সাকসেশন সার্টিফিকেট এর জন্য সাকসেশন মোকদ্দমা করতে হয়। সাকসেশন মোকদ্দমার নমুনা দেওয়া হলো-
জিলা-ঢাকার তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকা।
(জেলা প্রতিনিধি)
সাকসেশন মোকদ্দমা নং ১২৫৫/২০২২
মোহাম্মদ হাসান
পিতাঃ মৃত মুজিবুর রহমান, সাং বাসা ১০৫, রোড-০৫, রামপুরা, ডাকঘরঃ খিলগাও, ঢাকা।
………… দরখাস্তকারী।
সাকসেশন আইনের ৩৭২ ধারা বলে ১৯২৫ সালের উত্তরাধীকারী আইনের ৩৯ ধারায় দরখাস্ত
দরখাস্তকারীর সবিনয় নিবেদন এই যে,
১। এম মুজিবুর রহমান খান, পিতাঃ মৃত মৌল্ভী আব্দুর রহমান খান, মাতাঃ মৃত মিসেস মনোয়ারা বেগম, সাং বাড়ি ১১৪, গ্রাম/রাস্তা আমিরাবাদ মন্টু ভুইয়া সড়ক, ডাকঘরঃ মাদারীপুর, থানাঃ মাদারীপুর সদর, মাদারীপুর পৌরসভা, জেলাঃ মাদারীপুর-৭৯০০ বার্ধক্যজনিত কারণে বিগত ০৪/০৭/২০২০ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত ব্যক্তি মুসলিম (সুন্নি) পরিবারে জম্নগ্রহণ করেন এবং মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি উক্ত ধর্মে বিশ্বাস করিতেন।
২। মৃত্যুকালে এম মুজিবুর রহমান খান সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, পিরোজপুর সঞ্চয়ী হিসাব নং ০৫১০১০০০১৪৯৫০ তাহার নিজ নামের একাউন্টে ৬,০৭,০৬৪/- (ছয় লক্ষ সাত হাজার চৌষট্টি) টাকা রাখিয়া ইন্তেকাল করেন।
৩। উক্ত মৃত এম মুজিবুর রহমান খান উল্লেখিত একাউন্টের জন্য তাহার স্ত্রী মোসাঃ সুফিয়া বেগমকে নমিনি রাখিয়া যান। উক্ত নমিনি মোসাঃ সুফিয়া বেগম বিগত ২৪/০৬/২০১৯ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
৪। বর্ণিত এম মুজিবুর রহমান খান মৃত্যুবরণ করিলে এবং অতঃপর তাহার নমিনি মৃত্যুবরণ করিলে তাহাদের একমাত্র ওয়ারিশ অত্র দরখাস্তের দরখাস্তকারী নিম্নোক্তভাবে টাকার অংশ প্রাপ্য হইয়াছে।
নাম | সম্পর্ক | প্রাপ্ত অংশ | টাকার পরিমাণ |
মোহাম্মদ হাসান
|
পুত্র | ১ অংশ | ৮,০৭,০৬৪/- |
অর্থাৎ দরখাস্তকারী একমাত্র ওয়ারিশ হিসাবে মৃত ব্যক্তির রাখিয়া যাওয়া সম্পূর্ণ টাকা ৮,০৭,০৬৪/- (আট লক্ষ সাত হাজার চৌষট্টি) প্রাপ্ত হইবেন।
৫। বর্ণিত এম মুজিবুর রহমান খান মৃত্যুবরণ করায় এবং অতঃপর তাহার নমিনি মৃত্যুবরণ করায় তাহাদের একমাত্র পুত্র মেহেদী হাসান খান সজীব তফসীল বর্ণিত টাকার হকদার এবং সেই নিমিত্তে সাকসেশন সার্টিফিকেট আবশ্যক।
৬। সাকসেশন সার্টিফিকেট প্রাপ্তির নিমিত্তে দরখাস্তকারী ইতোপূর্বে অন্য কোন আদালতে দরখাস্ত দাখিল করেন নাই। দরখাস্তকারীর ইহাই প্রথম দরখাস্ত।
৭। মৃত ব্যক্তির কোন দায় দেনা বা দায়বদ্ধতা নাই।
৮। এমতাবস্থায় দরখাস্তকারীকে সাকসেশন সার্টিফিকেট প্রদান করা এবং ব্যাংকের টাকা উত্তোলনের জন্য আদেশ প্রদান করা আবশ্যক। অন্যথায় অপূরণীয় ক্ষতি হইবে।
অতএব হুজুর সমীপে দরখাস্তকারী পক্ষে সবিনয় প্রার্থনা এই যে, উপরোল্লিখিত বর্ণিত কারণাধীনে ন্যায়বিচারের স্বার্থে দরখাস্তকারীর নামে সাকসেশন সার্টিফিকেট প্রদান করিয়া নিম্ন তফসীল বর্ণিত ব্যাংকের একাউন্টের টাকা উত্তোলনের ক্ষমতা প্রদানের আদেশ দানে জনাবের মর্জি হয়।
বিজ্ঞ আদালতের মহানুভবতার জন্য দরখাস্তকারী চির কৃতজ্ঞ থাকিবে।
ইতি তাং
তফসীল
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, ইস্ট একালাম স্বরুপকাঠি, নেসারাবাদ, পিরোজপুর।
হিসাব নং ০৮৮০১০০০১৪৯৫০
টাকার পরিমাণ ৮,০৭,০৬৪/- (আট লক্ষ সাত হাজার চৌষট্টি) টাকা।
হলফনামা
আমি মোহাম্মদ হাসান, পিতাঃ মৃত মুজিবুর রহমান, সাং বাসা ১০৫, রোড-০৫, রামপুরা, ডাকঘরঃ খিলগাও, ঢাকা, পেশা- চাকুরি, বয়স- ৪০ বৎসর, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী এই মর্মে হলফ পূর্বক শপথ করিয়া বলিতেছি যে,
১। আমার পিতা এম মুজিবুর রহমান, বার্ধক্যজনিত কারণে বিগত ০৪/০৭/২০২০ ইং তারিখে মৃত্যুবরণ করিলে আমি অত্র দরখাস্তে উল্লেখিত আকমাত্র ওয়ারিশ থাকি।
২। আমি উক্ত মরহুম এম মুজিবুর রহমান খান এর ত্যক্ত যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির একমাত্র ওয়ারিশ।
৩। অত্র হলফনামায় বর্ণিত বিবরণ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সম্পূর্ণ সত্য, সঠিক ও নির্ভুল জানিয়া অদ্য _ _ _ _ _ _ _ _ ইং তারিখ বেলা _ _ _ _ _ _ _ _ ঘটিকায় বিজ্ঞ আদালতের হলফনামা কমিশনারের সম্মুখে হাজির হইয়া অত্র হলফনামায় আমার নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম।
….……………………
হলফকারীর স্বাক্ষর
হলফকারী আমার পরিচিত। তিনি আমার সম্মুখে অত্র হলফনামায় তাহার নিজ নাম সহি সম্পাদন করিয়াছেন। আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।
..………………
এডভোকেট।