একটি রেজিস্ট্রি দলিল বিভিন্ন কারণে সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। যে কারণেই হোক দলিল সংশোধন বিধান রয়েছে। নিম্নে দলিল সংশোধন করার নিয়ম আলোচনা করা হলো-
দলিল সংশোধন করার নিয়ম
দলিলে কোন কারণে ভুল হলে সেই ভুল বা ভ্রম সংশোধন করা যায় দুই ভাবে। যথা-
(১) সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলের ভুল সংশোধন,
(২) আদালত কর্তৃক দলিলের ভুল সংশোধন।

সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলের ভুল সংশোধন এর নিয়ম-
দলিল রেজিস্ট্রির পর উক্ত দলিলে ছোট খাটো কোন ভুল পরিলক্ষিত হলে যে ভুল সংশোধন করলে দলিলের মূল কাঠামো কিংবা স্বত্বের কোন পরিবর্তন ঘটবে না যেমন, দাগ খতিয়ান ইত্যাদির ভুল। সেই ক্ষাত্রে এই ধরণের ভুল সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার বরাবরে ভ্রম সংশোধনের আবেদন করা যায়। সাব-রেজিস্ট্রার এই ধরনের ছোট খাটো ভুল বা ভ্রম সংশোধন করতে পারেন।
আদালত কর্তৃক দলিলের ভুল সংশোধন এর নিয়ম-
জমি রেজিস্ট্রি করার পর যদি কোন ভুল পরিলক্ষিত হয় এবং সেই ভুল সংশোধন করলে যদি মূল কাঠামো কিংবা স্বত্বের পরিবর্তন ঘটে তাহলে উক্ত ভুল সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার সংশোধন করতে পারবে না। এই ক্ষেত্রে দেওয়ানি আদালতে সংশোধনের মোকদ্দমা দায়ের করে সংশোধন করতে হবে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৩১ ধারা মোতাবেক নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দলিল সংশোধন (Rectification of Instrument) মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে-
(ক) প্রতারণার মাধ্যমে দলিলটি সম্পাদিত হলে।
(খ) ভুলভাবে দলিলটি লিপিবদ্ধ হলে।
(গ) দলিলের গর্ভে পক্ষগণের উদ্দেশ্য সঠিকভাবে ব্যক্ত করা না হলে।
মামলা দায়েরের তামাদি মেয়াদ-
অবগতির তারিখ হতে ৩ বছরের মধ্যে দেওয়ানি আদালতে দলিল/চুক্তি সংশোধনের মোকদ্দমা দায়ের করা যাবে।
[সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ৩১ ধারা]
সুতরাং ৩ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলে আর দলিল সংশোধনের মামলা করা যায় না। কারণ ৩ বছর পর এরূপ মামলা তামাদির নিয়মে দ্বারা বারিত। তবে এরূপ ক্ষেত্রে ঘোষণামূলক মামলা করা যাবে। এ ধরণের মামলার রায়ই হল সংশোধন দলিল। নতুন করে আর দলিল করতে হবে না।
উক্ত মামলার রায়ের ১টি কপি আদালত সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করবেন। সাব-রেজিস্ট্রার আদালতের রায়ের কপি পাবার পর উক্ত রায়ের আলোকে তিনি সংশ্লিষ্ট ভলিউম সংশোধন করে নিবেন। তাই নতুন করে আর কোন দলিল করার প্রয়োজন হবে না।
দলিল/চুক্তি সংশোধনের ধাপ-
উপরোক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, দলিল/চুক্তি সংশোধনের ধাপ ৩ টি। যথা-
(১) সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলের ভুল সংশোধন।
(২) তিন বছরের মধ্যে দেওয়ানী আদালতে দলিল সংশোধন মামলা।
(৩) তিন বছর পরে দেওয়ানী আদালতে ঘোষণামূলক মামলা।
যেকোন আইনি জটিলতায় আইনগত মতামত ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন-
যোগাযোগ
আইনবিদ লিগ্যাল সলিউশন
ল্যান্ড প্রপার্টি সলিউশন সার্ভিস
সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)
চীফ লিগ্যাল এডভাইজার
১৬, কৈলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।
অথবা
রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা
ফোন- 01711068609 / 01540105088
ওয়েবসাইট- www.ainbid.com