এডভোকেট কমিশনার নিয়োগের দরখাস্ত স্থানীয় তদন্তের জন্য

দেওয়ানী কার্যবিধি আইনের ৩৯ আদেশ ৭ নিয়মানুযায়ী স্থানীয় তদন্তের জন্য বিজ্ঞ এডভোকেট কমিশনার নিয়োগের দরখাস্ত।

 

মোকামঃ বিজ্ঞ ৬ষ্ঠ সহকারী জজ আদালত, ঢাকা।

দেওয়ানী মোকদ্দমা নং-  ১৪১/২০২৪

জবেদ আলী গং

———————–বাদী।

-বনাম-

 

মোঃ শাহাবুদ্দিন গং

———————–বিবাদী।

 

বিষয়: দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৯ আদেশের ৭ নিয়মের বিধান  মতে স্থানীয় তদন্তের জন্য বিজ্ঞ এডভোকেট কমিশনার  নিয়োগের আবেদন প্রসংগে।

 

দরখাস্তকারী/বাদী পক্ষে নিবেদন এই যে,

১। অত্র বাদী পক্ষ বিজ্ঞ আদালতে Easement Right ঘোষনার নিমিত্তে উপরোক্ত মোকদ্দমা দায়ের করিয়াছেন। অত্র মোকদ্দমার বিবাদী পক্ষ অত্র মোকদ্দমায় উপস্থিত হইয়া বাদীর দাবী অগ্রাহ্য পূর্বক জবাব প্রদান করিয়াছেন।

 

২। অত্র বিবাদী পক্ষ কর্তৃক বাদীর দাবীর অগ্রাহ্য ও অস্বীকৃতির প্রেক্ষিতে অত্র বাদীদের বসত বাড়ী হইতে বাহির হওয়ার একমাত্র পত্র অত্র “খ” তফসিল বর্ণিত রাস্তা। বাদীরদের বসত বাড়ী ও “খ” তফসিল বর্ণিত রাস্তাটির বাস্তব অবস্থান বিজ্ঞ আদালতের সম্মুখে উপস্থাপনের নিমিত্তে বিজ্ঞ এডভোকেট কমিশনার নিয়োগের জন্য অত্র বাদী পক্ষ বিজ্ঞ আদালতে অত্র দরখাস্ত আনয়ন করিলেন।

 

৩। অত্র “খ” তফসিল বর্ণিত রাস্তা বিজ্ঞ আদালত হইতে ১০/১২ কিলোমিটার দূরে। বিজ্ঞ এডভোকেট সাহেবের কমিশন কার্য সমাধান করিতে ১ (এক) ঘন্টার বেশী সময় প্রয়োজন হইবে না। অত্র দরখাস্তখানা মঞ্জুর হইলে অত্র বাদী পক্ষ বিজ্ঞ এডভোকেট কমিশনার সাহেব এর আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ফি প্রদান করিতে প্রস্তুত আছেন এবং কমিশনার সাহেবকে কমিশন কার্যে সার্বিক সহযোগিতা করিতে প্রস্তুত আছেন।

 

বিজ্ঞ এডভোকেট কমিশনার সাহেব কে যে যে বিষয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করিতে হইবে-

(১) তফসিল বর্ণিত রাস্তা ব্যতীত প্রধান রাস্তায় বাদীগণের বাহির হওয়ার অন্য কোন রাস্তা আছে কি?

(২) তফসিল বর্নিত রাস্তাটি কত ফুট দৈর্ঘ্য ও কতফুট প্রস্থ?

(৩) তফসিল বর্নিত রাস্তা কোথা হইতে শুরু হইয়া কোথায় শেষ হইয়াছে?

(৪) নালশী রাস্তার চারিদিকে কি কি আছে?

 

৪। উপরোক্ত অবস্থা ও কারনাধীনে ন্যায় বিচার স্বার্থে স্থানীয় তদন্তের নিমিত্তে একজন এডভোকেট কমিশনার নিযুক্তক্রমে উপরোক্ত কার্যাবলী সুসম্পন্ন করিয়া একটি সুনির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া একান্ত আবশ্যক। অন্যথায় বাদী ন্যায় বিচার হইতে বঞ্চিত হইবেন।

 

অতএব বিনীত প্রার্থনা ন্যায় বিচার এর স্বার্থে দেঃ কাঃ বিঃ ৩৯ আদেশের ৭ নিয়মের বিধান মতে একজন বিজ্ঞ এডভোকেট সাহেবকে  স্থানীয় তদন্তের নিমিত্তে কমিশনার নিযুক্তিক্রমে কমিশন কার্য সমাধান  কমিশন প্রতিবেদন পূর্বক বিজ্ঞ আদালতে দাখিলের জন্য কমিশনারকে  যথাযথ আদেশ দিতে হুজুরাদালতের মর্জি হয়।

 

“তপছিল-ক”

জিলা- ঢাকা থানা ডেমরা মৌজা আমুলিয়াস্থিত সি,এস খতিয়ান নং- ৩৮৮, এস, এ খতিয়ান নং- ৪৫৭, এস,এ দাগ নং- ১৪৩৮, আর এস, খতিয়ান নং সি,এস দাগ নং- ১৪৩৮, ২৯১, আর এস ১৮২৩, মোট জমি ৪০ শতাংশ তৎকাতে ১৩.৩৩ শতাংশ অত্র মোকদ্দমার নালিশী ‘ক’ তফসিল বটে। যাহার চৌহাদ্দীঃ- উত্তরে সরকারী রাস্তা, দক্ষিনে-ডোবা, পূর্বে সৈয়দ আলী গং, পশ্চিমে-গুল মোহাম্মদ।

 

“তফসিল-খ”

অত্র ‘ক’ তফসিলের অন্দরে পশ্চিম পাশ দিয়া ৫৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট প্রস্থ ২৯০ বর্গফুট বাদীগণের চলাচলের রাস্তা অত্র মোকদ্দমার নালিশী ‘খ’ তফসিল বটে। যাহার চৌহাদ্দী :- উত্তরে- সরকারী রাস্তা, দক্ষিনে-বাদীগণ, পূর্বে-বিবাদীগণ, পশ্চিমে- গুল মোহাম্মদ গং।

 

হলফনামা

আমি মোঃ জবেদ আলী, পিতা-মৃত শরিয়ত উল্ল্যা, সাং- আমুলিয়া পূর্বপাড়া, ঢাকা, বয়স-৭০ বছর, পেশা-গৃহকর্ম, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী এই মর্মে হফল করিতেছি যে,

১। আমি অত্র দরখাস্তকারী এবং অত্র দরখাস্তে বর্ণিত বর্ণনা সম্পর্কে সম্যকে অবগত এবং আমি হলফনামা প্রদানে উপযুক্ত ব্যক্তি বটে।

 

২। অত্র দরখাস্তের বর্ণনা আমার জানা মতে সত্য জানিয়া আমি অদ্য ৯/৭/২০১১ইং তারিখে বেলা ১০.৩০ ঘটিকার সময় অত্র আদালতের হলফনামা কমিশনারের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া অত্র হলফনামায় সহি স্বাক্ষর করিয়া দিলাম।

 

ইতি- তাং ১৬/১০/২০২৪ ইং।

 

———————

হলফকারীর স্বাক্ষর

হলফকারী অত্র হলফনামায় আমার সামনে স্বাক্ষর করিয়াছেন। আমি  তাহাকে সনাক্ত করিলাম।

 

এডভোকেট

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *