ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর ২০২৩-২০২৪

ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর ২০২৩-২০২৪

 

ব্যক্তি শ্রেণীর আয়করের মধ্যে স্বাভাবিক ব্যক্তি, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার ও ফার্ম এর করহার একই পদ্ধতিতে এবং হারে নির্ণয় করতে হয়।

 

সরকার প্রতি বছর অর্থ আইনের মাধ্যমে আয়কর নির্ণয়ের হার নির্ধারণ করে থাকে। অর্থ আইনে উল্লেখিত হারে আয়কর রিটার্ণ প্রস্তুত করে অনলাইনে অথবা সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে গিয়ে জমা দিতে হয়।  নিম্নে অর্থ আইন, ২০২৩ এর আলোকে স্বাভাবিক ব্যক্তি, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার ও ফার্ম এর করহার আলোচনা করা হলো।

 

স্বাভাবিক ব্যক্তি, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার  ফার্মের করহার

বাংলাদেশের অর্থ আইন, ২০২৩ এ বর্ণিত করহার তফসিল-২ মোতাবেক প্রত্যেক স্বাভাবিক ব্যক্তি (বাংলাদেশী নয় এরূপ অনিবাসী স্বাভাবিক ব্যক্তি ব্যতীত), হিন্দু অবিভক্ত পরিবার এবং ফার্ম এর মোট আয়ের উপর আয়করের হার নিম্নরূপ:

 

  মোট আয় করহার
(ক) প্রথম ৩,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর শূন্য
(খ) পরবর্তী ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ৫%
(গ) পরবর্তী ৩,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০%
(ঘ) পরবর্তী ৪,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫%
(ঙ) পরবর্তী ৫,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০%
(চ) অবশিষ্ট মোট আয়ের উপর ২৫%

 

সুতরাং স্বাভাবিক ব্যক্তি, হিন্দু অবিভক্ত পরিবার ও ফার্মের ক্ষেত্রে করমুক্ত সীমা ৩,৫০,০০০ টাকা।

 

উল্লেখিত এই করহার করদাতার মর্যাদা যাই হোক সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সকল প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক করদাতার উক্ত ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

 

সাধারণ করমুক্ত সীমার ব্যতিক্রম-

তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা, মহিলা করদাতা, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি (person with disability) করদাতা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ক্ষেত্রে করমুক্ত সীমা হবে নিম্নরূপ:

 

  করদাতা করমুক্ত সীমা
(১) মহিলা করদাতা এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতার ক্ষেত্রে ৪,০০,০০০ টাকা
(২) তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে ৪,৭৫,০০০ টাকা
(৩) গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার ক্ষেত্রে ৫,০০,০০০ টাকা

 

করমুক্ত সীমা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে, প্রতিবন্ধী কোনো ব্যক্তির পিতা-মাতা বা আইনানুগ অভিভাবক এর প্রত্যেকটি প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও ৫০,০০০ টাকা বেশি হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতা এবং মাতা উভয়েই করদাতা হলে তাদের মধ্যে যেকোনো একজন এই সুবিধা পাবে।

 

ন্যূনতম আয়করের হার (Minimum Tax Rate)-

করদাতার মোট আয়ের পরিমাণ করমুক্ত আয়সীমার বেশি হলে আয়কর দিতে হবে। তবে আয়কর হিসাব করে যাই আসুক না কেন করদাতার বসবাসের স্থান অনুযায়ী একটা সর্বনিম্ন করহার হার নির্ধারণ করা আছে যার কম কর প্রদান করা যাবে না। এই সর্বনিম্ন করহারকেই বলা হয় ন্যূনতম আয়কর। করদাতার অবস্থান অনুযায়ী প্রদেয় ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ নিম্নরূপ:

 

এলাকা ন্যূনতম করের হার (টাকা)
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৫,০০০
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতা 8,000
সিটি কর্পোরেশন ব্যতীত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতা ৩,০০০

 

অর্থাৎ করমুক্ত সীমার উর্ধ্বে আয় থাকলে সেই করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ বা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনা করার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ ন্যূনতম আয়করের তুলনায় কম, শূন্য বা ঋণাত্মক হলেও তাকে প্রযোজ্য হারে ন্যূনতম আয়কর (Minimum Tax) পরিশোধ করতে হবে।

 

আয়কর রেয়াত (Tax Rebate)-

কোনো করদাতা স্বল্প উন্নত এলাকা (Less Developed Area) বা সবচেয়ে কম উন্নত এলাকায় (Least Developed Area) অবস্থিত কোনো ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্পের মালিক হলে এবং উক্ত ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্পের দ্রব্যাদি উৎপাদন করলে করদাতার উক্ত ক্ষুদ্র বা কুটির শিল্প হতে প্রাপ্ত আয়ের উপর নিম্নলিখিত হারে আয়কর রেয়াত (TAx Rebate) পাবে:

 

  বিবরণ রেয়াতের হার
(১)

 

যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বছরের উৎপাদনের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায় ১৫% এর অধিক, কিন্তু ২৫% এর অধিক নয় উক্ত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ৫%
(২)

 

যেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বছরের উৎপাদনের পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায় ২৫% এর অধিক উক্ত আয়ের উপর প্রদেয় আয়করের ১০%

 

আমদের সহযগিতা প্রয়োজন হলে নিশ্চিন্তে যোগাযোগ করুন।

 

যোগাযোগ

মহীউদ্দীন ল’ ফার্ম

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন

ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।

অথবা রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

01711068609 / 01540105088

ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *