নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১)/৩০ ধারায় দরখাস্ত।
মোকাম: বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল নং- ০৪, ঢাকা।
সূত্রঃ পিটিশন মামলা নং- ১৩৬/২০২৪
ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(১)/৩০
মোছাঃ নুপুর (বয়স- ২২ বৎসর),
পিতা-মৃত হযরত আলী,
স্থায়ী ঠিকানাঃ সাং-বরিয়া বুনিয়া হাট, থানা- বেতাগী, জেলা-বরগুনা।
বর্তমান ঠিকানাঃ সাং-চর খেজুরবাগ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ,
থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা।
——————–দরখাস্তকারী।
=বনাম=
১। মোঃ ইউনুস হাওলাদার (বয়স-২৬ বৎসর),
পিতা-মোঃ আইয়ুব আলী,
স্থানী ঠিকানাঃ সাং- বড়ইয়া, থানা-রাজা, জেলা- ঝালকাঠি।
বর্তমান ঠিকানাঃ সাং-বাসা নং-৯, (সালামের বাসা) উত্তরা পশ্চিম,
রোড নং- ৮, গলী-১, থানা-উত্তরা পশ্চিম, জেলা-ঢাকা। ।
২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (বয়স- ৩৫ বৎসর), পিতা-অজ্ঞাত,
বর্তমান ঠিকানাঃ সাং- রামপুরা বউবাজার, পানের দোকান ঘর,
বাসা- বউবাজারের পাশে রামপুরা, থানা-রামপুরা, জেলা- ঢাকা।
————————আসামীদ্বয়।
স্বাক্ষীদের নামঃ
১। বাদী নিজে।
২। কোহিনর, স্বামী- হুমায়ুন কবির,
৩। মোঃ খোকন, পিতা- তানজের আলী হাওলাদার,
৪। মাকসুদা, স্বামী- আবুল কাশেম
৫। শাহিনুর, পিতা-খোকন,
সর্বসাং-চর খেজুরবাগ, ওয়ার্ড নং-৬, পোঃ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ,
থানা-দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা-ঢাকা।
ঘটনার স্থানঃ সাং রামপুরা বউবাজার, (পানের দোকান ঘর), মোঃ দেলোয়াররের বাসা বউবাজারের পাশে রামপুরা, থানা- রামপুর, জেলা- ঢাকা।
ঘটনার সময়ঃ ১৯/১০/২০১৩ইং
ঘটনার সময়ঃ ১৯/১০/২০১২ ইং সন্ধা ৭.০০ টা হইতে ২০/১০/২০১৩ ইং সকাল ১০.০০ টা পর্যন্ত।
বাদীপক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১। দরখাস্তকারী বাদী অত্যন্ত সহজ, সরল, সাধারণ প্রকৃতির গার্মেন্টস এ চাকুরী করে, একটি নিষ্পাপ ১৫ বৎসরের মেয়ে বটে। অন্যদিকে আসামী অত্যন্ত খারাপ প্রকৃতির লোক। নিষ্ঠুর, চরিত্রহীন, নারী লোভী, প্রলভন প্রদানকারী, ধর্ষণকারী জঘন্ন প্রকৃতির লোক বটে।
২। গত ১৮/১০/২০১৩ ইং তারিখ আসামী ইউনুস বিবাহের কথা বলে বাদীকে ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদরঘাট লঞ্চ ট্রার্মিনাল আসতে বলে ও আসামী বাদীর সাথে বিবাহের জন্য ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা নিয়ে আসার কথাও বলে, সদরঘাট হইতে কাজী অফিস যাব বলে বাদীকে ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখে আসতে বলে, তখন বাদী তাহার ভাবীকে লঞ্চে উঠাইয়া দেওয়ার কথা বলে ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখ সময় আনুঃ সন্ধ্যা-৭টার সময় ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকা সহ আসে সদরঘাটে লঞ্চ টার্মিনালে তখন আসামী সদরঘাট থেকে বাদীকে নিয়ে যায়।
৩। আসামী গত ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখে সময় আনুঃ সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকার সময় বিবাহের কথা বলে ভালবাসার কথা বলে ফুসলিয়ে দরখাস্তকারী বাদীকে সদরঘাট এলাকা থেকে নিয়ে প্রথমে বাসে রামপুরা যায়। দেলোয়ারের দোকানে পরে দেলোয়ারের বাসায় যায়। দেলোয়ারের বাসায় যাওয়ার পর ১নং আসামী মো ইউনুস হাওলাদার বাদীকে দুই হাতে জুড়াইয়া ধরে চুমা খায়, শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দেয়, বাদী ডাক চিৎকার দিলে তখন দেলোয়ার পরামর্শ দেয় বাদী অন্য বাসায় দেওয়ার জন্য বাদীকে এখান থেকে রিক্সায় বাবুর বাসায় নেয়। বন্ধুর বাসায় যেয়ে উঠে এবং বাদীকে আসামী কৌশলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিতে বলে, সেখানে তার বন্ধু বলে অনেক রাত হয়েছে কাজী অফিস খোলা নাই। পরের দিন সকালে বিবাহের জন্য কাজী অফিস যাব। আসামী তার বন্ধুর সাথে গোপনে ও কানে কানে অনেক কথাও বলে। এই বন্ধুকে আমি দেখলে চিনব। তার স্ত্রীকে দেখলে চিনিব।
৪। গত ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখে রাত্রি ১২টা পর হইতে পরদিন ২০/১০/২০১৩ ইং তারিখ সকাল ১০টা পর্যন্ত এই ভাবে রাত্রে বন্ধুর বাসায় এক রাতে বাদীকে আসামী বাদীর তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে রাত্রে জোর পূর্বক ১০/১২ বার ধর্ষন করে বলে ধর্ষনের সময় বাদী বাধা দিলে আসামী বলে কাল বিয়ে হবে তুমি আমার বউ হয়ে যাবে অসুবিধা কি। যদি পেটে বাচ্চা আসে তাও অসুবিধা নাই। আসামী সকল কাজের সহযোগী হইল দেলোয়ার, পিতা-অজ্ঞাত, সাং-বউবাজার পানের দোকান, রামপুরা বাসাবো, বাজারের পাশে বাসা রামপুরা, থানা-রামপুরা, জেলা-ঢাকা এই দেলোয়ার আসামীর দুলা ভাই (ফুপাত বোনের স্বামী)। আসামী বাদীকে বলে রাত্রি শেষ হলেই সকালে বিয়ে হবে। তাই কোন অসুবিধা নাই বলে আসামী বাদীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাই, পেটে বাদী হাত দেয়, বাদীর স্ত্রী লিঙ্গে হাত দিতে থাকে। এই ভাবে বাদী নিজেকে রক্ষা করতে পারে নাই। আসামী সারা রাত ধরে বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আসামী ধর্ষণ করে উক্ত ১৯/১০/২০১৩ ইং তারিখ রাত্রে আসামী ১০/১২ বার বাদীর সহিত যৌন সংগম করে। বাদী অসুস্থ হয়ে পড়ে। আসামী পরদিন সকাল ১০ টার দিকে বলে তুমি কোর্টে যাও, আমি পরে আসি কোর্টে আসব বলে আর আসেনি মোবাইল ফোন ধরে নাই। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখে।
৫। আসামী বাদীকে বলে, তুমি কোর্টে যাও আমি ঠিক ২টার সময় ঢাকা জজ কোর্টে আসব, কিন্তু আসামী আর আসেনি। বাদী মোবাইলে কল দিলে মোবাইল ফোন ধরেনি। বাদীর ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকাও ফেরত দেয়নি। বর্তমান বিবাহ করছে না। আসামীকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। বহু খোজা খুজির পর জানা যায় যে, আসামী বর্তমান উত্তরায় তাহার বর্তমান ঠিকানায় আছে।
৬। আসামী বাদীর কোন খোজ খবর নেয় নাই বিবাহ করছে না বিধায় বাদিনী মান সম্মানের ও কলংকের ভয় ত্যাগ করিয়া বিজ্ঞ আদালতে অত্র মামলা দায়ের করিলেন। বাদিনী শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ থাকায় এবং স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হয়ে থানা মামলা দায়ের করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করেনি। ফলে বাদিনী বাধ্য হইয়া বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করিলেন। আসামী বাদিনীকে প্ররোচিত করিয়া ভালবাসার অভিনয় করিয়া, বিবাহের প্রলোভন দিয়া, তোমাকে পছন্দ করি, ভালবাসি সারাজীবন একসাথে থাকব ছেড়ে যাবনা, এই ভাবে মিথ্যা ভাবে ফুসলিয়ে আসামী তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ১০/১২ বার ধর্ষণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯/১ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করিয়াছে যাহা বিজ্ঞ আদালতে বিচার্য্য বটে। রামপুরার দেলোয়ার আসামীকে বাদীকে সদরঘাট থেকে রামপুরায় নিয়ে আসতে বলে। দেলোয়ার আসামীর আশ্রয় দাতা, সে ঘটনার বিষয় সম্পর্কে সব জানে দেলোয়ারের সহযোগীতায় ও আশ্রয় প্রশ্রয়ে আসামী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। বাদিনী অভিযোগটি স্বাক্ষ্য প্রমাণে বিজ্ঞ আদালতে প্রমাণ করিবেন। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করায় এবং বাদিনী শারিরীক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ/বিধস্থ থাকায় মামলা দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত কারণ ও অবস্থায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদিনীর আনীত নালিশী অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ (সংশোধিত- ২০০৩) এর ৯/১ ধারায় আমলে গ্রহণে নিয়া আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করতঃ জেল হাজতে আটক রাখিয়া সাক্ষী প্রমাণ গ্রহণে আসামীকে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে মর্জি হয়।
উপরোক্ত আদেশের জন্য দরখাস্তকারী/ বাদিনী বিজ্ঞ আদালতের নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকিব।
সংযুক্তঃ- সংযুক্ত কাগজপত্রাদি আর্জির একাংশ বলে গন্য হইবে।