প্রতারণার শিকার হলে দন্ডবিধির অধীনে প্রতারকের শাস্তি কামনা করে মামলা দায়ের করা যাবে। প্রতারণার মামলার দরখাস্ত নিচে দেওয়া হলো:
মোকামঃ বিজ্ঞ চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঢাকা।
(আমলী আদালত নং -৩৭ )
সি. আর. মামলা নং- ১৩২/২০২৪
ধারা: ৪২০/৫০৬, দন্ডবিধি ১৮৬০
মোসাঃ হনুফা বেগম (বয়স- ৫৫),
পিতাঃ- আব্দুস সালাম, মাতাঃ সবুরন বিবি, সাং- ১২৪ দক্ষিণ মাদারটেক, অলি সর্দার গলি, ডাকঘর বাসাবো, থানা: সবুজবাগ, জেলা:- ঢাকা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৪৪১৭৭০৪৬৮৯।
——————- বাদী।
= বনাম =
১। মোঃ কামাল হোসেন (বয়স- ৪০),
সভাপতি, নিউ অভিযাত্রীক মাল্টিপারপাস এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ, পিতা- মরহুম মোক্তার হোসেন, মাতা- মরহুমা মোসাঃ সালমা বেগম। সাং- ১৮/১৭ কাজলার পাড়, ফাতেমা আবাসিক এলাকা, ভাঙ্গাপ্রেস, থানা: যাত্রাবাড়ী, জেলা:- ঢাকা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ২৫৯৪৯০৪২৯৫
২। মোসাঃ শ্রাবন্তী আক্তার (বয়স- ),
স্বামী- মোঃ কামাল হোসেন, পিতা- মরহুম জাহাঙ্গীর, মাতা- মোসাঃ রুবি বেগম, সাং- হাড়াইকান্দি, জোয়ার গোবিন্দপুর, ডাকঘর-জাহাপুর, থানা-তিতাস, জেলা-কুমিল্লা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৩৫১২৬৪৮৪০৯
————————- আসামীগণ।
সাক্ষীগণঃ
১। বাদী স্বয়ং ।
২। মোসাঃ সুমি আক্তার, পিতা- মোঃ নুরুল ইসলাম, মাতা-মোসাঃ নাজমা বেগম, সাং- ১২৪/১, দক্ষিণ মাদারটেক, অলি সর্দার রোড, ডাকঘর-বাসাবো-১২১৪, থানা-সবুজবাগ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, জেলা-ঢাকা, জাতীয় পরিচয় পত্র নং-৬৪১৭৭১০০৬৫
৩। এবং প্রয়োজনে আরো সাক্ষ্য প্রদান করা যাইবে।
ঘটনার স্থান:
সাং- ১৮/১৭ কাজলার পাড়, ফাতেমা আবাসিক এলাকা, ভাঙ্গাপ্রেস, থানা: যাত্রাবাড়ী, জেলা:- ঢাকা।
ঘটনার তারিখ:
২৯/০৪/২০২৪ ইং
বাদী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,
১। যেহেতু অত্র মামলার বাদী মোসাঃ হনুফা বেগম, পিতাঃ- আব্দুস সালাম, মাতাঃ সবুরন বিবি একজন সহজ, সরল, নিরীহ ও আইন মান্যকারীকারী একজন গৃহিনী বটে।
২। যেহেতু অত্র মামলার ২ নং আসামী মোসাঃ শ্রাবন্তী আক্তার, ২ নং সাক্ষী মোসাঃ সুমি আক্তার -কে অনুমানিক সাত/আট বছর পূর্বে “নিউ অভিযাত্রীক মাল্টিপারপাস এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ” হইতে ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ঋণ প্রদান করিয়াছেন। অতঃপর হইতে উক্ত মোসাঃ সুমি আক্তার মুনাফাসহ যথারীতি কিস্তি পরিশোধ করিয়া আসিতেছেন।
৩। যেহেতু উক্ত ঋণ ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ঋণ গ্রহিতা মোসাঃ সুমি আক্তার মুনাফাসহ পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করিতে থাকে এবং ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বাকি থাকে। এমতাবস্থায় ১ নং আসামী উক্ত মোসাঃ সুমি আক্তার -কে বাকি টাকা পরিশোধের জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করেন এবং উহা দিতে অক্ষম হইলে অপর যেকোন একজন ব্যক্তিকে জামিনদার (Guarantor) নিযুক্ত করিয়া তাহার নামীয় চেক দিতে বলেন। অতঃপর উক্ত মোসাঃ সুমি আক্তার অত্র বাদীনি মোসাঃ হনুফা বেগম -কে জামিনদার (Guarantor) নিযুক্ত করিলে ১ নং আসামী বিগত আনুমানিক ২৬/০২/২০২৪ ইং তারিখে মোসাঃ হনুফা বেগম -এর নিকট হইতে তাহার নামীয় একটি খালি চেক (Blank Check) স্বাক্ষর করাইয়া রাখেন এবং একটি খালি স্ট্যাম্পে (Blank Stamp) স্বাক্ষর করাইয়া রাখেন।
৪। যেহেতু ১ নং আসামী প্রতারণামূলকভাবে টাকা আত্মসাৎ করার মানসে উক্ত স্বাক্ষরকৃত খালি স্ট্যাম্পে (Blank Stamp) তাহার মনমত একটি মিথ্যা চুক্তিপত্র লিপিবদ্ধ করিয়া নেন যে, অত্র ১ নং আসামী তাহার কোম্পানী “নিউ অভিযাত্রীক মাল্টিপারপাস এন্ড কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ” হইতে অত্র বাদীনি মোসাঃ হনুফা বেগম -কে বাড়ি নির্মাণের জন্য ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা ঋণ প্রদান করিয়াছেন এবং উক্ত স্বাক্ষরকৃত খালি চেক (Blank Check) -এ ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা লিখিয়া নেন।
৫। যেহেতু ১ নং বাদীনি মোসাঃ হনুফা বেগম এর নিকট হইতে প্রতারণার মাধ্যমে উক্ত ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা পাওয়ার কৌশল হিসাবে বিগত ২৯/০৪/২০২৪ ইং তারিখে ১ নং আসামী একটি নোটিশ প্রেরণ করিয়াছেন এবং উক্ত ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকা না দেওয়া হইলে ১ নং বাদীনি মোসাঃ হনুফা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করা হইবে এমনকি প্রয়োজনে তাহাকে হত্যা করা হইবে মর্মে হুমকি প্রদান করেন।
৬। অভিযোগকারী, সাক্ষীগণের সাক্ষ্য ও দালিলিক প্রমাণাদীর মাধ্যমে অভিযোগকারী অভিযোগ প্রমাণ করিতে সক্ষম হইবে।
অতএব সবিনয় প্রার্থনা এই যে, উপরোল্লিখিত বর্ণিত কারণে ন্যায়বিচারের স্বার্থে অত্র মামলাটি দন্ডবিধির ৪২০ ও ৫০৬ ধারায় আমলে নিয়া আসামীদের বিরুদ্ধে W/A ইস্যু করিয়া আসামীদেরকে গ্রেফতারের ও অতঃপর বিচারের ব্যবস্থা করিতে বিজ্ঞ আদালতের মর্জি হয়। ইতি,
তাং ০৫/০৯/২০২৪ ইং