চুরির মামলা দায়ের করতে হয় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। চুরির মামলার দরখাস্তের ড্রাফট নিম্নরূপ-
মোকামঃ বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা।
(আমলী আদালত নং – ৩৬ )
সি. আর. মামলা নং– ১২২০/২০২৩
ধারা: ৩৭৯, ৩৮১, দন্ডবিধি ১৮৬০
মোঃ আদিলুল ইসলাম (৫২),
পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ বছন আলী হাওলাদার,
মাতাঃ মৃত মোসাঃ লতিফুন নেছা, সারভেয়ার, সাইনেস্ট গ্রুপ
সাং– সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল
মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
স্থায়ী সাং– গ্রামঃ জুরকাঠী, ডাকঘরঃ জুরকাঠী, থানাঃ নলসিটি, জিলাঃ
ঝালকাঠি-৮৪২০। জাতীয় পরিচয় পত্র নং – ৪২১৭৩১৫৩৯০৬৩২
মোবাইল নং –
——————- বাদী।
=বনাম=
১। মোঃ আসাদ মিয়া (৫৫),
পিতা- মোঃ কালাম, মাতা- হাফিজা বেগম,
সাং – ১৭, মীর মঞ্জিল, হাজী দিল মোহাম্মদ এভিনিউ, মেইন রোড, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
স্থায়ী সাং– গ্রামঃ তারাঘুনিয়া, পোঃ তারাঘুনিয়া, থানাঃ দৌলতপুর, জেলাঃ কুষ্টিয়া। জাতীয় পরিচয় পত্র নং – ৪১৯৬২০৮৬৪১
মোবাইল নং –
২। মোঃ আলিউর রহমান (৪৪),
পিতা- মৃত মোঃ জহির উদ্দীন, মাতা- মৃত মোসাঃ সাজেদা বেগম,
সাং– বাসা নং- ৫, রোড নং- ৫, ব্লক-সি, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
স্থায়ী সাং– গ্রামঃ সিঙ্গুল, পোঃ সিঙ্গুল, থানাঃ বিরল, জেলাঃ দিনাজপুর।
জাতীয় পরিচয় পত্র নং – ২৬৯০২৪৩৮৮৮৮৭৩
মোবাইল নং –
৩। ১ ও ২ নং আসামীদ্বয় সহ আজ্ঞাতনামা ব্যক্তি/ব্যক্তিরা।
————————- আসামীগণ।
সাক্ষীগণঃ
১। বাদী স্বয়ং ।
২। মোঃ শাহীন আলম, পিতা-ফিরোজ আলম,
সাং– মহা ব্যবস্থাপক প্রশাসন, সাইনেস্ট গ্রুপ, সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
স্থায়ী সাং– গ্রাম- ধারাখানা, পো- দারথী, থানা- ঝালকাঠি সদর, জেলা- ঝালকাঠি। জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৬৮৬৬০৭০৬৮৫
মোবাইল নং –
৩। মোঃ আলম মাতুব্বর, GM, Maintenance, সাইনেস্ট গ্রুপ।
সাং– সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল
মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
মোবাইল নং –
৪। মোঃ আখতার হোসেন
সাং– সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল
মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
মোবাইল নং –
এবং প্রয়োজনে আরো সাক্ষ্য প্রদান করা যাইবে।
ঘটনার স্থান: সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল
মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এর স্টোর রুম।
ঘটনার তারিখ: ২৯/০৯/২০২২ ইং, সময়ঃ আনুমানিক সকাল ০৯.১০ ঘটিকা।
অত্র মামলার বাদী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১। অত্র মামলার বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম, পিতাঃ মৃত মোহাম্মদ বছন আলী হাওলাদার, সাং- গ্রামঃ জুরকাঠী, ডাকঘরঃ জুরকাঠী, থানাঃ নলসিটি, জিলাঃ ঝালকাঠি-৮৪২০। বর্তমানে সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা -এ সার্ভেয়ার হিসাবে কর্মরত একজন বিশ্বস্ত কর্মচারী বটে।
২। অত্র মামলার ১ নং আসামী মোঃ আসাদুজ্জামান ও ২ নং আসামী মোঃ মতিউর রহমান সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা -এ যথাক্রমে বিগত ১২/০১/২০০৬ ইং তারিখে স্টোর ইনচার্জ পদে ও বিগত ০১/০৮/২০১৭ ইং তারিখে সিকিউরিটি ইনচার্জ পদে যোগদান করিয়া অত্র চুরির ঘটনাটি উদ্ঘাটনের দিন পর্যন্ত অত্র প্রতিষ্ঠানে বিশ্বস্ততার সহিত চাকুরী করিয়া আসিয়াছেন। অত্র ১ ও ২ নং আসামীর উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে কাজে যোগদান পত্র অত্র মামলার নথিতে সংযুক্ত করা হইল।
৩। অত্র কোম্পানীর চাকুরীতে যোগদান করিবার পর হইতে অত্র ১ নং আসামী ও ২ নং আসামী যথাক্রমে স্টোর ইনচার্জ ও সিকিউরিটি ইনচার্জ পদের মত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় অত্র মামলার ১ ও ২ নং আসামী পারস্পারিক সহযোগিতায় এবং পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়াইয়া পরেন। এরই ধারাবাহিকতায় অত্র ১ ও ২ নং আসামীদ্বয় পরস্পর যোগসাসোশ করিয়া বিগত ২৯/০৯/২০২২ ইং, সময়ঃ আনুমানিক সকাল ০৯.১০ ঘটিকার সময় অত্র প্রতিষ্ঠানের স্টোর রুমে স্বশরীরে উপস্থিত হইয়া উক্ত স্টোর রুম হইতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত Copper wires, fire fighting equipment, sensor, Sewing machines spares সহ প্রায় ১০ বস্তা বিভিন্ন ধরণের মালামাল চুরি করিয়া নিয়া যায় যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ (দশ) লক্ষ টাকা।
৪। বিগত ১৮/১০/২০২২ ইং তারিখে ১ নং সাক্ষী মোঃ শাহাদাত হোসেন, পিতা-ফিরোজ আলম, মহা ব্যবস্থাপক প্রশাসন, সাইনেস্ট গ্রুপ, সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ২ নং সাক্ষী মোঃ সোহাগ তালুকদার, GM, Maintenance, সাইনেস্ট গ্রুপ, সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এবং এবং লেঃ কর্ণেল (অবঃ) মোঃ বাবুল আখতার দুপুর আনুমানিক ১২.৩০ ঘটিকায় মোহাম্মদপুর থানাধীন ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ গার্মেন্টস এর অফিস রুমসহ মালামাল রাখার স্টোর রুম পরিদর্শন করিলে উক্ত চুরির ঘটনাটি উদ্ঘাটিত হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ পূর্বক ও অন্যান্য তথ্যাদি পর্যালোচনা করিয়া অত্র ১ ও ২ নং আসামী কর্তৃক অত্র চুরির বিষয়টি সাইনেস্ট গ্রুপ কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায় যে ১ নং আসামী মোঃ আসাদুজ্জামান (৫৫), ও ২ নং আসামী মোঃ মতিউর রহমান (৪৪), স্বশরীরে উপস্থিত থাকিয়া অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন ব্যক্তিদের মাধ্যমে উল্লেখিত মালামাল ট্রাকে লোড করিতেছে। যাহার ভিডিও রেকর্ড অত্র প্রতিষ্ঠানে পূর্ব থেকেই স্থাপিত সিসি ক্যামেরার মেমোরীতে সংরক্ষিত রহিয়াছে। যাহার কিছু স্কিন শর্ট এর প্রিন্ট কপি অত্র মামলার নথিতে সংযুক্ত করা হইল।
৫। আকস্মিকভাবে ফোর ব্রাদার্স লিঃ গার্মেন্টস পরিদর্শনের সংবাদ পাইয়া অত্র ১ নং আসামী মো আসাদুজ্জামান ও ২ নং আসামী মোঃ মতিউর রহমান কৌশলে অফিস হইতে বাহির হইয়া যায়। আসামীদ্বয় তাহাহুড়া করিয়া অফিস ত্যাগ করার সময় সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা এর অফিস বাউন্ডারীর ভিতর অত্র ১ নং আসামী মো আসাদুজ্জামান তাহার পূর্ব থেকেই রক্ষিত একটি কাভার্ড ভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট ১৩-৮০৬১) রাখিয়া চলিয়া যায়। উক্ত গাড়িটি অত্র দপ্তরেই সংরক্ষিত রহিয়াছে। অত্র গাড়িটির বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
৬। অত্র ১ ও ২ নং আসামী সাইনেস্ট গ্রুপ এর অধীনস্থ ফোর ব্রাদার্স ফ্যাশন লিঃ, হাজী দীল মোহাম্মদ এভিনিউ, ঢাকা উদ্যান, মোহাম্মদপুর, ঢাকা -এ কর্মচারী হিসাবে চাকুরী করা অবস্থায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের উল্লেখিত মালামাল চুরি করিয়া দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩৭৯ ও ৩৮১ ধারার অপরাধ করিয়াছেন। যাহা ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর দ্বিতীয় তফসীল মোতাবেক আমলযোগ্য ও জামিনের অযোগ্য এবং সরাসরি ওয়ারেন্টের বিধান রহিয়াছে বটে।
৭। অভিযোগকারী, সাক্ষীগণের সাক্ষ্য ও দালিলিক প্রমাণাদীর মাধ্যমে অভিযোগকারী অভিযোগ প্রমাণ করিতে সক্ষম হইবে।
অতএব সবিনয় প্রার্থনা এই যে, উপরোল্লিখিত বর্ণিত কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে অত্র মামলাটি দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৩৭৯ ও ৩৮১ ধারায় আমলে নিয়া বিবাদী/আসামীগণের বিরুদ্ধে W/A ইস্যু করিয়া আসামীদেরকে গ্রেফতারের ও অতঃপর বিচারের ব্যবস্থা করিতে বিজ্ঞ আদালতের মর্জি হয়।