দেওয়ানী কার্যবিধির সহজ নোট (১০১-১৫৫ ধারা)

দেওয়ানী কার্যবিধি, ১৯০৮ (The Code of Civil Procedure, 1908) 

ধারা ১০১-১৫৫

 

ধারা ১০৪:        [৪৩ আদেশ ১ বিধি]

যেসকল আদেশ হইতে আপীল দায়ের করা যায়।

নিম্নলিখিত আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যায়-

(ক) ৩৫ক ধারায় প্রদত্ত আদেশ [মিথ্যা মামলায় ক্ষতিপূরণ অনধিক ২০,০০০/-]

(খ) ৯৫ ধারায় প্রদত্ত আদেশ [অপর্যাপ্ত কারণে ক্রোক/আটক ক্ষতিপূরণ অনধিক ১০,০০০/-]

(গ) ডিক্রি জারিতে গ্রেফতার ও আটক ছাড়া এই বিধির অধীন অন্যক্ষেত্রে জরিমানা, গ্রেফতার বা দেওয়ানী কয়েদে আটকের আদেশের বিরুদ্ধে ।

(ঘ) ৪৩ আদেশের ১ বিধিতে উল্লেখিত ২৬ ক্ষেত্রে ।

 

ধারা ১০৫: অন্যান্য আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে না।

১০৪ ধারা ও ৪৩ আদেশের ১ বিধিতে বর্ণিত আদেশসমূহ  ছাড়া অন্য কোনো আদেশের বিরুদ্ধে আপীল করা যাবে না।

 

ধারা ১০৭: আপীল আদালতের ক্ষমতা।     [৪১ আদেশ]

(১) আপীল আদালত নিম্নলিখিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন-

(ক) শুনানী ও নিষ্পত্তি।

(খ) পুনর্বিচারের (Remand) জন্য প্রেরণ।

(গ) বিচার্য বিষয় স্থির করে (ইস্যু গঠন) পুনর্বিচারের জন্য প্রেরণ।

(ঘ) অতিরিক্ত সাক্ষ্য গ্রহণ ও গ্রহণের জন্য অধস্তন আদালতকে নির্দেশ।

[প্রাসঙ্গিক আলোচনাঃ]

রিমান্ড দুই প্রকার। যথাঃ

(১) মামালার রিমান্ড: [CPC ১০৭ ধারা ও ৪১ আদেশ]

(২) পুলিশ রিমান্ড: [CrPC ১৬৭ ধারা]

 

ধারা ১০৯: সুপীম কোর্টের আপীল বিভাগে যখন মামলা করা যায়।

সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে আপীল করা যায়-

(ক) হাইকোর্ট বিভাগের মূল দেওয়ানী এখতিয়ারে প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে। (খ) হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়ানী আপীল এখতিয়ারে প্রদত্ত ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে এবং

(গ) চুড়ান্ত আপীল এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের ডিক্রি বা আদেশের বিরুদ্ধে।

[যেমন: Land Survey Appellate Tribunal]

 

ধারা ১১৩:     [৪৬ আদেশ]

হাইকোর্ট বিভাগের রেফারেন্স/অভিমত/মতামত (Reference)।

রেফারেন্স বা মতামত চাইতে পারেন ৩ টি আদালত-

(ক) মূল বিচারিক আদালত

(খ) ডিক্রি জারিকারক আদালত বা

(গ) আপীল আদালত।

রেফারেন্স বা মতামত দিতে পারেন শুধুমাত্র হাইকোর্ট বিভাগ।

রেফারেন্সে হবে শুধুমাত্র আইনগত বিষয়ে।

 

ধারা ১১৪:           [৪৭ আদেশ ১ বিধি]

রিভিউ (Review)/পুনর্বিবেচনা।

ডিক্রি বা আদেশদানকারী আদালত যখন বিষয়টি পূনঃরায় বিবেচনা করেন তখন তাকে বলা হয় রিভিউ।

৩ টি ক্ষেত্রে রিভিউ এর জন্য আবেদন করা যাবে-

(ক) আপীল করার বিধান ছিল কিন্তু আপীল করা হয় নাই।

(খ) যেখানে আপীল করার বিধান নাই।

(গ) স্বল্প এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতের সিদ্ধান্ত।

 

রিভিউ এর তামাদি সময় ৩ ধরণের –

আদালত তামাদি সময় অনুচ্ছেদ
(ক) স্বল্প এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে ১৫ দিন তামাদি আইন অনুচ্ছেদ ১৬১
(খ) হাইকোর্ট বিভাগে ২০ দিন তামাদি আইন অনুচ্ছেদ ১৬২
(গ) অন্য সকল আদালতে ৯০ দিন তামাদি আইন অনুচ্ছেদ ১৭৩

 

ক্ষুব্ধ ব্যক্তির প্রতিকার ২ ধরণের –

যখন আবেদন করবেন প্রতিকার কারণ
রিভিউ নামঞ্জুর হলে রিভিশন আদেশ ৪৩ -এ আপীলযোগ্য আদেশের তালিকায় না থাকায় ইহা আপীলযোগ্য নয়
রিভিউ মঞ্জুর হলে আপীল আদেশ ৪৩(১) অনুযায়ী ইহা একটি আপীলযোগ্য আদেশ

 

রিভিউ এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পূরঃরায় রিভিউ করা যাবে না।

 

ধারা ১১৫: রিভিশন (Revision)/পুনরীক্ষণ।

রিভিশন: হাইকোর্ট বিভাগ বা জেলা জজ, তাদের অধস্তন কোনো আদালত আইনগত কোনো ভুল করলে এবং এর ফলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হলে সংশ্লিষ্ট অধস্তন আদালতের নথি তলব করতে পারবেন, পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারবেন ইহাকেই বলা হয় রিভিশন।

ভুল প্রধানত ২ প্রকার-

(ক) আইনগত ভুল- যে ভুলের সমাধান আইনের মাধ্যমে দেওয়া হয় তাকে আইনগত ভুল বলে।

(খ) তথ্যগত ভুল – যে ভুলের সমাধান ঘটনার মাধ্যমে দেওয়া হয় তাকে তথ্যগত ভুল বলে।]

 

রিভিশন ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন ২ টি আদালত-

(ক) হাইকোর্ট বিভাগ বা

(খ) জেলা জজ

রিভিশন হবে শুধুমাত্র আইনগত বিষয়ে ভুল করলে।

 

হাইকোর্টের অধস্তন দেওয়ানী আদালত ৫ প্রকার

(১) জেলা জজ (২) অতিরিক্ত জেলা জজ (৩) যুগ্ম জেলা জজ (৪) সিনিয়র সহকারি জজ (৫) সহকারি জজ

 

রিভিশন এর পদ্ধতি- ধারা ১১৫(১) ও ১১৫(২):

ডিক্রির ক্ষেত্রে রিভিশন:

৫টি দেওয়ানী আদালতের মধ্যে যেকোন আদালতের ডিক্রির বিরুদ্ধে রিভিশন হাইকোর্ট বিভাগে।   [ধারা ১১৫(১)]

 

আদেশের ক্ষেত্রে রিভিশন:

জেলা জজ ও অতিরিক্ত জেলা জজ -এর আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন হবে হাইকোর্টে বিভাগে। [ধারা ১১৫(১)]

সহকারি জজ, সিনিয়র সহকারি জজ ও যুগ্ম জেলা জজ -এর আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন হবে জেলা জজ আদালতে।

[ধারা ১১৫(২)]

ধারা ১১৫(): জেলা জজ কোনো রিভিশন মোকদ্দমা পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত জেলা জজের নিকট প্রেরণ করলে অতিরিক্ত জেলা জজ, জেলা জজের সমান ক্ষমতা সম্পন্ন হবে।

ধারা ১১৫(): Live to revision

জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজের রিভিশন এখতিয়ারে প্রদত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পূনরায় হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন (Second Revision)  করা যাবে। তবে এইক্ষেত্রে পূর্ব অনুমতি নিতে হবে যাকে Leave to revision বলা হয়.

 

রিভিশনের নির্দিষ্ট কোনো তামাদি সময় নাই।

রিভিশনে প্রদত্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ব্যক্তির কোনো প্রতিকার নাই। তবে রিভিউ করা যায়।

 

ধারা ১২২: বিধিমালা প্রনয়ণে সুপ্রীম কর্টের ক্ষমতা।

সুপ্রীম কোর্ট তার ২টি বিভাগ ও অধস্তন আদালত সমুহকে  নিয়ন্ত্রণের জন্য বিধিমালা প্রনয়ণ করতে পারবেন। প্রণীত বিধিমালার দ্বারা দেওয়ানী কার্যবিধির প্রথম তফসিলে বর্ণিত আদেশ ও বিধিসমুহের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন করতে পারবেন।

 

ধারা ১২৩: বিধি কমিটি গঠন।

সুপ্রীম কোর্ট ১২২ ধারা মোতাবেক বিধিমালা প্রণয়নের জন্য নিম্নলিখিতভাবে বিধি কমিটি গঠন করতে পারবেন-

(ক) সুপ্রীম কোর্টের বিচারক – ৩ জন। যাদের ১জন কমপক্ষে ৩ বছর জেলা জজ ছিলেন।

(খ) সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী – ২ জন।

(গ) হাইকোর্ট বিভাগের অধস্তন দেওয়ানী আদালতের বিচারক – ১ জন।

উপরে বর্ণিত সদস্যদের নিয়োগ দান করবেন প্রধান বিচারপতি এবং সদস্যদের মধ্য হতে একজনকে সভাপতি মনোনীত করবেন। প্রধান বিচারপতি নিজেকে সদস্য মনোনীত করলে তিনি নিজেই সভাপতি হবেন এবং অন্য আরো ২ জনকে নিয়োগ দিবেন। প্রধান বিচারপতি বিধি কমিটির জন্য একজন সচীব নিয়োগ করবেন যিনি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পারশ্রমিক পাবেন।

 

ধারা ১২: বিধি কমিটি সুপ্রীম কোর্টে প্রতিবেদন (Report) দাখিল করবে।

বিধি কমিটি ১ম তফসিলের বিধিকে বাতিল, পরিবর্তন বা নতুন বিধি প্রণয়ন করলে সুপ্রীম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করবে।

ধারা ১২৬: বিধিসমূহ অনুমোদন সাপেক্ষ হবে।

১২২ ধারা অনুসারে বিধিমালা প্রণয়ন অবশ্যই রাষ্ট্রপতির পূর্ব অনুমোদন সাপেক্ষ হবে।

 

ধারা ১৩২: কতিপয় স্ত্রীলোকের ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতি।

পর্দানশীল স্ত্রীলোককে আদালত ব্যক্তিগত হাজিরা হতে অব্যাহতি দিবেন। তবে এই ধরণের বিধান গ্রেফতারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবেনা।

 

ধারা ১৩৫এ: আইন পরিষদের সদস্যদের গ্রেফতার ও আটক আদেশ হতে অব্যাহতি।

নিম্নলিখিত ব্যাক্তিগণকে দেওয়ানী পরোয়ানায় গ্রেফতার ও আটক করা যাবে না-

(ক) সংসদ সদস্য হলে সংসদের অধিবেশন চলাকালীন সময়।

(খ) সংসদীয় কমিটির সদস্য হলে কমিটির সভা চলাকালীন সময়।

(গ) উক্ত অধিবেশন বা সভা অনুষ্ঠানের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ১৪ দিন।

 

ধারা ১৩৭: অধস্তন আদালতের ভাষা।

অধস্তন আদালতের ভাষা নির্ধারণ করবেন সরকার।

[সুপ্রীম কোর্টের ভাষা নির্ধারণ করবেন সুপ্রীম কোর্টে/প্রধান বিচারপতি।]

 

ধারা ১৩৮: সাক্ষ্য ইংরেজি ভাষায় লিপিবদ্ধ করিবার জন্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ দিবার ক্ষমতা।

হাইকোর্ট বিভাগ সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবেন যে, আপীলযোগ্য মামলার সাক্ষীর সাক্ষ্য ইংরেজি ভাষায় লিপিবদ্ধ করিতে হইবে।

 

ধারা ১৩৯: হলফনামা শপথ যাহার দ্বারা পরিচালিত হবে।

হলফনামা শপথ পরিচালনা করবেন-

(ক) জজ বা ম্যাজিস্ট্রেট অথবা

(খ) সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোনো কর্মকর্তা অথবা

(গ) সরকারি কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী।

 

ধারা ১৪২: আদেশ ও নোটিশ লিখিত হতে হবে।

আদালত কর্তৃক জারিকৃত কিংবা প্রদত্ত কোনো আদেশ ও নোটিশ অবশ্যই লিখিত হতে হবে।

 

ধারা ১৪৩: ডাকমাশুল (Postage).

আদালত কর্তৃক কোনো নোটিশ, সমন বা চিঠি প্রেরণ করতে হলে অবশ্যই পূর্ব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডাকমাশুল ও নিবন্ধনের ফি জমা দিতে হবে।

 

ধারা ১৪৪: পুনরুদ্ধার বা প্রত্যাবর্তন বা ফেরতের (Restitution) আবেদন।

(১) কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে আদালত প্রত্যাবর্তনের আদেশের সাথে মোকদ্দমার খরচ, সুদ, খেসারত,  ক্ষতিপূরণ এবং মধ্যবর্তীকালীন মুনাফা পরিশোধের আদেশ দিতে পারেন।

(২) প্রত্যার্পনের জন্য কোনো মোকদ্দমা করার প্রয়োজন নাই। শুধুমাত্র আবেদন করলেই হবে।

 

[যদি কোনো ব্যক্তির নিকট হতে কোনো কিছু আদালতের পূর্ববর্তী ভ্রান্ত ডিক্রির দ্বারা নেওয়া হয়, পরবর্তীতে উক্ত ডিক্রি রদ বা পরিবর্তিত হলে উক্ত কোনো কিছু উক্ত ব্যক্তিকে ফেরত দেওয়াকেই বলা হয় প্রত্যার্পন/পূনরুদ্ধার।

১৪৪ ধারায় প্রদত্ত সিদ্ধান্ত ডিক্রি হিসাবে গণ্য হবে – ধারা ২(২)]

 

ধারা ১৪৮: সময় বৃদ্ধিকরণ (Enlargement of Time)। [আদেশ ১৭(১)] [CrPC Section- 344]

আইন দ্বারা নির্ধারিত থাকলে কিংবা আদালত কোনো সময়সীমা অনুমোদন করলে আদালত সময় সময় ঐচ্ছিক ক্ষমতায় (Discretion) উক্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

 

ধারা ১৪৯: কোর্ট ফি এর ঘাটতি পূরণের ক্ষমতা।

মোকদ্দমা দায়েরের সময় কোর্ট ফির ঘাটতি থাকলে মোকদ্দমার যেকোনো পর্যায়ে আদালত ঘাটতি পূরণের জন্য সময় মঞ্জুর করতে পারবেন। উক্ত সময়ের মধ্যে ঘাটতি পূরণ করা হলে ধরা হবে মোকদ্দমার শুরুতেই সম্পূর্ণ ফি প্রদান করা হয়েছে।

[৭ আদেশের ১১ বিধি মোতাবেক সময়সীমা ২১ দিনের অধিক হবে না]

 

ধারা ১৫১: আদালতের সহজাত ক্ষমতার (Inherent power) সংরক্ষণ। (CrPC Sec 561A)

যেকোনো দেওয়ানী আদালত ২টি ক্ষেত্রে সহজাত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন-

(ক) ন্যায়বিচারের স্বার্থে।

(খ) আদালতের কার্যধারার অপব্যবহার রোধ করার জন্য।

 

ধারা ১৫২: রায়, ডিক্রী বা আদেশ সমূহ সংশোধন।

আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোনো রায়, ডিক্রি বা আদেশে করণিক (Clerical) বা গাণিতিক (Mathematical) ভুল হলে বা আকস্মিক কোনো ভ্রান্তি বা বিচ্যুতি হলে যেকোনো সময় আদালত নিজ উদ্যোগে বা কোনো পক্ষের আবেদনক্রমে উহা সংশোধন করতে পারবেন।

 

ধারা ১৫৩: সংশোধন করার সাধারণ ক্ষমতা।

আদালত মোকদ্দমার কোনো বিষয় সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করতে পারবেন অপর পক্ষের জন্য ক্ষতিপুরণ বিবেচনা পূর্বক।

 

ধারা ১৫৪: আপীলের বর্তমান অধিকার সংরক্ষণ।

এই বিধানের কোনো কিছুই কোনো ব্যক্তির আপীল করার অধিকার খর্ব করতে পারবে না।

 

ধারা ১৫৫: কতিপয় আইনের সংশোধন।

৪র্থ তফসিলে বর্ণিত আইনগুলো সংশোধন করা হলো।

 

লেখক-

এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)

01711-068609 / 01540-105088

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *