জমির হিস্যা অর্থাৎ একটি খতিয়ানে যে কয় জন মালিক থাকে তাদের প্রত্যেকের ভাগে কতটুকু জমি পাবে উহা বের করার নিয়ম
জমির হিস্যা কি–
হিস্যা (Share) অর্থ ভাগ, অংশ, শরিকানা ইত্যাদি। একটি খতিয়ানে এক বা একাধিক মালিক থাকতে পারে। খতিয়ানে একাধিক মালিক থাকলে উক্ত খতিয়ানের মোট জমির মধ্যে কার কত অংশ কতটুকু তাই হলো হিস্যা বা হারাহারি অংশ।
জমির হিস্যার হিসাব পদ্ধতি-
বাংলাদেশের সকল খতিয়ান পর্যালোচনা করে জমির হিস্যার হিসাবের দুইটা পদ্ধতি পরিলক্ষিত হয়। যথা-
(১) আনা গন্ডার হিসাব পদ্ধতি বা প্রাচীন পদ্ধতি–
এটি হিস্যা নির্ণয়ের পুরাতন পদ্ধতি। ১৯৬০ সালের আগে এই অঞ্চলে দশমিকের ব্যবহার ছিল না তাই খতিয়ান ও দলিলে অংশ লিখতে আনা গন্ডার হিসাব পদ্ধতি লিখা হতো। সি.এস এবং কিছু কিছু আর.এস খতিয়ানে এই হিসাবের ব্যবহার দেখা যায়।
(২) দশমিকের হিসাব পদ্ধতি বা হাজার পদ্ধতি বা আধুনিক পদ্ধতি–
১৯৮৪ সালের পর থেকে খতিয়ানের হিস্যা বা অংশ নির্ণয়ে দশমিকের হিসাব ব্যবহার করা হচ্ছে। জমির পরিমাণ যাই হোক মোট জমিকে ১.০০ বা ১.০০০ ধরা হয়। বর্তমানে এই পদ্ধতিই প্রচলিত আছে।
একর, শতাংশ ও অযুতাংশের হিসাব–
৪৮৪০ বর্গগজ বা ৪৩৫৬০ বর্গফুট = ১ একর
৪৮.৪০ বর্গগজ বা ৪৩৫.৬০ বর্গফুট = ১ শতাংশ
১০০ শতাংশ = ১ একর
১০০০০ অযুতাংশ = ১ একর
কাঠা ও বিঘার হিসাব-
১৬৫ অযুতাংশ = ১ কাঠা
৪৩৫.৬০ বর্গফুট = ১ শতাংশ
১.৫ শতাংশ = ১ কাঠা
৩৩ শতাংশ বা ২০ কাঠা = ১ বিঘা
৩.০৩ বিঘা = ১ একর
২.৪৭ একর বা ৭.৪৭ বিঘা = ১ হেক্টর
আনা গন্ডা কড়া ক্রান্তি তিলের হিসাব–
পুরাতন খতিয়ানের হিস্যা বের করতে হলে ৫টি একক জানতে হবে। যথা-
(১) আনা
(২) গন্ডা
(৩) কড়া
(৪) ক্রান্তি
(৫) তিল
এই এককগুলির মধ্যে ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে তিল এবং ১৬ আনা = পূর্ণ সম্পত্তি। অর্থাৎ খতিয়ানে মোট জমি যাই থাকুক না কেন সম্পূর্ণ সম্পত্তিকে ১৬ আনা ধরা হয়।
২০ তিল = ১ ক্রান্তি।
৩ ক্রান্তি = ১ কড়া।
৪ কড়া = ১ গন্ডা।
২০ গন্ডা = ১ আনা।
১৬ আনা = সম্পূর্ণ সম্পত্তি।
সুতরাং সম্পূর্ণ সম্পত্তি = ১৬ আনা = ৩২০ গন্ডা = ১২৮০ কড়া = ৩৮৪০ ক্রান্তি = ৭৬৮০০ তিল
সম্পূর্ণ সম্পত্তি = ১৬ আনা.
সম্পূর্ণ সম্পত্তি = ১৬ আনা = ১৬ X ২০ গন্ডা = ৩২০ গন্ডা।
সম্পূর্ণ সম্পত্তি = ৩২০ গন্ডা = ৩২০ X ৪ = ১২৮০ কড়া।
সম্পূর্ণ সম্পত্তি = ১২৮০ কড়া = ১২৮০ X ৩ = ৩৮৪০ ক্রান্তি.
সম্পূর্ণ সম্পত্তি = ৩৮৪০ ক্রান্তি = ৩৮৪০ X ২০ = ৭৬৮০০ তিল।
ভূমি সংক্রান্ত যেকোন জটিলতার সমাধনসহ যেকোন আইনগত মতামত ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন-
যোগাযোগ
আইনবিদ লিগ্যাল সলিউশন
ল্যান্ড প্রপার্টি সলিউশন সার্ভিস
সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন (শিশির)
ল্যান্ড এন্ড ট্যাক্স কনসালট্যান্ট
১৬, কৈলাশঘোষ লেন, ঢাকা জজ কোর্ট, কোতোয়ালী, ঢাকা।
অথবা
রোড-৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা
ফোন- 01711068609 / 01540105088
ওয়েবসাইট- www.ainbid.com