দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নিয়মে দরখাস্তের বিরুদ্ধে বিবাদীর লিখিত আপত্তি।

দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ১ ও ২ নিয়মে দরখাস্তের বিরুদ্ধে বিবাদীর লিখিত আপত্তি।

 

বাদী কর্তৃক দাখিলীয় দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশ ১ ও ২ নিয়ম নিয়মানুযায়ী দরখাস্তের বিরুদ্ধে বিবাদীপক্ষের লিখিত আপত্তি।

 

মোকাম: জিলা ঢাকার ৬ষ্ঠ সহকারী জজ আদালত, ঢাকা।

দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৩৯০/২০০৯

মোঃ মীর হোসেন মীরু

—————বাদী।

=বনাম=

 

মোঃ সেলিম মোড়ল গং

—————–বিবাদী।

 

বাদী কর্তৃক দাখিলীয় দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশের  ও   নিয়ম মোতাবেক দরখাস্তের বিরুদ্ধে বিবাদীগণ পক্ষে লিখিত আপত্তি

 

বিবাদীগণের বিনীত নিবেদন এই যেঃ-

 

১। বর্তমান আকারে ও প্রকারে অত্র মোকদ্দমা ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আইনের দৃষ্টিতে অচল ও বাতিলযোগ্য।

 

২। বাদীর মোকদ্দমা ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের বিবরণ তথা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক। কাজেই, উপরোক্ত মূল মোকদ্দমা খারিজ হইবে এবং অত্র নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তও না-মঞ্জুর হইবে।

 

৩। বাদীর মোকদ্দমা ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত Principle Of Estopple, Waiver and Acquiscence দ্বারা বারিত বটে।

 

৪। অত্র মোকদ্দমা এবং তৎপোষকতায় আনীত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত বাদীর স্বকীয় দোষে বারিত বটে।

 

৫। বাদীর উপরোক্ত মোকদ্দমা এবং তৎপোষকতায় আনীত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করিবার কোন আইনগত অধিকার (Locus Standi) বর্তমান বাদীর নাই। কাজেই, উপরোক্ত মূল মোকদ্দমা খারিজ হইবে এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তও না-মঞ্জুর হইবে।

 

৬। বাদীর বর্তমান মোকদ্দমার এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের কোন কারণ (Cause Of Action) নাই। কাজেই, কারণাভাবে মূল মোকদ্দমা খারিজ হইবে এবং অত্র অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তও না-মঞ্জুর হইবে।

 

৭। বাদীর বর্তমান মোকদ্দমাটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৪২ এবং ৫৬ ধারা অনুযায়ী বারিত বিধায় মূল মোকদ্দমা খারিজ হইবে এবং খারিজ যোগ্য মোকদ্দমায় বাদী কোন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইতে পারেন না।

 

৮। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিকার মূলতঃ ন্যায় পরায়ণতা ও পক্ষপাত শূন্য প্রতিকার। কাজেই, উক্তরূপ পক্ষপাত শূন্য প্রতিকার পাইতে হইলে বাদী দরখাস্তকারীকে সরল ও খোলা মনে এবং পরিস্কার হাতে উক্তরূপ প্রতিকার প্রার্থী হইতে হইবে। বাদী এবং তথাকথিত আমমোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেন অত্র বিবাদীদের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি গ্রাস করিবার অপমানসে তঞ্চকতার আশ্রয় লইয়া জাল জালিয়াতি মূলে এন্টিডেটেড তথাকথিত চক্তিপত্র দলিল সৃজন করিয়া এবং বাদী তাহার ভাড়াটিয়া সাজিয়া বাদী প্রকৃত সত্য গোপন করিয়া বিভিন্ন মিথ্যা বর্ণনা তথা অভিযোগ দিয়া অত্র অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রার্থনা করিয়াছেন। কাজেই, অত্র নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত নাকচ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।

 

৯। সুবিধা ও অসুবিধার ভারসাম্যের দিক বিচার করিলে উহা এই বিবাদীগণের অনুকূলে এবং বাদী পক্ষের প্রতিকূলে বিদ্যমান আছে। কাজেই, বাদী পক্ষের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।

 

১০। বাদী তাহার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে প্রাথমিকভাবে তাহার কেস কিম্বা কোন কেস বিজ্ঞাদালতের সম্মুখে উপস্থাপন করিতে চরমভাবে ব্যর্থ হইয়াছেন। কাজেই, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত সরাসরি খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।

 

১১। নালিশী সম্পত্তিতে কিম্বা উহার কোন অংশে বাদীর কোন স্বত্ব-স্বার্থ, মালিকানা কিম্বা দখলাধিকার কোন দিনই ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। নালিশী সম্পত্তির মালিক দখলকার অত্র বিবাদীগণ। কাজেই, মালিক দখলকারের বিরুদ্ধে বাদী অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইতে হকদার নহেন বিধায় অত্র দরখাস্ত সরাসরি না-মঞ্জুর হইবে।

 

১২। বাদীর আরজীর প্রার্থনা অনুযায়ী নালিশী সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্যানুযায়ী অ্যাডভেলোরেম কোর্ট ফি প্রদান না করায় বর্তমান মোকদ্দমাটি কোর্ট ফি ও স্যুট ভেলুয়েশন আইনের পরিপন্থী বিধায় বাদীর বর্তমান আকারে আনীত মোকদ্দমাটি চলিতে পারেনা। কাজেই বাদীর মূল মোকদ্দমা খারিজ হইবে এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তও না-মঞ্জুর হইবে।

 

১৩। বাদীর মূল মোকদ্দমাটি সম্পত্তি হস্তান্তর আইনের পরিপন্থী বিধায় বাদীর মূল মোকদ্দমা খারিজ হইবে এবং খারিজ যোগ্য মোকদ্দমায় বাদী কোন নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইতে পারেন না বিধায় অত্র দরখাস্তও না-মঞ্জুর হইবে।

 

১৪। বাদীর মূল মোকদ্দমাটি সাক্ষ্য আইনে বারিত বিধায় বাদীর মূল মোকদ্দমা খারিজ হইবে এবং খারিজ যোগ্য মোকদ্দমায় বাদী কোন নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইতে পারেন না বিধায় অত্র দরখাস্তও না-মঞ্জুর হইবে।

 

১৫। বাদী স্বীকৃক্ত মতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের ৮৯নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিশনার এবং বর্তমান মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি বাদীর ওয়ার্ডের মধ্যে। পক্ষান্তরে অত্র বিবাদীগণ স্বীকৃক্তমতে ধানমন্ডি থানার ১৫২/১ গ্রীণ রোডে বসবাস করেন। সুতরাং সেই সুদূর গ্রীণ রোড হইতে একজন ওয়ার্ড কমিশনারের ওয়ার্ডে আসিয়া (যদি তাহার প্রকৃত দখল থাকিয়া থাকে) কোন সম্পত্তি হইতে বে-দখল করিবার প্রশ্নই আসে না। বাদী এবং তথাকথিত আমমোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেন অত্র বিবাদীদের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি গ্রাস করিবার অপমানসে এন্টিডেট দিয়া তথাকথিত চুক্তিপত্র সৃজন করিয়া ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের আশায় মিথ্যা বর্ণনা তথা অভিযোগ দিয়া উপরিউক্ত মূল সেমাকদ্দমা এবং একইভাবে অত্র অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করিয়াছেন যাহা খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।

 

১৬। বাদীর আরজীতে এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে নালিশী সম্পত্তির তফসিল হিসাবে যে সম্পত্তির বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা অস্পষ্ট, অনির্দিষ্ট ও স্থানীয়ভাবে সনাক্তের অযোগ্য। বাদী তাহার আরজীতে এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে যে সম্পত্তির উল্লেখ করিয়াছেন বাস্তবে উক্তরূপ চৌহদ্দিভূক্ত সম্পত্তি নালিশী দাগে কোন দিনই ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। বাদী কাল্পনিক ও অবাস্তব চৌহদ্দি দিয়া উপরিউক্ত মোকদ্দমা এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করায় অত্র দরখাস্ত সরাসরি খারিজ হইবে।

 

১৭। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ১নং পরিচ্ছেদের বিবরণ সম্পর্কে অত্র বিবাদীগণের কোনরূপ দ্বায়িত্ব বর্তায় না বিধায় তাহাদের কোনরূপ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

 

১৮। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ২নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী অত্র মামলার বাদী একজন অত্যন্ত নিরীহ কিম্বা শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল কিম্বা সমাজ সেবক মর্মে যে বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা সঠিক নহে। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকা সিটি করর্পোরেশনের ৮৯নং ওয়ার্ডের একজন প্রতিনিধি তাহা অত্র বিবাদীগণ অস্বীকার করেন না। প্রসঙ্গতঃ বাদী শান্তিপ্রিয় কিম্বা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মর্মে যে বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা সঠিক নহে। বাদী নিরীহ কিম্বা শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হইলে তিনি এইরূপ ডাহা মিথ্যা বর্ণনা তথা অভিযোগ দিয়া অত্র নিরীহ, শান্তিপ্রিয় ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অহেতুক হয়রানী মূলক বর্তমান মোকদ্দমাটি এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দায়ের করিতেন না।

 

১৯। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ৩নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বিবাদীগণের পূর্ববর্তী আব্দুল মজিদ মোড়ল ১ (ষোল) আনার মালিক ও সকলের জাতসারে ভোগ দখল পরিচালনা করিতে থাকাবস্থায় উক্ত সম্পত্তি ভোগ দখল শাসন সংরক্ষন দেখাশুনা ও ভাড়া দেওয়া ইত্যাদি কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করিবার জন্য তাহার নিকটতম আত্মীয় মোঃ আনোয়ার হোসেন, পিতা মৃত-রাহাত আলীকে ঢাকার নোটারী পাবলিকের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া বিগত ০৫/৯/২০০১ ইং তারিখে ২৭নং দলিল মূলে আম মোক্তার নিযুক্ত করিবার কথা রেকর্ডীয় বিষয় বিধায় অত্র বিবাদীগণের উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে কোনরূপ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তবে উক্ত সম্পত্তির দখল বর্ণিত আমমোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেনের বরাবরে বুঝাইয়া দেওয়ার কথা কিম্বা উক্ত আম মোক্তার নালিশী সম্পত্তি সকলের জ্ঞাতসারে ভোগ দখল করিতে থাকিবার কথা সঠিক নহে। কারণ অত্র বিবাদীগণের পিতা জনাব আব্দুল মজিদ মোড়ল তাহার সাময়িক অসুবিধার কারণে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেনকে তাহার আমমোক্তার নিযুক্ত করেন। কিন্তু বর্ণিত আমমোক্তার উক্ত আমমোক্তারনামা দলিল অনুযায়ী কোন কার্য্য গ্রহণ করিবার পূর্বেই অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল মৃত্যুবরণ করেন। ফলে তাহার সম্পাদিত আমমোক্তারনামা দলিলটি আপনা আপনি বাতিল হইয়া যায়। ফলে বর্ণিত আমমোক্তার আর আব্দুল মজিদ মোড়লের আমমোক্তার ছিলেন না এবং উক্ত সম্পত্তি সকলের জ্ঞাতসারে তাহার ভোগ দখলের কোন প্রশ্নই উঠে না। অত্র বিবাদীদের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল মৃত্যুবরণ করিবার অত্র বিবাদীগণ তাহার ওয়ারিশ হিসাবে নালিশী সম্পত্তিসহ তাহাদের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে ভোগ দখলে রত আছেন যাহা প্রকৃত বৃত্তান্তে উল্লেখ করা হইল।

 

২০। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ৪নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী আমমোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেন উপরোক্ত অবস্থায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি তাহার নিজ দখলে নিয়া সকলের জ্ঞাতসারে ভোগ দখল পরিচালনা করিতে থাকাবস্থায় উক্ত আব্দুল মজিদ মোড়লের জ্ঞাতসারে ও সম্মতিতে বাদীর নিকট তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি দীর্ঘ মেয়াদী ভাড়া দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সাক্ষীগণের মোকাবেলায় আলাপ আলোচনান্তে বাদী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ভাড়া নেওয়ার জন্য রাজী হন কিম্বা উভয় পক্ষ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে বিগত ২১/১০/২০০১ ইং তারিখ হইতে ২০/১০/২০১৬ ইং সন পর্যন্ত ১৫ বৎসরের জন্য ভাড়া প্রদান করেন কিংবা বাদীকে নালিশী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির দখল বুঝাইয়া দেন মর্মে যে বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ, দুরভিসন্ধিমূলক ও বাস্তবতার পরিপন্থী এবং বে-আইনী বর্ণনা হেতু উক্ত সমুদয় বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল তাহার জীবদ্দশায় তিনিই নালিশী সম্পত্তি ভোগ দখলে থাকাবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এবং তাহার মৃত্যুর তাহার ওয়ারিশ হিসাবে অত্র বিবাদীগণ নালিশী সম্পত্তি ভোগ দখলে ছিলেন এবং এখনও আছেন। আব্দুল মজিদ মোড়লের আমমোক্তার হিসাবে বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেন বিগত ২১/১০/২০০১ তারিখে কিম্বা উহার আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোন তারিখে নালিশী সম্পত্তি বাদীর নিকট কোনরূপ ভাড়া প্রদান করেন নাই এবং বাদী উক্তরূপ নালিশী সম্পত্তি ভাড়ায় গ্রহণ করেন নাই। বাদী যদি উল্লেখিত তারিখের কোন চুক্তিপত্র বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করিতে সক্ষম হন তাহা হইলে উহা এন্টিডেটেড ও জাল জালিয়াতি মুলে সৃজিত হইয়া থাকিবে যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ কোনরূপ বাধ্য নহেন। তাহাছাড়া এক বৎসর মেয়াদের বেশী সময়ের জন্য ভাড়া হইলে উক্ত ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র আইন অনুযায়ী অবশ্যই রেজিস্ট্রি হইতে হইবে। কিন্তু বাদী তাহা না করায় বাদীর তথাকথিত চুক্তিপত্র দলিলটি জাল জালিয়াতি মূলে সৃজিত তাহা বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

২১। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ৫নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি নিচু ডোবা জমি থাকিবার কথা কিম্বা বাদীর সহিত উক্ত ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্রের শর্ত হয় যে মালিক পক্ষ নিচু জমি মাটি ভরাট করিয়া পাকা দালান তৈরী করিয়া দিবেন কিম্বা প্রথম পক্ষ তাহাকে =১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা প্রদান করিবেন কিম্বা যতদিন পর্যন্ত মাটি ভরাট করিয়া পাকা দালান তৈরী করিয়া না দেন ততদিন পর্যন্ত বাদী নিজ ব্যয়ে কাঁচা গৃহাদি তৈরি করিয়া বা টিনের ঘর তৈরি করিয়া তাহার ইচ্ছামত ব্যবসা করিতে পারিবেন কিম্বা উক্ত চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক বাদী চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের দিন বিবাদীগণের পূর্ববর্তী আব্দুল মজিদ মোড়লের নিযুক্তীয় আম মোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে উক্ত আব্দুল মজিদ মোড়লকে = ১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা প্রদান করেন কিম্বা নালিশী সম্পত্তির নিজ দখল নিয়া তথায় কাঁচা ঘর নির্মাণ করিয়া হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন মর্মে যে সকল বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ, দূরভিসন্ধিমূলক ও বাস্তবতার পরিপন্থী বর্ণনা হেতু উক্ত সমুদয় বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল কর্তৃক সাময়িক প্রয়োজনে বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেন-কে তাহার আমমোক্তার নিযুক্ত করিলেও বর্ণিত আমমোক্তার উক্ত আমমোক্তারনামা দলিল বলে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে কোন কাজ আরম্ভ করিবার পূর্বেই বর্ণিত আব্দুল মজিদ মোড়ল মৃত্যুবরণ করায় বর্ণিত আমমোক্তার আর নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে পারেন নাই। কাজেই, বাদীর নিকট হইতে নালিশী সম্পত্তি বাবদ =১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা কিম্বা অন্য কোন অঙ্কের টাকা তথাকথিত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের দিন বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে আব্দুল মজিদ মোড়ল গ্রহণ করিবার কথা ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বাদীর তথাকথিত ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্রে যে সকল সাক্ষী রহিয়াছে তাহারা সকলেই বাদীর পরিচিত লোক জন। তদুপরি বাদীর যে সময়ে তথাকথিত চুক্তিপত্রের কথা ও তথাকথিত টাকা গ্রহণের কথা বলেন এবং বিবাদীদের জানামতে অত্র বিবাদীদের পিতা বর্ণিত আব্দুল মজিদ মোড়ল ঐ সময়ে উল্লেখিত পরিমাণ টাকার কোন কাজ করেন নাই। তাহাছাড়া তিনি যদি প্রকৃতপক্ষে উক্ত টাকা গ্রহণ করিয়া থাকিতেন তাহা হইলে তাহার পুত্র হিসাবে বিবাদীগণ কিম্বা বিবাদীদের আত্মীয় স্বজনের মধ্যে কেহ না কেহ অবশ্যই জানিতেন। বাদী এবং বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেন জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পরস্পর যোগ সজসে অত্র বিবাদীদের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি গ্রাস করিবার অসৎ উদ্দেশ্যে উক্ত ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র সৃজন করিয়াছেন যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য নহেন। বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেন আমমোক্তার হিসাবে কোন কার্য্য করিবার পূর্বেই বর্ণিত আব্দুল মজিদ মোড়ল মৃত্যুবরণ করায় বর্ণিত আমমোক্তার অত্র বিবাদীগণকে নতুন করিয়া তাহাদিগকে আমামোক্তারনামা দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দিয়া তাহাদের আমমোক্তার নিযুক্ত করিতে বলেন কিন্তু অত্র বিবাদীগণ তাহাতের সম্মত না হওয়ায় বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেন এর নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে কোন কার্য্য করিবার কোন আইনগত অধিকার ছিল না এবং তিনি কোন কাৰ্য্য করিতে পারেন নাই। তাহাছাড়া নালিশী সম্পত্তিতে বাদীর কোনরূপ হোটেল থাকিবার কথাও ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

 

২২। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ৬নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী বাদীর সহিত উক্ত চুক্তিপত্রে আরও শর্ত থাকে যে যতদিন পর্যন্ত নালিশী সম্পত্তিতে পাকা দালানাদি তৈরি করিয়া না দিবে ততদিন বাদীকে কোন ভাড়া প্রদান করিতে হইবে না কিম্বা নালিশী সম্পত্তি বিক্রী করিতে চাহিলে বাদীর নিকট বিক্রী করিবেন কিম্বা চুক্তিপত্র বলবৎ থাকালীন নালিশী সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রী করিতে পারিবে না বা অন্য কোন অজুহাতে অত্র চুক্তিপত্র বাতিল করা যাইবে না কিম্বা চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষে বাদী কর্তৃক প্রদত্ত =১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা বাদীকে ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকিবে কিম্বা যতক্ষন পর্যন্ত উক্ত অগ্রিম দেওয়া টাকা ফেরৎ না দিবে ততক্ষন পর্যন্ত বাদী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইবে না কিম্বা এছাড়াও শর্ত থাকে যে বাদী ইচ্ছা করিলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি পেটি ভাড়াটিয়া বসাইতে পারিবেন কিম্বা ইচ্ছা করিলে অন্যের নিকট ভাড়া দিয়া বাদী কর্তৃক প্রদত্ত =১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা তাহার নিকট হইতে গ্রহণ করিতে পারিবেন মর্মে যে সকল বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন উহা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ, দূরভিসন্ধিমূলক ও বাস্তবতার পরিপন্থী বর্ণনা হেতু উক্ত সমুদয় বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, প্রকৃতপক্ষে বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেন আমমোক্তার হিসাবে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে কোন কার্যক্রম গ্রহণ করিবার পূর্বেই অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল মৃত্যুবরণ করায় বর্ণিত আমমোক্তার আমমোক্তার হিসাবে বাদীর নিকট কিম্বা অন্য কাহারও নিকট নালিশী সম্পত্তি ভাড়া প্রদান করেন নাই কিম্বা তথাকথিত =১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) টাকা কিম্বা অন্য কোন অঙ্কের টাকা গ্রহণ করেন নাই এবং নালিশী সম্পত্তির দখলও বাদীকে প্রদান করেন নাই এবং যেহেতু নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে বাদী ও তথাকথিত আমমোক্তারের মধ্যে কোন ভাড়াটিয়া চুক্তি হয় নাই সেইহেতু তথাকথিত চুক্তিপত্রে উক্তরূপ কোন শর্ত সংযোজনের প্রশ্নই আসে না। সর্বোপরি, উল্লেখিত তথাকথিত চুক্তির শর্ত সমূহের দিকে দৃষ্টিপাত করিলেই সুস্পষ্টভাবে অনুধাবন করা যায় যে প্রকৃতপক্ষে একজন সম্পত্তির মালিক উক্তরূপ চুক্তির শর্তে তাহার সম্পত্তি ভাড়া প্রদান করিতে পারেন না এবং তথাকথিত চুত্তিপত্রটি যে জাল জালিয়াতি মূলে এক পাক্ষিকভাবে সৃজিত তাহা বলিবার অপেক্ষা রাখে না। বাদীর কথিত চুক্তিপত্রটি এন্টিডেটেড, ভুয়া, শুরু হইতেই বাতিল, অবৈধ ও বে-আইনী যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য নহেন। তাহাছাড়া বিবাদীদের পিতা আর্থিকভাবে তাহার মৃত্যুর বিগত ১০ (দশ) বৎসরের মধ্যে এমন অসচ্ছল ছিলেন যে নালিশী সম্পত্তির বাদীর নিকট উক্তরূপ টাকার বিনিময়ে ভাড়া প্রদান করিবেন। সুতরাং উপরিউক্ত বর্ণনা সমূহ ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

 

২৩। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ৭নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী বিবাদীগণের পূর্ববর্তীকে বা আমমোক্তারকে চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক নালিশী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে পাকা দালান তৈরি করিয়া দোকান ঘর প্রস্তুত করিবার জন্য বারবার তাগাদা দেওয়া স্বত্বেও তাহারা উহাতে কর্ণপাত না করায় বাদী নালিশী সম্পত্তিতে কাঁচা ঘর তৈরী করিয়া হোটেলের ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন মর্মে যে বর্ণনা দিয়াছেন তাহাও পূর্ববৎ ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ, দূরভিসন্ধিমূলক ও বাস্তবতার পরিপন্থী বর্ণনা হেতু উক্ত সমুদয় বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে যেহেতু বাদীর সহিত প্রকৃতপক্ষে কোন ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র হয় নাই এবং অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল কিম্বা তাহার পক্ষে তাহার তথাকথিত আমমোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেন নালিশী সম্পত্তি বাদীর নিকট ভাড়া প্রদান করেন নাই এবং নালিশী সম্পত্তির দখলও তাহার বরাবরে হস্তান্তর করেন নাই বিধায় নালিশী সম্পত্তিতে কিম্বা উহার কোন অংশে বাদীর কোনরূপ কাঁচা ঘর থাকা কিম্বা তথাকথিত ঘরে কোনরূপ হোটেলের ব্যবসা থাকিবার কথাও ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

 

২৪। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ৮নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ীবিবাদীগণের পূর্ববর্তী আব্দুল মজিদ মোড়ল কর্তৃক নিযুক্ত আমমোক্তার বা উক্ত আব্দুল মজিদ মোড়ল চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক নালিশী সম্পত্তিতে কোন মাটি ভরাট করিয়া দেয় নাই কিম্বা বাদী নালিশী সম্পত্তিতে পূর্ববৎ কাঁচা ঘর তৈরী করিয়া দখলকার বিদ্যমান রহিয়াছে মর্মে যে বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ, দূরভিসন্ধিমূলক বর্ণনা হেতু উক্ত সমুদয় বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে যেহেতু বাদীর সহিত নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে বাদীর বর্ণিত মতে কোন চুক্তিপত্র হয় নাই সেইহেতু নালিশী সম্পত্তিতে কোনরূপ মাটি ভরাট করিয়া দেওয়ার কথা অবান্তর ও ভিত্তিহীন এবং নালিশী সম্পত্তিতে বাদীর কোনরূপ দখল থাকিবার কথও ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

 

২৫। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ১নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী বিবাদীগণ অত্যন্ত অর্থলোভী কিম্বা তাহারা চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক কোন কার্য না করিয়া ইদানিং অন্যায় ও দূর্লোভের বশবর্তী হইয়া বাদীকে নালিশী সম্পত্তি হইতে বেআইনী ও জোরপূর্বক উচ্ছদ করিবার জন্য ষড়যন্ত্র করিতেছে কিম্বা যে কোন সময় বাদীকে নালিশী সম্পত্তি হইতে উচ্ছেদ করিতে পারে কিম্বা বিবাদীগণ দ্বারা নালিশী সম্পত্তিতে আশু শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা রহিয়াছে কিম্বা বিবাদীগণ যাহাতে বাদীকে বেআইনী ও জোরবপূর্বক নালিশী সম্পত্তি হইতে উচ্ছেদ করিতে না পারে বা শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে কোন প্রকার বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে না পারে কিম্বা চুক্তিপত্রের শর্ত ভঙ্গ করিয়া নালিশী সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রী করিতে না পারে তৎমর্মে বিজ্ঞ আদালত হইতে নিষেধাজ্ঞার আদেশের প্রয়োজন কিম্বা অন্যথায় বাদীর অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হইবে কিম্বা বিবাদীগণ তাহাদের লোকজনসহ বিগত ২৪/১০/২০০৯ইং তারিখে নালিশী সম্পত্তি হইতে উচ্ছেদ করিবার জন্য চেষ্টা করে কিম্বা বাদীর লোকজন তাহাতে বাধা সৃষ্টি করায় বিবাদীগণ বাদীকে উচ্ছেদ করিতে পারে নাই কিম্বা বিবাদীগণ অধিক লোকজন লইয়া বাদীকে উচ্ছেদ করিবে মর্মে শাসাইয়া যায় এবং বলে যে তাহারা নালিশী সম্পত্তি অন্যত বিক্রী করিয়া ফেলিবে কিম্বা বাদীর দেওয়া অগ্রিম টাকাও ফেরৎ দিবে না কিম্বা বাদী বাধ্য হইয়া বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অত্র চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হইতেছেন মর্মে যে সকল বর্ণনা তথা অভিযোগ প্রদান করিয়াছেন তাহা পূর্ববৎ ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ, দূরভিসন্ধিমূলক ও বাস্তবতার পরিপন্থী বর্ণনা হেতু উক্ত সমুদয় বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। ইতোপূর্বে একাধিকার উল্লেখ করা হইয়াছে যে, প্রকৃতপক্ষে বাদীর সহিত অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়লের কিম্বা তাহার তথাকথিত আমমোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেন নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে বাদীর সহিত কোন চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন নাই এবং বাদীর নিকট হইতে অগ্রিম কোন টাকা গ্রহণ করেন নাই এবং নালিশী সম্পত্তির দখল বাদীকে প্রদান করেন নাই এবং বাদী কোন দিনই নালিশী সম্পত্তির দখল গ্রহণ করেন নাই এবং বর্তমানেও নালিশী সম্পত্তিতে বাদী দখলে নাই। ফলে বাদী যেখানে নালিশী সম্পত্তির দখলে নাই সেখানে বাদীকে নালিশী সম্পত্তি হইতে বে-দখল করিবার কোনরূপ হুমকী প্রদান করিবার কথা ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাহাছাড়া অত্র বিবাদীগণ একজন চাকুরীজীবী এবং অন্য দুইজন ব্যবসায়ী এবং তাহারা ধানমন্ডি থানার ১৫২/১ গ্রীণ রোডের বাসিন্দা। সুতরাং তাহাদের পক্ষে নালিশী সম্পত্তি জুরাইন এলাকায় যাইয়া একজন নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিশনারকে কোনরূপ হুমকী প্রদান করিবার প্রশ্নই উঠে না।

 

২৬। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ১০নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী নালিশী সম্পত্তিতে বাদী ভোগ দখলকার নিয়ত থাকিবার কথা কিম্বা মূল মোকদ্দমা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের প্রয়োজন কিম্বা অন্যথায় বাদীর অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হইবে যাহা অর্থ দ্বারা কোনভাবেই পূরণ করা সম্ভবপর নহে কিম্বা অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার শুনানী না হওয়া পর্যন্ত উক্ত মর্মে অন্তর্ববর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রার্থনা করিতেছেন মর্মে যে বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চনাপূর্ণ, দূরভিসন্ধিমূলক ও বাস্তবতার পরিপন্থী বর্ণনা হেতু উক্ত সমুদয় বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে নালিশী সম্পত্তিতে কিম্বা উহার কোন অংশে বাদীর কোন দখল কোন দিনই ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। যেহেতু নালিশী সম্পত্তিতে অত্র বিবাদীগণ ভোগ দখলে রত আছেন সেইহেতু নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রদান না করিলে বরং বাদীর কোনরূপ ক্ষতির কারণ নাই পক্ষান্তরে উক্ত আদেশ প্রদান করিলে অত্র বিবাদীগণের অপূরণীয় ক্ষতি হইবে। কাজেই, অত্র দরখাস্ত না-মঞ্জুর হইবে।

 

২৭। অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের ১১নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের ভারসাম্য বাদীপক্ষে কিম্বা বিবাদীর বিরুদ্ধে কিম্বা নিষেধাজ্ঞার আদেশ না হইলে বাদীর অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হইবে কিম্বা অপরদিকে বিবাদীর কোন ক্ষতির কারণ হইবে না মর্মে যে বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন উহাও ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে নালিশী সম্পত্তিতে বাদীর কোন দখল কোন দিনই ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। নালিশী সম্পত্তিতে অত্র বিবাদীগণ ভোগ দখলে আছেন। কাজেই, নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রচারিত হইলে অত্র বিবাদীগণের অপূরণীয় ক্ষতি হইবে পক্ষান্তরে কোন আদেশ প্রচারিত না হইলে বাদীর কোন ক্ষতির কারণ নাই। কাজেই, অত্র দরখাস্ত না-মঞ্জুর হইবে।

 

২৮। বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের প্রার্থনা অলীক, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক। যেহেতু বাদীর আরজী এবং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তে নালিশী সম্পত্তি সুষ্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নহে সেইহেতু বাদী তাহার প্রার্থনা অনুযায়ী অত্র বিবাদীগণের বিরুদ্ধে কোন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইতে পারেন না বিধায় বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত সরাসরি না-মঞ্জুর হইবে।

 

২৯। বাদী প্রকৃত সত্য গোপন করিয়া এবং বিভিন্ন মিথ্যা বর্ণনা তথা অভিযোগের ভিত্তিতে মূল মোকদ্দমা এবং তৎপোষকতায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত আনায়ন করিয়াছেন যাহা খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।

 

প্রকৃত বর্ণনা নিম্নরূপঃ-

(ক) আরজীর তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিসহ উক্ত দাগের অপরাপর সম্পত্তি যাহা জিলা ঢাকার থানা সাবেক ডেমরা হালে শ্যামপুর অধীন ঢাকা কালেক্টরীরর ২৫৪ নম্বর তৌজিভূক্ত সি. এস. জরীপের ৩৩৭ নম্বর জুরাইন মৌজার ৩৬১ নম্বর খতিয়ানের ৩২৭ নম্বর দাগের ২৬ শতাংশ সম্পত্তি সহ উক্ত খতিয়ানের অপরাপর সম্পত্তিতে জনৈক গুরু প্রসাদ মন্ডল ওরফে গুর প্রসাদ দাসের পুত্র পরমেশ্বর মন্ডল ওরফে পরমেশ্বর দাস একক স্বত্ববান তথা মালিক-দখলকার ছিলেন।

 

(খ) বর্ণিত পরমেশ্বর মন্ডল ওরফে পরমেশ্বর দ-। নালিশী সম্পত্তি সহ উক্ত দাগ ও খতিয়ানের সমুদয় সম্পত্তিতে মালিক-দখলকার থাকাবস্থায় বি. এস. জরীপ আমলে আসিলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ উক্ত দাগের অবশিষ্ট সম্পত্তি এবং আরও একটি দাগের সম্পত্তি সম্পর্কে তাহার নামে সি. এস. ৩৩৭ নম্বর জুরাইন মৌজার সি. এস. ৩৬১ নম্বর খতিয়ানের সি. এস. ৬২৭ নম্বর দাগের ২৬ শতাংশ সম্পত্তি এবং আরও একটি দাগের সম্পত্তি সম্পর্কে তাহার নামে সঠিক ও শুদ্ধরূপে সি, এস. খতিয়ান প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

 

(গ) বর্ণিত পরমেশ্বর মন্ডল ওরফে পরমেশ্বর দাস নালিশী সম্পত্তি সহ উক্ত দাগ ও খতিয়ানে সমুদয় সম্পত্তিতে তাহার নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে তাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে তাহার দেয় যাবতীয় খাজনা-ট্যাক্সাদি নিয়মিত পরিশোধ পূর্বক ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজনে নালিশী সম্পত্তি সহ বর্ণিত দাগের সমুদয় ২৬ শতাংশ সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলে জুরাইন নিবাসী জনৈক নাদু সরদারের পুত্র আব্দুল লতিফ সরদার উক্ত সম্পত্তির মূল্য =৯৯/ টাকা বলায় এবং তাহার প্রস্তাবিত মূল্য বাজার যাচাই অন্তে সর্বোচ্চ মূল্য বিবেচিত হওয়ায় এবং উক্ত মূল্যেই বর্ণিত সম্পত্তি সহ উক্ত দাগের সমুদয় ২৬ শতাংশ সম্পত্তি বর্ণিত আব্দুল লতিফ সরদারের নিকট সাফ বিক্রয় করিতে সম্মত ও রাজী হইলে বর্ণিত পরমেশ্বর মন্ডল ওরফে পরমেশ্বর দাস কর্তৃবা ভূম্পাদিত কিন্তু অ- রেজিষ্ট্রিকৃত এক কিত্তা সাফ কবলা দলিল মূলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ উক্ত দাগের সমুদয় ২৬ শতাংশ সম্পত্তি সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল ক্রেতা বর্ণিত আব্দুল লতিফের নিকট বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

(ঘ) অতঃপর বর্ণিত আব্দুল লতিফ তাহার খরিদকৃত সম্পত্তিতে খরিদসূত্রে মালিক-দখলকার নিয়ত হইয়া অন্যের নিরাপত্যে, নির্বিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ-দখলে থাকাবস্থায় তৎকালীন সরকার বাহাদুর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক উন্নয়নের জন্য তফসিল বর্ণিত সি. এস. ৬২৭ নম্বর দাগের ২৬ শতাংশ সম্পত্তির অন্দরে পূর্বাংশের ১২ শতাংশ সম্পত্তি এল.এ. ৩৭/৫০-৫১ নং কেসের মাধ্যমে হুকম দখল করেন। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, উক্ত হুকুম-দখলকৃত সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ বাবদ =৩৫১/ (তিন শত একান্ন টাকা চৌদ্দ আনা) টাকা বর্ণিত আব্দুল লতিফ সরদারকে প্রদান করা হয়। অতঃপর বর্ণিত আব্দুল লতিফ সরদার উক্ত হুকুম-দখলকৃত সম্পত্তি বাদে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ উক্ত দাগের অবশিষ্ট অর্থাৎ পশ্চিমাংশের কম-বেশী ১৪ শতাংশ সম্পত্তিতে তাহার নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে তাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে তাহার দেয় যাবতীয় খাজনা-ট্যাক্সাদি নিয়মিত পরিশোধ পূর্বক শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজনে উক্ত সমুদয় কম-বেশী ১৪ শতাংশ সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিলে মুরাদপুর নিবাসী মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র হাজী বদিউজ্জামান উক্ত সম্পত্তি বাজার সর্বোচ্চ মূল্যে খরিদ করিতে সম্মত হইলে বর্ণিত আব্দুল লতিফ সরদার কর্তৃক বিগত ১৫/১২/১৯৫২ তারিখে সম্পাদিত এবং ঢাকার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ১নং বহির ১১৪ নং ভলিউমের ১০৮-১০৯ নং পৃষ্ঠায় লিখিত ১৯৫২ ইং সনের ১০৯৫৯ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল ক্রেতা মোঃ বদিউজ্জামানের বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

(ঙ) অতঃপর বর্ণিত মোঃ বদিউজ্জামান উপরোক্তভাবে তাহার খরিদকৃত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ তাহার খরিদকৃত সমুদয় সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া ও থাকিয়া তাহার নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে তাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ-দখলে থাকাবস্থায় এস. এ. জরীপ আমলে আসিলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ তাহার স্বত্ব দখলীয় সমুদয় সম্পত্তি সম্পর্কে এস. এ. ৩৩৭ নং জুরাইন মৌজার ৫২৩ নম্বর খতিয়ান এবং ৬২৭ নম্বর দাগ উল্লেখে বর্ণিত মোঃ বদিউজ্জামানের নামে সঠিক ও শুদ্ধরূপে এস. এ. পর্চা প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। প্রসঙ্গতঃ আরও উল্লেখ্য যে, বর্ণিত মোঃ বদিউজ্জামান উপরোক্তভাবে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ উক্ত দাগের সমুদয় ১৪ শতাংশ সম্পত্তিতে ভোগ-দখলে থাকাবস্থায় বর্ণিত মোঃ বদিউজ্জামান এবং অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল কর্তৃক বিগত ১৮/০৪/১৯৮০ তারিখে সম্পাদিত এবং ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃক্ত ১নং বহির ১৭ নং ভলিউমের ১৬০-১৬৫ নং পৃষ্ঠায় লিখিত ১৯৮০ সনের ১১৬৭ নং বিনিময় দলিল মূলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ উক্ত দাগের সমুদয় ১৪ শতাংশ সম্পত্তি বিনিময় মূলে অত্র বিবাদীগনের পিতার অনুকূলে হস্তান্তরক্রমে হস্তান্তরিত সম্পত্তির খাস দখল আমার বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া বর্ণিত মোঃ রদিউজ্জামান চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

(চ) অতঃপর অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল উপরোক্তভাবে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ উক্ত সমুদয় সম্পত্তিতে মালিক-দখলকার নিয়ত হইয়া তাহার নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে তাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে অন্যের নিরাপত্যে, নির্বিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ-দখলে থাকাবস্থায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ তাহার স্বত্ব-দখলীয় সমুদয় সম্পত্তি সম্পর্কে নামজারী জমাভাগ করতঃ পৃথক খতিয়ান খুলিয়া ডি. সি. আর, প্রাপ্ত হইয়া আমার দেয় যাবতীয় খাজনা-ট্যাক্সাদি নিয়মিত প্রদান পূর্বক ভোগ-দখলে থাকাবস্থায় যথাক্রমে আর, এস, জরীপ আমলে আসিলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ তাহার স্বত্ব-দখলীয় সমুদয় সম্পত্তি সম্পর্কে আর. এস. ২৪৫২ নং খতিয়ান ও ৯৪৭/১০২৭ নম্বর দাগ এবং জমির পরিমাণ ১৮৬২ অযুতাংশ উল্লেখে আর. এস. পর্চা প্রচারিত ও প্রকাশিত হয় এবং একইভাবে পরবর্তীতে সিটি জরীপ আমলে আসিলে সিটি জরীপও তাহার নামে সিটি জরীপ খতিয়ান নম্বর ১৩৭৪ এবং দাগ নম্বর যথাক্রমে ৩২৫৯ এবং ৩২৭৩ এবং জমির পরিমাণ কম-বেশী ১১৪৬ অযুতাংশ সম্পত্তি সম্পর্কে সঠিক ও শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

 

(ছ) উপরোক্তভাবে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সহ অত্র বিবাদীগণের পিতার স্বত্ব দখলীয় সমুদয় সম্পত্তিতে ভোগ-দখলে থাকাস্থায় উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে বিবাদীগণের পিতা ও জনৈক কাজী মেসবাহ উদ্দিন আহম্মদ, পিতা মৃত-কাজী হাসান উদ্দিন আহম্মদ এর সহিত বিগত ১৪/১০/১৯৮১ তারিখে সম্পাদিত এবং ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ৬৮৪১ নম্বর বিনিময় দলিল মূলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে তাহার সহিত বিনিময় দলিল সহি সম্পাদন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাহার দেয়া সম্পত্তিতে মৌজা ভুলের কারণে বিবাদীগণের পিতার নামে নামজারী করিতে না পারিবার কারণে উক্ত মৌজা ভুলের বিষয়টি বর্ণিত কাজী মেসবাহ উদ্দিন আহম্মদের নিকট জানাইলে তিনি উক্ত বিষয়টি চাপিয়া যাইতে অনুরোধ করেন এবং বিনিময় ব্যতিরেকে তাহারা স্ব স্ব সম্পত্তিতে যথারীতি ভোগ দখল করিতে থাকেন।

 

(জ) কিন্তু পরবর্তীতৈ বর্ণিত কাজী মেসবাহ উদ্দিন আহম্মদ মৃত্যু বরণ করিলে তাহার ওয়ারিশগণ তথাকথিত বিনিময় দলিলের পোষকতায় বিবাদীগণের পিতার স্বত্ব দখলীয় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে মালিকানা দাবী করিলে তাহাদের তথাকথিত দাবী খন্ডনার্থে বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল বাদী হইয়া জিলা ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ ৬ষ্ঠ আদালতে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে ঘোষণা সহ উক্ত ৬৮৪১ নম্বর বিনিময় দলিল বাতিলের প্রার্থনায় দেওয়ানী ৩১৮/১৯৯৪ নম্বর মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মোকদ্দমায় বিবাদীগণ লিখিত জবাব দাখিলক্রমে প্রতিযোগীতা করিয়া আসাবস্থায় মোকদ্দমাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সহকারী জজ ২য় অতিরিক্ত আদালতে বদলী হইয়া তথায় দেওয়ানী ৩৮/১৯৯৮ নম্বর মোকদ্দমা হিসাবে নম্বরযুক্ত হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত মোকদ্দমার পক্ষদ্বয় সোলেনামা মূলে মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি করিলে সোলেনামার শর্ত অনুযায়ী উক্ত মোকদ্দমাটি বাদীর অনুকূলে বিগত ০৩/০৯/২০০১ ইং তারিখে রায় এবং ডিক্রী হয়।

 

(ঝ) উপরিউক্তভাবে অত্র বিবাদীগণের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল নালিশী সম্পত্তিসহ তাহার স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহার সাময়িক অসুবিধার কারণে নালিশী সম্পত্তিসহ তাহার স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি সম্পর্কে তাহার জনৈক আত্মস্ট্রীয় মোঃ আনোয়ার হোসেনকে তাহার আমমোক্তার নিযুক্ত করেন। কিন্তু উক্ত আমমোক্তার গ্রহীতা বর্ণিত মোঃ আনোয়ার হোসেন আমমোক্তার দলিল অনুযায়ী নালিশী সম্পত্তিতে কোন কার্য্য করিবার পূর্বেই অত্র বিবাদীগণের পিতা বিগত ১১/০৩/২০০২ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। প্রসঙ্গতঃ আরও উল্লেখ্য, অত্র বিবাদীগণ তাহাদের পিতার জানাযার প্রাক্কালে তাহাদের পিতা কাহারও কোন ঋণ তথা দেনা কিম্বা কোনরূপ দায়বদ্ধতা আছেন কি-না অথবা কেহ কোন টাকা পয়সা কিম্বা অন্য কোন কিছু তাহার (বিবাদীদের পিতার) নিকট পাওনা আছেন কি-না পর পর ৩ (তিন) বার জিজ্ঞাসা করিলেও বর্ণিত আমমোক্তার উক্ত জানাযায় উপস্থিত থাকা স্বত্বেও বাদীর নিকট হইতে ১০,০০,০০০/ (দশ লক্ষ) গ্রহণ পূর্বক নালিশী সম্পত্তি ভাড়া প্রদানের কোন কথা প্রকাশ করেন নাই। এমনকি পরবর্তীতে অন্য কোন দিনও উক্ত টাকা কথা প্রকাশ করেন নাই বা বলেন নাই। অত্র মোকদ্দমার আরজী পাঠের পূর্বে উক্ত টাকার বিষয়ে অত্র বিবাদীগণ কোন দিনই শুনেন নাই। তাহাছাড়া বাদী নালিশী সম্পত্তি কোন দিনই ভাড়াটিয়া হিসাবে ভোগ দখলে ছিলেন না এবং এখনও নাই। নালিশী সম্পত্তিসহ নালিশী দাগের উক্ত ১১৪৬ অযুতাংশ সম্পত্তিতে অত্র বিবাদীগণ তাহাদের পিতার ওয়ারিশ হিসাবে মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া তাহারা তাহাদের নামে নামজারী জমাভাগ কেস নম্বর ৬৭০০/০৫ তারিখ ১৯/০৬২০০৫ মূলে নামজারী জমাভাগ করিয়া ডি. সি. আর. প্রাপ্ত হইয়া তাহাদের দেয় খাজনা- ট্যাক্সাদি নিয়মিত পরিশোধ পূর্বক নিজেরাই ভোগ দখলে রত আছেন এবং তাহারা ১৪১৫ বাংলা সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করিয়াছেন। যদি তথাকথিত আমমোক্তার আমমোক্তার হিসাবে কোন কাজ করিতেন তাহা হইলে তিনিই নালিশী সম্পত্তির নামজারী জমাভাগের পদক্ষেপ লইতেন এবং খাজনা-ট্যাক্সাদিও তিনিই পরিশোধ করিতেন। কাজেই, তথাকথিত আমমোক্তার আমমোক্তার হিসাবে নালিশী সম্পত্তি বাদীর নিকট ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি জাল জালিয়াতি মূলে এন্টিডেট দিয়া সৃজিত যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য নহেন।

 

(ঞ) অত্র বিবাদীগণের পিতা মৃত্যুবরণ করিবার পর উল্লেখিত আমমোক্তার মোঃ আনোয়ার হোসেন অত্র বিবাদীগণকে বলেন যে, যেহেতু তাহাদের পিতা আব্দুল মজিদ মোড়ল মৃত্যুবরণ করিয়াছেন সেইহেতু তাহার প্রদত্ত আমমোক্তারনামা দলিলটি অকার্যকর হইয়া গিয়াছে সুতরাং তাহারা যেন সম্মিলিতভাবে তাহাকে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তাহাদের আমমোক্তার নিযুক্ত করেন। উক্ত প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে অত্র বিবাদীগণ জানান যে যেহেতু তাহারা সবাই সাবালক এবং শিক্ষিত সেইহেতু তাহারা নিজেরাই তাহাদের সম্পত্তি দেখাশুনা করিতে পারিবেন। ফলে অত্র বিবাদীগণ তাহাদের পিতার মৃত্যুর পর তাহারাই তাহাদের নিজেরা নালিশী সম্পত্তি দেখাশুনা করিয়া আসিতেছে এবং তাহারা নিজেরাই নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে উপরিউক্ত নামজারী জমাভাগ করিয়াছে এবং খাজনা- ট্যাক্সাদি পরিশোধ করিতেছে। কাজেই, তাহাকে আর তাহারা কোন আমমোক্তারনামা দলিল প্রদান করেন নাই। সুতরাং বাদী যদি তথাকথিত আমমোক্তার ও বাদীর মধ্যে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন তাহা হইলে উহা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে এন্টিডেট দিয়া সৃজন করা হইয়া থাকিবে যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য নহেন। তদুপরি, বিবাদীগণের পিতা কর্তৃক আমমোক্তারনামা দলিলে সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ দেখা যায় ৫ (পাঁচ) শতাংশ। কিন্তু বাদী তাহার আরজীতে সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করিয়াছেন কম-বেশী ৩ (তিন) শতাংশ বাকী ২ (দুই) শতাংশ সম্পত্তি কোথায় গেল বা কি হইল তাহার কোন বর্ণনা বাদী তাহার আরজীতে দেন নাই। বাদী মূলতঃ অসৎ উদ্দেশ্যে অত্র বিবাদীগণের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি গ্রাস করিবার অসৎ উদ্দেশ্যে টেষ্ট কেস হিসাবে বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিয়াছেন বিধায় বাদীর অত্র মোকদ্দমাটি সরাসরি খারিজ হইবে এবং খারিজ যোগ্য মোকদ্দমায় বাদী কোন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইতে পারেন না বিধায় অত্র দরখাস্তও না-মঞ্জুর হইবে।

 

(ট) অত্র মোকদ্দমার বাদী নিজে একজন ভূমি দস্যু। বাদী অত্র নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় বিবাদীগণের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি গ্রাস করিবার অপমানসে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বর্ণনা দিয়া ও দাবী করিয়া বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিয়াছেন বিধায় অত্র মোকদ্দমাটি দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৫/এ বিধি মোতাবেক খারিজ হওয়া আবশ্যক এবং খারিজযোগ্য মোকদ্দমায় বাদী কোন নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাইতে পারে না বিধায় অত্র দরখাস্ত না-মঞ্জুর হইবে।

 

৩০। অত্র লিখিত আপত্তিতে বাদীর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের যে সকল বর্ণনা তথা অভিযোগ স্পষ্ট করিয়া স্বীকার করা হইল তদ্ভিন্ন অপরাপর অভিযোগ তথা বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ কর্তৃক তীব্রভাবে অস্বীকৃক্ত বলিয়া গণ্য হইবে।

 

অতএব অত্র বিবাদীগণের বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়া  উপরোক্ত কারণাধীনে বাদী কর্তৃক আনীত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার  দরখাস্তখানা এই বিবাদীগণের অনুকূলে উপযুক্ত খরচসহ খারিজ  করিবার আদেশ দানে সুবিচার করিতে মর্জি হয়।

 

 

হলফনামা

আমি মোঃ মাইনুল হোসেন, পিতা-মরহুম আব্দুল মজিদ মোড়ল, বর্তমান বয়স-৩২ বৎসর, পেশা- ব্যবসা, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী, সাকিন-১৫২/১, গ্রীণ রোড, থানা-ধানমন্ডি, জিলা ও শহর ঢাকা এই মর্মে প্রতিজ্ঞাপূর্বক ঘোষণা করিতেছি যেঃ-

 

১। আমি উপরিউক্ত মোকদ্দমার ৩ নং বিবাদী এবং ১-২ নং বিবাদীদ্বয় আমার সহোদর ভ্রাতা। আমি আমার নিজ পক্ষে এবং অপর বিবাদীদ্বয়ের পক্ষে তদ্বিরকার হিসাবে অত্র মোকদ্দমায় যাবতীয় তদ্বিরাদি গ্রহণ করিয়া থাকি এবং অত্র নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তের সকল বিষয় অবগত আছি এবং হলফ দেওয়ার যোগ্য বটে।

 

২। অত্র লিখিত আপত্তির সকল বিবরণ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য এবং উহার সত্যতা স্বীকারে অত্রাদালতের হলফ কমিশনার সাহেবের সম্মুখে অদ্য ০৩/০৩/২০১০ তারিখে সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় অত্র হলফনামায় নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম।

 

———————

হলফকারী

 

হলফকারী আমার পরিচিত এবং তিনি আমার সম্মুখে তাহার দস্তখত করায় আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।

 

———————–

অ্যাডভোকেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *