নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ১১(খ)/৩০ ধারায় দরখাস্ত।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর ১১(খ)/৩০ ধারায় দরখাস্ত।

 

মোকামঃ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-৪, ঢাকা।

নারী শিশু পিটিশন মামলা নং- ১৩৭/২০২৪

ধারাঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত-২০০৩) এর  ১১(খ)/৩০

 

বানেসা বানু (৪৩),

স্বামী-মোঃ হুমায়ুন করিব।

সাং-৪১/৩ বাবর রোড জহুরী মহল্লা, থানা- মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।

———————–বাদীনি।

 

-বনাম-

 

১। মোঃ হুমায়ুন কবির (৬০), পিতা-মৃত শামসুল হক সিকদার।

২। সানজিদা কবির রত্না (৩০), স্বামী-কাজী সাইফুল ইসলাম।,

৩। ইমরানুল কবির রানা (৩৮), পিতা-মোঃ হুমায়ুন কবির,

৪। সাইফুল কবির রাজন (২৪) পিতা-মোঃ হুমায়ুন কবির।

সর্ব সাং ৪১/৩ বাবর রোড জহুরী মহল্লা, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।

 

——————আসামীগণ।

 

স্বাক্ষীদের নাম ও ঠিকানাঃ-

১। বাদী নিজে

২। রহিমা খাতুন, স্বামী-সিরাজুল ইসলাম।

সাং-৪০/২, ব্লক-এফ জয়েন্ট কোয়াটার জহুরী মহল্লা,

থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।

৩। ফজলু মিয়া, পিতা-শাহ নেওয়াজ।

সাং-চাঁদউদ্যান, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।

৪। মাসুদ, পিতা-মোঃ ইউনুস আলী।

সাং-৩০/২ জহুরী মহল্লা, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।

৫। তাসলিমা, পিতা-অজ্ঞাত।

সাং পোড়াবস্তি জহুরী মহল্লা, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা।

 

প্রয়োজনে আর ও  স্বাক্ষী প্রদান করা হইবে।

 

ঘটনার স্থানঃ- ৪১/৩ বাবর রোড জহুরী মহল্লা, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা  (১নং আসামীর ভাড়া বাসা।।

 

ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ- ১৩/১০/২০১৩ইং, তারিখ রাত ৯.৪৫ ঘটিকা।

 

 

বাদীপক্ষে নিবেদন এই যে,

১। অত্র মামলার বাদী একজন সহজ, সরল, আইন মান্যকারী, শান্তিপ্রিয় ধার্মিক ও একজন সাধারণ গৃহিণী বটে। অপর পক্ষে আসামীগণ যৌতুক লোভী নারী নির্যাতনকারী লম্পট তাহারা পারে না এমন কোন কাজ নাই।

 

২। যেহেতু অত্র মামলার বাদীনি ১নং আসামীর সহিত বিগত ১৬/১২/২০০৮ইং তারিখে ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার এক) টাকা দেনমোহর ধার্য্য করিয়া মুসলিম শরা-শরীয়ত মোতাবেক রেজিষ্ট্রি কাবিন মূলে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিবাহের পর আসামীগণ বাদীনির নিকট বিভিন্ন সময়ে যৌতুক দাবী করে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।

 

৩। যেহেতু অত্র মামলার বাদীনি বিবাহের পর ১নং আসামীকে ব্যবসার জন্য ৫,০০,০০০/-(পাঁচ লক্ষ) ঢাকা যৌতুক হিসাবে প্রদান করে এবং বিবাহের উপহার হিসাবে টিভি, ফ্রিজ, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র সহ সর্বমোট ১০,০০,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকার পরিমান উপহার সামগ্রী প্রদান করে।

 

৪। যেহেতু বিগত ১৩/১০/২০১৩ ইং তারিখ রাত অনুমান ৯.৪৫ ঘটিকার সময় পূনরায় ব্যবসা করার জন্য ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা ১নং আসামী যৌতুক হিসাবে দাবী করে বাদীনির সাথে আসামীদের তর্কবিতর্ক হয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে ১নং আসামী বাদীনির শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি দ্বারা আঘাত করে ফলে বাদীনির বাম হাত ভেঙ্গে যায়।। ২নং ও ৩নং আসামী বাদীনিকে ধরে রাখে। ৪নং আসামী অকথ্য ভাষায় বাদীনিকে গালীগালাজ করতে থাকে এবং বাদীনির চুল ধরে টেনে নিয়ে আসে। তখন বাদীনি ডাক চিৎকার দিলে স্বাক্ষীগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে আসামীগণ বাদীনিকে ছেড়ে দেয় তারপর স্বাক্ষীগণ বাদীনিকে চিকিৎসার জন্য শহীদ সরোয়ার্দী হাসপাতালে চালে নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে বাদীনি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করতে পরামর্শ প্রদান করে।

 

৫। যেহেতু বাদীনি অত্যন্ত নিরুপায় হইয়া অন্যকোন উপায়ন্তর না পাইয়া এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে আলাপ-আলোচনা করিয়া মামলা করিতে সামান্য বিলম্ব হইল।

 

অতএব, বিনীত নিবেদন এই যে, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আসামীগণের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ১১(খ)/৩০ ধারায় আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা করিয়া  জেল হাজতে আটক রাখিতে মর্জি হয়।

ইতি, তাং

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *