হঠাৎ গ্রেপ্তার হলে কি করবেন ?

হঠাৎ গ্রেপ্তার হলে কি করবেন এক নজরে জেনে নিন

হঠাৎ গ্রেফতার হওয়া কারও জন্য কাম্য নয়। হঠাৎ গ্রেফতার হয়ে গেলে কি করবেন তা জেনে রাখা একজন সচেতন মানুষ হিসাবে সকলের দায়িত্ব। হঠাৎ গ্রেফতার হলে তাৎক্ষণিক প্রচন্ড মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে। এই সময় ধৈর্য ধারণ করে নিজেকে শান্ত রাখতে হবে এবং নির্দিষ্ট কিছু আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিম্নে ধাপে ধাপে করণীয় বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

(ক) অযথা তর্কে জড়াবেন না-

গ্রেফতারকারী অফিসারদের সাথে অযথা তর্কে জড়াবেন না। নিজেকে সংজত রাখুন এবং খারাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। গ্রেফতারের আদেশ মেনে চলুন।

(খ) শারীরিক প্রতিরোধের সৃষ্টি করবেন না-

গ্রেফতারের সময় শারীরিকভাবে প্রতিরোধের সৃষ্টি করবেন না। শারীরিক প্রতিরোধ সৃষ্টি করলে আপনার বিরুদ্ধে নতুন কোনো অপরাধের অভিযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

(গ) নিরব থাকুন-

পুলিশ, র‍্যাব কিংবা অন্য কোনো গ্রেফতারকারী কর্মকর্তার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়। প্রয়োজনে আপনি ভদ্রতার সাথে বলুন, আমার বিজ্ঞ আইনজীবী আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিবেন। মনে রাখবেন, আপনার বলা প্রতিটি কথাই পরবর্তীতে আদালতে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে।

গ্রেফতারকৃ ব্যক্তির কিছু আইনি অধিকার রয়েছে যা আপনার আবশ্যই জেনে রাখা উচিৎ। কারণ এই অধিকার সমূহ বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৩ অনুচ্ছেদ দ্বারা সংরক্ষিত।   

গ্রেফতার হবার সাথে সাথে আপনি বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নিম্নলিখিত অধিকার পাওয়ার হকদার এবং এই অধিকার গুলো দাবি করতে পারেন-

(ক) (ক)  গ্রেফতারের কারণ জানা-

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে যথাসম্ভব শীঘ্র গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে হবে। গ্রেফতারকারী অফিসারের নাম, পদ এবং পুলিশ স্টেশনের পরিচয়পত্র দেখতে চান।

(খ) আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ-

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে তার মনোনীত আইনজীবীর সাথে পরামর্শের সুযোগ দিতে হবে। অবিলম্বে আপনার পছন্দ অনুযায়ী একজন আইনজীবীর সাথে কথা বলার সুযোগ চান। আইনজীবীর সাথে কথা না বলে কোনো ধরণের কাগজে সাইন করবেন না।

(গ) ২৪ ঘন্টার বেশি আটক রাখতে পারবে না-

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিকটতম ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হাজির করতে হবে।

(ঘ) নিকটাত্মীয়কে অবহিতকরণ-

গ্রেফতারের বিষয়টি আপনার কোনো আত্মীয় কিংবা বন্ধুকে জানানোর জন্য পুলিশকে অনুরোধ করুন।

গ্রেফতারের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করা। আপনার কিংবা আপনার পরিবারের কারও পরিচিত আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ আইনজীবীই আপনাকে এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করবেন। আপনার আইনজীবী থানায় বা আপনার কাছে না আসা পর্যন্ত অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা বা কোন স্বীকারোক্তি দিবেন না।

(ক) স্বাস্থ্য পরীক্ষা-

আপনি অসুস্থ অনুভব করলে কিংবা গ্রেফতারের সময় কোনো আঘাত পেলে ডাক্তারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুরোধ জানান।

(খ) ভালো ব্যবহার দাবি-

আপনার সাথে দুর্ব্যবহার কিংবা নির্যাতন করা হলে আপনার আইনজীবীকে জানানোর চেষ্টা করুন।

৫। জামিনের ব্যবস্থা গ্রহণ-

বিজ্ঞ আইনজীবী আইন অনুযায়ী আপনার জামিনের ব্যবস্থা নিবেন। এই জন্য আপনার আইনজীবীকে নিচের তথ্যগুলো দিন-

(ক) গ্রেফতারের পুরো ঘটনা বলুন।

(খ) শারীরিক অবস্থা- শারীরিক কোন সমস্যা থাকলে জানান।  

(গ) পরিবারের ঠিকানা- আপনার পরিবারে কে কে আছে এবং কোথায় আছে বলুন।

মনে রাখবেন,

নিজের অধিকার নিজে জানলে সঠিক সময়ে সঠিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হয়। আইন জানুন সচেতন থাকুন।

মহীউদ্দীন এন্ড এসোসিয়েটস

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)

কোর্ট চেম্বার- ১৬, কোইলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা

অথবা

রেসিডেন্স/ইভনিং চেম্বার- ব্লক-এ, রোড-৫, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

মোবাইল-  01540105088/ 01711068609 (Whatsapp)

ওয়েবসাইট- www.ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *