দলিল সংশোধনের মোকদ্দমার আরজি

দলিল সংশোধন ও স্বত্ব ঘোষণা মোকদ্দমার আরজি।

 

মোকাম: ১ম অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালত, ঢাকা

দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১১৮/২০২৪

সাবেক নম্বর ২২০/২০১৫

 

১। মোসাম্মাত হাজেরা খাতুন,

পিতা-আল হাজ জামাল উদ্দিন আহাম্মদ পতি-মোহাম্মদ বাহার উল্লাহ।

 

২। মোসাম্মাত আরজুদা খাতুন, পিতা-আলহাজ্ব জামাল উদ্দিন আহম্মদ  পতি-মোহাম্মদ মতিউর রহমান,

সর্ব সাং-পানগাঁও, খানা ও উপজেলা- কেরানীগঞ্জ, জিলা-ঢাকা হাল  সাং-৪৩ নং খলিগাঁও মতিঝিল ডাকঘর, থানা মতিঝিল জেলা ঢাকা  ১২১৯।

—————-বাদীগণ।

 

=বনাম=

 

 

১। বালক সরদার,

পিতা মৃত-লক্ষ্মন সরদার, সাংও পোঃ পানগাঁও থানা-কেরানীগঞ্জ, জেলা  ঢাকা।

 

২। কাজী আব্দুল লতিফ,

 

৩। কাজী শাহ আলম,

 

৪। রাশিদা বেগম, সর্ব পিতা মৃত-কাজী আজগর আলী,

 

৫। কাজী মাহফুজুল ইসলাম, পিতা মৃত-কাজী আব্দুল গফুর,

 

৬। রাণু আক্তার,

 

উভয়ের পিতা মৃত-কাজী আব্দুল গফুর, সর্ব সাকিন-উত্তর পানগাঁও, থানা-দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, জিলা-ঢাকা।”

——————-মূল বিবাদীগণ।

 

 

 

৭। বাংলাদেশ সরকার পক্ষে ডেপুটি কমিশনার ঢাকা, জেলা ঢাকা

 

৮। সাব রেজিস্ট্রার, কেরাণীগঞ্জ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস কেরাণীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা।

——————-মোকাবেলা বিবাদীগণ।

 

 

দলিল সংশোধন  স্বত্ব ঘোষনার নালিশ 

তায়দাদ মং ১,২০,০০০/=টাকা।

 

বাদীগনের বিনিত নিবেদেন এই যে,

 

১। জেলা ঢাকা থানা ও সাব রেজিস্ট্রি অফিস কেরাণীগঞ্জ অন্তর্গত অত্রাদালতের এলাকাধীন নিম্ন তপছিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি সহ অপরাপর সম্পত্তির মূল মালিক ছিলেন গৌর চন্দ্র সরদার। বর্নিত গৌর চন্দ্র সরদার নালাশী ভুমি সহ অপরাপর সম্পত্তির ১. আনার মালিক দখলকার থাকা অবস্থায় তাহার নামে সি. এস, খতিয়ান প্রস্তুত হইয়া সি. এস, খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচারিত নামে সি. এস খতিয়ান স্বত হইয়া সি, এস খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচারিত হইয়াছে।

 

২। বর্ণিত সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক গৌর চন্দ্র সরদার নালিশ দাগের নালিশ। ভূমিসহ অপরাপর ভূমিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় কৃষ্ণধন সরদার ওরফে কৃষ্ণধন সরদার ও লক্ষ্মন সরদার ওরফে লক্ষ্মন সরদারকে দুই পুত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করিলে তাহারা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক দখলকার থাকা অবস্থায় তাহাদের নাম এস. এ. খতিয়ানে লিপি হইয়া এস. এ. খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচারিত ও প্রকাশিত হইয়াছে। বর্ণিত কৃষ্ণ দন সরকার অবিবাহিত অবস্থায় তাহার এক মাত্র সহোদর ভ্রাতা লক্ষ্মন সরকারকে ত্যৎত্যজ্য বিত্ব ভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করিলে বর্ণিত লক্ষ্মন সরকার পিতার ও ভ্রাতার ওয়ারিশ সূত্রে নালিশা দাগের ১. আনা সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত হন ও থাকেন।

 

৩। বর্ণিত প্রকারে এস. এ. রেকর্ডিয় মালিক লক্ষ্মন সরকারে নালিশা দাগের ১ আনা ভূমিতে মালিক  দখলকার থাকাবস্থায় বালক সরদার ওরফে বালক সরদারকে একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করিলে বর্ণিত বালক সরকার ওরফে বালক সরদার পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে নালিশা সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত থাকা অবস্থায় বিগত ২৬/১৯৮৪ ইং তারিখে একখন্ড রেজিস্ট্রিকৃত সাফ কবলা দলিল মূলে নালিশা (গ) তপসিলে বর্ণিত নালিশা দাগের ৩২ শতাংশ ভূমি বাদীগণের নিকট সাফ বিক্রয় করিয়া দখলাদি বুঝাইয়া দিলে বাদীগণ উপরে বর্ণিত মতে খরিদ নালিশী (গ) পেছিল বর্ণিত নালিশা ১৪৪ দাগের ৩২ শতাংশ ভূমিতে মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া দখল থাকিয়া ফসলাদি সৃজনে ও অর্জনে শান্তিপূর্ণভাবে সকলের জ্ঞাতসারে নির্বিঘ্নে অন্যের বাধা বিঘ্ন রহিতক্রমে অন্যের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত উক্ত স্বত্বে স্বত্ববান মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া ও থাকিয়া ভোগ দখল ও তছরুপ করিয়া আসিতেছে।

 

৪। উপরিউল্লেখিত বর্ণনা অনুযায়ী বাদীদ্বয় আরজীর “গ” তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে ১নং বিবাদীর নিকট হইতে উপযুক্ত মূল্যে রেজিস্ট্রিকৃত সাফ কবলা দলিল মূলে তাহাদের নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে তাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে দ্বাদশ বর্ষের বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বিগত জরীপ আমলে আসিলে নালিশী “গ” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে বাদীদ্বয়ের নামে খতিয়ান নম্বর ২৮৪৫ এবং দাগ নম্বর ২৮১৪ উল্লেখে বুঝারত তথা ডি. পি. খতিয়ান প্রস্তুত হয়। ইতোমধ্যে ২নং বাদীর স্বামী তাহার এলাকায় গেলে শুনিতে পান যে, বিবাদীগণ না-কি নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তাহাদের নামে নামজারী জমাভাগ করিয়া লইয়াছে। অতঃপর তিনি সংশ্লিষ্ট অফিসে খোঁজ লইয়া জানিতে পারেন যে, মূল বিবাদীগণ নালিশী সম্পত্তিতে কোনরূপ মালিক দখলকার না হওয়া স্বত্বেও তাহারা বাদীদের অজ্ঞাতে অবৈধ লাভের আশায় পরস্পর যোগসাজসে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তাহাদের নামে ৮৭৮৪/০৩ নম্বর নামজারী জমাভাগ কেস মূলে নামজারী করিয়া লইয়াছে। ফলে বিবাদীগণের নামীয় তথাকথিত নামজারী জমাভাগ বাতিল করিয়া বাদীদ্বয়ের নামে নামজারী জমাভাগ করিবার প্রার্থনায় ২০৮/০৪ নম্বর নামজারী মিস কেস দায়ের করেন। আরও উল্লেখ্য, বিবাদীগণ উক্ত মিস কেসে উপস্থিত হইয়া লিখিত আপত্তি দাখিল করতঃ প্রতিযোগীতা করেন। বিবাদীগণ তাহাদের আপত্তিতে উক্ত মিস কেসের সকল বর্ণনা অস্বীকার করেন এবং নালিশী সম্পত্তিতে তাহারা দখলে আছেন মর্মে দাবী করেন। ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একজন সার্ভেয়ার দ্বারা সরেজমিনে তদন্ত করতঃ একটি প্রতিবেদন আনায়ন করেন। উক্ত প্রতিবেদনে সার্ভেয়ার উল্লেখ করেন যে, নালিশী সি. এস. ও এস. এ. ১৪৪ দাগের সম্পত্তিতে বাদীর দখল প্রতীয়মান হয়। প্রসঙ্গতঃ বাদীদ্বয়ের খরিদা দলিলে দাগ নম্বর ভুল থাকায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বাদীদ্বয়ের নামে নামজারী জমাভাগ না দিলেও বিবাদীগণের নামীয় বর্ণিত ৮৭৮৪/০৩ নম্বর নামজারী জমাভাগ কেসটি বাতিল করিয়া বাতিলকৃত ভূমি মূল মূল জোতভূক্ত রাখিবার আদেশ দেন এবং উক্ত আদেশে আরও উল্লেখ করেন যে, বাদী পক্ষের খরিদা দলিলের দাগ নং সঠিক না হওয়া পর্যন্ত নামজারী পাবে না। যেহেতু বাদীদ্বয় তাহাদের খরিদা দলিলে উল্লেখিত ভুল সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের নামে নামজারী পাইবে না সেই হেতু তাহারা উক্ত দলিলের দাতা অর্থাৎ ১নং বিবাদীকে তাহাদের খরিদা দলিলে ভুল দাগ লিপিবদ্ধ হইবার বিষয় অবগত করাইয়া উক্ত দলিলটি সংশোধন করিয়া দেওয়ার অনুরোধ করিলে ১নং বিবাদী প্রথমে রাজী হইলেও পরবর্তীতে অজ্ঞাত কারণে তিনি কেবলই ঘুরাইতে থাকেন এবং সর্বশেষ বিগত ১৪/০২/০৫ তারিখে উক্ত সংশোধনী দলিল করিয়া দিবেন না মর্মে জানাইলে বাদীদ্বয় অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হন। তৎপর বাদীপক্ষ ১নং বিবাদীকে (ক) তপছিলে বর্ণিত দলিলে ভুল দাগের বিষয়টি জানান এবং সংশোধনী দলিল করিয়া দিবার জন্য বার বার তলব তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও সংশোধনী দলিল করিয়া দিবে মর্মে দেই দিচ্ছি করিয়া কালক্ষেপন করিয়া সর্বশেষ বিগত ২৪/০২/২০০৫ ইং তারিখে সংশোধনী দলিলের মুসাবিদা টাইপ করার পর সংশোধনী দলিল রেজিষ্ট্র করিয়া দিতে দাতা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেন।

 

৪(ক)। আরজীর উপরিউল্লেখিত বর্ণনা অনুযায়ী বাদীদ্বয় নালিশী “গ” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ১নং বিবাদীর নিকট হইতে উপযুক্ত মূল্যে খরিদ করতঃ দ্বাদশ বর্ষের বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ বিবাদীগণসহ এলাকার সকলের জ্ঞাতসারে প্রকাশ্যে মতে ভোগ দখলে রত থাকাবস্থায় বিবাদীগণের নামীয় তথাকথিত নামজারী জমাভাগ কেস বাতিলের জন্য ২০৮/০৪ নম্বর মিস কেস দায়ের কালীন সময়ে বাদীগণ জানিতে পারেন যে, দলিল লেখক নালিশী সি. এস, ও এস, এ, ১৪৪ দাগের হলে ভুল বশতঃ ২০৩ দাগের বর্ণনা প্রদান করিয়া বাদীদ্বয়ের নামীয় খরিদা দলিলটি প্রস্তুত করিয়াছেন। কিন্তু উক্ত খরিদা দলিলে সম্পত্তির যে চৌহদ্দি প্রদান করিয়াছেন তাহাতে নালিশী সি. এস, এবং এস. এ. ১৪৪ দাগের সম্পত্তির চৌহদ্দির বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন এবং উক্ত চৌহদ্দির বর্ণনা অনুযায়ী নালিশী সি, এস, এবং এস. এ. ১৪৪ দাগের সম্পত্তিই বাস্তবে আকৃষ্ট করে এবং উক্ত চৌহদ্দি দ্বারা কখনই বে-নালিশা বর্ণিত সি. এস. এবং এস. এ. ২০৩ দাগের সম্পত্তি আকৃষ্ট করে না এবং বর্ণিত নালিশী সি, এস, এবং এস, এ. ১৪৪ দাগের সম্পত্তির দখলই বাদীদ্বয়কে ১নং বিবাদী বুঝাইয়া দিয়াছেন। তাহাছাড়া বর্ণিত সি, এস, ও এস. এ. ২০৩ দাগের সম্পত্তি উহার তৎকালীন মালিক দখলকার বিগত ১৬/০৬/১৯৪৭ তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত সাফ কবলা মূলে জনৈক রমেশ চন্দ্র মন্ডলের নিকট বিক্রয় করেন এবং দখল বুঝাইয়া দেন। বর্ণিত রমেশ চন্দ্র মন্ডল তাহার খরিদা সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বিগত ৩১/১২/১৯৫৬ তারিখের ৫৪ নম্বর দলিল মূলে উল্লেখিত কাজী আজগর আলীর নিকট সাফ বিক্রয় করিয়া দেওয়ায় ১নং বিবাদীর বর্ণিত ২০৩ দাগের সম্পত্তি বিক্রয়ের কোন অধিকার ছিলনা এবং তিনি উক্ত দাগের সম্পত্তি বাদীদ্বয়ের নিকট বিক্রয় করেন নাই। প্রকৃতপক্ষে ১নং বিবাদী নালিশী সি. এস, এবং এস. এ. ১৪৪ দাগের সম্পত্তি বাদীদ্বয়ের নিকট বিক্রয় করিয়াছেন এবং উক্ত দাগের সম্পত্তিই বাদীদ্বয়কে বুঝাইয়া দিয়াছেন। কিন্ত দলিল লেখক ভুল বশতঃ ১৪৪ দাগের হলে উক্ত দলিলে ২০৩ দাগ উল্লেখ করিয়াছেন যাহা ভুল এবং অশুদ্ধ এবং উক্ত ভুলের কারণে নালিশী ১৪৪ দাগের সম্পত্তিতে বাদীধয়ের সরেজমিনে ভোগ দখলের ক্ষেত্রে অদ্যাবধি কোন অসুবিধা হয় নাই। বে-নালিশী বর্ণিত ২০৩ দাগের সম্পত্তিতে বর্ণিত আজগর আলীর ওয়ারিশগণ ভোগ দখলে থাকায় তাহাদের উপস্থিতিতে বর্তমান মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি হওয়া আবশ্যক হেতু তাহাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার না চাহিয়া শুধুমাত্র তাহাদিগকে মোকাবেলা বিবাদী করিয়া অত্র মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল। কিন্তু তাহারা যদি বাদীদ্বয়ের আরজীর বিরুদ্ধে লিখিত জবাব দাখিল করিয়া প্রতিযোগীতা করেন তাহা হইলে মূল বিবাদীগণের বিরুদ্ধে প্রার্থীত প্রতিকার তাহাদের বিরুদ্ধেও চাওয়া হইয়াছে বলিয়া গন্য ও বিবেচিত হইবে। ।

 

৫। এখানে উল্লেখ্য যে, বাদীগণ (গ) তপছিল বর্ণিত নালিশা সাবেক ১৪৪ দাগের ৩২ শতাংশ ভূমিতেই ফসলাদি সৃজনে ও অর্জনে ভোগ দখলে নিয়ত হয় ও আছে। আরও উল্লেখ্য যে, (ক) তপছিল ভুল দলিল এবং (খ) তপছিল ভুল দাগ সম্পত্তি এবং (গ) তপছিলে উল্লেখিত ১৪৪ দাগ যাহা শুদ্ধ সম্পত্তি। উক্ত (ক) তপছিল বর্ণিত দলিলে টাইপ কারকের ভুল বশতঃ (গ) তপছিলে বর্ণিত সি. এস. ও এস. এ. ১৪৪ দাগের হলে (খ) তপছিলে বর্ণিত ২০৩ দাগ লেখা হইয়াছে। কিন্তু উক্ত বিক্রীত সি. এস. ও এস. এ. ১৪৪ দাগের চৌহাদ্দি ঠিক আছে। আরও উল্লেখ্য যে, সি. এস. ও এস. এ. ২০৩ দাগ ও ১৪৪ দাগ একই খতিয়ানের একই মৌজার সম্পত্তি বটে। আরও উল্লেখ্য যে, ১ নং মূল বিবাদী অর্থাৎ দলিল দাতা পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে সি. এস. ও এস. এ. ২০৩ দাগের সম্পত্তিতে মালিক হয় বটে। প্রকৃতপক্ষে ১নং মূল বিবাদী অর্থাৎ দলিল দাতা (গ) তপছিল বর্ণিত ১৪৪ দাগের সম্পত্তিই বাদীগনের নিকট বিক্রী করিয়া (গ) তপছিল বর্ণিত চৌহদ্দি মোতবাকে সম্পত্তিতেই বাদীগনকে দখলাদি বুঝাইয়া দিয়া নিঃস্বত্ববান হন এবং আরও উল্লেখ্য যে, আর, এস. খতিয়ান ১৪৪ দাগের আর. এস. ১৫৩ দাগে এই বাদীগণের নাম লিপি হইয়া আর, এস, খতিয়ান প্রস্তুত হইয়াছে। এইক্ষনে (ক) তপছিল বর্ণিত দলিলে ১৪৪ দাগের স্থলে ভুল বশতঃ ২০৩ দাগ উল্লেখ থাকার সুবাদে বাদীগণের স্বত্বের ছায়পাত ঘটিয়াছে। কাজেই উক্ত ছায়াপাত নিরসন কল্পে বাদীগণ বাধ্য হইয়া দলিল সংশোধন সহ স্বত্ব ঘোষনার মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হইলেন।

 

৬। নালিশের কারণ: বাদীগনের পক্ষে ১ নং বাদিনীর স্বামী (গ) তপছিল বর্ণিত নালিশা সম্পত্তির নামজারী জমাভাগ করার জন্য বিগত ১৪/২/২০০৫ ইং তারিখে স্থানীয় কেরাণীগঞ্জ থানাধীন পানগাঁও সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে গিয়া সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা হইতে দলিলের ভুল দাগ সম্পর্কে সর্বপ্রথম সঠিকভাবে অগত হওয়ার সময় ও অন্তে অত্রদালতের এলাকাধীন কেরানীগঞ্জ থানার অন্তর্গত পানগাঁও মৌজায় অত্র নালিশের কারণ উদ্ভব হইয়াছে।

 

৭। মূল্যায়ন বর্ণনা: ইহা একটি দলিল সংশোধন ও স্বত্ব ঘোষনার নালিশ হেতু দলিল মোতাবেক নালিশা সম্পত্তির মূল্য = ২০,০০০/ টাকা হওয়ায় এবং নালিশা সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য =১,০০,০০০/ টাকা ধার্য্য করতঃ মোকদ্দমার তায়দাদ ১,২০,০০০/ টাকা ধার্য্য করিয়া তদোপরি দলিলের মূল্য =২০,০০০/ টাকার উপর এডভোলেরেম কোর্ট ফি প্রদানে ও বাদীগণ (গ) তপছিল বর্ণিত নালিশা ভুমির ষোল আনার মালিক মর্মে ঘোষনার জন্য ঠিকা ৬০০/ টাকার কোর্ট ফিস প্রদানে অত্র নালিশী রুজু করিলেন।

 

৮। উপরোক্ত যাবতীয় অবস্থানে ও কারনাধীনে বাদীগণের বিনীত প্রর্থনা এই যে,

 

(ক) বাদীগণ (গ) তপছিল বর্ণিত নালিশা ভূমির ঘোল আনার মালিক মর্মে এক  ঘোষণার ডিক্রী দিতে;

 

(খ) নিম্ন (ক) তপছিল বর্নিত দলিলের যে সকল স্থানে সি. এস. এবং এস. এ. ২০৩ দাগ এর বর্ণনা আছে তাহা সব কর্তন করিয়া তদস্থলে সি. এস. এবং এস. এ. ১৪৪ দাগ লিপি করতঃ তপছিল বর্ণিত মূল দলিল এবং সংশ্লিষ্ট বালাম বই  সংশোধন করার জন্য সংশ্লিষ্ট রেজিষ্ট্রি অফিসকে আদেশ দিতে;

 

(গ) মোকদ্দমার ব্যয়ভার উত্তরদায়ক বিবাদীগণের বিরুদ্ধে ডিক্রী দিতে;

 

(ঘ) অথবা আদালতের ন্যায় বিচারে বাদীগণ’ অন্য যে ভাবে যে প্রতিকারের  ভাজন হয় তাহাও ডিক্রী দিতে আজ্ঞা হয়।

ইতি তাং।

 

() তফসিল

 

(ক) জেলা ঢাকা, থানা কেরানীগঞ্জ, অন্তর্গত সাব রেজিষ্ট্রি অফিস কেরানীগঞ্জ অফিসে রেজিঃ কৃত সাফ কবলা

দলিল নং ১৫০২৬, ইং ২৬/৭/৮৪ ইং তারিখে সম্পাদিত এবং বিগত ২৮/৭/১৯৮৪ ইং তারিখে রেজিস্ট্রিকৃত ১৫০২৬ নম্বর সাফ কবলা দলিল যাহার বহি নং-১, ভলিয়ম নং ২৮৪ পৃষ্ঠা নং ৩৩ হইতে ৩৮ তে লিপিবদ্ধ।

 

() তপছিল যাহা ভুল দাগ

 

জেলা ঢাকা, থানা ও সাব রেজিঃ কেরানীগঞ্জ সাবেক নং ৪৫৯ নং পানগাঁও মৌজাহিত সাবেক ৯৬৮, এস. এ. ৭৫৩ নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ও এস. এ. দাগ নং ২০৩ নাল জমি ৩২ শতাংশ যাহার চৌহদ্দিঃ- উত্তরে মোহাম্মাদ আইউব আলী, দক্ষিনেঃ-শেখ মোহম্মদ নোয়াব আলী, পূর্বেঃ-ওয়াজ উদ্দিন, পশ্চিমেঃ-শেখ মোহাম্মদ নোয়াব আলী এই চৌহদ্দিভূক্ত ৩২ শতাংশ নালজমি।

 

() তপছিল যাহা শুদ্ধ দাগ

 

জেলা ঢাকা থানা সাব-রেজিষ্ট্রি কেরানীগঞ্জ সাবেক ৪৫১ নং পানগাঁও মোজাস্থিত সাবেক ৯৩৮ এস. এ. ৭৫৩ নম্বর খতিয়ান সাবেক ও এস. এ. দাগ নং ২৪৪ নাল জমি ৩২ শতাংশ যাহার চৌহদ্দি। উত্তরেঃ-শেখ মোহাম্মাদ আইউব আলী, দক্ষিনেঃ-শেখ মোহাম্মাদ নোয়াব আলী, পূর্বেঃ-ওয়াজ উদ্দিন, পশ্চিমেঃ-শেখ মোহাম্মাদ নোয়াব আলী। এই চৌহদ্দিভুক্ত ৩২ শতাংশ যাহা নালিশী ভূমি।

 

সত্যপাঠ:

 

উপরোক্ত আরজির যাবতীয় বিবরণ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস  মতে সত্য জানিয়া আমার নিয়োজিত আইনজীবী সাহেবের  চেম্বারে বসিয়া অত্র সত্যপাঠে নিজ নাম দস্তখত করিলাম।

 

 

————————

সত্যপাঠকারীর স্বাক্ষর:

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *