সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পাঠাগার স্থাপনের জন্য ট্রাস্ট দলিল (Trust Deed) এর নমুনা দেওয়া হলো। এই দলিল অনুসরণ করে যেকোন কল্যাণমূলক উদ্দেশ্যে ট্রাস্ট দলিল লেখা যাবে।
ট্রাস্ট দলিল
১। মো: আব্দুল আলীম
২। মো: আব্দুল গনি
পিতা- মো: আব্দুর রহিম, সর্ব সাকিন- গ্রাম- চরকান্দি দ্বারাদিয়া, পোঃ সাফিয়া শরীফ, থানা- রাজৈর, জেলা- মাদারীপুর, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী।
————–দলিল দাতা।
১) মনির হোসেন, পিতা- আব্দুল আজিজ
২) আমির হোসেন, পিতা- আব্দুল আজিজ
৩) পিয়ার হোসেন, পিতা- মো: জামাল উদ্দিন
পিতা- মো: আব্দুর রহিম, সর্ব সাকিন- গ্রাম- চরকান্দি দ্বারাদিয়া, পোঃ সাফিয়া শরীফ, থানা- রাজৈর, জেলা- মাদারীপুর, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা, জাতীয়তা- বাংলাদেশী।
—————-টাস্টিগণ।
কস্য ট্রাস্ট দলিল পত্র মিদং কার্যাঞ্চাগে আমি দলিলদাতা নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি পৈতৃক ওয়ারিসান সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া দীর্ঘযুগ ধরিয়া অন্যের নিরাপত্তে মালিক দখলকার নিয়ত আছি। বর্তমানে আমি অতিশয় বৃদ্ধ হইয়া পড়িয়াছি এবং যেকোন সময়ে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় ইহকাল ত্যাগ করিয়া অনন্ত শান্তির রাজ্যে চলিয়া যাইতে পারি। শেষ জীবনে এই বৃদ্ধ অবস্থায় মানব কল্যাণ আমার একমাত্র চিন্তা ও কাম্য। এমতাবস্থায় নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি মানব সেবা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান-সাহিত্য চর্চা কল্পে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগারের অধীনে ট্রাস্ট করিতে সুস্থির করতঃ উপরোক্ত দ্বিতীয় পক্ষকে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ট্রাস্ট নিযুক্ত করিলাম।
অত্র ট্রাস্ট দলিল দ্বারা উল্লেখ, প্রকাশ ও ঘোষণা করিতেছি যে মূলতঃ নিম্নোক্ত ইচ্ছা ও উদ্দেশ্য পূরণের জন্য তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ট্রাস্ট করা হইল। যথা:
১) তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ১০৪৯৬ নং দাগে অবস্থিত বর্তমান আধাপাকা পাঠাগার ঘরটিকে দুই তলা ঘর যাহা কাঠ, লোহা ও সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করে একটি দাতব্য গণ-গ্রন্থাগার স্থাপন করা, যাহার নাম হইবে জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার।
২) জ্ঞানান্বেষণ গণ-গ্রন্থাগার পরিচালনার জন্য সুশিক্ষিত পরিচালক ও সদস্যবৃন্দ নিয়োগ করা যা কার্যকরী পরিষদ নামে অভিহিত হইবে।
৩) স্থানীয় জনসাধারণের মানসিক উন্নতি, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সাহিত্য চর্চা করা জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার’র মূল কাজ হইবে।
৪) জ্ঞান চর্চার জন্য নিয়মিত বইপাঠ এবং পাঠচক্রে বসা।
৫) নিয়মিত মনকে ভালো রাখার জন্য গণ-গ্রন্থাগার অভ্যান্তরে খেলাধুলায় নিমজ্জিত থাকা, যাহা বিরক্তিকর ও জনক্ষতিকার কোন খেলাধুলা হইবে না।
৬) তফসিল বর্ণিত ট্রাস্টকৃত সম্পত্তিতে অবস্থিত গৃহ অর্থকরিভাবে তছরূপ, ব্যবহার ও বিনিয়োগ করা, যাহা হইতে পাঠাগার পরিচালনা ব্যয় আসিতে পারে।
৭) ট্রাস্টের উদ্দেশ্য চরিতার্থ হইতে পারে এজন্য এককালীন দান, অনুদান ও মঞ্জুরী গ্রহণ।
৮) নারী’র ক্ষমতায়ন, কুসংস্কার প্রতিরোধ, সঠিক ধর্ম চর্চা, মাদক নির্মূল, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং সমাজের জন্য উপকার হইবে এমন কাজ করা
৯) জ্ঞানান্বেষণ পাঠাগার’র উদ্দ্যেগে সিনেমা সংসদ গঠন করিয়া নিয়মিত গ্রামের মানুষ এবং স্কুলে সিনেমা প্রদর্শনী করা।
১০) জ্ঞানান্বেষণ ব্লাড ডোনেশন ক্লাব হইতে প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে ব্লাড জোগাড় করিয়া দেওয়া।
১১) দেশের স্বার্থে যেকোন সময় পাঠাগারের সদস্যবৃন্দের অবদান রাখা ইত্যাদি।
উল্লেখ যে ট্রাস্টের উদ্দেশ্য বাস্তবে রূপান্তরিত করিবার জন্য ট্রস্টিগণ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি যথাযথভাবে ব্যবহার করিবেন কিন্তু তাহারা ট্রাস্টকৃত সম্পত্তি বিক্রয় বা কোন প্রকার হস্তান্তর করিতে পারিবেন না কিংবা ব্যক্তিগত কোন উপকারে ব্যবহার করিতে পারিবেন না। তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ এবং ট্রাস্টের যাবতীয় ক্রিয়াকর্মে সংখ্যাধিক্য ট্রাস্টির মতে গ্রহণীয় হইবে। দলিলদাতার জীবদ্দশায় যদি কোন ট্রাস্টির মৃত্যু হয় তাহা হইলে দলিল দাতা মৃত ব্যক্তির স্থলে নতুন একজনকে নিয়োগ করিবেন। আর দলিল দাতার মৃত্যুর পর যে কোন ট্রাস্টির মৃত্যু হইলে দলিলদাতার ছেলে-মেয়ে বংশধরদের মধ্যে কর্মঠ, সৎ ও বিচক্ষণ ব্যক্তিকে ট্রাস্টি নিযুক্ত করা যাইবে। এক্ষেত্রে অন্যান্য ট্রাস্টিদের মতামত বিবেচনায় রাখিতে হইবে।
ট্রাস্টিগণ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির আয় হইতে দলিলে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলির খরচপত্র চালাইবেন এবং উদ্বৃত্ত আয় ট্রাস্ট সম্পত্তির বৃত্তি ও স্বার্থে লগ্নি করিতে পারিবেন। উল্লেখ থাকিল যে দলিল দাতার তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির উপর স্থিত স্বত্ব, স্বামীত্ব, দখল অধিকার লোপ হইয়া তৎতাবদ ট্রাস্টিদের উপর বর্তাইল এবং ট্রাস্টির ট্রাস্টকৃত সম্পত্তি গ্রহণে স্বীকৃত হইয়াছেন।
এতদ্বারা স্বেচ্ছা, স্ব-জ্ঞানে ও সুস্থ মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র ট্রাস্ট দলিল সম্পাদন করিয়া দিলাম।
ট্রাস্টকৃত জমির তফসিল
জেলা: মাদারীপুর, মৌজা: বদরপাশা, থানা/উপজেলা: রাজৈর, জে.এল নম্বর: ৩৫ নং এস.এ- ৪৬৫ (চারশত পয়ষট্টি) নং আর.এস- ৮০ (আশি) নং ও ৭৮ (আটাত্তর) নং খতিয়ানে মোট জমি- ১ একর ৮০ শতাংশ। ট্রাস্টকৃত জমি- ১.২ শতাংশ।
দাগ নং
১। সাবেক ও এস.এ- ১১২ (একশত বার) নং, ১৬৮/১১৮৬ (একশত আটষট্টি এর বাট্টা এগারশত ছিয়াশি) নং এবং যাহার আর.এস দাগং । আর,এস-২৭৭১ (দুই হাজার সাতশত একাত্তর) নং দাগে বাইদ জমি- -৮৮শতাংশ।
ইহার কাতে আমার হেবাকৃত বীজকড়া জমির পরিমাণ – ১৪ (চৌদ্দ) শতাংশ। স্থানীয় মাপে ৫(পাঁচ) কড়া জমি ট্রাস্টকৃত মাত্র। যাহা ট্রাস্টিগণের প্রাপ্ত জমির পরিমান- ১.২ (এক দশমিক দুই) শতাংশ যাহা এস, এ-১২৪ নং দাগ হইতে ভোগদখল বুঝাইয়া দিলাম।
১২। ট্রাস্টকৃত সম্পত্তির চৌহদ্দির বিবরন:
উত্তরে: নিজ। দক্ষিনে:-রাস্তা।
পূর্বে: রাস্তা। পশ্চিমে:-নিজ।
তারিখ- ২৪/১০/২০২৪ ইং, চব্বিশ, দশ, দুই হাজার চব্বিশ সন।
অত্র দলিলে কাগজ ৩ ফর্দ, দাতা ২ জন, গ্রহিতা ও গ্রহিত্রী ৬ জন, সাক্ষী ৩ জন।
অত্র দলিল পাঠ করিয়া ও করাইয়া মর্ম অবগত হইলাম।
দাতার স্বাক্ষরঃ
সাক্ষী:
১।
২।
৩।
কম্পিউটার কম্পোজকারক, মোসাবিদাকারক ও দলিল লিখক
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন-
আইনবিদ লিগ্যাল সলিউশন,
সার্বিক পরিচালনা: এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন
ঢাকা জজ কোর্ট, কোতয়ালী, ঢাকা।
অথবা
রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা
01711068609 / 01540105088
ইমেইল: mohiuddin@ainbid.com
ওয়েবসাইট: www.ainbid.com