চুক্তি প্রবলের মোকদ্দমায় বিবাদীপক্ষের লিখিত জবাব।
মোকাম: জিলা ঢাকার সহকারী জজ আদালত নং-৬, ঢাকা
দেওয়ানী মোকদ্দমা নং- ১৪২/২০২৪
মোঃ আনিসুর রহমান
—————–বাদী।
-বনাম-
কাশিনাথ বর্মন গং
—————-বিবাদী।
১ হইতে ৩ নং বিবাদীগণ পক্ষে লিখিত জবাব নিম্নরূপঃ-
১। বর্তমান আকারে ও প্রকারে অত্র মোকদ্দমা আইনের দৃষ্টিতে অচল ও বাতিলযোগ্য।
২। বাদীর বর্তমান মোকদ্দমার বিবরণ তথা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক। কাজেই, উপরোক্ত মোকদ্দমাটি খারিজ হইবে।
৩। বাদীর মোকদ্দমাটি Principle Of Estopple, Waiver and Acquiscence দ্বারা বারিত বটে।
৪। অত্র মোকদ্দমাটি বাদীর স্বকীয় দোষে বারিত বটে।
৫। বাদীর উপরোক্ত মোকদ্দমাটি আনায়ন করিবার কোন আইনগত অধিকার (Locus Standi) বর্তমান বাদীর নাই। কাজেই, অত্র মোকদ্দমা খারিজ হইবে।
৬। বাদীর মোকদ্দমার কোন কারণ (Cause Of Action) নাই। কাজেই, কারণাভাবে মোকদ্দমাটি খারিজ হইবে।
৭। বাদীর বর্তমান মোকদ্দমাটি সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের এবং একই সঙ্গে চুক্তি আইনের পরিপন্থী হওয়ায় মোকদ্দমাটি অত্র বিবাদীগণের অনুকূলে উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
৮। Specific Performance of Contract এর প্রতিকার মূলতঃ ন্যায় পরায়ণতা ও পক্ষপাত শূন্য প্রতিকার। কাজেই, উক্তরূপ পক্ষপাত শূন্য প্রতিকার পাইতে হইলে বাদীকে অবশ্যই সরল ও খোলা মনে এবং পরিস্কার হাতে উক্তরূপ প্রতিকার প্রার্থী হইতে হইবে। অত্র মোকদ্দমার বাদী জাল জালিয়াতির আশ্রয় লইয়া জাল বায়না এবং পরবর্তীতে তথাকথিত অঙ্গীকারনামা সৃজন করিয়া বর্তমান চুক্তি প্রবলের মোকদ্দমাটি দায়ের প্রার্থনা করিয়াছেন। কাজেই, বাদীর মোকদ্দমাটি সরাসরি খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
৯। বাদীর আরজীতে উল্লেখিত নালিশী বায়নাপত্র দলিল কিম্বা অন্য কোন দলিল অত্র বিবাদীগণের পিতা প্রেমচান মালো বিগত ২৪/০৪/১৯৯৩ তারিখে কিম্বা অন্য কোন তারিখে আরজীতে উল্লেখিত নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে কখনও সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই এবং তথাকথিত বায়নাপত্রে উল্লেখিত ২,৪০,০০০/ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা কিম্বা অন্য কোন অংকের টাকা বাদীর নিকট হইতে অত্র বিবাদীগণের পিতা গ্রহণ করেন নাই এবং নালিশী সম্পত্তির দখলও বাদীর বরাবরে বুঝাইয়া দেন নাই। তদুপরি, আরজীতে উল্লেখিত তথাকথিত বায়নার স্ট্যাম্প অত্র বিবাদীগণের জানা মতে তাহাদের পিতা নিজে যেমন খরিদ করেন নাই তেমনি বাদীকেও খরিদ করিতে বলেন নাই কিম্বা তাহার কথিত মতে বাদী খরিদ করেন নাই এবং তথাকথিত বায়নায় যাহারা সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করিয়াছে তাহাদিগকে বর্ণিত প্রেমচান মালো সাক্ষী হইতে বলেন নাই এবং তাহাদের সাক্ষাতে কিম্বা অসাক্ষাতে বর্ণিত প্রেমচান মালো তথাকথিত বায়নায় টিপসহি দেন নাই। বাদী ভুয়া লোক দিয়া প্রেমচান মালোর নাম ব্যবহার করিয়া এবং তাহার অনুগত লোক দিয়া তথাকথিত বায়নায় সাক্ষী হিসাবে দেখাইয়াছেন যাহা জাল জালিয়াতি মূলে সৃজিত বিধায় তথাকথিত বায়নাপত্র দলিল দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য ও দায়ী নহেন।
১০। বাদীর মোকদ্দমাটি তামাদি আইনে গুরুতরভাবে বারিত। কারণ অত্র বিবাদীগণের পিতা প্রেমচান মালো বিগত ——–তারিখে মৃত্যুবরণ করিয়াছে। কাজেই, যদি তর্কের খাতিরে বাদীর তথাকথিত বায়নাপত্রটি যথার্থও হইয়া থাকে (যদিও প্রকৃতপক্ষে বিবাদীদ্বয়ের পিতা বাদীর অনুকূলে কোন বায়নাপত্র দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দেয় নাই) তাহা হইলেও বাদীর বর্তমান মোকদ্দমাটি তামাদি আইনে গুরুতরভাবে বারিত বিধায় অত্র মোকদ্দমাটি অত্র বিবাদীগণের অনুকূলে উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
১১। বর্তমান মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি অত্র বিবাদীগণ তাহাদের অপর সহ-শরীকদের সহিত এজমালিতে আছে। অত্র বিবাদীগণের পিতা প্রেমচান মালো কিম্বা তাহার মৃত্যুর পর অত্র বিবাদীগণ তাহাদের অপর সহ-শরীকদের সহিত কোন আপোষ বন্টন করেন নাই। কাজেই, বাদীর তথাকথিত বায়নামায় কিম্বা আরজীতে উল্লেখিত তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে কখনও এককভাবে অত্র বিবাদীগণ ভোগ দখলে করেন নাই এবং তফসিলে উল্লেখিত সম্পত্তি সম্পর্কে বায়না করিবার কোন এক্তিয়ার অত্র বিবাদীগণের পিতার যেমন ছিলনা এবং তিনি প্রকৃতপক্ষে ঐরূপ কোন বায়না বাদীর বরাবরে কিম্বা অন্য কাহারও বরাবরে কখনও সম্পাদন করেন নাই এবং তথাকথিত বায়নার পোষকতায় অত্র বিবাদীগণও বাদীর বরাবরে কোন অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করিয়া দেন নাই। কাজেই, বাদীর অত্র মোকদ্দমাটি অত্র বিবাদীদ্বয়ের অনুকূলে উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইবে।
১২। বাদীগণের উপরোক্ত মোকদ্দমার আরজীটি দেওয়ানী কার্যবিধির ৩ ও ৬ নং আদেশ অনুযায়ী প্রস্তুত না হওয়ায় আরজীটি উক্ত একই বিধির ৭ নং আদেশের ১১ নং নিয়মে খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
১৩। আরজীর ১ নং পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি যাহা নালিশী সম্পত্তি বলিয়া বিবেচিত হইবে কিম্বা বিবাদী নং ১-৩ এর পিতা প্রেমচান মালো নিম্ন তপছিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে কবুলিয়ত সুত্রে মালিক ভোগ দখলকার থাকিবার কথা কিছুটা রেকর্ডীয় বিষয় বিধায় অত্র বিবাদীগণের কোনরূপ মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। তবে উক্ত পরিচ্ছেদের অবশিষ্ট বর্ণনা অনুযায়ী অত্র বিবাদীগণের পিতা তাহার নগদ টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করার প্রস্তাব করিলে বাদী পক্ষ উহা সর্ব উচ্চ বাজার মূল্য =২,৫০,০০০/ টাকায় খরিদ করিতে সম্মত হইলে ১-৩ নং বিবাদীর পিতা প্রেমচান মালো বাদী প্রস্তাবে রাজী হইয়া বিগত ২৪/৪/৯৩ ইং তারিখে বায়না বাবদ ২,৪০,০০০/ টাকা বাদীর নিকট হইতে সাক্ষীগণের উপস্থিতিতে নগদ গ্রহণ পূর্বক বায়না পত্র দলিল সম্পাদন করিয়া দেন কিম্বা বায়নাকৃত সম্পত্তির দখল বাদী বরাবরে বুঝাইয়া দেন মর্মে যে সকল বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন তাহা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, মনগড়া, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক বর্ণনা হেতু উক্ত সকল বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অত্র বিবাদীগণের পিতা বর্ণিত প্রেমচান মালো নালিশী সম্পত্তি কখনও বিক্রয়ের জন্য বাদীর সহিত কিম্বা অন্য কাহারও সহিত কখনও কোন বায়না কিম্বা চুক্তিপত্র দলিল সহি সম্পাদন করেন নাই এবং বাদীর তথা কথিত বায়না উল্লেখিত = ২,৪০,০০০/ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা কিম্বা অন্য কোন অংকের টাকা বাদীর নিকট হইতে কখনও গ্রহণ করেন নাই এবং নালিশী সম্পত্তির দখলও বাদীর বরাবরে হস্তান্তর কিম্বা বুঝাইয়া দেন নাই। নালিশী সম্পত্তিতে অত্র বিবাদীগণ ঘর দরজা উত্তোলন পূর্বক তাহাদের নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে তাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে অন্যের নিরাপত্যে, নির্বিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে তাহাদের পিতার ওয়ারিশ সূত্রে ভোগ দখলে আছে। কাজেই, অত্র মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তিতে এমনকি নালিশী দাগে বাদীর কোন দখল থাকিবার কথা ডাহা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাহাছাড়া আরজীতে উল্লেখিত তথাকথিত বায়নার ষ্ট্যাম্প অত্র বিবাদীগণের পিতা নিজে যেমন খরিদ করেন নাই তেমনি বাদীকেও খরিদ করিতে বলেন নাই কিম্বা তাহার কথিত মতে বাদী খরিদ করেন নাই এবং তথাকথিত বায়নায় যাহারা সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করিয়াছে তাহাদিগকে অত্র বিবাদীগণের জানামতে বর্ণিত প্রেমচান মালো সাক্ষী হইতে বলেন নাই এবং তাহাদের সাক্ষাতে কিম্বা অসাক্ষাতে বর্ণিত প্রেমচান মালো তথাকথিত বায়নায় টিপসহি দেন নাই। তদুপরি, আরজীর অত্র পরিচ্ছেদে উল্লেখিত তথাকথিত বায়নার ষ্ট্যাম্পটিতে দেখা যাইতেছে উক্ত ষ্ট্যাম্পটি বিগত ২২/০৪/১৯৯৩ তারিখে ফৌজদারী কোর্ট ঢাকা হইতে বাদীর নামে খরিদ করা হইয়াছে যাহাতে বাদীর ঠিকানা হিসাবে উল্লেখ আছে সাং-৩০ গণি মিয়ার বাগ, ঢাকা। পক্ষান্তরে বর্তমান মোকদ্দমার বাদী মোঃ আনিসুর রহমান বাদী হইয়া এবং অত্র বিবাদীগণের সহ-শরীক বলাই মালোগংদের বিবাদী করিয়া অাদালতে দায়েরকৃত দেওয়ানী ২৬৩/০৬ নম্বর চুক্তি প্রবলের মোকদ্দমায় উল্লেখিত ষ্ট্যাম্পটিও উক্ত একই তারিখে অর্থাৎ বিগত ২২/৪/১৯৯৩ তারিখে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঢাকা হইতে বাদীর নামে খরিদ করা যাহাতে বাদীর ঠিকানা দেখা যায় সাকিন-কুশিয়ার বাগ, থানা-কেরাণীগঞ্জ, জিলা-ঢাকা। অর্থাৎ বাদী একই দিনে, একই তারিখে ও একই সময়ের তথাকথিত পৃথক দুইটি ষ্ট্যাম্প খরিদ দেখাইলেও উহার ঠিকানা সম্পূর্ণ পৃথক ও ভিন্ন। অর্থাৎ বাদী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া লোক দিয়া অত্র বিবাদীগণের পিতার নাম ব্যবহার করিয়া এবং বাদীর অনুগত লোক দিয়া তথাকথিত সাক্ষী হিসাবে দেখাইয়া তথাকথিত বায়নাপত্র সৃজন করতঃ বর্তমান মোকদ্দমাটি এবং বর্ণিত দেওয়ানী ২৬৩/০৬ মোকদ্দমাটি দায়ের করিয়াছে যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য নহেন। কাজেই, বাদীর অত্র মোকদ্দমাটি উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইবে।
১৪। আরজীর ২নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী বায়না পত্রের শর্ত মোতাবেক বায়নাসম্পাদনের তারিখ হইতে তিন বৎসরের মধ্যে বায়নাকৃক্ত সম্পত্তির যাবতীয় কর পরিশোধ ক্রমে মূল্যের বক্রী টাকা বাদীর নিকট হইতে গ্রহণ করিয়া বাদী বরাবরে তপসিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রারী করিয়া দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকে মর্মে যে সকল বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন উহা পূর্ববৎ ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, মনগড়া, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক বর্ণনা হেতু উক্ত সকল বর্ণনা অত্র বিবাদীদ্বয় অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অত্র বিবাদীগণের পিতা বর্ণিত প্রেমচান মালো যেহেতু নালিশী সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে বাদীর সহিত কিম্বা অন্য কাহারও সহিত কখনও কোন বায়না কিম্বা চুক্তিপত্র দলিল সহি সম্পাদন করেন নাই সেইহেতু তথাকথিত বায়নাপত্র সম্পাদনের তিন বৎসরের মধ্যে নালিশী সম্পত্তির যাবতীয় কর পরিশোধ করিয়া বাদীর বরাবরে সাফ কবলা দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দেওয়ার কোন শর্ত থাকিবার কোন প্রশ্নই আসে না। তদুপরি, বাদীর কথিত মতে অত্র বিবাদীগণের পিতা যদি সত্যিকারে কোন বায়না করিয়া থাকে (যদিও প্রকৃতপক্ষে কোন বায়না করে নাই) যেহেতু তথাকথিত বায়নায় উল্লেখিত উক্ত তিন বৎসর বহু পূর্বে উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে কাজেই বাদীর বর্তমান মোকদ্দমাটি তামাদি আইনে গুরুতরভাবে বারিত বিধায় বাদীর মোকদ্দমা উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
১৫। আরজীর ৩নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী বিবাদী বায়না পত্রে উল্লেখিত মেয়াদের মধ্যে যাবতীয় কর পরিশোধ ক্রমে তপছিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল সম্পদন ও রেজিস্ট্রারী করিয়া দেওয়ার জন্য সাক্ষীগণের মোকাবেলায় তাগাদা দিলে ১নং বিবাদীর পিতা প্রেমচান মালো রেজিস্ট্রারী করিয়া দিবে মর্মে বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাইতে থকাবস্থায় মৃতৃকালে ১-৩ নং বিবাদীকে ৩ পুত্র রাখিয়া যায় কিম্বা উক্ত বিবাদী নং ১-৩ বিগত ২৪-৪-৯৩ ইং তারিখে তাহাদে পিতার সম্পাদনকৃত বায়নাপত্র একটি অংগীকার নামা দলিল বাদী বরাবরে সম্পাদন করিয়া দেয় মর্মে যে সকল বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন উহা পূর্ববৎ ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, মনগড়া, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক বর্ণনা হেতু উক্ত সকল বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অত্র বিবাদীগণের পিতা বর্ণিত প্রেমচান মালো নালিশী সম্পত্তি কখনও বিক্রয়ের জন্য বাদীর সহিত কিংবা অন্য কাহারও সহিত কখনও কোন বায়না কিম্বা চুক্তিপত্র দলিল সহি সম্পাদন করেন নাই এবং বাদীর কথিত মতে অত্র বিবাদীগণ বাদীর বরাবরে তথা কথিত বায়নাপত্রকে স্বীকার করিয়া কোন অংগীকারপত্র কিংবা অন্য কোন পত্র কখনও সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই। অত্র বিবাদীগণের পিতা বিগত ————– তারিখে মৃত্যুবরণ করিয়াছে অর্থাৎ অত্র মোকদ্দমা দায়েরের ——— বৎসর পূর্বে বাদীর তথাকথিত বায়না দাতা মৃত্যুবরণ করিয়াছে। সুতরাং বাদীর বর্তমান মোকদ্দাটি তামাদি আইনে গুরুতরভাবে বারিত বিধায় বাদীর বর্তমান মোকদ্দমাটি সরাসরি খারিজ হইবে। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, অত্র বিবাদীগণের জানামতে তাহাদের পিতা বাদীর বরাবরে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে কখনও কোন বায়নাপত্র সহি স্পাদন করিয়া দেন নাই এবং তথাকথিত বায়নাপত্রের পোষকতায় অত্র বিবাদীগণও কোন অংগীকারনামা কিম্বা কোন স্বীকৃতিপত্র দলিল বাদীর বরাবরে সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই। তাহাছাড়া অত্র বিবাদীগণ তথাকথিত বায়নার পোষকতায় কোন অঙ্গীকারনামা দলিল বাদীর বরাবরে সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই। বাদী অত্র মোকদ্দমাটি দায়েরকালীন সময়ে ফিরিস্তি মূলে তথাকথিত একটি অঙ্গীকারনামা দলিল দাখিল দিয়াছেন যাহার ষ্ট্যাম্প খরিদের তারিখ দেখা যায় ৩১/১২/০১। অত্র বিবাদীগণ উক্ত তারিখে বাদীকে তথাকথিত অঙ্গীকারনামা দলিলের জন্য কোন স্ট্যাম্প খরিদ করিতে বলেন নাই এবং তাহারা নিজেরাও উক্ত ষ্ট্যাম্প বাদীর নামে খরিদ করেন নাই এবং অত্র বিবাদীগণ তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় কোন টিপ সহি প্রদান করেন নাই। তদুপরি অত্র মোকদ্দমার ২নং বিবাদী নিজের নাম দস্তখত করিতে পারে। অথচ বাদীর তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় ২নং বিবাদীও টিপসহি প্রদান করিয়াছে মর্মে দেখা যায়। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, বাদী কর্তৃক অত্রাদালতে দায়েরকৃত দেওয়ানী ২৬৩/০৬ নম্বর মোকদ্দমার তথাকথিত বায়ানার ১নং সাক্ষী বর্ণিত রামু বর্মন যাহার দস্তখত দেখা যায় উক্ত রামু বর্মনই অত্র মোকদ্দমার তথাকথিত বায়নায় টিপসহি দিয়াছে মর্মে দেখা যায়। অর্থাৎ প্রকৃত পক্ষে অত্র বিবাদীগণ কেহই তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় কোন টিপসহি প্রদান করেন নাই; বাদী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তথাকথিত অঙ্গীকারনামা দলিল সৃজন করিয়াছে যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাদ্য নহেন।
১৬। আরজীর ৪নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী ১-৩ নং বিবাদীকে বাদী পক্ষ বিগত ১৫/৪/৯৭ ইং সালে তপসিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রারী করিয়া দেওয়ার জন্য তাগাদা দিলে ১-৩ নং বিবাদী তপসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে মোকদ্দমা চলিতেছে বিধায় রেজিস্ট্রারী করিয়া দিতে আরও তিন বৎসর সময়ের প্রয়োজন বলিয়া জানাইলে বাদী পক্ষ বিবাদী পক্ষকে তপসিল বর্ণিত সম্পত্তির কর পরিশোধের যাবতীয় কাগজ পত্র প্রদান করিবে বলিয়া ১-৩ নং বিবাদী কর পরিশোধের কাগজ পত্র দিবে বলিয়া প্রকাশ করে মর্মে যে সকল বর্ণনা প্রদান করিয়াছেন উহা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, মনগড়া, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক বর্ণনা হেতু উক্ত সকল বর্ণনা অত্র বিবাদীদ্বয় অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অত্র বিবাদীগণের পিতা বর্ণিত প্রেমচান মালো নালিশী সম্পত্তি কিম্বা উহার কোন অংশ কখনও বিক্রয়ের জন্য বাদীর সহিত কিম্বা অন্য কাহারও সহিত কখনও কোন বায়না কিম্বা চুক্তিপত্র দলিল সহি সম্পাদন করেন নাই। তাহাছাড়া বাদী বিগত ১৫/০৪/১৯৯৭ তারিখে অত্র বিবাদীগণকে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত বায়নাপত্রের পোষকতায় কোন সাফ কবলা দলিল সহি সম্পাদনের জন্য অত্র বিবাদীগণকে বলেন নাই কিম্বা তাহারা তথাকথিত সাফ কবলা দলিল সহি সম্পাদনের জন্য ৩ বৎসর সময় প্রার্থনা করেন নাই কিম্বা অন্য কোন মামলা মোকদ্দমার অজুহাতে উক্ত সময়ের প্রার্থনা করেন নাই। বাদী বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়েরের অসৎ উদ্দেশ্যে উপরিউক্ত বিষয়ের অবতারনা করিয়া থাকিবে।
১৭। আরজীর ৫নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী ১-৩ নং বিবাদী তপছিল বর্নিত সম্পত্তি রেজিস্ট্রারী করিয়া দিবে বলিয়া বিভিন্ন অজুহাতে ঘুরাইতে থাকিলে বাদী পক্ষ বাধ্য হইয়া স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির উপস্থিতিতে বিগত ১০/৪/২০০০ ইং তারিখে তাগাদা দিলে ১-৩ বিবাদী পরবর্তি ১০ মাসের মধ্যে তপছিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রারী করিয়া দেওয়ার কথা স্বীকার করে কিম্বা পরবর্তীতে বাদী পক্ষ ১-৩ বিবাদী পক্ষকে তপছিল বর্ণিত সম্পত্তির বক্রীর মূল্য বাদীর নিকট হইতে গ্রহণ করিয়া সাফ কবলা দলির সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার জন্য বিগত ৫/৪/০১ ইং তারিখে তাগাদা দিলে দিব দিচ্ছি বলে ঘুরাইতে থাকে কিম্বা ১-৩ নং বিবাদী টাকার প্রয়োজনে বাদীর নিকট হইতে বায়না বাবদ আরও ৫,০০০/ টাকা বিগত ১/৪/০৪ ইং তারিখে গ্রহণ করিয়া তপছিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল করার জন্য বিগত ২৫/৫/০৪ ইং তারিখে ধার্য্য করে থাকে মর্মে যে সকল বর্ণনা তথা অভিযোগ প্রদান করিয়াছেন উহা পূর্ববৎ ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, মনগড়া, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক বর্ণনা হেতু উক্ত সকল বর্ণনা অত্র বিবাদীদ্বয় অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অত্র বিবাদীর পিতা বর্ণিত প্রেমচান মালো নালিশী সম্পত্তি কখনও বিক্রয়ের জন্য বাদীর সহিত কিম্বা অন্য কাহারও সহিত কখনও কোন বায়না কিম্বা চুক্তিপত্র দলিল সহি সম্পাদন করেন নাই এবং বাদীর তথা কথিত বায়না পত্রের সমর্থনে বাদী বিগত ১০/০৪/২০০০ তারিখে কিম্বা অন্য কোন তারিখে অত্র বিবাদীদ্বয়কে সাফ কবলা দলিল সহি সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার জন্য স্থানীয় কোন ব্যক্তির সম্মুখে কোন তাগাদা দেন নাই কিম্বা তথাকথিত তাগাদার প্রেক্ষিতে অত্র বিবাদীদ্বয় পরবর্তী ১০ মাসের মধ্যে কিম্বা অন্য কোন সময়ের মধ্যে সাফ কবলা দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দেওয়ার জন্য কোন অংগীকার কিম্বা প্রতিশ্রুিতি প্রদান করেন নাই এমনকি বিগত ০১/০৪/০৪ তারিখে কিম্বা অন্য কোন তারিখে বাদীর নিকট হইতে ৫,০০০/ (পাঁচ হাজার) টাকা কিম্বা অন্য কোন অংকের টাকা অত্র বিবাদীদ্বয় কখনও গ্রহণ করেন নাই। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, অত্র বিবাদীগণের জানামতে তাহাদের পিতা বাদীর বরাবরে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে কখনও কোন বায়নাপত্র সহি স্পাদন করিয়া দেন নাই এবং তথাকথিত বায়নাপত্রের পোষকতায় অত্র বিবাদীগণও কোন অংগীকারনামা কিম্বা কোন স্বীকৃতিপত্র দলিল বাদীর বরাবরে সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই। তাহাছাড়া অত্র বিবাদীগণ তথাকথিত বায়নার পোষকতায় কোন অঙ্গীকারনামা দলিল বাদীর বরাবরে সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই। বাদী অত্র মোকদ্দমাটি দায়েরকালীন সময়ে ফিরিস্তি মূলে তথাকথিত একটি অঙ্গীকারনামা দলিল দাখিল দিয়াছেন যাহার ষ্ট্যাম্প খরিদের তারিখ দেখা যায় ৩১/১২/০১। অত্র বিবাদীগণ উক্ত তারিখে বাদীকে তথাকথিত অঙ্গীকারনামা দলিলের জন্য কোন ষ্ট্যাম্প খরিদ করিতে বলেন নাই এবং তাহারা নিজেরাও উক্ত ষ্ট্যাম্প বাদীর নামে খরিদ করেন নাই এবং অত্র বিবাদীগণ তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় কোন টিপ সহি প্রদান করেন নাই। তদুপরি অত্র মোকদ্দমার ২নং বিবাদী নিজের নাম দস্তখত করিতে পারে। অথচ বাদীর তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় ২নং বিবাদীও টিপসহি প্রদান করিয়াছে মর্মে দেখা যায়। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, বাদী কর্তৃক অত্রাদালতে দায়েরকৃক্ত দেওয়ানী ২৬৩/০৬ নম্বর মোকদ্দমার তথাকথিত বায়ানার ১নং সাক্ষী বর্ণিত রামু বর্মন যাহার দস্তখত দেখা যায় উক্ত রামু বর্মনই অত্র মোকদ্দমার তথাকথিত বায়নায় টিপসহি দিয়াছে মর্মে দেখা যায়। অর্থাৎ প্রকৃত পক্ষে অত্র বিবাদীগণ কেহই তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় কোন টিপসহি প্রদান করেন নাই; বাদী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তথাকথিত অঙ্গীকারনামা দলিল সৃজন করিয়াছে যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাদ্য নহেন।
১৮। আরজীর ৬নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী বাদী পক্ষ বিবাদী নং ১-৩ কে ২৫/৫/০৪ ইং তারিখে মূল্যের বক্রী ৫.০০০/ টাকা বাদীর নিকট হইতে গ্রহণ পূর্বক তপছিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রারী করিয়া দিতে সাক্ষীদের মোকাবেলায় তলব তাগাদা দিলে ১-৩ নং বিবাদী সম্পত্তির মূল্য বৃদ্ধি হইয়াছে বলিয়া তপছিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রারী করিয়া দিতে অস্বীকার করায় বাদী পক্ষ আর কোন উপায় না দেখিয়া বিবাদী পক্ষের বিরুদ্ধে অত্র চুত্তি প্রবলের মোকদ্দমা দায়ের করিলেক কিম্বা আইনের কূটতর্ক এড়ানোর জন্য ৪নং বিবাদীকে অত্র মোকদ্দমায় বিবাদী শ্রেণীভূক্ত করা হইল মর্মে যে সকল বর্ণনা তথা অভিযোগ প্রদান করিয়াছেন তাহা পূর্ববৎ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, মনগড়া, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক বর্ণনা হেতু উক্ত সকল বর্ণনা অত্র বিবাদীদ্বয় অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অত্র বিবাদীর পিতা বর্ণিত রূপচান মালো নালিশী সম্পত্তি কখনও বিক্রয়ের জন্য বাদীর সহিত কিম্বা অন্য কাহারও সহিত কখনও কোন বায়না কিম্বা চুক্তিপত্র দলিল সহি সম্পাদন করেন নাই এবং বাদীর তথা কথিত বায়নাপত্রের পোষকতায় বাদী বিগত ২৫/০৪/২০০৪ তারিখে কিম্বা অন্য কোন তারিখে মূল্যের বক্রী =৫,০০০/ (পাঁচ হাজার) টাকা কিম্বা অন্য কোন অংকের টাকা বাদীর নিকট হইতে গ্রহণ করিয়া তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল সম্পাদন কিম্বা রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার জন্য সাক্ষীদের মোকাবেলায় অত্র বিবাদীগণকে কোন তলব তাগাদা করেন নাই কিম্বা উক্তরূপ তলব তাগাদা করিবার কোন আইনগত অধিকার বর্তমান বাদীর নাই কিম্বা কখনও ছিলনা এবং তিনি উক্তরূপ তলব তাগাদা করেন নাই। তাহাছাড়া যেহেতু অত্র বিবাদীদ্বয়ের পিতা বাদীর বরাবরে কোন বায়নাপত্র সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই কিম্বা পরবর্তীতে তাহার মৃত্যুর পর অত্র বিবাদীগণও বাদীর কথিত মতে বাদীর নিকট হইতে নালিশী সম্পত্তির মূল্য বাবদ কোন অংকের টাকা কখনও গ্রহণ করেন নাই সেইহেতু অত্র বিবাদীদের বিরুদ্ধে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিবার কোন আইনগত অধিকার বর্তমান বাদীর নাই। কাজেই, বাদীর অত্র মোকদ্দমাটি সরাসরি খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
১৯। আরজীর ৭নং পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী অত্র মোকদ্দমার কারণ সর্বশেষ বিগত ২৫/৫/০৪ ইং তারিখে বিবাদী নং ১-৩ কর্তৃক তপছিল বর্ণিত সম্পত্তির সাফ কবলা দলিল বাদী বারবরে সম্পাদন ও রেজিস্ট্রারী করিয়া দিতে অস্বীকার করার অত্র আদালতের এখতিয়ারাধীন ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ থানার অন্তর্গত মান্দাইল মৌজায় উদ্ভব হইবার কথা ডাহা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, মনগড়া, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক। বাদীর তথাকথিত বায়নাপত্র অনুযায়ী উহা সম্পাদনের তারিখ দেখা যায় (যদিও প্রকৃতপক্ষে অত্র বিবাদীগণের পিতা বাদীর বরাবরে কোন বায়নানামা দলিল সহি সম্পাদন করেন নাই) ২৪/০৪/১৯৯৩ খ্রীষ্টাব্দ এবং মেয়াদ তিন বৎসর যাহা ২৩/০৪/১৯৯৬ তারিখে শেষ হইয়া গিয়াছে। সুতরাং বাদীর চুক্তিপ্রবলের বর্তমান মোকদ্দমাটি তামাদি আইনে গুরুতরভাবে বারিত। তাহাছাড়া আরজীর অত্র পরিচ্ছেদের বর্ণনা অনুযায়ী অত্র মোকদ্দমার কারণ বিগত ২৫/০৫/২০০৫ তারিখে কিম্বা উহার আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোন তারিখে অত্র মোকদ্দমার কোন কারণ নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে অত্র বিবাদীদের বিরুদ্ধে কখনও উদ্ভব হয় নাই। কাজেই, কারণাভাবে বাদীর অত্র মোকদ্দমাটি উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে। বাদীর অত্র মোকদ্দমাটি একটি টেষ্ট কেস ছাড়া আর কিছুই নহে। তাহাছাড়া বাদী যেহেতু সত্য গোপন করিয়া এবং মিথ্যা বর্ণনা দিয়া অত্র বিবাদীগণকে অহেতুক হয়রানী করিবার অপমানসে অত্র বিবাদীগণের পিতাকে দাতা দেখাইয়া জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে চুক্তিপ্রবলের প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিয়াছেন সেইহেতু বাদীর বর্তমান মোকদ্দমাটি দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৫/এ ধারা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ খারিজ হওয়া আবশ্যক।
২০। বাদীর আরজীর প্রার্থনা অলীক, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, আজগুবি, তঞ্চকতামূলক, প্রবঞ্চণাপূর্ণ ও দূরভিসন্ধিমূলক। যেহেতু নালিশী সম্পত্তি সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে অত্র বিবাদীগণের পিতা বর্ণিত প্রেমচান মালো বাদীর অনুকূলে কিম্বা অন্য কাহারও অনুকূলে বাদীর আরজীর বর্ণনা অনুযায়ী কোন বায়না কিম্বা চুক্তিপত্র দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দেন নাই কিম্বা নালিশী সম্পত্তির কোন দখল বাদীর বরাবরে বুঝাইয়া দেন নাই এমনকি অত্র বিবাদীগণও বাদীর নিকট হইতে তথাকথিত মূল্যের বক্রী টাকা হইতে কোন টাকা গ্রহণ করেন নাই বিধায় বাদী তাহার আরজীর প্রার্থনা অনুযায়ী অত্র বিবাদীগণের বিরুদ্ধে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে চুক্তিপ্রবলের ডিক্রী পাইতে হকদার নহেন বিধায় বাদীর বর্তমান মোকদ্দমাটি মোকদ্দমাটি খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
প্রকৃত বৃত্তান্ত নিম্নরূপঃ-
(ক) অত্র মোকদ্দমার আরজীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির মালিক সি, এস, খতিয়ান অনুযায়ী রাজারাম মান্দাইল এর খারিজা তালুক ছিল যাহার বসত প্রজা ছিল কৈলাশ চন্দ্র রায়। পরবর্তীতে উক্ত সম্পত্তি জনৈক লাট মিয়া নিলাম খরিদ মূলে মালিক দখলকার থাকাবস্থায় অত্র বিবাদীগণের পূর্ববর্তী কমলা সুন্দরী মালো, নাবালক বিনোদ মালো পক্ষে সূর্য্য মোহন মালো, অত্র নাবালক প্রেম চান মালো ও নাবালক রুপচান মালো পক্ষে তাহাদের পিতা মহেন্দ্র চন্দ্র মালো কর্তৃক কবুলিয়তের প্রার্থনা করিলে বিগত ২০/০২/১৯৪৬ মোতাবেক ১৩৫২ সনের ৮ই ফাল্গুন তারিখে সম্পাদিত ও জিলা ঢাকার ৩য় জয়েন্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ১নং বহির ১৭নং ভলিউমের ১২২ হইতে ১২৬ নম্বর পৃষ্ঠায় লিখিত ১৯৪৬ সনের ১১৩০ নম্বর রেজিস্ট্রি কবুলিয়ত মুলে = ৭০০/ টাকা সেলামী গ্রহণ করতঃ এবং বাৎসরিক ৫/ টাকা খাজনা ধার্য্য করিয়া বর্ণিত কমলা সুন্দরী মালোগং এর বরাবরে হস্তান্তর করেন।
(খ) পরবর্তীতে বর্ণিত কমলা সুন্দরীগং উপরিউক্তরূপে নালিশী সম্পত্তির মালিক দখলকার নিয়ত হইয় ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ভ্রাতা মহেন্দ্র চন্দ্র মালোকে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। অতঃপর বর্ণিত মহেন্দ্র চন্দ্র মালো নালিশী সম্পত্তিতে তাহার ভগ্নি কমলা সুন্দরীর প্রাপ্যাংশে মালিক ও ভোগ দখলকার থাকাবস্থায় ৩পুত্র যথাক্রমে রুপ চান মালো, লাল চান মালো এবং প্রেম চান মালোকে তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। বর্ণিত রুপচান মালোগং ৩ ভ্রাতা তাহাদের পিতৃ ত্যাজ্য সম্পত্তিতে তাহাদের স্ব স্ব অংশ অনুযায়ী এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় এস, এ. জরীপ আমলে আসিলে বর্ণিত রুপচান মালো ও লালচান মালোর নামে এস, এ. খতিয়ান প্রস্তুত হইলেও ভুল বশতঃ অত্র বিবাদীগণের পিতা বর্ণিত প্রেমচান মালোর নাম লিপিবদ্ধ হয় নাই। কিন্তু উক্ত ভুলের কারণে প্রেমচানের নালিশী সম্পত্তিতে যে স্বত্ব-স্বার্থ, মালিকানা ও দখলাধিকার ছিল তাহার কোন হানি ঘটে নাই। তিনি পূর্ববৎ তাহার অপর দুই ভ্রাতার সহিত তাহার অংশে এজমালিতে ভোগ দখলে রত থাকেন।
(গ) অতঃপর বর্ণিত প্রেমচান মালো আরজীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে তাহার প্রাপ্যাংশে তাহার অপর সহ-শরীকদের সহিত এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির কিয়দংশে তাহার ঘর দরজা উত্তোলন পূর্বক তাহার পরিবার পরিজন লইয়া বসবাস করিতে থাকাবস্থায় অত্র মোকদ্দমার ১ হইতে ৩নং বিবাদীগণকে ৩পুত্র তদিয় ত্যাজ্য বিত্তভোগী একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন। বলা আবশ্যক, পরবর্তীতে অত্র বিবাদীগণও তাহার পিতার ন্যায় নিজ নিজ ঘর দরজা উত্তোলন পূর্বক বর্তমানে তাহাদের স্ব স্ব পরিবার পরিজন লইয়া ভোগ দখলে রত আছেন এবং অবশিষ্টাংশ বর্তমানে মজা পুকুর ও পতিত ভূমি হিসাবে রহিয়াছে।
(ঘ) অত্র বিবাদীগণের জানামতে বর্ণিত প্রেমচান মালো বিগত ২৪/০৩/১৯৯৩ তারিখে কিম্বা উহার আগে অথবা পরে কিম্বা অন্য কোন তারিখে অত্র মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি কিম্বা উহার কোন অংশ অত্র মোকদ্দমার বাদীর নিকট কিম্বা অন্য কাহারও নিকট =২,৫০,০০০/ (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকায় কিম্বা অন্য কোন অংকের টাকায় সাফ বিক্রয়ের নিমিত্তে কখনও বায়নাবদ্ধ হন নাই কিম্বা বায়না বাবদ ২,৪০,০০০/ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা কিম্বা অন্য কোন অংকের টাকা বায়না বাবদ বাদীর নিকট হইতে কিম্বা অন্য কাহারও নিকট হইতে কখনও গ্রহণ করেন নাই কিম্বা তথাকথিত বায়নাকৃত সম্পত্তির দখলও বাদীর বরাবরে বুঝাইয়া দেন নাই। তদুপরি, আরজীতে উল্লেখিত তথাকথিত বায়নার ষ্ট্যাম্প অত্র বিবাদীগণের পিতা নিজে যেমন খরিদ করেন নাই তেমনি বাদীকেও খরিদ করিতে বলেন নাই কিম্বা তাহার কথিত মতে বাদী খরিদ করেন নাই এবং তথাকথিত বায়নায় যাহারা সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করিয়াছে তাহাদিগকে প্রেমচান মালো সাক্ষী হইতে বলেন নাই এবং তাহাদের সাক্ষাতে কিম্বা অসাক্ষাতে বর্ণিত প্রেমচান মালো তথাকথিত বায়নায় টিপসহি দেন নাই। বাদী ভুয়া লোক দিয়া প্রেমচান মালোর নাম ব্যবহার করিয়া এবং তাহার অনুগত লোক দিয়া তথাকথিত বায়নায় সাক্ষী হিসাবে দেখাইয়াছেন যাহা জাল জালিয়াতি মূলে সৃজিত বিধায় তথাকথিত বায়নাপত্র দলিল দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য ও দায়ী নহেন। কাজেই, বাদীর অত্র মোকদ্দমাটি উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইবে। প্রসঙ্গতঃ বলা আবশ্যক, অত্র মোকদ্দমার সমন প্রাপ্তীর পূর্বে অত্র বিবাদীগণ তথাকথিত বায়নাপত্রের অস্থিত্ব সম্পর্কে কোন দিনই কাহারও নিকট কোন কিছুই শোনে নাই। কাজেই, সৃজিত বায়নাপত্র মূলে বাদী তাহার প্রার্থীত মতে কোন প্রতিকার পাইতে পারে না বিধায় বাদীর মোকদ্দমাটি অত্র বিবাদীগণের অনুকূলে উপযুক্ত খরচসহ খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
(ঙ) উপরিউক্ত পরিচ্ছেদের বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু অত্র বিবাদীগণ বাদীর তথাকথিত বায়নাপত্রের বিষয় কোনক্রমেই অবগত ছিলনা সেইহেতু বাদী কর্তৃক বিগত ১৫/০৪/১৯৯৭ তারিখে নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত বায়নার পোষকতায় সাফ কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া দেওয়ার জন্য বাদী কখনও বলেন নাই কিম্বা তজ্জন্য অত্র বিবাদীদ্বয় অন্য একটি মোকদ্দমা চলিতেছে মর্মে তিন বৎসরের সময়ের প্রয়োজনের কথা বলেন নাই কিম্বা পরবর্তীতে ১০/০৪/২০০০ তারিখে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সম্মুখে কিম্বা পরবর্তীতে বিগত ০৫/০৪/০১ তারিখে কিম্বা বিগত ২৫/০৫/০৪ তারিখে বাদী অত্র বিবাদীদ্বয়কে কোন তাগাদা প্রদান করেন নাই কিম্বা উক্তরূপ তাগাদা দেওয়ার কোন আইনগত অধিকার বর্তমান বাদীর ছিলনা বা নাই এবং তিনি উক্তরূপ কোন তাগাদা অত্র বিবাদীদ্বয়কে দেন নাই কিম্বা তজ্জন্য অত্র বিবাদীদ্বয় তথাকথিত সাফ কবলা দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দেওয়ার জন্য বিগত ২৫/০৫/০৪ তারিখে কোন দিন ধার্য্য করেন নাই। পরবিত্তলোভী বাদী অত্র নিরীহ ও শান্তিপ্রিয় বিবাদীগণের পিতৃ ত্যাজ্য সম্পত্তি গ্রাস করিবার অপমানসে তাহাদের মৃত পিতাকে দাতা দেখাইয়া এবং বাদীকে গ্রহীতা দেখাইয়া জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একটি বায়নাপত্র সৃজন করতঃ বাদীর মনঃপুত ও অনুগত লোক দ্বারা তথাকথিত বায়নাপত্রে সাক্ষী দেখাইয়া উক্ত বায়নাপত্র সৃজন করতঃ তথাকথিত বায়নার অনুবলে পরবর্তীতে একইভাবে অত্র বিবাদীগণকে দাতা দেখাইয়া তথাকথিত একটি অঙ্গীকারনামা দলিল সৃজন পূর্বক নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে চুক্তিপ্রবলের মোকদ্দমা আনায়ন করিয়াছে যাহা সরাসরি খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
(চ) অত্র আরজীতে উল্লেখিত বিগত অত্র বিবাদীদ্বয় বিগত ২৫/০৫/০৪ তারিখে কিম্বা উহার আগে অথবা পরে অথবা অন্য কোন তারিখে তথাকথিত মূল্যের ৫,০০০/ (পাঁচ হাজার) টাকা কিম্বা অন্য কোন অংকের টাকা বাদীর নিকট হইতে অত্র বিবাদীগণ গ্রহণ করে নাই। তদুপরি, বাদী অত্র মোকদ্দমার সহিত অত্র বিবাদীগণকে দাতা দেখাইয়া এবং বাদীকে গ্রহীতা দেখাইয়া তথাকথিত একটি অঙ্গীকারনামা ফিরিস্তি মূলে দাখিল করিয়াছে। বলা আবশ্যক, অত্র বিবাদীগণ বাদীর দাখিলীয় তথাকথিত কোন অঙ্গীকারনামার ষ্ট্যাম্প বাদীকে খরিদ করিতে বলেন নাই এবং তাহারা নিজেরাও উক্ত ষ্ট্যাম্প খরিদ করেন নাই এবং তথাকথিত অঙ্গীকারনামা বাদীকে লিখতে বলেন নাই এবং তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় উল্লেখিত টাকা কিম্বা অন্য কোন টাকা তাহারা বাদীর নিকট হইতে গ্রহণ করেন নাই এবং তথাকথিত অঙ্গীকারনামায় তাহারা নিজেরা কোন টিপসহি প্রদান করেন নাই এবং তথাকথিত সাক্ষীগণকে তাহারা উক্ত অঙ্গীকারনামায় সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করিতে বলেন নাই এবং তথাকথিত সাক্ষীগণ অত্র বিবাদীদ্বয়ের সম্মুখে সাক্ষী হিসাবে কোন স্বাক্ষর করেন নাই। সর্বোপরি, অত্র বিবাদীগণের মধ্যে ২নং বিবাদী তাহার নিজ নাম দস্তখত করিতে পারে অথচ বাদী জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত অঙ্গীকারনামায় ২নং বিবাদীও টিপসহি দিয়াছে মর্মে দেখা যায়। কাজেই, বাদী জাল জালিয়াতি মূলে অত্র বিবাদীদ্বয়ের নাম ব্যবহার করিয়া এবং অনুগত লোককে দিয়া তথাকথিত সাক্ষীগণের স্বাক্ষর দিয়া থাকিবেন যাহা দ্বারা অত্র বিবাদীগণ বাধ্য নহে।
(ছ) অত্র বিবাদীগণ নালিশী সম্পত্তিতে ঘর-দরজা উত্তোলন করতঃ তাহাদের পরিবার পরিজন লইয়া বসবাস করিতেছে এবং কিছু সম্পত্তি মজা পুকুর এবং কিছু সম্পত্তি পরিত্যাক্ত অর্থাৎ খালি রহিয়াছে। বলা আবশ্যক, অত্র বিবাদীগণের এই বসত বাড়ী ছাড়া আর অন্য কোন সম্পত্তি নাই। কাজেই, এই বসত বাড়ী বিবাদীগণের পিতার বিক্রয়ের নিমিত্তে বাদীর সহিত বায়না করিবার প্রশ্নই উঠে না।
(জ) অত্র মোকদ্দমার বাদী নিজে একজন ভূমি দস্যু এবং জালিয়াত চক্রের সক্রিয় সদস্য। অত্র বিবাদীগণের পিতা মৃত্যুবরণ করিবার দীর্ঘ দিন পর অত্র বিবাদীগণের পিতাকে দাতা দেখাইয়া এবং বাদীকে গ্রহীতা দেখাইয়া নালিশী সম্পত্তি সম্পর্কে তথাকথিত একটি বায়নাপত্র সৃজন করিয়াছে এবং পরবর্তীতে অত্র বিবাদীগণের নামে তথাকথিত একটি অঙ্গীকারনামাও সৃজন করিয়া অত্র বিবাদীগণের স্বত্ব দখলীয় প্রায় ৫০,০০,০০০/ (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকার সম্পত্তি গ্রাস করিবার অপমানসে মিথ্যা বর্ণনা ও অভিযোগ দিয়া অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিয়াছে যাহা খারিজ হইতে বাধ্য ও দায়ী বটে।
২১। অত্র লিখিত জবাবে বাদীর আরজীর যে সকল বর্ণনা তথা অভিযোগ স্পষ্ট করিয়া স্বীকার করা হইল তদ্ভিন্ন অপরাপর অভিযোগ তথা বর্ণনা অত্র বিবাদীগণ কর্তৃক তীব্রভাবে অস্বীকৃত বলিয়া গণ্য হইবে।
অতএব অত্র বিবাদীগণের বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়া উপরোক্ত মোকদ্দমাটি এই বিবাদীগণের অনুকূলে দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৫/এ ধারা অনুযায়ী উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ সহ খারিজ করিবার আদেশ দানে সুবিচার করিতে মর্জি হয়।
সত্যপাঠঃ-
অত্র লিখিত জবাবের সকল বর্ণনা আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য এবং আমাদের কথামত লেখা হইয়াছে জানিয়া উহার সত্যতা স্বীকারে আমাদের আইনজীবী সাহেবের চেম্বারে বসিয়া অদ্য ৩০/০৬/০৮ খ্রীষ্টাব্দে অত্র সত্যপাঠে দস্তখত প্রদান করিলাম।