খতিয়ান কি ও কত প্রকার ?

খতিয়ান-

বাংলা ভাষায় “খতিয়ান” শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ফারসি (Persian) শব্দ “খত” (خط) থেকে। যার অর্থ অর্থ লেখা বা দাগ। কোন কোন ক্ষেত্রে “খত” শব্দের অর্থ চিঠি হয়। সুতরাং শাব্দিক অর্থ বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় “খতিয়ান” অর্থ লিখিত তালিকা, হিসাবের খাতা বা রেকর্ড।

এই “খতিয়ান” শব্দটি মোগল আমল থেকেই বাংলার প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার শুরু হয়।

আইনের ভাষায় “খতিয়ান” বলতে ভূমির মালিকানা ও দখলের লিখিত রেকর্ড বুঝায়। বাংলাদেশে খতিয়ানকে স্বত্বলিপি বা Record of Rights বা RoR ও বলা হয়। মূলত খতিয়ান হচ্ছে ভূমির মালিকানা ও দখলের সরকারি দলিল। ভূমি জরিপের সময় সরকার এই খতিয়ান প্রস্তুত করে থাকে।

খতিয়ান প্রস্তুত করে সরকার। সরকার জরিপের মাধ্যমে এবং ভূমির মালিকের আবেদনের ভিত্তিতে খতিয়ান প্রস্তুত করে থাকে। তাই প্রস্তুতের দিক থেকে খতিয়ান দুই ধরণের। যথা-

(ক) জরিপ খতিয়ান- যাহা সরকার বিভিন্ন সময় জরিপের মাধ্যমে প্রস্তুত করে থাকে।

(খ) নামজারি খতিয়ান- যাহা সরকার ভূমির মালিকের আবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করে থাকে।  

জরিপের মাধ্যমে সরকার যে খতিয়ান প্রস্তুত করে থাকে সেই খতিয়ান মূলত পাঁচ প্রকার। যথা-

১। সি.এস খতিয়ান (C.S. Khatian – Cadastral Survey Khatian)

এই খতিয়ান ব্রিটিশ আমলে ১৮৮৮- ১৯৪০ সালের মধ্যে প্রথম জরিপে প্রস্তুত করা হয়েছিল। ভূমির মালিকানার প্রমাণের প্রথম উৎস হিসাবে এই খতিয়ানটিকে গণ্য করা হয়। সি.এস জরিপের পরই ১৯৪০-১৯৫২ সাল পর্যন্ত একটি সংশোধনী জরিপ সংঘটিত হয় যাকে আর.এস জরিপ (R.S. Survey) বলা হয়।  

২। এস.এ খতিয়ান (S.A. Khatian – State Acquisition Survey)

এই খতিয়ান পাকিস্তান আমলে ১৯৫৬- ১৯৬৩ সালের মধ্যে প্রথম জরিপে প্রস্তুত করা হয়েছিল। রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ অনুযায়ী এস.এ খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এস.এ খতিয়ানের মাধ্যমে জমির মালিকানা হালনাগাদ করা হয়।

৩। আর.এস খতিয়ান (R.S. Khatian – Revisional Survey Khatian)

এস.এ জরিপের পর ১৯৬৫ সালে একটি সংশোধনী জরিপ সংঘটিত হয় যাকে আর.এস জরিপ (R.S. Survey) বলা হয়। আর.এস খতিয়ানটি অধিক গ্রহণযোগ্য একটি খতিয়ান।   

৪। বি.এস খতিয়ান (B.S. Khatian – Bangladesh Survey)

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৮ সালে এই জরিপ শুরু করে যা কোন কোন এলাকায় এখনও চলমান রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এটি সিটি জরিপ নামে পরিচালিত হয়।

৫। বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (Bngladesh Digital Survey- BDS)

বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ডিজিটাল সার্ভে শুরু হয়েছে যা বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে নামে পরিচিত। এই সার্ভের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভূমি রেকর্ড ডিজিটাল আকারে সংরক্ষিত রাখা যা ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে সংগ্রহ করা যাবে।  

যেকোন আইনগত উপদেশ ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন-

আমাদের আইনি সেবা সমূহ-

(১) দলিল লেখা ও রেজিস্ট্রি,

(২) নামজারি ও মিস কেইস পরিচালনা,

(৩) ট্যাক্স রিটার্ণ প্রস্তুত ও সাবমিট,

(৪) জমি-জমা বা দেওয়ানী মামলা পরিচালনা,

(৫) অপরাধ বা ফৌজদারী মামলা পরিচালনা,

(৬) ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স, সিভিল এভিয়েশন লাইসেন্স, পরিবেশ, ফায়ার ও রাজউক অনুমোদন সহ যেকোন ব্যবসায়িক নতুন লাইসেন্স করা ও নবায়নে সহায়তা,

(৭) জমি ও ফ্ল্যাট ক্রয়-বিক্রয় ও ডেভেলপমেন্ট করা।  

যেকোন আইনগত উপদেশ ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন-

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)

কোর্ট চেম্বার- ১৬, কোইলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা

অথবা

ইভনিং চেম্বার- ১২, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র রোড, বাংলামটর, শাহবাগ, ঢাকা

অথবা

রেসিডেন্স চেম্বার- বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা।

মোবাইল-  01540105088/ 01711068609 (Whatsapp)

ওয়েবসাইট- www.ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *