বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিস্তারিত বিবরণ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড–
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকায় তার ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর বাড়িতে রাতের অন্ধকারে স্বপরিবারে হত্যা করেছিল কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যরা।
যাদেরকে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছিল–
সেদিন খুনি ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন-
(১) বঙ্গবন্ধু স্বয়ং,
(২) বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব,
(৩) বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল,
(৪) বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ জামাল,
(৫) বঙ্গবন্ধুর শিশুপুত্র শেখ রাসেল,
(৬) পুত্রবধূ সুলতানা কামাল,
(৭) পুত্রবধূ রোজি জামাল,
(৮) বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ নাসের,
(৯) পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সাব ইন্সপেক্টর ছিদ্দিকুর রহমান,
(১০) পেট্রোল ডিউটির সৈনিক সামছুল হক ও
(১১) রাষ্ট্রপতির মিলিটারি সেক্রেটারি কর্নেল জামিলসহ আরও অনেক মানুষ।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষায় আইন প্রণয়ন–
ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স, 1975 (Indemnity Ordinance, 1975) বাংলাদেশের একটি বিতর্কিত আইন। এই আইনটি প্রণয়ন করেছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন সামরিক সরকারের পক্ষে স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে।
আইনে রূপান্তর–
খুনিদের আইনি নিরাপত্তা পাকাপোক্ত করার জন্য ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৫ অধ্যাদেশটি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (BNP) এর প্রতিষ্ঠাতা তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই ইনডেমনিটি অ্যাক্ট, ১৯৭৯ (Indemnity Act, 1979) -এর মাধ্যমে সংসদের আইনে রূপান্তরিত করে। এই আইনকে “বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কালো আইন” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য–
বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ খুনিদের বিচারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে।
রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেই সবার প্রথমে সেই খুনিদের সুরক্ষা দিতে এবং নিরাপদ রাখতে রাষ্ট্রীয় নির্দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না এবং খুনিদের কোন ধরনের বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি দেওয়া যাবে না বলে অধ্যাদেশ জারি করেছিল খন্দকার মুশতাক।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আইনি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। এই আইন প্রণয়নের ফলে ঘাতকরা যে কোন আইনি পদক্ষেপ থেকে মুক্ত ছিল। শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অন্যান্য জীবিত সদস্যরা এই আইনের কারণে ঘাতকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করতে পারেনি। ঘাতকরা তাদের কৃতকর্মের কোন শাস্তি পাওয়া ছাড়াই বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে সক্ষম হয়েছে। কেউ কেউ বাংলাদেশ সরকারের কূটনীতিক হিসেবেও নিযুক্ত হন। কর্নেল খন্দকার আবদুর রশীদ এবং সৈয়দ ফারুক রহমান সহ দুই ঘাতক, টিভি সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিবকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আত্মস্বীকৃত খুনিরা নিয়মিত বিদেশ ভ্রমণ করত।
খুনিদের পরবর্তী অবস্থা-
১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বিশেষ বিমানযোগে দেশ ত্যাগ করেন। তারা প্রথমে ইয়াঙ্গুন হয়ে ব্যাংকক যান। সেখান থেকে পাকিস্তান হয়ে লিবিয়ায় আশ্রয় নেন। লিবিয়া থেকে পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন খুনিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ১৯৭৫ থেকে ’৯০ সাল পর্যন্ত লিবিয়াকেই নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর খুনিরা।
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির পৃষ্ঠপোষকতায় লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ ও কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ঢাকার হোটেল শেরাটনে ১৯৮৭ সালের ৩ আগস্ট গড়ে তোলেন ফ্রিডম পার্টি। তবে শুরু থেকেই লিবিয়ায় তারা দুজনেই ভিআইপি অতিথির মর্যাদা পেতেন। খন্দকার আবদুর রশিদ ত্রিপোলিতে কনস্ট্রাকশন কোম্পানি গড়ে তোলেন। সেই কোম্পানি গড়ে তোলার জন্য গাদ্দাফি তাকে অর্থ দিয়েছিলেন। আর সৈয়দ ফারুক রহমান লিবিয়ায় জনশক্তি রফতানি কোম্পানি খুলেছিলেন। সেই কোম্পানি বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নিতো লিবিয়ায়।
ফ্রিডম পার্টিও পরিচালিত হতো মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির টাকায়। এছাড়া বংলাদেশ-লিবিয়া ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি গড়ে তোলেন সৈয়দ ফারুক রহমান ও খন্দকার আবদুর রশিদ। ঢাকায় ব্রাদার গাদ্দাফি কিন্ডারগার্টেন স্কুলও খোলা হয়েছিলো। আর গাদ্দাফির লেখা গ্রিন বুক বাংলায় অনুবাদ করে জনসাধারণের মাঝে ফ্রি বিতরণের ব্যবস্থাও করেন এ দুই খুনি।
খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান ও খন্দকার আবদুর রশিদকে কেন্দ্র করে বঙ্গবন্ধুর অন্যান্য খুনিরাও লিবিয়ায় মিলিত হতেন। লিবিয়ার ত্রিপোলি ছাড়াও বেনগাজিতে বঙ্গবন্ধুর এ দুই খুনির ব্যবসায়িক অফিস ছিলো। সেখানেও অন্যান্য দেশ থেকে খুনিরা নিরাপদে মিলিত হতেন।
সূত্র- উইকিপিডিয়া
ইতিমিধ্যে বাংলাদেশে পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা ছিলেন-
১৯৭৫ – ১৯৭৯ = সামরিক সরকার
১৯৭৯ – জিয়াউর রহমান
১৯৮১ – আব্দুস সাত্তার
১৯৮১ – ১৯৯০ = হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
১৯৯১ – ১৯৯৬ = বেগম খালেদা জিয়া
১৯৯৬ – ২০০১ = শেখ হাসিনা – (প্রথমবার)
২০০১ – ২০০৬ = বেগম খালেদা জিয়া
২০০৬ – ২০০৮ = ফখরুদ্দিন আহমেদ
২০০৯ – বর্তমান = শেখ হাসিনা
জিয়াউর রহমান খুনিদেরকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সম্মানজনক চাকরি দিয়েছিলেন। তারপর মেজর জেনারেল হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে আত্মস্বীকৃত খুনিদের কয়েকজনকে ফ্রিডম পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করার সুযোগ দেন। এভাবেই চলে দীর্ঘ ২১ বছর।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু–
১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ নির্বাচনে বিজয়ী হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠন করা হয়। তারপর ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অ্যাক্ট’, ইনডেমনিটি (রিপিল) অ্যাক্ট, ১৯৯৬ এর মাধ্যমে বাতিল করা হলে নৃসংশ হত্যাকাণ্ডটির বিচারের পথ সুগম হয়। শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।
মামলা দায়ের–
১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির সেই ৩২ নং বাড়ির রিসিপনিস্ট কাম রেসিডেন্ট পিএ আ ফ ম মহিতুল ইসলাম (মৃত্যু: ২৫ অগাস্ট, ২০১৬) ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় হত্যা মামলা নম্বর ১০(১০)৯৬ দায়ের করেন।
অভিযোগপত্র দাখিল-
অভিযোগপত্র (Charge Sheet) দাখিলের তারিখ- ১৫/০১/১৯৯৭,
অভিযুক্ত আসামীর সংখ্যা- ১৯ জন,
তদন্তকারী কর্মকর্তা (IO)- ASP, আব্দুল কাহহার আকন্দ
অভিযোগপত্র (Charge Sheet) দাখিল করেন- CMM Court এ
তিন মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত করে সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (ASP) আব্দুল কাহহার আকন্দ ১৫/০১/১৯৯৭ তারিখে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে (CMM Court) অভিযোগপত্র (Charge Sheet) দাখিল করেন। তার তদন্তে বঙ্গবন্ধু হত্যায় সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তারা ইতিপূর্বে মারা যাওয়ার কারণে অভিযোগপত্রে তাদের নাম রাখা হয়নি।
হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকারোক্তি-
১৫ অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের পর খুনি ফারুক-রশিদ যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যায়। খুনি ফারুক-রশিদ উক্ত হত্যাকাণ্ডের বিষয় স্বীকার করে ১৯৭৬ সালে টেলিভিশন সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারটি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস ধারণ করেছিলেন।
অভিযোগপত্রের সঙ্গে আদালতে আলামত জমা-
(১) খুনি ফারুক-রশিদের টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দেওয়া হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তির ভিডিও।
(২) এছাড়াও আরও ৪৬ ধরনের আলামত।
বিচার শুরু–
১২/০৩/১৯৯৭ তারিখে ০৬ আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচারের ২০২ কার্যদিবসে মোট ৬১ জনের সাক্ষ্য নেন বিজ্ঞ আদালত।
মামলার রায় ঘোষণা-
বিচারের সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ০৮/১১/১৯৯৮ তারিখে তৎকালীন ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ কাজী গোলাম রসুল (মৃত্যু: ১১/১২/২০১৪) বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে পৃষ্ঠার সংখ্যা – ১৭১ টি
বিচারে মোট আসামী – ১৮ জন
মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয় – ১৫ জনের
খালাসের রায় হয় – ০৩ জনের।
আপীল-
আসামীগণ নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে – ১৪/১২/২০০০ তারিখে।
আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে – রায়- ১২ আসামীর।
আইনের যে ধারায় দোষী সাব্যস্ত-
দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা–
২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। তারপর নবগঠিত এই সরকার ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার কাজ বন্ধ করে দেয়। হাইকোর্ট বিভাগের রায় হওয়ার পরও দীর্ঘ ৬ বছর পরে থাকে এই মামলা। কারণ আপিল বিভাগের ০৭ জন বিচারক মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন।
ফখরুদ্দিন আহমেদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব নিলে ২৩/০৯/২০০৭ ইং তারিখে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামী হাই কোর্ট বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে আপীল করেন।
অতঃপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসলে ১৯/১১/২০০৯ ইং তারিখে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ হাই কোর্ট বিভাগের রায় বহাল রেখে পাঁচ আসামির আপিল খারিজ করে দেয়।
খুনিদের তালিকা-
(১) লে. কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ -(লিবিয়ায় পালিয়ে যায়)
(২) কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান -(লিবিয়ায় পালিয়ে যায়)
(৩) ফারুক-রশিদ -(যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যায়)
(৪) লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান (গ্রেপ্তারকৃত)
(৫) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান (গ্রেপ্তারকৃত)
(৬) সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর (গ্রেপ্তারকৃত)
(৭) সাবেক মেজর বজলুল হুদা – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(৮) লে. কর্নেল (বরখাস্ত) ফারুক রহমান – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(৯) কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১০) একেএম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১১) লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১২) লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আব্দুর রশিদ – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১৩) মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১৪) মেজর (অব.) নূর চৌধুরী – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১৫) রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১৬) লে. কর্নেল (অব.) রাশেদ চৌধুরী – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১৭) ক্যাপ্টেন (অব.) আব্দুল মাজেদ – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
(১৮) লে. কর্নেল আজিজ পাশা (অব.) – (আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল)
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর–
২৮/০১/২০১০ ইং তারিখ রাত ০০:০৫ মিনিটে নিম্নলিখিত ০৫ জন আসামীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল।
(১) বজলুল হুদা,
(২) ফারুক রহমান,
(৩) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান,
(৪) এ কে এম মহিউদ্দিন ও
(৫) মহিউদ্দিন আহমেদ।
বাকিদের অনেকে বিদেশে থাকায় কার্যকর করা সম্ভব হয় নাই।
সংক্ষেপে এক নজরে-
বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে হত্যা- ১৫/০৮/১৯৭৫ ইং
হত্যা স্থান- বাড়ি নং ৩২, ধানমন্ডি, ঢাকা।
খুন হয় মোট – ১১ জন (প্রায়)
হত্যাকারী মোট – ২৩ জন (প্রায়)
খুনিদের রক্ষায় যে আইন করা হয়- Indemnity Ordinance, 1975
পরবর্তীতে যে আইনে রূপান্তর- Indemnity Act, 1979
যে আইন দ্বারা এই কালো আইন বাতিল করা হয়- ইনডেমনিটি (রিপিল) অ্যাক্ট, ১৯৯৬
মামলা দায়ের- ধানমণ্ডি থানায়।
মামলা নম্বর – ১০(১০)৯৬
মামলার ধারা – ৩০২ ও ৩৪, দন্ড বিধি
মামলা দায়ের করেন – আ ফ ম মহিতুল ইসলাম
অভিযোগপত্র (Charge Sheet) দাখিলের তারিখ- ১৫/০১/১৯৯৭,
তদন্তকারী কর্মকর্তা (IO)- ASP, আব্দুল কাহহার আকন্দ
অভিযুক্ত আসামীর সংখ্যা- ১৯ জন,
অভিযোগপত্র (Charge Sheet) দাখিল করেন- CMM Court এ
মামলার রায় ঘোষণাকারী নিম্ন আদালত – ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ
আসামীগণ আপীল করে – ১৪/১২/২০০০ তারিখে।
আপীলে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে – ১২ আসামীর।
সুপ্রিম কোর্টে আপীল – ২৩/০৯/২০০৭ ইং তারিখে
সুপ্রিম কোর্টের রায় বহাল রাখে- ১৯/১১/২০০৯ ইং তারিখে।
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর- ২৮/০১/২০১০ ইং তারিখ রাত ০০:০৫ মিনিটে।
লেখক-
এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন
01711068609 / 01540105088
ainbid.com