম্পত্তির মধ্যে বাদীগণ সম্মিলিতভাবে ৫১০৬২৫ একর সম্পত্তি সম্পর্কে বাদীগণের অনুকূলে  বিবাদীগণের প্রতিকূলে বণ্টনের প্রাথমিক এক ডিক্রি দিতে;

 

এবং

 

(খ) একজন সার্ভে জানা অ্যাডভোকেট-কমিশনার নিয়োগক্রমে নালিশী  সম্পত্তির ৫১০৬২৫ একর সম্পত্তির তুল্য মূল্য ও গৌরবের এক লপ্ত ও  সুবিধাজনক ছাহাম নির্দিষ্ট করিয়া এবং বাদীগণের বর্তমান দখল ঠিক  রাখিয়া এবং অবশিষ্ট সম্পত্তির সকল প্রকার বাঁধা-বিপত্তি অপসারণ  পূর্বক বাদীগণকে উহার খাস দখল দিতে;

 

এবং

 

(গ) অ্যাডভোকেট কমিশনারের রিপোর্ট/প্রতিবেদন গ্রহণ করিয়া এবং  উক্ত রিপোর্ট/ প্রতিবেদন ডিক্রীর একাংশ গণ্যে চূড়ান্ত ডিক্রী প্রদান  করিতে আজ্ঞা হয়;

এবং

 

(ঘ) মোকদ্দমার যাবতীয় খরচের ডিক্রি বাদীগণের অনুকূলে এবং  বিবাদীগণের প্রতিকূলে দিতে;

 

এবং

 

(ঙ) আইন ও ইকুইটি মোতাবেক বাদীগণ আর যেসকল প্রতিকার পাইবার অধিকারী হয় তদবিষয়ে যথাপোযুক্ত ডিক্রি প্রদান করিতে মর্জি  হয়।

 

নালিশী সম্পত্তির তফসিলঃ

 

জিলা ঢাকার নবাবগঞ্জ থানাধীন নতুন বান্দুরা মৌজাস্থিত যাহার সি. এস. জে. এল. নম্বর ১১৩ সি. এস. খতিয়ান নম্বর ২২৩ সি. এস. দাগ নম্বর ১০৬ জমির পরিমাণ ১.১৭ যাহার এস. এ. খতিয়ান নম্বর সাবেক ২২৩ হালে ২৩৪ এস. এ. দাগ নম্বর ১০৬ জমির পরিমাণ ১.১৭ একর যাহার আর, এস. জে. এল, নম্বর ৮৯ আর, এস. খতিয়ান নম্বর ২০৩ আর. এস. দাগ নম্বর যথাক্রমে ২৫৮ এবং ২৫৯ জমির পরিমাণ ১.১৭ একর। উত্তরেঃ-রাস্তা, দক্ষিনেঃ-আজিম উদ্দিনগংদের সম্পত্তি, পূর্বেঃ-হালট এবং পশ্চিমেঃ-মোহাম্মাদ আলী সিদ্দিকগংদের সম্পত্তি। উক্ত ১.১৭ একর সম্পত্তির মধ্যে বাদীগণ সম্মিলিতভাবে ৫১০৬২৫ একর সম্পত্তির প্রাথমিক ডিক্রীর প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল।

 

সত্যপাঠঃ-

অত্র আরজীর সকল বিবরণ আমাদের কথামত লেখা হইয়াছে জানিয়া  উহার সত্যতা স্বীকারে অত্র সত্যপাঠে আমাদের আইনজীবী সাহেবের  চেম্বারে বসিয়া আমি ৩নং বাদী অত্র সত্যপাঠে দস্তখত প্রদান করিলাম।

———————–

(মোঃ নজরুল ইসলাম)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *