স্বত্ব ঘোষণামূলক মোকদ্দমার আর্জি (R.S রেকর্ড ভ্রমাত্মক মর্মে ঘোষণা )
মোকাম: বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত নং-৫, ঢাকা।
দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ১৩৯/২০২৪
১। লিয়াকত হোসেন,
২। পারভেজ হোসেন,
৩। দিলদার হোসেন,
৪। হোসেন মোঃ জালাল উদ্দিন,
৫। তাহমিনা জাবীন,
সর্ব পিতা মৃত-তোফাজ্জল হোসেন,
৬। নার্গিস জাবীন,
পতি মৃত-তোফাজ্জল হোসেন,
সর্ব সাকিন-গনিপুর, থানা-বেগমগঞ্জ, থানা-বেগমগঞ্জ, জেলা-নোয়াখালী,
হালে- ২৮/১, টয়েনবি সার্কুলার রোড, থানা-সূত্রাপুর, জেলা-ঢাকা।
—————–বাদীগণ।
=বনাম=
১। বাংলাদেশ সরকার পক্ষে জিলা প্রশাসক, ঢাকা।
২। অতিরিক্ত জিলা প্রশাসক (রাজস্ব) ঢাকা,
উভয়ের সাং-ঢাকা কালেক্টরীয়েট বিল্ডিং, থানা-কোতয়ালী, জিলা-ঢাকা।
৩। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডেমরা, সাং-সহকারী কমিশনারের কার্যালয়, ৪৭ টয়েনবি সার্কুলার রোড, জয়কালী মন্দির, থানা-সূত্রাপুর, জেলা-ঢাকা।
———————-বিবাদীগণ।
মোকদ্দমার তায়দাদ ৫,০০,০০০/ (পাঁচ লক্ষ) টাকা।
স্বত্ব ঘোষনার মোকদ্দমা।
বাদীগণ নিম্ন লিখিত মর্মে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিলেন,
১। নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি অতঃপর যাহা অত্র আরজীতে নালিশী সম্পত্তি বলিয়া উল্লেখ হইবে উক্ত সম্পত্তিসহ আরও কতিপয় সম্পত্তি যাহা জিলা ঢাকার থানা সাবেক কেরাণীগঞ্জ তৎপর তেজগাঁও পরবর্তীতে রমনা তৎপর মতিঝিল বর্তমানে সবুজবাগ অধীন ঢাকা কালেক্টরীর ১২৩৫ নম্বর তৌজিভূক্ত সি. এস. জে. এল, নম্বর ২৮৬ মৌজা রাজারবাগ অধীন সি. এস. খতিয়ান নম্বর ১৮০ সি. এস. দাগ নম্বর ১০৮৩ জমির পরিমাণ ৩১ শতাংশ সম্পত্তির সি. এস. রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন যথাক্রমে (ক) বিরু খা, (খ) বাবু খা এবং (গ) গফুর খা সর্ব পিতা মৃত-মানিক খা। বর্ণিত বিরু খা গং ৩ (তিন) ভ্রাতা নালিশী সম্পত্তিসহ নালিশী খতিয়ান ও দাগের সমুদয় সম্পত্তিতে সমান অংশে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় সি. এস. জরীপ আমলে আসিলে তাহাদের নামে উল্লেখিত অংশ উল্লেখে বর্ণিত নালিশী সি. এস. ১৮০ নম্বর খতিয়ানটি সঠিক ও শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।
২। অতঃপর বর্ণিত বিষ্ণু খাগং ৩ (তিন) ভ্রাতা নালিশী সম্পত্তিসহ নালিশী দাগ ও খতিয়ানের সমুদয় সম্পত্তিতে সমান অংশে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় তাহাদের ভোগ দখলের সুবিধার্থে নালিশী দাগ ও খতিয়ানের সম্পত্তিসহ তাহাদের অন্যান্য সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে ঘরোয়া আপোষ বণ্টনে মৌখিকভাবে বন্টন করিয়া লইলে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিসহ নালিশী খতিয়ান ও দাগের সমুদয় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি বিরু খার ছাহাম প্রাপ্ত হন।
৩। অতঃপর বর্ণিত বিরু খা তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিসহ নালিশী খতিয়ান ও দাগের সমুদয় ৩১ শতাংশ সম্পত্তিতে তাহার নিজস্ব ও একক মালিকানায় দ্বাদশ বর্ষের বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ২ (দুই) পুত্র যথাক্রমে (ক) রমন খা এবং (খ) সমন খা- কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন।
৪। অতঃপর বর্ণিত রমন খাগং ভ্রাতৃদ্বয় তাহাদের পিতৃ ত্যাজ্য তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিসহ নালিশী খতিয়ান ও দাগের সমুদয় ৩১ শতাংশ সম্পত্তিতে সমান (আট) আনা অংশে এজমালীতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় এস. এ. জরীপ আমলে আসিলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিসহ নালিশী দাগের সমুদয় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি এস. এ. খতিয়ান নম্বর ৭৮৩ এবং এস. এ. দাগ নম্বর যথাক্রমে ২০৯৫ এবং ২০৯৬ জমির পরিমাণ যথাক্রমে ১৬+১৬=৩২ শতাংশ সম্পত্তি সম্পর্কে তাহাদের নামে সঠিক ও শুদ্ধরূপে এস. এ. ৭৮৩ নম্বর খতিয়ানটি প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। বলা আবশ্যক, এস. এ. খতিয়ানে নালিশী খতিয়ান ও দাগে ৩২ শতাংশ সম্পত্তি রেকর্ডভূক্ত হইলেও সরেজমিনে নালিশী খতিয়ানে সম্পত্তির পরিমাণ ৩১ শতাংশ।
৫। অতঃপর বর্ণিত রমন খা নালিশী খতিয়ান ও দাগের সমুদয় ৩১ শতাংশ সম্পত্তির কাতে তাহার অর্ধাংশ অর্থাৎ ১৫ শতাংশ সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ৩ (তি) পুত্র যথাক্রমে (ক) ২ আব্দুল কাদির, (খ) আরফান আলী ও (গ) আমির চান এবং স্ত্রী জহুরন বিবিকে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। অপরদিকে সমন খা তাহার ১৫২ শতাংশ সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ২ (দুই) পুত্র যথক্রমে (ক) আশাব উদ্দিন ও (খ) মৌঃ শাহাব উদ্দিন এবং স্ত্রী আলমন বিবি-কে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন।
৬। অতঃপর বর্ণিত আব্দুল কাদিরগং তাহাদের স্ব স্ব অংশে এজলমালীতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় সমন খার উল্লেখিত ওয়ারিশগণ অর্থাৎ আশাব উদ্দিনগং তাহাদের স্বত্ব দখলীয় ১৫ শতাংশ সম্পত্তি বিগত ০৭/০৪/১৯৭৮ তারিখে সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত ১২৭৬৯ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে নালিশী খতিয়ান ও দাগের ১৫ শতাংশ সম্পত্তি বর্ণিত রমন খার পুত্র আরফান আলী এবং তদিয় স্ত্রী রাজিয়া খাতুনের নিকট সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল তাহাদের বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।
৭। অতঃপর বর্ণিত আরফান আলী তাহার পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ও খরিদ সূত্রে এবং তাহার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন খরিদ সূত্রে এবং রমন খার অপর ২পুত্র অর্থাৎ আরফান আলীর অপর ২ (দুই) ভ্রাতা এবংতাহাদের মাতা জহুরন বিবি তাহাদের স্ব স্ব অংশে এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় বর্ণিত আরফান আলী খা এবং তাহার স্ত্রী রাজিয়া বেগম তাহাদের খরিদা সম্পত্তিতে পৃথকভাবে ভোগ দখলে রত থাকেন। অপরদিকে বর্ণিত আরফান আলী খাগং তাহাদের পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে তাহাদের স্ব স্ব অংশ অনুযায়ী ভোগ দখলে থাকাবস্থায় উক্ত খরিদা সম্পত্তি ব্যতীত তাহাদের শুধুমাত্র পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি তাহাদের নিজেদের ভোগ দখলের সুবিধার্থে নালিশী এস. এ. খতিয়ানের উক্ত পৈত্রিক সম্পত্তি এবং তাহাদের অপরাপর সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে বিগত ১৪/০২/১৯৮০ তারিখে সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত ৬২৫৫ নম্বর বণ্টননামা দলিল মূলে নালিশী খতিয়ান ও দাগের সম্পত্তিসহ অপরাপর সম্পত্তি বণ্টন করিয়া লইলে নালিশী সম্পত্তি আরফান আলী খার একক ছাহাম প্রাপ্ত হন। ফলে বর্ণিত আরফান আলী খা এবং তাহার স্ত্রী রাজিয়া খাতুন নালিশী খতিয়ানের সমুদয় ৩১ শতাংশ সম্পত্তি অর্থাৎ তাহাদের ওয়ারিশ সূত্রে ও খরিদসূত্রে প্রাপ্ত সমুদয় সম্পত্তিতে তাহাদের একক ছাহাম প্রাপ্ত হন এবং উক্ত খতিয়ান ও দাগে বর্ণিত রমন খার অপর কোন ওয়ারিশদের আর কোন স্বত্ব-স্বার্থ, মালিকানা ও দখলাধিকার ছিল না এবং থাকে না।
৮। অতঃপর বর্ণিত আরফান আলী খা এবং তাহার স্ত্রী বর্ণিত রাজিয়া খাতুন বিগত ১১/০৩/১৯৮২ তারিখে সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত ১৯০৫ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে ০৬৬০ অযুতাংশ সম্পত্তি এবং উক্ত একই তারিখের ১৬১৭ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে ৪৯৫ অযুতাংশ সম্পত্তি এবং উক্ত একই তারিখে ২০০৪ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে ৪৯৫ অযুতাংশ সর্বমোট ১৬৫০ অযুতাংশ সম্পত্তি জনাব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন, পিতা মৃত-নূরুল হোসেন এর নিকট সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল তাহার বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।
৯। অতঃপর বর্ণিত মোঃ তোফাজ্জল হোসেন তাহার খরিদা উল্লেখিত ১৬৫০ অযুতাংশ সম্পত্তিতে খরিদ সূত্রে মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া ও থাকিয়া তাহার নামে নামজারী জমাভাগ কেস নম্বর ১৩৫৩/৮২-৮৩ তারিখ ১৭/০১/১৯৮৩ মূলে নামজারী জমাভাগ করতঃ পৃথকভাবে ৭৮৩/১ নম্বর খতিয়ান খুলিয়া ডি. সি. আর. প্রাপ্ত হইয়া তাহার দেয় যাবতীয় খাজনা-ট্যাক্সাদি বাংলা ১৪১৪ সন পর্যন্ত পরিশোধ পূর্বক তাহার নিজস্ব ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ঢাকা সিটি জরীপ আমলে আসিলে তাহার নামে ঢাকা সিটি জরীপ ৭৬৮৪ এবং দাগ নম্বর ৭৫৪৯ উল্লেখে বুজারত খতিয়ান এবং ৩০৯৯ নম্বর চূড়ান্ত খতিয়ান এবং ৭৫৪৯ নম্বর দাগ উল্লেখে ঢাকা সিটি খতিয়ান সঠিক ও শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।
১০। অতঃপর বর্ণিত মোঃ তোফাজ্জল হোসেন উপরিউক্তভাবে নালিশী সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ১-৪ নম্বর বাদীগণকে ৪ (চার) পুত্র এবং ৫নং বাদীনিকে ১ (এক) কন্যা এবং ৬নং বাদিনীকে তদিয় স্ত্রী তথা তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন।
১১। অতঃপর বাদীগণ সম্মিলিতভাবে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুযায়ী তাহাদের স্ব স্ব অংশ অনুযায়ী নালিশী সম্পত্তিতে বর্ণিত মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর ওয়ারিশ হিসাবে এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় সাংসারিক প্রয়োজনে নালিশী সম্পত্তি বিক্রয় করিবার সিদ্ধান্ত নেন এবং তাহাদের নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের সহিত উক্ত বিক্রয়ের বিষয় অবহিত করিলে তাহাদের জনৈক আত্মীয় জানান যে, নালিশী সম্পত্তি বিক্রয় করিতে হইলে আর, এস, খতিয়ান অনুযায়ী তাহাদের নামে নামজারী জমাভাগ করিতে হইবে।
১২। অতঃপর ১নং বাদী বিগত ০৫/০৪/২০১০ তারিখে সংশ্লিষ্ট সবুজবাগ তহশিল অফিসে তাহাদের নামে নামজারী করিতে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নালিশী সম্পত্তির সংশ্লিষ্ট রেজিষ্টার দেখিয়া জানান যে নালিশী সম্পত্তির আর. এস. রেকর্ড সরকার বাহাদুরের নামে প্রস্তুত হওয়ায় তাহাদের নামে নামজারী জমাভাগ করা সম্ভব নহে।
১৩। অতঃপর ১নং বাদী নালিশী সম্পত্তির আর, এস, খতিয়ানের সইমোহরী নকল তুলিতে গেলে জানিতে পারেন যে, যেহেতু নালিশী সম্পত্তিসহ আরও একাধিক সম্পত্তি সরকার বাহাদুরের নামে ১নম্বর তথা খাস খতিয়ানে রেকর্ড হইয়াছে সেইহেতু উক্ত খতিয়ানের সইমোহরী নকল প্রদান করা হয় না। অতঃপর ১নং বাদী কোনভাবে নালিশী সম্পত্তির আর, এস, খতিয়ানের একটি ফটোকপি সংগ্রহ করিয়া দেখিতে পান যে, নালিশী সম্পত্তি তাহাদের পূর্ববর্তী সমন খা ও রমন খার ব্যক্তিগত সম্পত্তি হইলেও এবং তাহারা নালিশী সম্পত্তিতে সরেজমিনে ভোগ দখলে থাকিলেও আর. এস. জরীপ কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ভুল বশতঃ তাহাদের পূর্ববর্তীদের নামে নালিশী সম্পত্তির আর, এস, খতিয়ান প্রস্তুত না করিয়া সরকার বাহাদুর নালিশী সম্পত্তির মালিক দখলকার না হওয়া স্বত্বেও নালিশী সম্পত্তি সরকার বাহাদুরের নামে ১নম্বর খতিয়ানে প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছে যাহা ভুল এবং অশুদ্ধ।
১৪ । উল্লেখ্য, বর্তমান মোকদ্দমার বাদীগণের পূর্ববর্তী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন নালিশী সম্পত্তির তৎকালীন প্রকৃত মালিকের নিকট হইতে নালিশী সম্পত্তি উপযুক্ত মূল্যে খরিদ করিয়া এবং তাহার নামে নামজারী জমাভাগ করিয়া ১৪১৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত খাজনাদি পরিশোধ করিয়াছেন এবং তিনি সরেজমিনে নালিশী সম্পত্তিতে ভোগ দখলে রত থাকাবস্থায় তাহার নামে ঢাকা সিটি জারীপে ডি. পি. ও চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তুত হইয়াছে। যদি নালিশী সম্পত্তি কিম্বা উহার কোন অংশে সরকার বাহাদুরের কোন স্বত্ব-স্বার্থ কিম্বা মালিকানা থাকিত তাহা হইলে বাদীগণের পূর্ববর্তীর নামে যেমন নামজারী জমাভাগ হইত না এবং তেমনি বিগত ঢাকা সিটি জরীপেও মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর নামে খতিয়ান প্রস্তুত হইত না। বাদীগণের পূর্ববর্তী মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর মৃত্যুর পর বাদীগণ নালিশী সম্পত্তিতে বাহির হইতে মাটি আনায়ন করতাঃ নালিশী সম্পত্তি অপেক্ষাকৃত উঁচু করিয়া তথায় ওয়াল দিয়া চৌচালা টিন শেড নির্মাণ করতঃ উহাতে ৪টি কক্ষ নির্মাণ করিয়া নালিশী সম্পত্তিতে বিদ্যুৎ ও ওয়াসা সংযোগ লইয়া তথায় বাদীগণের কেয়ার টেকার জনৈক মোঃ বাবুল মিয়া, পিতা মৃত-গোড়া চান মিয়া, তাহার পরিবার পরিজন লইয়া বসবাস করিতেছে।
১৫ । যেহেতু তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তির আর. এস. পর্চা ভুল ও অশুদ্ধ এবং নালিশী সম্পত্তিতে কিম্বা উহার কোন অংশে বিবাদীগণের তথা সরকার বাহাদুরের কোনরূপ স্বত্ব-স্বার্থ, মালিকানা ও দখলাধিকার কোন দিনও ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তির প্রকৃত মালিক দখলকার অত্র বাদীগণ কিন্তু ভুল বশতঃ নালিশী সম্পত্তির আর. এস. পর্চা বাদীগণের পূর্ববর্তীদের নামে না হওয়ায় নালিশী সম্পত্তিতে তাহাদের উত্তম স্বত্বে কালিমা লেপিত হওয়ায় উহা দূরীকরণার্থে বাদীগণ ঘোষনা মূলক ডিক্রীর প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিলেন।
১৬। উল্লেখ্য, ২ এবং ৩ নং বিবাদীদের প্রসাশনিক কর্মকর্তা ১নং বিবাদীকেই শুধুমাত্র পক্ষভুক্ত করিলে চলিত। কিন্তু যেহেতু নালিশী সম্পত্তির নামজারী জমাভাগের বিষয় এবং উহার খাজনাদি গ্রহণ করা না করার বিষয়টি যথাক্রমে ৩ ও ২ নং বিবাদীদের অধীনে হইয়া থাকে সেইহেতু বাদীগণ অত্র মোকদ্দমায় তাহাদের প্রত্যাশিত ডিক্রী পাইলে যাহাতে নামজারী জমাভাগের বিষয়ে কোন অনাকাঙ্খিত ঝামেলায় পড়িতে না হয় তজ্জন্য তাহাদিগকেও অত্র মোকদ্দমায় পক্ষভুক্ত করা হইল।
১৭। মোকদ্দমার কারণঃ- বাদীগণের মধ্যে ১নং বাদী বিগত ০৫/০৪/২০১০ তারিখে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তাহাদের নামে নামজারী জমাভাগ করিতে গেলে যখন জানিতে পারেন যে, নালিশী সম্পত্তির আর. এস. খতিয়ান বাদীগণের পূর্ববর্তীদের নামে না হইয়া সরকার বাহাদুরের নামে প্রস্তুত হইয়াছে তখন অত্র মোকদ্দমার কারণ সর্বপ্রথম এবং পরবর্তীতে যখন তিনি বিগত ১৫/০৪২০১০ তারিখে আর. এস. পর্চার ফটোকপি হাতে পাইয়া দেখিতে পান যে, নালিশী সম্পত্তির আর, এস, খতিয়ান প্রকৃতপক্ষেই সরকার বাহাদুরের নামে প্রস্তুত হইয়াছে অবগত হইবার তারিখে অত্র মোকদ্দমার কারণ উদ্ভব হইয়া অত্রাদালতের এলাকাধীন থানা সাবেক মতিঝিল হালে সবুজবাগ অধীন রাজারবাগ মৌজাস্থিত তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে।
১৮। মোকদ্দমার মূল্যায়ণঃ- যেহেতু বর্তমান মোকদ্দমাটি একটি ঘোষনা মূলক মোকদ্দমা সেইহেতু নালিশী সম্পত্তির বর্তমান বাজার মূল্য ৫,০০,০০০/ (পাঁচ লক্ষ) টাকা হওয়ায় উক্ত মূল্যই বর্তমান মোকদ্দমার মূল্য ধার্য্য করিয়া যেহেতু বাদীগণ নালিশী সম্পত্তিতে ভোগ দখলে রত আছেন সেইহেতু ২ (দুই) টি পৃথক ঘোষনা মূলক ডিক্রীর নিমিত্তে টাকার কোর্ট ফি প্রদান পূর্বক মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল।
বাদীগণের বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়াঃ-
(ক) তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তির আর. এস. পর্চা ভুল এবং অশুদ্ধ বিধায় উক্ত পর্চা দ্বারা বাদীগণ বাধ্য নহেন মর্মে বাদীগণের অনুকূলে এবং বিবাদীগণের প্রতিকূলে ডিক্রী দিতে;
এবং
(খ) বাদীগণ নালিশী সম্পত্তির ১ (ষোল) আনা স্বত্বে স্বত্ববান মর্মে বাদীগণের অনুকূলে এবং বিবাদীগণের প্রতিকূলে ঘোষনা মূলক ডিক্রি দিতে;
এবং
(গ) মোকদ্দমার যাবতীয় খরচের ডিক্রি বাদীগণের অনুকূলে এবং প্রতিযোগী বিবাদীগণের প্রতিকূলে দিতে;
এবং
(ঘ) আইন ও ইকুইটি মোতাবেক বাদীগণ আর যেসকল প্রতিকার পাইবার অধিকারী হয় তদবিষয়ে যথাপোযুক্ত ডিক্রি প্রদান করিতে মর্জি হয়।
নালিশী সম্পত্তির তফসিলঃ-
জিলা ঢাকার থানা সাবেক কেরাণীগঞ্জ তৎপর তেজগাঁও পরবর্তীতে রমনা তৎপর মতিঝিল বর্তমানে সবুজবাগ অধীন ঢাকা কালেক্টরীর ১২৩৫ নম্বর তৌজিভুক্ত সি. এস. জে. এল. নম্বর ২৮৬ মৌজা রাজারবাগ অধীন সি. এস. খতিয়ান নম্বর ১৮০ সি. এস. দাগ নম্বর ১০৮৩ যাহার এস. এ. খতিয়ান নম্বর ৭৮৩ দাগ নম্বর যথাক্রমে ২০৯৫ ও ২০৯৬ যাহার আর. এস. খতিয়ান নম্বর ১ আর. এস. দাগ নম্বর যথাক্রমে ১০০৫৭ ও ১০০৫৮ যাহার ঢাকা সিটি জরীপের খতিয়ান নম্বর ৩০৯৯ এবং দাগ নম্বর ৭৫৪৯ জমির পরিমাণ ১৬৫২ অযুতাংশ যাহার চৌহদ্দি উত্তরেঃ-সরকারী রাস্তা, দক্ষিণেঃ-সরকারী খাল, পূর্বেঃ-মোহাম্মদ আলীর সম্পত্তি এবং পশ্চিমেঃ-মোঃ নূরুল হক এর সম্পত্তি এই চৌহদ্দিভূক্ত ১৬৫০ অযুতাংশ সম্পত্তিই অত্র মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি বটে।
সত্যপাঠঃ-
অত্র আরজীর সকল বিবরণ আমাদের কথামত প্রস্তুত করা হইয়াছে জানিয়া উহার সত্যতা স্বীকারে অত্র সত্যপাঠে আমার আইনজীবী সাহেবের চেম্বারে বসিয়া আমি ১নং বাদী আমার নিজ পক্ষে এবং অপর বাদীগণের পক্ষে অত্র সত্যপাঠে দস্তখত প্রদান করিলাম।
————————–
(মোঃ লিয়াকত হোসেন)