খাসমহাল জমি কি

Spread the love

খাসমহল/ খাসমহাল/ খাসতালুক ভূক্ত জমি-

 

যে জমি অথবা তালুক (Land) কোন প্রজার নিকট বিলি বা বন্দোবস্ত না দিয়ে জমির মালিক বা সরকার সরাসরি নিজের তত্ত্বাবধানে রাখে সেই জমি বা তালুককে খাসমহল/ খাসমহাল/ খাসতালুক ভূক্ত জমি বলা হয়।

 

খাস জমি-

যে সকল জমি সরাসরি সরকারের মালিকানায় আছে এবং সরকার সেই জমি থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করে। এই ধরনের জমি হলো ‘খাস জমি’।

 

খাসমহল জমি-

যে সকল জমি সরাসরি সরকারের মালিকানায় ছিল না। বরং জমিদারদের অধীনে ছিল এবং ঐ জমি জমিদার নিজে ব্যবহার করতেন, তাকে বলা হতো ‘খাসমহল’ জমি। এই জমির জন্য কোনো ভূমি কর দিতে হতো না।

 

খাসমহল জমির পটভূমি-

১৯২৪ সাল- ১ম ইজারা প্রদান-

১৯২৪ সালে তৎকালীন ভারত সম্রাট ঢাকার মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, রমনা, পল্টন, কাকরাইল, ওয়ারী, গেন্ডারিয়াসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি স্থানে বসতি তৈরীর জন্য অকৃষি পতিত জমি তৎকালীন সরকারি-বেসরকারি কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে ৩০ বছরের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ইজারা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ৩০ বছর অন্তর দুই দফা নবায়নযোগ্য বিধান রাখা হয়েছিল।

 

১৯৫৪ সাল- ১ম ইজারা নবায়ন-

১ম দফার ৩০ বছর শেষে ১৯৫৪ সালে তৎকালীন ইজারা গ্রহণকারী/ভূমিমালিকেরা প্রথমবার ইজারা নবায়ন করেন।

 

১৯৮৫ সাল- আর নবায়ন লাগবে না মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি-

২য় দফা ইজারার ৩০ বছর শেষে অর্থাৎ চূড়ান্ত মেয়াদে ইজারা নবায়নের কাজ চলাকালে ১৯৮৫ সালে তৎকালীন সরকারের ভূমি প্রশাসন ও ভূমি সংস্কার মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। উক্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘পূর্বের খাসমহলের অকৃষি খাস জমি যাহা চিরন্তন নবায়নযোগ্য দীর্ঘ মেয়াদী লিজ ছিল তাহা স্থায়ী বন্দোবস্ত বলিয়া বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যতে আর নবায়নের প্রয়োজন হবে না।’

 

২০০৫ সাল১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিল।

২০০৫ সালের জুন মাসে একটি পরিপত্রের মাধ্যমে ১৯৮৫ সালের উক্ত প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়।

 

২০১১ সাল- ইজারা নবায়নের জন্য ফি ধার্য।

ভূমি মন্ত্রনালয় স্মারক নং ভূঃমঃ/শা-৮/খাজব/১৩৫/২০১১/৫৮৯ তারিখ- ১০/০৫/২০১১ ইং প্রজ্ঞাপন/ পরিপত্র জারি করে খাসমহল ভূমির ইজারা নবায়নের জন্য ফি ধার্য করে। ঐ পরিপত্রের মাধ্যমে মৌজা মূল্যের ওপর ২৫ শতাংশ বা ৩০ শতাংশ ফি নির্ধারণ করা হয়।

 

মতামত-

ভূমি মন্ত্রনালয় স্মারক নং ভূঃমঃ/শা-৮/খাজব/১৩৫/২০১১/৫৮৯ তারিখ- ১০/০৫/২০১১ ইং পরিপত্র মোতাবেক ৯৯ বছর শেষ হলে খাসতালুক ভূক্ত জমি আর নবায়ন করতে হবে না। ৯৯ বছর শেষ হওয়ার পূর্বে ওয়ারিশদের মধ্যে হস্তান্তর করলে কোন ফি দিতে হবে না। কিন্তু ওয়ারিশ ছাড়া অন্য কাহারও নিকট খাসতালুক ভূক্ত জমি হস্তান্তর করতে হলে উক্ত জমির বাজার মূল্যের উপর ২৫% ফি সরকারকে দিলে হস্তান্তরের অনুমতি পাওয়া যাবে। আর সরকারের অনুমতি ছাড়া হস্তান্তর করে ফেললে উক্ত জমির বাজার মূল্যের উপর ৩০% ফি সরকারকে দিয়ে আবেদন করলে অনুমতি পাওয়া যেতে পারেম

 

যেকোন আইনি জটিলতায় আইনগত মতামত ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন-

 

যোগাযোগ

আইনবিদ ল’ চেম্বার

অন-স্টপ লিগ্যাল সলিউশন

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)

চীফ লিগ্যাল এডভাইজার

১৬, কৈলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।

অথবা

রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

ফোন- 01711068609 / 01540105088

ওয়েবসাইট- www.ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *