স্বত্ব ঘোষণাসহ দলিল বাতিলের মোকদ্দমার আর্জি

স্বত্ব ঘোষণাসহ দলিল বাতিলের মোকদ্দমার আর্জি।

 

মোকাম: জেলা ঢাকার বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালত নং-১, ঢাকা।

দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ২২৫/২০১৫

 

কসিমন নেসা,

পতি মরহুম-হেসাম উদ্দিন মল্লিক,

সাকিন-বাড়ী নং-১/১২, ব্লক-সি,

নূরজাহান রোড, ডাকঘর-মোহাম্মাদপুর,

থানা-মোহাম্মদপুর, জিলা-ঢাকা, ঢাকা-১২০৭।

—————— বাদী।

 

বনামঃ-

 

১।  মমতাজ সুলতানা,

পতি-হাজী শরফুল আনাম, সাকিন-বাড়ী নং-৭,

ব্লক-এ, এভিনিউ-৩, লাইন নং-১, মিরপুর-১১,

ডাকঘর-মিরপুর, থানা-মিরপুর, জেলা ও শহর-ঢাকা।

 

২। তাপসী রাবেয়া,

পিতা মরহুম-হেসাম উদ্দিন মল্লিক,

সাকিন-বাড়ী নং-এন/১,

নূরজাহান রোড, ডাকঘর-মোহাম্মাদপুর,

থানা-মোহাম্মাদপুর, জেলা ও শহর-ঢাকা, ঢাকা-১২০৭।

 

৩।  মেহেরুন নেসা,

পতি-ডাঃ মোঃ আলমগীর,

স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম নাগপাড়া,

ডাকঘর-বিরাবসদিয়া, থানা-শৈলকোপা,

জেলা-ঝিনাইদহ,

হালে-বাড়ী নং-এন/১, নূরজাহান রোড,

ডাকঘর-মোহাম্মাদপুর, থানা-মোহাম্মাদপুর,

জেলা ও শহর-ঢাকা, ঢাকা-১২০৭।

 

৪।  ফারজানা সুলতানা,

পতি-মোঃ জাকির হোসেন,

সাকিন-বাড়ী নং-এন/১, নূরজাহান রোড,

ডাকঘর-মোহাম্মাদপুর, থানা-মোহাম্মাদপুর,

জেলা ও শহর-ঢাকা, ঢাকা-১২০৭।

 

৫।  আলেয়া সুলতানা,

পতি-শেখ মনির উদ্দিন,

সাকিন-রোড নং-সি/৩৫, জাকির হোসেন রোড,

ডাকঘর-মোহাম্মাদপুর, থানা-মোহাম্মাদপুর,

জেলা ও শহর-ঢাকা, ঢাকা-১২০৭।

—————— মূল-বিবাদীগণ।

 

৬।  বাংলাদেশ সরকার

পক্ষে সচিব, পূর্ত মন্ত্রণালয়,

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,

বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।

 

৭।  উপ-কমিশনার (সেটেলমেন্ট) গৃহ সংস্থান অধিদপ্তর,

গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়, সেগুন বাগিচা,

থানা-রমনা, জিলা ঢাকা।

 

৮।  সহকারী কমিশনার (সেটেলমেন্ট) গৃহ সংস্থান অধিদপ্তর,

গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়, সেগুন বাগিচা,

থানা-রমনা, জিলা-ঢাকা।

 

৯।  তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী,

ঢাকা গৃহায়ন সার্কেল,

গৃহায়ন ও পূর্ত মন্ত্রণালয়, সেগুন বাগিচা,

থানা-রমনা, জিলা-ঢাকা।

 

১০।  নির্বাহী প্রকৌশলী, ঢাকা গৃহ সংস্থান বিভাগ-২, মোহাম্মদপুর,

থানা-মোহাম্মাদপুর, জিলা-ঢাকা।

 

১১।  প্রশাসনিক কর্মকর্তা,

মোহাম্মাদপুর হাউজিং স্টেট,

থানা-মোহাম্মাদপুর, জিলা-ঢাকা।

 

১২।  সাব-রেজিস্ট্রার মোহাম্মাদপুর, সাব-রেজিষ্ট্রারের কার্যালয়,

মোহাম্মাদপুর, ঢাকা।

 

১৩। মোস্তফা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ,

 

১৪। মোস্তফা গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ,

 

উভয়ের পিতা মরহুম-হেসাম উদ্দিন মল্লিক,

উভয়ের সাকিন-বাড়ী নং-এন/১,

নূরজাহান রোড, ডাকঘর-মোহাম্মাদপুর,

থানা-মোহাম্মাদপুর, জেলা ও শহর-ঢাকা, ঢাকা-১২০৭।

———————- মোকাবেলা-বিবাদীগণ।

 

স্বত্ব ঘোষনাসহ দলিল বাতিলের মোকদ্দমা।

মোকদ্দমার তায়দাদ ১০,৫০,০০০/ (দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা।

 

বাদিনী নিম্ন লিখিত মর্মে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিলেনঃ-

 

১। নিম্ন “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি অতঃপর যাহা অত্র আরজীতে নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বলিয়া উল্লেখ হইবে উক্ত সম্পত্তি সাবেক পূর্ব-পাকিস্তান সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রস্তাবিত লে-আউট প্লানের মোহাম্মাদপুর হাউজিং স্টেট হইতে বিগত ৩০/০১/১৯৬০ তারিখে সম্পাদিত এবং বিগত ০২/০২/১৯৬০ তারিখে ঢাকা সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ১নং বহির ১নং ভলিউমের ২১৭ হইতে ২২২ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখিত ২১২১ নম্বর চিরস্থায়ী লীজ দলিল মূলে ঢাকা জেলার লালবাগ থানাধীন ৬১ নম্বর ডরিয়া আঙ্গুল লেন নিবাসী আবু সাঈদ এর পুত্র আনোয়ার আহাম্মদ স্বত্ববান ও মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া তাহার নিরঙ্কুশ ও একক মালিকানায় ভোগ দখল করিতে থাকেন।

 

২। অতঃপর বর্ণিত আনোয়ার আহাম্মদ উপরিউক্ত বর্ণনা অনুযায়ী তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় তাহার সাংসারিক প্রয়োজনে নগদ টাকার বিশেষ আবশ্যক হওয়ায় নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে প্রকাশ্যে ঘোষনা দিলে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বাদী উপযুক্ত মূল্যে খরিদ করিতে সম্মত হইলে বর্ণিত আনোয়ার আহাম্মদ কর্তৃক বিগত ২১/০৩/১৯৭০ তারিখে সম্পাদিত ও ঢাকা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ১নং বহির ৬৫ নং ভলিউমের ৫৫ হইতে ৫৭ নং পৃষ্ঠায় লিখিত ৪১৪০ নং সাফ কবলা দলিল মূলে বাদীর অর্থে ও স্বার্থে বাদীর বে-নামদার জনৈক মাজেদ আলী মল্লিক এর পুত্র কামাল উদ্দিন মল্লিক এর বরাবরে সাফ বিক্রয় করতঃ বিক্রীত সম্পত্তির খাস দখল উক্ত ক্রেতার বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

৩। অতঃপর অত্র মোকদ্দমার বাদিনী বাদী হইয়া এবং তাহার বে-নামদার বর্ণিত কামাল উদ্দিন মল্লিক- কে বিবাদী করিয়া নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে বর্ণিত কামাল উদ্দিন মল্লিক যে বাদিনীর বে-নামদার তৎমর্মে ঘোষনা মূলক ডিক্রীর প্রার্থনায় দেওয়ানী আদালতে ৩০৭/১৯৭৩ নম্বর ঘোষনা মূলক ডিক্রীর মোকদ্দমা দায়ের করতঃ ডিক্রি প্রাপ্ত হন।

 

৪। অতঃপর বাদিনী উপরিউক্তভাবে দেওয়ানী আদালতের ডিক্রী মূলে নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া উক্ত সম্পত্তিতে ওয়াল দিয়া টিনশেড নির্মাণ করতঃ উক্ত সম্পত্তিতে যথাক্রমে বিদ্যুৎ ও ওয়াসা সংযোগ লইয়া দোকান হিসাবে বিভিন্ন ব্যক্তির স্বেচ্ছাধীন উচ্ছেদযোগ্য মাসিক ভাড়াটিয়ার নিকট ভাড়া প্রদান করতঃ ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে ভোগ দখলে রত থাকাবস্থায় মোকাবেলা-বিবাদীগণের দপ্তরে তাহার নিজ নাম জারীক্রমে এবং একই সঙ্গে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসে বিগত ৩১/০৩/২০০৩ তারিখে তাহার নিজ নাম জারীক্রমে জোত খুলিয়া ডি. সি. আর, প্রাপ্ত হইয়া তাহার দেয়া যাবতীয় খাজনা-ট্যাক্সাদি নিয়মিত পরিশোধ পূর্বক তাহার নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে তাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে তাহার নিরঙ্কুশ ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে রত ছিলেন এবং এখনও আছেন।

 

৫। উল্লেখ্য, বাদিনী একজন সত্তরোর্দ্ধ বয়োবৃদ্ধ এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ পর্দানশীন মহিলা। তাহাছাড়া তিনি নিজে লেখাপড়া জানেন না। তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্রকে বিবাহ দিলে উক্ত পুত্র বধূ যখন জানিতে পারিলেন যে তাহার শাশুড়ি লেখাপড়া জানেন না তখন তিনি তাহার (পুত্র বধূ) নিজ উদ্যেগে তাহার শাশুড়ীকে দীর্ঘ দিন প্রচেষ্টার পর কোন রকম দস্তখত দিতে শিখাইয়াছেন। ফলে বাদিনী অন্য কিছু লিখিতে না পারিলেও কোন রকম তিনি তাহার নাম দস্তখত করিতে পারেন। ফলে বাদিনী তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে যে দোকান ঘর রহিয়াছে উক্ত দোকানে ভাড়াটিয়া বসানো কিম্বা উঠানো এবং ভাড়ার চুক্তিপত্র করা এবং ভাড়া আদায়ের পর মালিকের অর্থাৎ তাহার পক্ষে দাখিলায় দস্তখত করিবার যাবতীয় দায়িত্ব তাহার পুত্রদের মধ্যে ৩য় পুত্র মোস্তফা নাসির উদ্দিনকে মৌখিকভাবে ক্ষমতা প্রদান করিয়াছেন। ফলে বর্ণিত মোস্তফা নাসির উদ্দিন বাদিনীর পক্ষে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে যাবতীয় ভাড়াটিয়া বসানো উঠনো কিম্বা তাহাদের সঙ্গে ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র সম্পাদন করা কিম্বা বাদিনীর পক্ষে ভাড়াটিয়ার নিকট হইতে ভাড়া আদায়ের পর ভাড়ার দাখিলায় মালিকের অর্থাৎ বাদিনীর পক্ষে দস্তখত করিবার যাবতীয় কাজ তিনিই করিয়া থাকেন এবং ভাড়াটিয়াদের নিকট হইতে মাসিক ভাড়া আদায় করতঃ বাদিনীকে প্রদান করিয়া থাকেন।

 

৬। উল্লেখ্য, বর্তমানে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে বাদিনীর অধীনে ২ (দুই) জন ভাড়াটিয়া যথাক্রমে মোঃ লিটন মিয়া ও মোঃ শাহআলম বাদিনীর অধীনে ভাড়াটিয়া হিসাবে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে তাহাদের যথাক্রমে খেলনার ও দোকান হোটেল দিয়া ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে এবং দাখিলার মাধ্যমে বাদিনীকে তাহাদের দেয় মাসিক ভাড়া প্রদান করিয়া আসিতেছে এবং বাদিনীর পক্ষে তদিয় পুত্র মোস্তফা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ উক্ত ভাড়ার দাখিলায় মালিক পক্ষের প্রতিনিধি হিসাবে তাহার দস্তখত দিয়া ভাড়া গ্রহণ করিতেছে।

 

৭। উল্লেখ্য, বিগত তারিখে নং মূল-বিবাদীর স্বামী উক্ত ভাড়াটিয়াদের মধ্যে ভাড়াটিয়াকে জানায় যে যেহেতু তাহার ভাড়ার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হইয়া গিয়াছে সুতরাং নতুন ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র যেন তিনি তাহার সঙ্গে কিম্বা মনোনীত ব্যক্তির সঙ্গে করেন। প্রসঙ্গতঃ উপরিউক্ত বিষয়টি বাদিনীর প্রতিনিধি জানিতে পারিয়া উহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে তিনি জানান যে অত্র মোকদ্দমার বাদিনী না-কি তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি মূল-বিবাদীগণের বরাবরে রেজিষ্টার্ড দলিল মূলে হস্তান্তর করিয়া দিয়াছেন। কাজেই, এখন হইতে তাহারাই তফসিল বর্ণিত যাবতীয় ভাড়াটিয়াদের সহিত চুক্তিপত্র করিবেন এবং ভাড়া আদায় করিবেন।

 

৮। উল্লেখ্য, উপরিউক্ত বিষয়টি বর্ণিত মোস্তফা নাসির উদ্দিন আহমদ তাহার মাতা বাদিনীকে অবগত করাইলে তিনি উক্ত সংবাদ শুনিয়া হতবিহ্ববল হইয়া পড়েন এবং জানান যে তিনি কোন দিনই কিম্বা কোন সময়ই তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি কিম্বা উহার কোন অংশ মূল-বিবাদীগণের বরাবরে কিম্বা অন্য কাহারও বরাবরে কখনও কোনভাবে কোনরূপ হস্তান্তর করেন নাই এবং তথাকথিত হস্তান্তরের কোনরূপ ইচ্ছাও তাহার কোন দিন ছিল না। ফলে বাদিনী তাহার উক্ত কন্যাদের তাহাদের জামাতাসহ তাহার বাসায় উপস্থিত হইতে বলিলে তাহারা আজকাল করিয়া কেবলই সময় লইতে থাকে এবং পরিশেষে আর তাহারা বাদিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাই।

 

৯। অতঃপর বাদিনী তাহার কতিপয় আত্মীয়-স্বজনদের সহিত পরামর্শ করিলে তাহারা প্রথমেই বাদিনীর নিকট জানিতে চান যে, প্রকৃতপক্ষে তিনি মূল-বিবাদীগণকে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি তাহাদের বরাবরে কোনরূপ হস্তাস্তার করিয়াছেন কি-না? প্রতিউত্তরে বাদিনী অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত না সূচক উত্তর দিলে তাহারা তাহাকে তাহাদের এক আত্মীয়ের পরিচিত আইনজীবী জনাব মোঃ আবু বকর মিনার সহিত যোগাযোগ করিয়া পরামর্শ লইতে বলেন। অতঃপর বাদিনী বিগত ১০/০৫/২০১০ তারিখে তাহার পুত্র মোস্তফা নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও জ্যেষ্ঠ পুত্র বধূ পারভিন আক্তারকে উক্ত আইনজীবী সাহেবের চেম্বারে পাঠাইলে আদালত প্রাঙ্গনে আসিয়া উক্ত আইনজীবী সাহেবের চেম্বারের ঠিকানা পাইয়া তাহার নিকট সামগ্রিক বিষয় অবগত করাইয়া এই বিষয়ে কি করা উচিত পরামর্শ চাহিলে তিনি তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে বাদিনীকে দাতা দেখাইয়া এবং মূল-বিবাদীগণ কিম্বা অন্য কোন ৩য় ব্যক্তিকে গ্রহীতা দেখাইয়া কোনরূপ দলিল সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রি হইয়াছে কি-না তৎসম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে তল্লাশী দিতে বলেন।

 

১০। অতঃপর বাদিনী সংশ্লিষ্ট সাব- জিস্ট্রি অফিসে বিগত ১০/০৫/২০১০ তারিখে তল্লাশী দিয়া এখন হইতে অত্র আরজীতে যাহাকে নালিশী “খ” তফসিল বর্ণিত দলিল বলিয়া উল্লেখ হইবে উক্ত দলিলের সইমোহরী নকল বিগত ১৬/০৫/২০১০ তারিখে প্রাপ্ত হইয়া দেখিতে পান যে, নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে বাদিনীকে দাতা দেখাইয়া এবং ১-৫ নং মূল-বিবাদীগণকে গ্রহীতা দেখাইয়া বিগত ৩০/১১/২০০৬ তারিখে ১০৭৩৩ নম্বর তথাকথিত একটি হেবা ঘোষনাপত্র দলিলের অস্তিত্ব দেখিতে পান। অতঃপর নালিশী “খ” তফসিল বর্ণিত দলিলটির সইমোহরী নকল প্রাপ্ত হইয়া উহা পাঠ করাইয়া বাদিনী জানিতে পারেন যে, তিনি না-কি মূল-বিবাদীগণের বরাবরে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে উক্ত তারিখে উপরিউক্ত হেবা ঘোষনাপত্র দলিলটি ১-৫ নং মূল-বিবাদীগণের বরাবরে সহি সম্পাদন করিয়া দিয়াছেন; যদিও তিনি প্রকৃতপক্ষে উক্ত তারিখে অথবা উহার আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোন তারিখে মূল-বিবাদীগণের বরাবরে কিম্বা অন্য কাহারও বরাবরে নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি কিম্বা উহার কোন অংশ সম্পর্কে নালিশী “খ” তফসিল হেবা ঘোষনাপত্র দলিল কিংবা অন্য কোন প্রকার হস্তান্তরের নিমিত্তে কোন প্রকার দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই কিংবা তথাকথিত দলিল সহি সম্পাদনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অর্থাৎ ১২নং মোকাবেলা-বিবাদীর অফিসে কিংবা অন্য কোন অফিসে কখনও যান নাই এবং দলিল লেখককে তিনি উক্তরূপ কোন দলিল প্রস্তুত করিবার জন্য বলেন নাই। তাহাছাড়া, তথাকথিত ঘোষনাপত্র দলিলে এমন কোন বর্ণনা নাই যে, বাদিনী নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ১-৫নং মূল-বিবাদীগণের বরাবরে মুসলিম আইন অনুসারে নিঃশর্তভাবে দান করিবার জন্য কোন প্রস্তাব দিয়াছেন এবং ১-৫নং মূল বিবাদীগণ তথাকথিত দান সানন্দে গ্রহণ করিয়াছেন। মুসলিম আইন অনুযায়ী উক্তরূপ দানের সমর্থনে কমপক্ষে ২ (দুই) জন সাক্ষীর উপস্থিত থাকা এবং তাহাদের সম্মুখে উক্ত দানের প্রস্তাব ও দান গ্রহণসহ দানকৃত সম্পত্তির দখল বুঝিয়া লওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন হওয়া একান্ত আবশ্যক। কিন্তু তথাকথিত দানের প্রস্তাবের সময় কোন কোন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন এবং কাহাদের সম্মুখে তথাকথিত দান গ্রহীতাগণ তথাকথিত দান গ্রহণ করিলেন কিংবা দানকৃত সম্পত্তির দখল গ্রহণ করিলেন তাহার কোন বর্ণনা তথাকথিত ঘোষনাপত্র দলিলে নাই। ইহাতে সুষ্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, যদি বাদিনী প্রকৃতপক্ষেই ১-৫ নং বিবাদীগণের বরাবরে সত্যিকারভাবে কোন দান করিয়া থাকিতেন তাহা হইলে উক্ত বিষয়গুলির যথাযথ বর্ণনা থাকিত এবং পক্ষদ্বয়ের আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে কেহ না কেহ উপস্থিত থাকিতেন। সর্বোপরি, বাদিনীর গর্ভজাত আরও ৪ (চার) পুত্র রহিয়াছে। বাদিনীর স্বামীর মৃত্যুর পর জোষ্ঠ পুত্রই বাদিনী এবং তাহার অপর সন্তানদের মানুষ করিয়াছেন। যদি প্রকৃতপক্ষে বাদিনী উক্তরূপ কোন দলিল করিয়া থাকিতেন তাহা হইলে ১-৫ নং মূল-বিবাদীগণের সহিত উক্ত দলিলে দলিল গ্রহীতা হিসাবে তাহার উক্ত পুত্রগণের নামও থাকিত। কিন্তু যেহেতু বাদিনী প্রকৃতপক্ষেই তথাকথিত দলিলে উল্লেখিত কোন দান করেন নাই সেইহেতু উক্ত দলিলে দান করিবার কোন প্রস্তাব ও তথাকথিত দান গ্রহণ করিবার দৃঢ় প্রত্যয় ইত্যাদি বিষয়ের সবিশেষ বর্ণনা থাকিত। কিন্তু যেহেতু ১- ৫নং মূল-বিবাদীগণ যোগসাজসী করিয়া হয় বাদিনীর অসুস্থতার সুযোগে অবৈধ উপায়ে কোনভাবে তাহার দস্তখত লইয়া অথবা তাহার দস্তখত জাল করিয়া তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত হেবা ঘোষনাপত্র দলিলটি সৃজন করিয়া থাকিবে সেইহেতু বাদিনী উক্ত দলিল দ্বারা বাধ্য নহেন। তাহাছাড়া উক্ত দলিলে উল্লেখিত তারিখে কিম্বা উহার আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোন তারিখে কিম্বা সময়ে বাদিনী ১-৫নং মূল-বিবাদীগণের বরাবরে কখনও তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির দখল হস্তান্তর করেন নাই। নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে বাদিনী পূর্বাপর ভোগ দখলে রত ছিলেন এবং এখনও আছেন এবং এখনও তিনি স্বেচ্ছাধীন উচ্ছেদযোগ্য মাসিক ভাড়াটিয়ার নিকট হইতে ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে ভোগ দখলে রত আছেন।

 

১১। অতঃপর বাদিনী নালিশী “খ” তফসিল বর্ণিত দলিলটি পাঠ করাইয়া আরও জানিতে পারেন যে, মোকাবেলা- বিবাদীগণের দপ্তর হইতে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি ১-৫ নং মূল-বিবাদীগণের বরাবরে হেবা করিবার জন্য বিগত ২১/০৯/২০০৬ তারিখে এ. এম. ৭৩১/৫৯/৭০৪৮ নং স্মারক বলে তথাকথিত হেবা বিষয়ক ঘোষনাপত্র দলিল দ্বারা হস্তান্তরের নিমিত্তে অনুমতি প্রদান করেন; যদিও তিনি প্রকৃতপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথা মোকাবেলা-বিবাদীগণের নিকট বিগত ২১/০৯/০৬ তারিখে কিম্বা উহার আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোন তারিখে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে ১-৫ নং মূল-বিবাদীগণের বরাবরে কিম্বা অন্য কাহারও বরাবরে হস্তান্তরের নিমিত্তে কোন অনুমতির জন্য স্ব-শরীরে সংশ্লিষ্ট অফিসে উপস্থিত হন নাই কিম্বা কোনরূপ দরখাস্ত প্রদান করেন নাই কিম্বা অন্য কোন ৩য় ব্যক্তিকে কোনরূপ লিখিত কিম্বা মৌখিক কোন অনুমতি প্রদান করেন নাই। সম্ভবতঃ মূল-বিবাদীগণ যোগসাজসী করিয়া এবং মোকাবেলা বিবাদীগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়া হয় বাদিনীর অসুস্থতার সুযোগে অবৈধ উপায়ে কোনভাবে তাহার দস্তখত লইয়া অথবা তাহার দস্তখত জাল করিয়া উক্তরূপ অনুমতি হাসিল করিয়া থাকিবে যাহা দ্বারা অত্র বাদী বাধ্য নহেন।

 

১২। বাদিনী উক্ত তথাকথিত হেবা ঘোষনাপত্র দলিলটি পাঠ করইয়া আরও জানিতে পারেন যে, উক্ত দলিলে যথাক্রমে ১৩ ও ১৪ নং বিবাদীদ্বয় যথাক্রমে সাক্ষী ও সনাক্তকারী হিসাবে স্বাক্ষর করিয়াছেন। বলা আবশ্যক, বাদিনী উক্ত দলিলের তথাকথিত লেখককে উক্তরূপ দলিল লিখিবার জন্য কোনরূপ অনুরোধ করেন নাই কিম্বা লিখিতে বলেন নাই। উক্ত দলিলে যে ষ্ট্যাম্প ব্যবহার করা হইয়াছে বাদিনী নিজে উক্ত ষ্ট্যাম্প খরিদ করেন নাই উহার গ্রহীতাদিগকে কিম্বা অন্য কাহাকেও উক্ত ষ্ট্যাম্প খরিদ করিতে বলেন নাই। তাহাছাড়া উক্ত দলিলের বর্ণিত সাক্ষীকে কিম্বা সনাক্তকারীকে উক্ত দলিলে কখনও সাক্ষী হইতে কিম্বা সনাক্তকারী হিসাবে তাহাকে সনাক্ত করিতে বলেন নাই। ফলে তথাকথিত সাক্ষী বাদিনীর দস্তখতের পর সাক্ষী হিসাবে তাহার দস্তখত দেয় নাই এবং বাদিনী স্বেচ্ছায় তথাকথিত হেবা ঘোষনাপত্র দলিল রেজিস্ট্রির জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে উপস্থিত হন নাই এবং সনাক্তকারী তাহাকে সনাক্ত করে নাই। মূল-বিবাদীগণ অবৈধ লাভের আশায় যোগসাজসীভাবে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত হেবা ঘোষনাপত্র দলিলটি সৃজন করিয়া থাকিবে যাহা শুরু হইতেই বে-আইনী, অবৈধ, বাতিল, তঞ্চকতাপূর্ণ ও জাল জালিয়াতি মূলে সৃজিত বিধায় বাদিনী উক্ত দলিল দ্বারা বাধ্য নহেন।

 

১৩ । উল্লেখ্য, ১৩ এবং ১৪নং মোকাবেলা- বাদীদ্বয় তথাকথিত দলিলের কোন পক্ষ না হইলেও সম্ভবতঃ তাহারা পরস্পর যোগসাসজের মাধ্যমে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে উক্ত দলিলটি সৃজন করিয়া থাকিবে বিধায় তাহাদের উপস্থিতিতে বর্তমান মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি হওয়া আবশ্যক হেতু তাহাদিগকে অত্র মোকদ্দমায় ১৩ ও ১৪ নং মোকাবেলা বিবাদী করা হইল। কারণ বাদিনী উক্ত দলিলের সইমোহরী নকল প্রাপ্ত হইয়া যখন জানিতে পারেন যে ১৩ ও ১৪ নং মোকাবেলা-বিবাদীদ্বয়ের নাম যথাক্রমে সাক্ষী ও সনাক্তকারী হিসাবে দেখা যাইতেছে সেইহেতু উক্ত বিষয় সম্পর্কে তাহাদের জিজ্ঞাসা করিলে তাহারা উভয়ই বাদিনীকে এড়াইয়া চলিতেছে বিধায় বাদিনীর সন্দেহ যে উক্ত বিবাদীদ্বয় মূল-বিবাদীগণের সহিত যোগসাজসে পরস্পর অবৈধ লাভের আশায় হয় বাদিনীর অসুস্থতার সময়ে তাহাকে কোন কিছু না জানাইয়া তাহার অজ্ঞাতে তথাকথিত দস্তখত গ্রহণ করতঃ তথকথিত হেবা বিষয়ে ঘোষনাপত্র দলিলটি সৃজন করিয়া থাকিবে অথবা বাদিনীকে কোথায় লইয়া যাইতেছে এবং কি উদ্দেশ্যে লইয়া যাইতেছে অথবা তাহাকে দিয়া কি হইতেছে তাহার কোন কিছু বর্ণনা না দিয়া তাহার লেখা পড়া না জানিবার সুযোগে তথাকথিত হেবা বিষয়ে ঘোষনাপত্র দলিলটি সৃজন করিয়া থাকিবে যাহা শুরু হইতেই বে-আইনী, অবৈধ, বাতিল, তঞ্চকতাপূর্ণ ও জাল জালিয়াতি মূলে সৃজিত বিধায় বাদিনী উক্ত দলিল দ্বারা বাধ্য নহেন বিধায় বাদিনী উপযুক্ত আদালত হইতে ঘোষনা মূলক ডিক্রীর প্রার্থনায় বর্তমান আকারে অত্র মোকদ্দমাটি দায়ের করিলেন।

 

১৪। উল্লেখ্য, যেহেতু তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি ৬-১১ নং বিবাদীগণ উপরোঙ্গ মালিক এবং তাহাদের অনুমতি সাপেক্ষেই তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির যাবতীয় হস্তান্তর ও মালিক পরিবর্তনের বিষয়টি সংঘটিত হইয়া থাকে সেইহেতু তাহাদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিকার না চাহিয়া শুধুমাত্র তাহাদের উপস্থিতিতেই অত্র মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল। অপরদিকে ১২ নং মোকাবেলা বিবাদীর অফিসে “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে “খ” তফসিল বর্ণিত দলিলটি রেজিস্ট্রি হওয়ায় তাহার উপস্থিতিতে মোকদ্দমাটি নিষ্পত্তি করা আবশ্যক হেতু তাহাকেও ১২মোকাবেলা বিবাদী হিসাবে পক্ষভুক্ত করা হইল। অপরদিকে ১৩ এবং ১৪নং মোকাবেলা বিবাদীদ্বয় নালিশী “খ” তফসিল বর্ণিত দলিলের কোন পক্ষ না হইলেও তাহারা নালিশী দলিলের যথাক্রমে সাক্ষী ও সনাক্তকারী হওয়ায় মূল-বিবাদীগণের সহিত যোগসাজসে নালিশী “খ” তফসিল বর্ণিত দলিলটি সৃজন করায় তাহাদিগকেও অত্র মোকদ্দমায় ১৩ ও ১৪ নং মোকাবেলা-বিবাদী হিসাবে পক্ষভূক্ত করা হইল। কিন্তু যদি তাহারা বাদীর আরজীর বিরুদ্ধে লিখিত জবাব দাখিলক্রমে প্রতিযোগীতা করেন তাহা হইলে তাহাদিগকেও মূল-বিবাদীগণ্যে মূল-বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রার্থীত প্রতিকার তাহাদের বিরুদ্ধেও চাওয়া হইয়াছে বলিয়া গন্য হইবে।

 

১৫। মোকদ্দমার কারণঃ– মূল বিবাদীগণের মধ্যে ২নং বিবাদীর স্বামী বিগত তারিখে নালিশী সম্পত্তির ভাড়া তাহার বরাবরে পরিশোধের জন্য বলিলে অত্র মোকদ্দমার কারণ সর্ব প্রথম উদ্ভব হয় এবং পরবর্তীতে বিগততারিখে তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত হেবার সমর্থনে তথাকথিত ঘোষনাপত্র দলিলের সইমোহরী প্রাপ্ত হইয়া অত্র মোকদ্দমার কারণ অব্রাদালতের মোহাম্মাদপুর থানার অর্ন্তগত তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে এখনও বিদ্যমান রহিয়াছে।

 

১৬। মোকদ্দমার মূল্যায়ণঃ– হেতু বর্তমান মোকদ্দমাটি একটি ঘোষনা মূলক মোকদ্দমা সেইহেতু নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত ঘোষনাপত্র দলিলে উল্লেখিত =১০,৫,০০,০০০/ (দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ধার্য্য করতঃ যেহেতু ঘোষনাসহ দলিল বাতিলের প্রার্থনায় আনীত মোকদ্দমা সেইহেতু বর্তমান মোকদ্দমার মূল্যের উপর =১৭,৯৪০/ (সতের হাজার নয়শত চল্লিশ) টাকার অ্যাডভেলোরেম কোর্ট ফি প্রদান পূর্বক মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল এবং কোর্ট ফি উত্তোলনের চালানের কপি অত্রসহ দাখিল করা হইল।

 

বাদিনীর বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়াঃ-

 

(ক) নালিশী “ক” তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে নালিশী “খ” তফসিল বর্ণিত  দলিলটি যাহা বাদিনীকে দাতা দেখাইয়া এবং মূল-বিবাদীগণকে গ্রহীতা দেখাইয়া  তথকথিত হেবার সমর্থনে সৃজিত ঘোষনাপত্র দলিলটি শুরু হইতেই জাল জালিয়াতি মূলে সৃজিত বিধায় উহা বাতিল মর্মে বাদীর অনুকূলে এবং বিবাদীগণের  প্রতিকূলে ডিক্রী দিতে;

 

এবং

 

(খ) উপরিউক্ত ডিক্রীর আদেশ ১২নং মোকাবেলা-বিবাদীর দপ্তরে প্রেরণ করতঃ সংশ্লিষ্ট দলিলের বুক ভলিউমে উহা উক্ত ডিক্রীর বিষয়টি লিপিবদ্ধ করিবার  আদেশ দিতে;

 

(গ) বাদিনী নালিশী সম্পত্তির ১. (ষোল) আনা স্বত্বে স্বত্ববান মর্মে বাদিনীর অনুকূলে এবং বিবাদীগণের প্রতিকূলে ঘোষনা মূলক ডিক্রি দিতে;

 

এবং

 

(ঘ) মোকদ্দমার যাবতীয় খরচের ডিক্রি বাদিনীর অনুকুলে এবং প্রতিযোগী  বিবাদীগণের প্রতিকূলে দিতে;

 

এবং

 

(ঙ) আইন ও ইকুইটি মোতাবেক বাদিনী আর যেসকল প্রতিকার পাইবার অধিকারী হয় তদবিষয়ে যথাপোযুক্ত ডিক্রি প্রদান করিতে মর্জি হয়।

 

নালিশী সম্পত্তির তফসিলঃ

জেলা/শহরঃ-ঢাকা-থানা/উপজেলা ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস মোহাম্মাদপুর, ইউনিয়নঃ-ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ওয়ার্ড নং-৪৪, গ্রাম/রোডঃ-ব্লক-ডি এর নূরজাহান রোডের ৪০৭ নং হোল্ডিংভূক্ত বটে। ভূমি অফিসের নামঃ- হকারী কমিশনার ভূমি তেজগাঁও সার্কেলের অধীন মোহাম্মাদপুর ভূমি অফিস ঢাকা। মৌজাঃ-বরাব বর্তমানে মোহাম্মদপুর হাউজিং এষ্টেট। জে. এল, নং প্রযোজ্য নহে। খতিয়ান নং-ব্লক-ডি এর ৪০৭ নং নূরজাহান রোড হোল্ডিংভূক্ত দাগ নং মোহাম্মাদপুর হাউজিং এষ্টেট এর লে-আউট প্লানের ২/১১ নং প্লট সি. এস./এস. এ./আর. এস./বি. এস. দাগে মোট জমিঃ-মোহাম্মাদপুর হাউজিং এষ্টেট এর লে-আউট প্লানের ২/১১ নং প্লটের ২.৯৭ শতাংশ বা ০২৯৭ অযুতাংশ বা স্থানীয় মাপে/১.৮০ কাঠা বা ১৪৪ বর্গ গজ। জমির শ্রেণীঃ-ভিটি ভূমি ও ইটের ওয়াল ঢেউটিনের ছাউনি বিশিষ্ট বাড়ী। হেবাকৃত ঘোষনাকৃক্ত হস্তান্তরিত সম্পত্তির পরিমাণ (অংকে ও কথায়)ঃ-২.৯৭ শতাংশ বা ০২৯৭ অযুতাংশ বা স্থানীয় মাপে /১.৮০ কাঠা বা ১৪৪ বর্গগজ ও তৎস্থিত ইটের ওয়াল ঢেউটিনের ছাউনি বিশিষ্ট বাড়ী। যাহার চৌহদ্দিঃ-উত্তরেঃ-লে-আউট প্লানের ০২/১২ নং প্লট, দক্ষিনেঃ-লে-আউট প্লানের ০২/১০ নং প্লট, পূর্বেঃ-লে-আউট প্লানের ১১/৩০ নং প্লট এবং পশ্চিমেঃ-লে-আউট প্লানের রাস্তা। এই চৌহদ্দিভূক্ত সম্পত্তিই অত্র মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি বটে।

 

 

সত্যপাঠঃ-

অত্র আরজীর সকল বিবরণ আমার কথামত প্রস্তুত করা  হইয়াছে জানিয়া উহার সত্যতা স্বীকারে অত্র সত্যপাঠে আমি  আমার উপরোক্ত ঠিকানার বাসায় বসিয়া অত্র সত্যপাঠে  দস্তখত প্রদান করিলাম।

 

—————-

(কসিমন নেসা)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *