২০০০ ইং সালের কপিরাইট আইন (Copyright Act, 2000) এর ৭৬ ধারা অনুসারে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমার আর্জি।
মোকাম: বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত, ঢাকা।
দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১২৪/২০২৪
হাফেজ মোঃ সাইফল্লাহ
পিতা- মৃতঃ জুম্মন মিয়া, সা-১৪ গোলাম মোস্তফা লেন,
থানা-বংশাল, জেলা-ঢাকা।
—————–বাদী।
-বনাম-
১। মোঃ আব্দুল্লাহ (বাবুল)
পিতা মৃতঃ জুম্মন মিয়া, সাং-১৪ গোলাম মোস্তাফা লেন,
থানা-বংশাল, জেলা-ঢাকা।
২। মোঃ ফিরোজ হোসেন
পিতা-মৃত ইসহাক মিয়া, সাং-১০৭ মতিঝিল বা/এ,
থানা- মতিঝিল, জেলা-ঢাকা।
৩। মোঃ সাখাওয়াত হোসেন
পিতা- অজ্ঞাত, সাং- ১০৩/১৪ মহাখালী, গুলশান ১নং রোড
থানা- বনানী, জেলা-ঢাকা।
৪। রিয়াজ মিয়া
পিতা- মৃতঃ মতি মিয়া, সাং- ১০৭ জেল খানার ঢাল,
আবুল হাসনাত রোড, সাতরওজা, খানা- বংশাল, জেলা-ঢাকা।
৫। মোঃ জসিম উদ্দিন
পিতা- অজ্ঞাত, সাং-৭১ কাজী আলাউদ্দিন রোড,
থানা- বংশাল, জেলা-ঢাকা।
—————–বিবাদীগণ।
২০০০ ইং সালের কপিরাইট আইনের ৭৬ ধারা অনুসারে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা।
মাকদ্দমার তায়দাদ মং- ১০০০/- (এক হাজার) টাকা।
বাদীপক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১। যেহেতু বাদীর চাচা নান্না মিয়া ১৯৫০ সালে পুরাতন ঢাকার মৌলভী বাজারে শাহী মোরগ পোলাও নামে বিরানীর ব্যবসা শুরু করেন এবং দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ উক্ত মৌলভী বাজারে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে বিরাণীর ব্যবসা চালাইয়া আসিতে থাকাবস্থায় পরবর্তীতে ঠিকানা পরিবর্তন করিয়া ১৬নং বেচারাম দেউরীতে উক্ত শাহী মোরগ পোলাও নামে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ তাহার নিজ নামে বিরানীর ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতে থাকে এবং ধীরে ধীরে সারা ঢাকা শহরে তাহার বিরানীর সুনাম ছড়াইয়া পড়ে। একপর্যায়ে নান্না বিরানী নামে পরিচিত লাভ করে এবং এক নামে কলের কাছে সুনাম অর্জন করে। পরবর্তীতে নান্না মিয়া হজ্জ ব্রত পালনের পর হাজী নান্না মিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। তৎপর বাদীর চাচা হাজী নান্না মিয়া ঠিকানা পরিবর্তন করিয়া ৪২নং বেচারাম দেউরী সর্দার ভবনে উক্ত শাহী মোরগ পোলাও এর ব্যবসা করিতে থাকাবস্থায় তাহার সহযোগীতার জন্য বাদীকে তাহার বিরানীর ব্যবসা সঙ্গে যুক্ত করে ১৯৬৫ সালে। তৎপর বাদী এবং তাহার চাচা হাজী নান্না মিয়া ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত ঐ একই ঠিকানায় অত্যন্ত সুনাম ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে বিরানীর ব্যবসা করিয়া আসিতে থাকে।
২। যেহেতু যেহেতু উক্ত ত হাজী নান্না মিয়া বয়সে বৃদ্ধ হইয়া গেলে ১৯৭২ সালে তাহার শাহী মোরগ পোলাও প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন বাদীকে বুঝাইয়া দেয়। তখন বাদী উক্ত নান্না বিরানী তাহার চাচার নিকট হইতে মালিকানা/ পরিচালনার দায়িত্ব প্রাপ্ত হইয়া উক্ত ৪২নং বেচারাম দেউরীতে তাহার চাচা হাজী নান্না মিয়ার তত্ত্বাবধানে বাদী বিরানীর ব্যবসা অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করিয়া আসিতে থাকে। এক পর্যায়ে হাজী নান্না মিয়া তাহার বিরানীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বাদীকে মালিকানা সহ সকল প্রকার দায়িত্ব বুঝাইয়া দেয়।
৩। যেহেতু বাদী শাহী মোরগ পোলাও নামীয় নান্না মিয়া বিরানী প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা ও মালিকানার দায়িত্ব পাইয়া অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করিয়া আসিতে থাকাবস্থায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হইতে ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্ত হয়। যাহার নং-০৩২৬০৩৫। উক্ত ট্রেড লাইসেন্স প্রতি বৎসর নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হইতে সর্বশেষ ২০১২-২০১৩ সাল পর্যন্ত নবায়ন করে নেয়।
৪। যেহেতু বাদী শাহী মোরগ পোলাও ও নামীয় নান্না বিরানীর সর্ব স্বত্ব লাভের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কপিরাইট দপ্তর হইতে বিগত ২৪/১১/২০০৯ইং তারিখে নান্না বিরানীর উপর কপিরাইট সার্টিফিকেট লাভ করেন। যাহার রেজিষ্ট্রেশন নং- ১১২৫৮-করার। যাহার প্রেক্ষিতে শাহী মোরগ পোলাও নামীয় নান্না বিরানীর উপর বাদী সর্বস্বত্ব লাভ করেন এবং বিরানীর প্যাকেটের উপর কপিরাইট রেজিঃ নং স্থাপন করিয়া শাহী মোরগ পোলাও এর অনুকূলে স্বত্বাধিকার লাভ করিয়া বিরানীর ব্যবসা করিতে থাকেন। তাহার বিরানীর প্যাকেটের উপর বড় হরফে শাহী মোরগ পোলাও এবং হাজী নান্না মিয়া এবং নান্না বিরানী উল্লেখ করিয়া বর্তমানে ২টি প্রতিষ্ঠান, একটি ৪২/১ বেচারাম দেউরী এবং অপপরটি ৫৫/এ পুরানো পল্টন, সিদ্দিক ম্যানসনের নীচতলায় অত্যন্ত সুনামও দক্ষতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে এবং বাদী নিয়মিত আয়কর পরিশোধ করিয়া আসিতেছে।
৫। যেহেতু বাদী নান্না বিরানী নামীয় শাহী মোরগ পোলাও এর উপর ২০০৯ সালে কপিরাইট স্বত্ব অর্জন করিয়াছে। যাহা দরুন অন্য কেহ উক্ত কপিরাইট এর সহি সাদৃশ্য পূর্ণ বা সেইরূপ সাদৃশ্য বহন করে এমন কোন শব্দ বা শিল্প কর্ম বা চারুকর্ম ব্যবহার করিতে পারিবে না। উল্লেখ যে, বাদীর নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত শিল্প কর্মটি সর্বমহলে বিপুল সমাদৃত ও খ্যাতি অর্জন করিয়াছে।
৬। যেহেতু ঢাকার মানুষের কাছে নান্না বিরানী নামীয় শাহী মোরগ পোলাও খাদ্যটি অত্যন্ত সুপরিচিতি ও সমাদৃত বিধায় ১-৫ নং বিবাদী দুর্লোভের বশবর্তী হইয়া বাদীর নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত শিল্প কর্মটি হুবহু নকল করিয়া শাহী মোরগ পোলাও ও হাজী নান্না মিয়া, নান্না বিরানী, নিউ নান্না মিয়ার শাহী মোরগ পোলাও এবং ৪নং বিবাদী কর্তৃক ভূয়া রেজিষ্ট্রেশন নং- ৭৬১৬২ এবং মোঃ নান্নু মিয়ার শাহী মোরগ পোলাও নাম করণ পূর্বক ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। ১-৫ নং বিবাদী বেআইনীভাবে বাদীর কপিরাইট ব্যবহার করিতে থাকিলে বাদী বিগত ১২/১২/১২ইং তারিখে দেখিতে পান যে, ১-৫নং বিবাদীগণ বাদীর কপিরাইট প্রাপ্ত নালিশী শিল্প কর্মটি হুবহু নকল করিয়া সাইন বোর্ড ব্যবহার করিয়া এবং হুবহু বিরানীর প্যাকেট নকল করিয়া বেআইনী ভাবে ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। অতঃপর বাদী বিগত ২৮/১/১৩ইং তারিখে উহার সত্যতা যাচাইয়ের সংগ্রহ করিয়া দেখিতে পান যে বাদীর নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত শিল্প কর্মটির কপিরাইট হুবহু নকল করিয়া এবং নান্না বিরানী নামকরণ পূর্বক ব্যবহার করিতেছে। তখন বাদী বিবাদীদের সাইনবোর্ড এর ছবি উত্তোলন করেন এবং প্যাকেট সংগ্রহ করেন। বিবাদীদের উক্ত সকল শিল্পকর্ম সম্বলিত প্যাকেট গুলি নালিশী ‘খ’ তফসিল বলিয়া গণ্য হইবে।
৭। অতপর বাদী বিগত ২০/২/১৩ইং তারিখে ১-৫ নং বিবাদীগণ কর্তৃক নকলকৃত “খ” তফসিলের প্যাকেট গুলি ১-৫ নং বিবাদীদের দেখাইয়া মৌখিক ভাবে তাহাদের কে নান্না বিরানী নামীয় শাহী মোরগ পোলাও নাম দিয়া বিরানীর ব্যবসা করিতে বারণ করেন এবং এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করিলে নকলবাজ ও কপিরাইট ভঙ্গকারী ধূর্ত ১-৫ নং বিবাদীগণ তাহাদের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ না করিলে বাদী বিগত ২৭/০২/১৩ইং তারিখে পুনরায় বিবাদী গণের নিকট গমন করিয়া এবং সর্বশেষ বিগত ১১/৩/১৩ইং তারিখে পূনরায় বিবাদীগণের নিকট গমন করিয়া ১-৫নং নং বিবাদীদের মৌখিক ভাবে নোটিশ প্রদান করিয়া ১-৫নং বিবাদী কর্তৃক কপিরাইট ভঙ্গের অবৈধ কার্যকলাপ হইতে বিরত থাকিয়া তাহাদেরকে নান্না বিরানী নাম ও শাহী মোরগ পোলাও নাম ব্যবহার না করিয়া ভিন্নতর প্যাকেটের ও ভিন্নতর নামের মাধ্যমে ব্যবসা করার অন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু ধূর্ত ও শঠ ১-৫ নং বিবাদীগণ বাদীর মৌখিক নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া ও তাহাদের অবৈধ বেআইনী কার্যকলাপ বন্ধ করে নাই এবং তাহারা যে কোন মূল্যে একই নামে ব্যবসা করিয়া অনবরত হুমকি দিয়া আসিতেছে এবং নতুন দোকান খলিবে বলিয়া প্রচার করিতেছে। ।
৮। যেহেতু বাদী ও ১-৫ নং বিবাদীগণের নালিশী ‘ক’ ও ‘খ’ তফসিলের শিল্প কর্মের সম্বলিত প্যাকেট গুলি লক্ষ্য করিলে দেখা যায় যে, ১-৫ নং বিবাদীগণ বাদীর নান্না বিরানী নামীয় শাহী মোরগ পোলাও নামক শব্দ ও সংশিষ্ট শিল্প কর্ম হুবহু ও কপিরাইটকৃত নিজস্ব ডিজাইন, গেটআপ নকল করিয়া বিবাদীগণ বিরানীর ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। নালিশী ‘ক’ তফসিলের প্যাকেটের হুবহু লেখা, ছবি, ডিজাইন ১-৫ নং বিবাদীগণ একই ভাবে ছাপাইয়া ক্রেতা সাধারণকে ধোকা দিয়া আসিতেছে। বিবাদীগণ বাদীর ‘ক’ তফসিল বর্ণিত এবং সর্ব স্বত্ব সংরক্ষিত কপিরাইট অনুযায়ী প্যাকেটের ২৬ বিবরনাদি ১-৫ বিবাদী একই নাম ধরনের মাধ্যমে কোন প্রকার কপিরাইট স্বত্ব না নিয়া ব্যাবসায়িক বৈধতা না নিয়া বাদীর ব্যবসার প্রতি ঈর্ষান্বিত হইয়া তাহার দীর্ঘদিনের সুনামকে নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এবং বাদীর ক্রেতাদেরকে ধোকা দেওয়ার উদ্দেশ্যে একই ধরনের নাম, ডিজাইন, ব্যবহার করিয়া প্রতারণার মাধ্যমে ব্যবসা করিয়া আসিতেছে। যাহার কোন আইনগত অধিকার ১-৫ নং বিবাদীদের নাই। বিবাদীগণ বাদীর ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধণ করিবার অসৎ উদ্দেশ্য উপরোক্ত বেআইনী কার্যকলাপে লিপ্ত রহিয়াছে। এমনকি একই নামের উপর ১নং বিবাদী একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার হুমকি দিয়া আসিতেছে। বাদীর কোন নিষেধ তাহারা মানিতেছে না। তাহারা উপরোক্ত বেআইনী কার্যকলাপে লিপ্ত রহিয়াছে। যাহার দ্বারা বাদীল ব্যবসায়ের অপূরণীয় ক্ষতিসাধিত হইতেছে। যাহা অর্থ দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নহে বিধায় বাদী অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হইলেন।
৯। যেহেতু ধূর্ত ও শঠ ১-৫নং বিবাদীগণ বাদরি কপিরাইট এর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হইয়া তাহার ব্যবসার অপূরণীয় ক্ষতি সাধণ করার উদ্দেশ্যে নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত কপিরাইট নিকটতম সাদৃশ্যমূলক কপিরাইট হিসাবে ব্যবহার করিয়া ও নকল করিয়া বাদীর ক্রেতা সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও প্রতারণা সৃষ্টি করিয়া বাদীর ব্যবসার সুনামের ক্ষতি সাধন করিয়া আসিতেছে। যাহা টাকার অংকে নির্ধারণ করা সম্ভব পর নহে। উক্ত বিভ্রান্তিকর নকল কপিরাইট সম্বলিত শাহী মোরগ পোলাও হাজী নান্না মিয়া ও নান্না বিরানী শব্দ ও সংশ্লিষ্ট শিল্প কর্ম, নাম ব্যবহারে ফলে বাদী ক্ষতিগ্রস্থ হইয়া আসিতেছে এবং বাদীর ক্রেতা সাধারণ প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হইয়া আসিতেছে। যাহা আইন দ্বারা বারিত হওয়া আবশ্যক।
১০। যেহেতু ১-৫ নং বিবাদীগণ বাদীর ব্যবসায়িক ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে বাদীর নালিশী ‘ক’ তফসিল বর্ণিত শিল্প কর্মটি হুবহু নকল করিয়া বিরানীর ব্যবসা করিয়া আসিতেছে বিধায় ১-৫ নং বিবাদীদের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ হওয়ার আবশ্যক। তাই বাদী বাধ্য হইয়া অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিলেন। অত্র মোকদ্দমার ভারসাম্য বাদীল অনুকূলে ও বিবাদীদের প্রতিকূলে বিদ্যমান এবং বাদীর প্রাইমাফেসী ও আর্গুয়েবল কেইস আছে।
১১। অত্র মোকদ্দমার নালিশের কারণ বিগত ১২/১২/১২ইং, ২৮/১/১৩ইং ২০/২/১৩ই, ২৭/২/১৩ইং ১১/৩/১৩ইং তারিখ সহ বিভিন্ন তারিখে বিভিন্ন সময়ে এবং অদ্যাবধি অত্র আদালতের এখতিয়ারাধীন সাবেক কোতয়ালী হালে-বংশাল থানার অধীন উদ্ভব হইয়া অদ্যাবধি বিদ্যামান আছে।
১২। যেহেতু অত্র মোকদ্দমা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা হওয়ার কারণে উহার নির্দিষ্ট কোন দায়দাদ না থাকায় ১০০০/- (এক হাজার) টাকা তায়দাদ নির্ধারণ ক্রমে তদুপরি ঠিকা কোর্ট ফি প্রদান করা হইল।
১৩। অতএব বাদীপক্ষের বিনীত প্রার্থনা এই যে,
(ক) বাদীর ‘ক’ তফসিল বর্ণিত আসল শিল্প কর্ম/প্যাকেট/ সাইবোর্ড নাম হুবহু ও অবিকল নকল করিয়া “খ” তফসিল বর্ণিত নকল শিল্পকর্ম দ্বারা ১-৫ নং বিবাদীগণ যাহাতে তাহাদের বিরানীর ব্যবসায় ব্যবহার সহ পরিচালনা করিতে না পারে সেই মর্মে ১-৫ নং বিবাদীদের বারিত পূর্বক বাদীর পক্ষে ও বিবাদীদের বিরুদ্ধে কপিরাইট লংঘনের দায়ে এক চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী দিতে;
(খ) ময় আদালত ব্যয় খরচ দিতে;
(গ) আইন ও ইক্যুইটি মূলে বাদীপক্ষে আর যে যে প্রতিকার পাইতে পারে সেই মর্মে এক আদেশ দিতে;
সত্যপাঠ
অত্র আরজীর যাবতীয় বিবরণ সত্য ও সঠিক জানিয়া বিজ্ঞ আইনজীবি সাহেবের চেম্বারে বসিয়া অত্র সত্যপাঠে নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম।
————————-
সত্যপাঠকারীর স্বাক্ষর