কোল কর্ষা পাট্টা ও কবুলিয়ত দলিল কি

Spread the love

কোল কর্ষা পাট্টা ও কবুলিয়ত দলিল সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারণা পেতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

 

কোল কর্ষা পাট্টা ও কবুলিয়ত দলিল

 

শাব্দিক অর্থ-

কোল কর্ষা-

কোল শব্দের অর্থ হচ্ছে আলিঙ্গন করা বা দায়িত্ব নেওয়া আর কর্ষা শব্দের অর্থ হচ্ছে কর্ষণ বা চাষ বা চাষাবাদ। সুতরাং কোল কর্ষা এর শাব্দিক অর্থ বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় যে, চাষাবাদের জন্য দায়িত্ব নেওয়া। কোল কর্ষা এর ইংরেজি প্রতি শব্দ Sub-tenant.

 

পাট্টা-

পাট্টা এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ইজারা বা ভাড়া। ইহার ইংরেজি প্রতি শব্দ হচ্ছে Lease বা Dead of lease. জমিদারগণ তাদের অধিকৃত জমি চাষাবাদের জন্য প্রজাদের নিকট ইজারা দিত। এখানে উক্ত ইজারাকেই বুঝানো হয়েছে পাট্টা শব্দ দ্বারা।

 

কবুলিয়ত-

কবুল শব্দ থেকে কবুলিয়ত শব্দটির উৎপত্তি যার অর্থ হচ্ছে গ্রহণ বা স্বীকার করা। ইহার ইংরেজি প্রতি শব্দ হচ্ছে Acceptance. জমিদারগণ তাদের অধিকৃত জমি চাষাবাদের জন্য প্রজাদের নিকট ইজারা দিলে প্রজা কর্তৃক উহা গ্রহণ করাকেই কবুলিয়ত বলা হত।

 

কোল কর্ষা দলিল-

পূর্বে সরকার কিংবা জমিদারগণ চাষবাদের জন্য প্রজাদের নিকট জমি ইজারা বা বন্দোবস্ত দিত। আর চাষবাদের জন্য জমি বন্দোবস্ত নেওয়াকেই বলা হয় কোল কর্ষা। জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য যে দলিল সম্পাদন করা হতো সেটাকেই বলা হয় কোল কর্ষা দলিল। তখন কোল কর্ষা বন্দোবস্তের জন্য দুইটা দলিল সম্পাদন করা হতো। যথা-

(১) কোল কর্ষা পাট্টা দলিল এবং

(২) কোল কর্ষা কবুলিয়ত দলিল।

 

(১) কোল কর্ষা পাট্টা দলিল-

সরকার কিংবা জমিদার পক্ষ জমির উপর জনগনের স্বত্ব স্বীকার করে নিয়ে যে দলিল সম্পাদন করে দিত সেটাকেই বলা হয় কোল কর্ষা পাট্টা দলিল।

পাট্রা দলিলের বৈশিষ্ট্যসমূহ-
(১) জমিদার ও প্রজা উভয়পক্ষের সম্মতিতে পাট্টা দলিলের সৃষ্টি হতো।
(২) পাট্টা দলিলে খাজনার পরিমাণ নির্ধারিত থাকতো।
(৩) পাট্টা দলিলে জমির তফসিল ও চৌহদ্দি উল্লেখ থাকতো।
(৪) কিছু কিছু পাট্টা দলিলে ভোগদখলের মেয়াদ উল্লেখ থাকতো।
(৫) পাট্টা বাতিলের অধিকার জমিদার কর্তৃক সংরক্ষিত রাখা হতো।
(৬) পাট্টা রেজিস্টার্ড কিংবা নন রেজিস্টার্ড যেকোন প্রকার হতো।

এখানে একটি কোল কর্ষা পাট্টা দলিলের স্থির চিত্র (ছবি) দেওয়া হলো-

কোল কর্ষা পাট্টা দলিল এর নমুনা

 

(২) কোল কর্ষা কবুলিয়ত দলিল-

কৃষকগণ তাদের অধিকার ও দায়িত্ব বর্ণনা করে সরকারকে যে দলিল সম্পাদন করে দিত সেটাকেই বলা হয় কোল কর্ষা কবুলিয়ত দলিল। এখানে একটি কোল কর্ষা কবুলিয়ত দলিলের স্থির চিত্র (ছবি) দেওয়া হলো-

কোল কর্ষা কবুলিয়ত দলিল এর নমুনা

 

কোল কর্ষা পাট্টা ও কবুলিয়ত দলিলের বর্তমান অবস্থা-

কোল কর্ষা পাট্টা ও কবুলিয়ত দলিলের বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলন নাই।

রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ কার্যকর হয় ১৯৫৬ সালে। উক্ত আইনের ৯৫(ক) ধারা প্রবর্তিত হবার পর থেকে পাট্টা দলিলের ব্যবহার বাতিল হয় এবং প্রজারা জমির মালিকানা লাভ করেন। বর্তমানে এইরূপ অঙ্গীকার সম্পন্ন দলিল সৃষ্টি হলে উক্ত ৯৫(ক) ধারা মোতাবেক উহা খাই-খালাসি বন্ধক হিসাবে গণ্য হবে।

 

দলিল লেখা, দলিল রেজিস্ট্রি ও নামজারি সহ যেকোন আইনি পরামর্শ, সহায়তা ও মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য যোগাযোগ করুন-

যোগাযোগ

আইনবিদ লিগ্যাল সলিউশন

ল্যান্ড প্রপার্টি সলিউশন সার্ভিস

এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)

এলএল.বি, এলএল.এম, এম.বি.এ

এডভোকেট এন্ড ল্যান্ড কন্সাল্ট্যান্ট

১৬, কৈলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।

অথবা

রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।

01711068609 / 01540105088

ওয়েবসাইট- www.ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *