দলিল বাতিল করার নিয়ম

Spread the love

দলিল বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু দলিল রেজিস্ট্রি অফিসে বাতিল করা যায়। আবার কিছু দলিল আদালতের মাধ্যমে বাতিল করতে হয়।

 

দলিল বাতিল করার নিয়ম

 

রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল বাতিল-

সাধারণত যে সকল দলিলের দ্বারা সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায় না, সেই সকল দলিল সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে দলিল বাতিল করা যায়। যেমন-

(১) বায়নাপত্র দলিল (Sale contract deed),

(২) পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা আমমোক্তারনামা দলিল (Power of Attorney),

(৩) উইল দলিল (Will),

(৪) অছিয়ত দলিল,

(৫) চুক্তিপত্র দলিল ইত্যাদি

সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে বাতিলকরণ দলিল রেজিস্ট্রির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দলিলের পক্ষগণ সকলে সম্মত হয়ে, একত্রে দলিল সম্পাদন করে এবং রেজিস্ট্রি অফিসে এসে বাতিল করতে পারে।

 

আদালতের মাধ্যমে দলিল বাতিল-                [সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৩৯ ধারা]

যে সকল দলিলের দ্বারা সম্পত্তি হস্তান্তর করা যায়, সেই সকল দলিল সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে বাতিল করা যায়। যেমন-

(১) সাফ কবলা দলিল (Purchase deed),

(২) দানপত্র দলিল,

(৩) হেবার ঘোষণাপত্র,

(৪) হেবাবিল এওয়াজ দলিল,

(৫) জাল দলিল ইত্যাদি দলিল

রেজিস্ট্রি অফিসে বাতিলকরণ দলিল রেজিস্ট্রি করে বাতিল করা যায় না। এই সব দলিল বাতিল করার প্রয়োজন হলে আইনি ও যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে বাতিল করা যায়।

 

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩৯ ধারা মোতাবেক নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দলিল বাতিল (Cancelation of Instrument) মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে-

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দলিল বাতিলের মোকদ্দমা দায়ের করা যায়-

(ক) প্রতারণার মাধ্যমে সম্পাদিত দলিল।

(খ) জাল, অসত্য, ভূয়া দলিল।

(গ) মারাত্মক ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে।

 

(১) এই ধারায় আদালত তার বিবেচনামূলক ক্ষমতায় নিম্নলিখিত আদেশ দিতে পারেন:

(ক) দলিলটি বাতিল বা বাতিলযোগ্য হিসাবে নিষ্পত্তি করতে পারে।

(খ) দলিলটি অর্পণের আদেশ দিতে পারে।

(গ) দলিলটি বাতিল করতে পারে।।

 

দলিল বাতিল করার নিয়ম

 

মামলা দায়েরের তামাদি মেয়াদ-

[তামাদি আইন, ১৯০৮ এর অনুচ্ছেদ ৯১]

অবগতির তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে দেওয়ানি আদালতে দলিল বাতিলের মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে।

 

সুতরাং ৩ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলে আর দলিল বাতিলের মামলা করা যায় না। কারণ ৩ বছর পর এরূপ মামলা তামাদির নিয়মে দ্বারা বারিত। তবে এরূপ ক্ষেত্রে ঘোষণামূলক মামলা করা যাবে। এ ধরণের মামলার রায় হলেই দলিলটি বাতল হয়ে যাবে।

 

নিবন্ধনকৃত (Registered) দলিল বাতিলের মোকদ্দমায় আদালত ডিক্রির কপি অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সাব রেজিস্ট্রার অফিসে প্রেরণ করবেন। সাব-রেজিস্ট্রার আদালতের রায়ের কপি পাবার পর উক্ত রায়ের আলোকে তিনি সংশ্লিষ্ট ভলিউম সংশোধন করে নিবেন।

 

দলিল/চুক্তি বাতিলের ধাপ-

উপরোক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, দলিল/চুক্তি সংশোধনের ধাপ ৩ টি। যথা-

(১) সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলের ভুল সংশোধন।

(২) তিন বছরের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে দলিল বাতিলের মামলা।

(৩) তিন বছর পরে দেওয়ানী আদালতে ঘোষণামূলক মামলা।

 

কোর্ট ফি-

দলিল বাতিলের মামলার কোর্ট ফি মূল্যানুপাতিক (Advalorem)

ঘোষণামূলক মামলার কোর্ট ফি প্রতি ঘোষণার জন্য ৩০০/-

 

যেকোন আইনি জটিলতায় আইনগত মতামত ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন-

 

যোগাযোগ

আইনবিদ লিগ্যাল সলিউশন

ল্যান্ড প্রপার্টি সলিউশন সার্ভিস

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)

চীফ লিগ্যাল এডভাইজার

১৬, কৈলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।

অথবা

রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

ফোন- 01711068609 / 01540105088

ওয়েবসাইট- www.ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *