হত্যার হুমকি মামলার দরখাস্ত

কোন ব্যক্তি অন্যের গৃহে অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করে আঘাত করলে এবং হত্যার হুমকি দিলে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে দন্ডবিধি অধীনে মামলা করা যাবে। মামলার দরখাস্ত নিচে দেওয়া হলো:

 

মোকাম: বিজ্ঞ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, ঢাকা

সি. আর মামলা নং ১৩০/২০২৪ (বাড্ডা থানা)

ধারাঃ ৪৪৮/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ দন্ডবিধি

 

সুমি আক্তার (৩৫)

স্বামী-কাজী মোঃ মতিউর রহমান

পিতা- মৃত মোঃ আলী আকবর মজুমদার

সাং- ২০৫, উত্তর বাড্ডা, থানা- বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা-১২১২

——————-বাদিনী।

 

=বনাম=

 

১। মোসাঃ বুবলী বেগম (৩৭) স্বামী- মোঃ আব্দুল করিম মজুমদার,

২। মোঃ আব্দুল করিম মজুমদার (৩৮) পিতা-মোঃ আলী,

উভয় সাং- ৮৮, পূর্ব রামপুরা, থানা-রামপুরা, খিলগাঁও, জেলা-ঢাকা।

 

৩। মোসাঃ লিজা বেগম (৩২) পিতা-কাজী বজলুর রহমান,

সাং-২৮/১০ এর ২য় তলা রুম নং- ১২৫,

বামৈল কবরস্থান সংলগ্ন প্রধান সড়ক (সারুলিয়া) থানা-ডেমরা, জেলা-ঢাকা।

 

আরও অজ্ঞাতনামা  তিন/চার জন।

——————–আসামীগণ।

 

সাক্ষীগণের নাম ও ঠিকানা:

 

১। বাদিনী নিজে।

 

২। কাজী মোঃ সাইফুর রহমান,

পিতা-কাজী বজলুর রহমান

সাং- ২০, উত্তর বাড্ডা, থানা- বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা-১২১২

 

৩। মোঃ জামাল উদ্দিন (৩৮)

পিতা-মোঃ সামসুল হক

সাং-৩৯/১-এ, নন্দলাল দত্ত লেন, লক্ষীবাজার, থানা-সূত্রাপুর,

জেলা-ঢাকা-১১০০।

 

৪। মোঃ ওবাদুর রহমান (৫৮)

পিতা-মৃত হাজী সলিমুদ্দিন

সাং- ৩৯/১-বি, নন্দলাল দত্ত লেন, লক্ষীবাজার, থানা-সুত্রাপুর

জেলা-ঢাকা-১১০০।

 

৫। ডাঃ আবদুর রশিদ

ইমারজেন্সী মেডিলে অফিসার, মিটফোর্ড হাসপাতালা, ঢাকা।

 

আরও সাক্ষী আছে, প্রয়োজনে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হইবে।

 

ঘটনাস্থল:

সাং-সাং- ২০৫, উত্তর বাড্ডা, থানা- বাড্ডা, গুলশান, ঢাকা-১২১২

 

ঘটনার তারিখ ও সময়:

বিগত ২৭/৮/২০১৩ইং তারিখ বিকাল আনুমান ০৩:৩০ মিনিট।

 

বাদিনী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,

 

১। বাদিনী জন সহজ, সরল আইন অমান্যকারী নাগরিক বটে। মান্যকারী। পক্ষান্তরে বিবাদীগণ হারমাদ, দাঙ্গাবাজ, আইন

 

২। সূত্রীয় মামলার ২নং সাক্ষী কাজী মোঃ সাইফুর রহমান বাদিনীর স্বামী বটে। বিবাদীগণ বাদিনীর সংসার ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। কেবলমাত্র বিবাদীদের কারণে বাদিনী তাহার স্বামীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করিয়াছে। পরবর্তীতে বাদিনী ও উক্ত সাক্ষীর মধ্যে দীর্ঘদিনের ভুল বুঝাবুঝির অবসান হইলে আসামীরা পুনরায় বাদিনীর সংসার ভাঙ্গার পায়তারা করিতেছে।

 

৩। ২নং বিবাদী মোশারফ হোসেন বাদিনীর ননদের জামাই সে আনুমানিক ৪ (চার) বচর পূর্বে জায়গা ক্রয় করার জন্য বাদিনীর নিকট হইতে ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ধার নেয়। উক্ত ধারের টাকা বারবার চাওয়া সত্ত্বেও ফেরৎ প্রদান না করিয়া উল্টো সংসার ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

 

৪। ইদানিং বাদিনী ও ২নং সাক্ষী সুখে-শান্তিতে সংসার করিতেছে। বিগত ২৫/৮/২০১৩ ইং তারিখে বাদিনী ও ২নং সাক্ষী উক্ত বিবাদী মোঃ মোশারফ এর নিকট ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ফেরৎ চাহিলে উক্ত বিবাদী বাদিনী ও সাক্ষীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে যে আসিতেছি সংসার করার সাধ মিটিয়ে দেব এই বলে হুমকি প্রদান করে।

 

৫। বিগত ২৭/৮/২০১৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ০৩:৩০ মিনিটের সময় বিবাদীণ ঘটনাস্থল বাড়িতে আসে। প্রথমে ২নং বিবাদী বাদিনীকে বলে যে, তুই কিসের টাকা পাবি, টাকার সাধ মিটিয়ে দিব। তোর সংসার করার সাধ ও মিটিয়ে দেব। এই বলিয়া সকল বিবাদী বাদিনী ও ২নং সাক্ষীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। ইহাতে বাদিনী ও ২নং সাক্ষী আপত্তি করিলে সকল বিবাদী ২নং সাক্ষীকে ধাক্কা দিয়া সরাইয়া আটকাইয়া ফেলে। সকল বিবাদী বাদিনীকে এলোপাথারী কিল, ঘুসি, লাথি মারিয়া বাদিনীর চুলের মুঠি ধরিয়া মাটিতে ফেলিয়া এলোপাথারী মারপিট করে। ইহা ছাড়া ৩নং বিবাদী মোসাঃ লিজা বেগম বাদিনীর গলায় থাকা আট আনা ওজনের স্বর্নের চেইন, মূল্য আনুমানিক ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাক নিয়া যায়। ইহা ছাড়া বিবাদীগণ ২নং সাক্ষকেও কিল ঘুসি, লাথি মারে। বাদিনী ও সাক্ষীর ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসিয়া ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। বিবাদীগণ যাওয়ার সময় বাদিনী ও বাদিনীর স্বামীকে জীবন নাশের হুমকী দিয়া চলিয়া যায়।

 

৬। গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় বাদিনী তৎক্ষণাৎ স্যার সলিমুল্লাহ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ডাক্তারী সনদপত্র প্রাপ্ত হন।

 

৭। বিগত ২৮/৮/১৩ ইং তারিখে বাদিনী উপরোক্ত বিষয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করিতে গেলে পারিবারিক ঘটনাবিবেচনায় থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে বাদিনীকে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরমর্শ প্রদান করেন।

 

৮। বাদিনী শারিরীকভাবে অসুস্থ্য থাকায় মামলা দায়ের করিতে সামান্য বিলম্ব হইল।

 

১। ঘটনাস্থল হুজুর আদালতের এখতিয়ারাধীন।

 

অতএব, প্রার্থনা, হুজুর আদালত দয়া করিয়া আসামীগণের  বিরুদ্ধে বর্ণিত ধারায় মামলাটি আমলে আনিয়া আসামীদের  বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করিয়া আসামীদের পুলিশ  কর্তৃক ধৃত করিয়া জেল হাজতে আটক রাখিয়া সাক্ষ্য-প্রমাণ  গ্রহণপূর্বক মামলাটির ন্যায় বিচার করিতে সদয় মর্জি হয়।

 

এবং হুজুরের উক্তরূপ আদেশের জন্য বাদী চিরকৃতজ্ঞ  থকিবেন। ইতি,

 

তারিখ:

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *