কিভাবে কোম্পানী গঠন করবেন–
একটি কোম্পানী গঠন করার আগে জানতে হবে কোম্পানী কি ?
কোম্পানী কি–
কোম্পানী বলতে সাধারণত বাংলাদেশে প্রচলিত কোম্পানী আইন ১৯৯৪ অনুযায়ী গঠিত প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়। কোম্পানী সাধারণত লাভের আশায় ব্যবসায়িক কার্য্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়ে থাকে।
কোম্পানীর ধরণ বা শ্রেণী-
কোম্পানী বিভিন্ন ধরণের হয়। যথা–
(1) Private Limited Company
(2) Public Limited Company
(3) One Person Company
(4) Foreign Company
(5) Company under section 28
(6) Partnership Farm etc
নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠান–
কোম্পানীর নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে Registrar of Joint Stock and Company (RJSC). ইহা একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান যাহা বর্তমানে ঢাকার কারওয়ান বাজারে অবস্থিত।
Registrar of Joint Stock and Company (RJSC) যেসকল প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দিয়ে থাকে–
(১) কোম্পানী
(২) ২৮ ধারার অধীন গঠিত কোম্পানী
(৩) বিদেশী কোম্পানী
(৪) সোসাইটি / স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান (NGO)
(৫) ট্রেড অর্গানাইজেশন
(৬) পার্টনারশীপ ফার্ম
নিবন্ধন প্রক্রিয়া–
উপরোক্ত যেকোন প্রতিষ্ঠান এর নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধনকারী সরকারী প্রতিষ্ঠান RJSC এর ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হয়।
RJSC এর ওয়েবসাইটের লিঙ্ক – https://roc.gov.bd/
আবেদন করার জন্য যা যা প্রস্তুত করতে হবে–
(1) Memoramdum of association
(2) Article of association
(3) Subscriber Form
(4) National ID Card
(5) PP Size Photo of each member
(6) অন্যান্য আরো কিছু নির্ধারিত ফরম
(7) সরকারি নির্ধারিত ফি
সরকারি নির্ধারিত ফি এর পরিমাণ–
কোম্পানী নিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি সাধারণত নির্ধারিত থাকে যাহা RJSC এর ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিতে হবে। প্রদর্শিত ফি এর সাথে ১৫% ভ্যাট যুক্ত হবে। এই ফি অথোরাইজড ক্যাপিটালের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। RJSC fee calculator লিখে গুগলে সার্চ দিলে সরকারি ফি দেখা যাবে। এখন ২০২৪ সাল। বর্তমানে RJSC এর সাইটে প্রদর্শিত প্রাইভেট কোম্পানী নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সরকারি ফি এর একটি আনুমানিক হিসাব আমি দিলাম–
Authorised Capital |
Govt Fee |
VAT |
Legal Fee |
Others |
10 lac |
15,020/- |
15% |
As value |
– |
20 lac |
15,820 |
15% |
As value |
– |
50 lac |
38,220 |
15% |
As value |
– |
1 Crore |
44720 |
15% |
As value |
– |
2 Crore |
57720 |
15% |
As value |
– |
এই ফি সমূহ যেকোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
নিবন্ধনের জন্য সকল কাগজপত্র প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনাকে RJSC এর ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং নির্ধারিত সরকারি ফি অনলাইনে জমা দিতে হবে। তারপর সব কিছু ঠিক থাকলে কর্তৃপক্ষ আপনাকে লাইসেন্স / সার্টিফিকেট প্রদান করবেন যাহা RJSC এর ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে ডাউনলোড করা যাবে।
লাইসেন্স / সার্টিফিকেট পাবার পর কোম্পানীর নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স খুলতে হবে এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট খলতে হবে। তারপর উক্ত ব্যাংক একাউন্টে Paid up capital জমা দিতে হবে। এভাবেই আপনি চাইলে নিজেই একটি কোম্পানী গঠন করতে পারেন।
কোম্পানী আয়কর রিটার্ণ–
কোম্পানী গঠন করা হয়ে গেলে প্রতি বছর যথাসময়ে এজিএম করতে হবে, কোম্পানীর অডিট সম্পন্ন করতে হবে এবং আয়কর রিটার্ণ দাখিল করতে হয়।
আইনি সেবা–
উপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি নিজেই একটি কোম্পানী গঠন করতে পারেন। তবে কোন কারণে সেটি সম্ভব না হলে আমাদের সহযোগিতা নিতে পারেন। আমাদের অভিজ্ঞ আইনজীবীগণ যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কোম্পানী নিবন্ধন, অডিট এবং আয়কর রিটার্ণ প্রস্তুত ও সাবমিট করতে সহায়তা প্রদান করে থাকে।
যোগাযোগ–
জাস্টিস ফোরাম
সার্বিক পরিচালনায়– এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির),
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা। এবং
ব্লক–এ, রোড–৫, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।
01540105088 / 01711068609
ainbid.com