ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য: ভিসা কি, ভিসা কত প্রকার ও কি কি ইত্যাদি।
ভিসা কি:
ভিসা (Visa) হলো একটি দেশের অনুমতি পত্র। একটি দেশ অন্য কোন দেশের নাগরিককে তাদের দেশে প্রবেশ ও অবস্থানের জন্য এই ভিসার মাধ্যমে অনুমতি দিয়ে থাকে। ভিসা ছাড়া নিজ দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে প্রবেশ ও অবস্থান অবৈধ অভিবাসন হিসাবে গন্য করা হয়।
ভিসা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ:
দেশে অবস্থিত বিদেশী দূতাবাসগুলি ভিসা প্রদান করে থাকে। ভিসা দেওয়ার জন্য দূতাবাসে কনস্যুলার শাখা থাকে।
ভিসা ছাড়া অন্য দেশে গমন করা যাবে কিনা:
(১) “ভিসা ওয়েভার” নীতির ভিত্তিতে দুটি দেশ দ্বি-পাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে পরস্পরের জন্য ভিসা প্রথা স্থগিত রাখতে পারে। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন এর দুই দেশের মধ্যে ভিসা ওয়েভার চুক্তি থাকাযর কারণে এই দেশ দুটির নাগরিকগণ ভিসা ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে বা ভ্রমণ করতে পারে।
(২) বিশেষ ধরণের চুক্তির মাধ্যমে অনেকগুলি দেশ নিজেদের মধ্যে ভিসা প্রথা বাতিল করতে পারে। যেমন- শেনঝেন চুক্তির দ্বারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত ২২টি দেশের নাগরিকগণ ভিসা ছাড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে পারে। ইউরোপের এই ২২টি দেশ সারা পৃথিবীতে “শেনঝেন এলাকা” নামে পরিচিত। আবার “শেনঝেন এলাকার” বাহিরের কোন দেশের নাগরিক “শেনঝেন ভিসা” নিয়ে শেনঝেন এলাকার ঐ ২২টি দেশের যে কোনটিতে প্রবেশ করতে পারবে এবং একবার শেনঝেন এলাকার যেকোন একটি দেশে প্রবেশের পর ইহার অন্য যেকোন দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন।
ভিসার মেয়াদ:
প্রত্যেকটি ভিসার একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। এছাড়াও ভিসার মেয়াদ সংক্রান্ত নিম্নলিখিত তথ্য ভিসায় লেখা থাকে-
(১) ভিসা পাওয়ার পর থেকে সর্বশেষ কোন তারিখের মধ্যে বিদেশে প্রবেশ করা যাবে।
(২) প্রবেশের পর কত দিন পর্যন্ত বিদেশে থাকা যাবে।
(৩) একটি ভিসা দ্বারা কতবার ঐ দেশে প্রবেশ করা যাবে তাও উল্লেখ থাকে।
ভিসার প্রকারভেদ বা শ্রেণী:
বাংলাদেশের ভিসা নীতিমালায় বিভিন্ন ধরণের ভিসার উল্লেখ থাকলেও প্রধানত ৪ ধরণের ভিসা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যথা-
(১) পর্যটক বা ব্যবসায়িক ভিসা:
ট্যুরিস্ট বা ব্যবসায়িক ভিসা কোন কাজের উদ্দেশ্যে অথবা অবসর সময় কাটানোর জন্য অস্থায়ীভাবে কিছুদিন থাকার জন্য দেওয়া হয়। যেমন পরিবারের কোন সদস্যদের সাথে দেখা করার জন্য, ভ্রমণের জন্য, কোন সম্মেলনে যোগদান করার জন্য ইত্যাদি।
(২) ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন ভিসা:
ইমিগ্রেশন বা অভিবাসন ভিসার মাধ্যমে কোন ব্যক্তিকে স্থায়ীভাবে একটি দেশে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন উপায়ে ইমিগ্রেশন ভিসা পাওয়া যেতে পারে। যথা: কর্মসংস্থান, লটারি, পরিবার, বিনিয়োগ, শরণার্থী অথবা আশ্রয়ের অবস্থা ইত্যাদি।
(৩) স্টুডেন্ট ভিসা:
পড়াশুনার জন্য সাধারণত এই ধরণের ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে।
(৪) ওয়ার্কিং ভিসা:
ভাল শিক্ষা, দক্ষতা বা কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে কর্মসংস্থানের জন্য কোন দেশের এই ভিসা নিয়ে যাওয়া যায়।
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:
জাস্টিস ফোরাম,
01711068609 / 01540105088
ইমেইল: justiceforum@ainbid.com
ওয়েবসাইট: www.ainbid.com