ভ্যাট নিবন্ধন ও তালিকাভূক্তি

ভ্যাট নিবন্ধন ও তালিকাভূক্তি (VAT Registration)

প্রত্যেক ব্যবসায় একটি ইউনিক “ব্যবসা পরিচিতি নম্বর” (Business Identification Number) থাকে। সংক্ষেপে এটিকে বিন নম্বর (BIN Number) বলা হয়। অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন করলে এই বিন নম্বর পাওয়া যায়।

vat.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিম্নলিখিত ডকুমেন্টস সাবমিট করে আবেদন করলে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই শেষে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে একটি বিন নম্বর সম্বলিত একটি সার্টিফিকেট ইস্যু করে থাকে।

১। ব্যাংক রিসিট,

২। ট্রেড লাইসেন্স,

৩। টি আই এন,

৪। এন আই ডি,

৫। লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে ইনকর্পোরেশন সার্টিফিকেট।

ভ্যাট বা মূসক ব্যবস্থায় করদাতার প্রথম কাজ হলো ভ্যাট এর জন্য নিবন্ধিত হওয়া। নিবন্ধিত হওয়ার পর অন্যান্য কার্যক্রম শুরু হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার ধরন অনুযায়ী নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি হয়। মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনুযায়ী নিম্নলিখিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

১। যে প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার ৩০ লক্ষ টাকার উপরে হলে ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।

২।  বার্ষিক টার্নওভার যাই হোক টেন্ডারে অংশগ্রহণ করার জন্য, ব্যাংকিং কার্য্যক্রম চালানোর জন্য, আমদানি বা রপ্তানী করার জন্য ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক।

কোন প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভার যদি ৩০ লক্ষ টাকার ওপর হয় এবং ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে তাকে মূসকের পরিবর্তে ৩% হারে টার্নওভার কর (Turnover tax) পরিশোধ করতে হবে। এই কর পরিশোধ করার জন্য তাকে মূসক আইনের আওতায় নিবন্ধিত হতে হবে। এ ধরনের নিবন্ধনকে আইনের ভাষায় টার্নওভার তালিকাভুক্তি বলা হয়। 

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে ভ্যাট নিবন্ধন প্রয়োজন নাই।

১। বার্ষিক টার্নওভার ৩০ লক্ষ টাকা বা তার কম হলে।

২। অব্যাহতিপ্রাপ্ত সরবরাহের ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে।

১। বার্ষিক টার্নওভার ৩০ লক্ষ ১ টাকা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হলে ৩% ভ্যাট দিতে হবে।

২। বার্ষিক টার্নওভার ৫০ লক্ষ টাকার উপরে হলে ১৫% বা সংকুচিত হারে বা থোক পদ্ধতিতে “সুনির্দিষ্ট পরিমাণ” মূসক বা ভ্যাট প্রদান করতে হবে।

বাৎসরিক টার্নওভার মানে হলো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এক বছরে মোট বিক্রয়ের পরিমাণ।

অর্থাৎ একটি কোম্পানির পণ্য বা সেবা বিক্রি করে এক বছরে মোট যে টাকা পায় সেটাই বাৎসরিক টার্নওভার। বাৎসরিক টার্নওভারের হিসাব সাধারণত জুলাই–জুন অর্থবছর ধরে হিসাব করা হয়।

কোনো ব্যবসা ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পণ্য কিংবা সেবা বিক্রি করে ৫ কোটি টাকা আয় করলো। এই ৫ কোটি টাকা হলো তার বাৎসরিক টার্নওভার। বাৎসরিক টার্নওভার হিসাবের ক্ষেত্রে ব্যয় বাদ দেয়া যাবে না। অর্থাৎ এক বছরে যাহা বিক্রয় তাহাই বাৎসরিক টার্নওভার।

বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রতি মাসেই ভ্যাট পরিশোধ করতে হবে। পুরো মাসের ভ্যাট পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করে ভ্যাট রিটার্ন সাবমিট করতে হবে। প্রত্যেক মাসের মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট পরিশোধ করে ভ্যাট রিটার্ন সাবমিট না করলে প্রতি মাসের জন্য ১০,০০০/- টাকা জরিমানা দিতে হবে।

আপনার কোম্পানীর ভ্যাট ও ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধানের জন্য আমাদের অভিজ্ঞ ভ্যাট কন্সালটেন্টদের সাথে যোগাযোগ করুন-

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন

এলএল.বি, এলএল.এম, এমবিএ

১২, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা।

অথবা

১৬, কৈলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।

অথবা

রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

ফোন- 01711068609 / 01540105088

ওয়েবসাইট- www.ainbid.com 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *