ইজমেন্ট রাইটসসহ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমার আর্জি।
মোকামঃ বিজ্ঞ ৬ষ্ঠ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, ঢাকা।
দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ১১৩/২০২৪
১। মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার
২। মোঃ আব্দুল হাকিম সরকার
৩। মোঃ আতাউল হক সরকার
সর্ব পিতা-মৃত আহসান উল্লাহ সরকার
৪। হাজী শফিকুল ইসলাম সরকার
পিতা-মৃত এ, কে, এম সামসুল আলম সরকার
৫। মোঃ হারুন-অর-রশিদ সরকার
পিতা-মৃত ডাঃ কামরুল হক।
৬। তোফাজ্জল হোসেন সরকার
পিতা-মৃত সিরাজুল ইসলাম সরকার।
সর্বসাং- ২৪২ নং উত্তর জুরাইন,
থানা-জেমরা, জেলা-ঢাকা।
—————–বাদীগণ।
=বনাম=
মোঃ আনছার আলী,
পিতা-মৃত সাহেদ আলী।
সাং- ১০৫ নং মীর হাজারবাগ,
থানা- গেন্ডারিয়া, জেলা-ঢাকা।
————————-বিবাদী।
ইজমেন্ট রাইটস সহ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা।
মোকদ্দমার তায়দাদ মং- ১,০০০/- টাকা মাত্র।
বাদীগণের বিনীত নিবেদন এই যে,
১. জেলা-ঢাকা, থানা- সাবেক ডেমরা, হালে-শ্যাপুর, মৌজা-জুরাইনস্থিত, সি, এস খতিয়ান নং- ৪৩৩, এস, এ খাতিয়ান নং-৫৮৫, সি এস ও এস,এ দাগ নং ৪৫৬ জমির পরিমান ৪০ শতাংশ সম্পত্তির বাদীগণ মালিক। বাদীগণ তাহাদের খরিদা জমিতে বাড়ী ঘর তৈরী করিয়া ভাড়াটিয়া সহ বসবাস করিতেছে। বাদীগণের সম্পত্তির পশ্চিম পাশে উত্তর জুরাইন বায়তুল সুজুদ জামে সমজিদের জমি অবস্থি। বিবাদী উক্ত মসজিদের মোতয়ালী। বাদীগণের বাড়ীর লাগ পশ্চিমে ১ ফুট রাস্তা অবস্থিত যাহা নালিশী সম্পত্তি বটে। যাহা ২নং তফসিলে দেখানো হইয়াছে।
২. বাদীগণ তাহাদের খরিদা সম্পত্তি এস, এ ও আর, এস খতিয়ান মোতাবেক নামজারীক্রমে খাজানাদি প্রদান করিয়া ঢাকা সিটি জরিপে বাদীগণের নামের সিটি জরীপ ৩০৭৫, ৬০১৩, ১৭৭, ৫৪০১, ৫৪০২, ৬১০৯ নং খতিয়ান যাহার দাগ নং- যথাক্রমে- ৪৭৬৭, ৪৭৬৮,৪৩৬১, ৪৭৬৮ মোট ৪০ শতাংশ সম্পত্তি রেকর্ড হয়। বাদীগণের স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তি আরজীর ১নং তফসিলে বিশদভাবে বর্ণনা করা হইল। বিবাদীর নিজস্ব কোন সম্পত্তি নহে। ইহা শুধু উত্তর জুরাইন বায়তুল সুজুদ জামে মসজিদ এর সম্পত্তি চিল। যাহা ১৫/০৪/৯৭ইং তারিখে চুক্তিপত্র দলিলের মাধ্যমে এবং তৎকালীন মসজিদ কমিটি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা উক্ত মসজিদের উন্নয়ন কল্পে বাদীগণের নিকট হইতে নগদ গ্রহণ পূর্বক ২নং তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তি চুক্তিপত্রের ১ম পক্ষ হিসাবে উক্ত জুরাইন বায়তুল সুজুত জামে মসজিদের পক্ষে কার্যকরি পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টা প্রধান স্বাক্ষর করেন এবং বাদীণ ২য়পক্ষ হিসাবে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিপত্রের ৪টি শর্ত সংযুক্ত করা হয়। ১নং শর্তে বলা হয় ২য় পক্ষের আবেদন মোতাবেক নিম্ন তফসিল বর্ণত ৯X১০ ফুট জমি রাস্তার জন্য ছাড়িয়া দেওয়া হইল। তবে রাস্তাটি আম রাস্তা হিসাবে বাদীগণ সহ মুসল্লীগণ এবং সর্ব সাধারণের অবাধে চলাচলের নিমিতে বাদীগণের সহিত এক চুক্তিপত্র দলিলের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়। দলিল হওয়ার সময় অত্র বিবাদীর সহোদর বড় ভাই জনাব হযরত আলী উক্ত মসজিদের তৎকালীন মোতয়াল্লী ছিলেন এবং উক্ত দলিল সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন। উক্ত রাস্তার সম্পত্তি যাহা ২নং তফসিলে দেখানো হইল।
৩. বাদীগণের পূর্ববর্তী মৌলভী আহসান উল্লাহ সরকার বিগত ২৫/০৩/৬৬ইং তারিখে ৪৯৬৪ নং রেজিষ্ট্রীকৃত দলিল মূল মোসাম্মদ আউলিয়া খাতুনের নিকট হইতে জুবাইয়া মৌজার সি, এস- ৪৫৬ দাগের ৩০ শতাংশ সম্পত্তি খরিদ করে। একই দিনে আহসান উল্লাহ সাহেবের পুত্র সামসুল আলম ৪৫৬নং সি, এস দাগের ১০ শতাংশ জমি অপর একটি দলিল মূলে যহার দলিল নং ৪৯৬৩, তাং- ২৫/০৩/৮৬ইং মূলে খরিদ করিয়া দখল পান। এইভাবে পিতা-পত্র দুই জনে ৪৫৬ নং সি, এস দাগে ৩০+১০=৪০ শতান্তশ সম্পত্তি জমিতে মালিক ও ভোগ-দখলকার নিয়ত হন।
৪. আহসান উল্লাহ সরকার ও তার চেলে সামুছুল আম সরকার ১৯৭৪ সনে তাদের খরিদা জমির অংশে টিনের ঘর তৈরী করিয়া বসবাস করিয় আসিতে থাকেন।
৫. আহসান উল্লাহ সরকার এবং সামসুল আলম সরকার এর খরিদা জমির পশ্চিমে জুরাইয়া বায়তুল সুজুদ জামে সমজিদের দক্ষিণাংশে পূর্ব পশ্চিমে ৯ ফুট এবং উত্তর দক্ষিনে ১০ ফুট জমি। উক্ত জমির পশ্চিমে ওয়াসার রাস্তা। আহসান উল্লাহ সরকার ও তার পুত্র ১৯৭৪ সনে বাড়ী কারার হইতেই তাহাদের বাড়ী হইতে পশ্চিম দিকে মসজিদের ৯০১০ ফুট জায়গা রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করিয়া পশ্চিম দিকে ওয়াসা রাস্তায় যাতায়াত করিতে থাকেন এবং তাহাদের বাড়ীর যাবতীয় মালামাল এই রাস্তার উপর দিয়া আনা দেওয়া করিতে থাকে এবং লোকজন উক্ত রাস্তার উপর দিয়া চলাচল করিয়া আসিতে থাকেন।
৬. অতঃপর আহসান উল্লাহ সরকার বর্ণিত সম্পত্তির মালিক হইয়া সকলের জ্ঞাতসারে অন্যের নিরাপত্তে নির্বিবাদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ-দখলকার থাকাবস্থায় মৃত্যুকালে ৬ (ছয়) পুত্র যথঅক্রমে- (১) মোঃ নজুরুল ইসলাম সরকার, (২) মোঃ আব্দুল হাকিম সরকার, (৩) মোঃ আতাউল হক সরকার অর্থাৎ ৪নং বাদীর পিতা এবং কামরুল হক সরকার ৫নং বাদীর পিতা এবং সিরাজুল ইসলাম সরকার অর্থাৎ ৬নং বাদীর পিতা এবং ১ কন্যা আনোয়ার বেগমগণকে বিত্তভোগী ওয়ারিশ রেখে যান। উল্লেখ্য যে, আহসান উল্লাহ সরকারের ৬ ছেলের মধ্যে ২ ছেলে যথাক্রমে-১নং বাদী মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার এবং ২ নং বাদী মোঃ আঃ হাকিম সরকার এবং এক নাতী ৪নং বাদী হাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা বটে। তারা প্রকৃত অর্থে ৩টি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বটে।
৭. ১৯৯৫ সনের শেষ দিকে উত্তর জুরাইয়ান বায়তুল সুজুদ জামে মসজিদের নির্মাণ কাজ আরম্ভ করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ঐ সময়ে আহসান উল্লাহ সরকার সাহেবের ৪ ছেলে (১) নজরুল ইসলাম সরকার, (২) আঃ হাকিম সরকার, (৩) মোঃ আতাউল হক সরকার, (৪) মোঃ সিরাজুল হক সরকার এবং ২ নাতি হাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম সরকার ও হারুন অর রশিদ সরকার তাহাদের চলাচলের জন্য মসজিদের ৯০১০ ফুট জায়গা তাহাদিগকে লিখিত ভাবে দেওয়ার জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন। আলাপ আলোচনায় উক্ত ৯০১০ ফুট রাস্তার জন্য ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মসজিদ কর্তৃপক্ষকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মোঃ নজরুল ইসলাম গং রাস্তার জায়গার জন্য ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মসজিদ কর্তৃপক্ষকে ২৭/০১/১৯৯৬ ইং তারিখে দেন। উক্ত মসজিদের সম্পাদক কাজী মোঃ হেসামুল আলা চাঁদা আদায়ের রশিদ দেন। উল্লেখ থাকে যে, মালিবাগ শাহী মসজিদ এর খতিব পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইসমাইল এই ব্যাপারে ০৬/০১/৯৬ইং তারিখে ফতুয়া দেন। উল্লেখ যে উক্ত মসজিদ নির্মানের সময় মসজিদের জায়গার স্বল্পতার কারণে মসজিদের ৩ ফুট ফাউন্ডেশন বাদীদের বাড়ীর ভিতরে দেন।
৮. ইহার পর উত্তর জুরাইন বায়তুল সুজুদ জামে মসজিদ এর পক্ষে কার্যকরী পরিষদের সভাপতি, সেক্রেটারী ও উপদেষ্টা প্রদান ১মপক্ষ এবং নজরুল ইসলাম গং ২য়পক্ষ হিসাবে একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তপত্রটি ১৫/০৪/৯৭ইং তারিখে নোটারী পাবলিকের সম্মুখে সত্যায়িত করা হয়। ৯. তৎপর দীর্ঘ ৩৯ বৎসর যাবত বাদীগণ সহ মুসল্লিগণ এবং সর্ব শ্রেণীর লোকজন অবাধে নির্বিঘ্নে উক্ত রাস্তা দিয়া চলাচল করিয়া আসিতেছে।
১০. বাদীগণ তাহাদের স্বত্ব দখলীয় ১নং তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তিতে ইমারত নির্মাণ আইন অনুযায়ী চতুর্দিকে উন্মুক্ত স্থান রাখিয়া ৪ তলা বিশিস্ট ভবন ১৯৯৭ সালে নির্মাণ করিয়াছে এবং বিভিন্ন বাদীগণ বিভিন্ন সময়ে ২য় তলা হইতে ৫ম তলা পর্যন্ত নির্মাণ করিয়া তথায় নিজের পরিবার পরিজন সহ ভাড়াটিয়া বসাইয়া বসবাস করিয়া আসিতেছে।
১১. অতঃপর উত্তর জুরাইন বায়তুল সুজুদ জামে মসজিদ পক্ষে কার্যকরী পরিষদের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও উপদেষ্টা প্রধান, সর্বসাৎ- উত্তর জুরাইন, থানা- ডেমরা, ঢাকাগণ বিগত ১৫/০৪/৯৭ইং তারিখে নোটারী পাবলিক জনাব এ, এম, এস মোহাম্মদ হোেসইন এর দপ্তরে ৮নং রেজিষ্ট্রী মূলে বাদীগণের নামে মৌজা-জুরাইনস্থিত। সি, এস ও এস, এ-৪৫৩ দাগের কাতে পূর্ব ও পশ্চিমে ৯-গ ফুট উত্তর ও দক্ষিণে- ১০-গ ফুট রাস্তার নিমিত্তে বাদীপক্ষকে ছাড়িয়া দিয়া উক্ত মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বাদীপক্ষ হইতে রশিদ প্রদান করিয়া নগদ গ্রহণ করেন এবং চুক্তিবদ্ধ হয়।
১২. বাদীগণ উক্ত চুক্তিপত্রের বহু পূর্ব হইতে রাস্তার মধ্যে দিয়ে বাদীগণ তথা প্রতিটি বাড়ীওয়ালা এবং মুসল্লীগণ এবং তাদের ভাড়াটিয়া সহ সর্বমোট ৩৫০ হইতে ৪০০ জন লোক চলাচল করিয়া আসিতেছে এবং বাদীগণ তথা প্রতিটি বাড়ওয়ালা তাদের স্ব-স্ব বাড়ীর গ্যাস লাইন, পানির সংযোগ সোয়ারেজ লাইন, বিদ্যুৎ, টেলিফোন লাইন সংযোগ ইত্যাদি করিয়াছেন এবং ভোগ- ব্যবহার করিতেছেন। উক্ত রাস্তার আলোকে বাদীগণ বাড়ীগুলোর বহুতল ভবন নির্মাণের নিমিত্তে ডি.আই.টির প্লান যথারীতি করিয়াছেন। সেই প্ল্যান মোতাবেক বাড়ীগুলো ৫ তলা ভবন পর্যন্ত নির্মিত হইয়াছে। বাদীগণ তথা এরাকাবাসী উক্ত রাস্তা দিয়া দীর্ঘ ৩৯ বৎসর যাবত চলাচল করিয়া আসিতেছে। এই রাস্তা ব্যতিত বাদীগণের চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা নাই।
১৩. অতঃপর বিবাদী বর্তমানে মসজিদের মোতয়াল্লী হিসাবে নিযুক্ত হইয়া অন্যায় ও লোভের বশবর্তী হইয়া উক্ত চুক্তিবদ্ধ রাস্তাটি যাহা বাদীগণ এবং সাধারণ মানুষ বহু বৎসর যাবত চলাচল করিয়া আসিতেছে। কিন্তু বিবাদী হঠাৎ আইনের প্রতি কোন তোয়াক্কা না করিয়া এবং মানবিক দিক বিবেচনা না করিয়া উক্ত রাস্তাটি চিরতরে বন্ধ করিয়া দেওয়ার জন্য ২০১২ সনের মে মাসের শেষের দিকে হইতে পায়তারা করিতেছে। বিবাদী ওয়াকফ প্রশাসনে রাস্তা বন্ধ করিয়া দেওয়ার আবেদন করিলে ওয়াক্ফ প্রশাসক তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দেওয়ার নিমিত্তে মোহাম্মদ আবুল কাশেম পরিবদর্শক কে নির্দেশ দিলে তিনি গত ২৫/০২/১৩ই তারিখে বিস্তারিত উল্লেখ পূর্বক ওয়াক্ফ প্রশাসক বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। উক্ত প্রতিবেদনে রাস্তাটি ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা যাইতে পারে মর্মে উল্লেখ করেন। বিবাদী বাদীদেরকে উল্লেখিত ভাবে উক্ত রাস্তা বন্ধ করিয়া দিবে মর্মে অহরহ হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। যদি সত্যি সত্যি বিবাদী বে-আইনী ভাবে জোর পূর্বক উক্ত রাস্তাটি চিরতরে বন্ধ করিয়া দেয় তবে বাদীগণের তথা ভাড়াটিয়া সহ এলাকাবাসীর আলো বাতাস সহ চলাচলের পথ চিরতরে বন্ধ হইয়া যাইবে এবং বাড়ীগুলোর লোকজন হৃদবন্দি হইয়া মানবেতর জীবন যাপন করিতে হইবে এবং বসবাসের অসুবিধা হইবে। যৎকারণে বাদীগণের অপূরণীয় ক্ষতি হইবে। যাহার কারণে বাদীগণের ইজমেন্ট রাইট ক্ষুন্ন হইবে। বাদীগণ বিগত ০৫/০৭/১৩ইং তারিখে বিবাদীর বরাবরে রাস্তা বন্ধ না করার জন্য অনুরোধ করিলে বিবাদী তাহাতে কর্ণপাত না করিয়া বন্ধ করিয়া দেওয়ার জোর পায়তারা সহ অপচেষ্টায় লিপ্ত রহিয়াছে। বাদীগণ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে ও বিবাদীকে নালিশী রাস্তাটি বন্ধ না করার অন্য অনুরোধ করিলে ইহাতেও বিবাদী কোন কর্ণপাত না করায় যাহার কারণে বাদীগণ বিজ্ঞ আদালতে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হইলেন।
১৪. মোকদ্দমার নালিশের কারণ:- বিবাদী বিগত মে ২০১২ সনের শেষের দিকে রাস্তা বন্ধ করার পায়তারা করে এবং ওয়াক্ফ প্রশাসনে আবেদন করে। সর্বশেষ বাদীগণের বিগত ০৫/০৭/১৩ইং তারিখে অনুরোধ উপেক্ষা করিয়া উক্ত রাস্তাবন্ধ করার চেষ্টা করার পর অত্র মোকদ্দমার নালিশের কারণ উদ্ভব হইয় অত্র আদালতের এলাকাধীন শ্যামপুর থানার অন্তর্গত জুরাইন মৌজার ২নং তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে উদ্ভব হইয়া বর্তমান চলামন আছে বটে।
১৫. মোকদ্দমার তায়দাদ:– যেহেতু ইহা একটি ইজামেন্ট রাইটস সহ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা কাজেই বাদী অত্র মোকদ্দমার তায়দাদ ১০০০/- টাকা ধার্য্য করিয়া ৩০০০/- টাকার এডভেলুরেম কোর্ট ফি প্রদানে বিজ্ঞ আদালতে অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিলেন।
অতএব, বাদীগণের প্রার্থনা এই যে:-
(ক) বাদীগণের অনুকূলে বিবাদীগণের প্রতিকূলের আরজীর ২নং তফসিলে বর্ণিত সম্পত্তিতে বাদীগণ সহ সর্ব সাধারণের ইজমেন্ট রাইট আছে মর্মে ঘোষণামূলক ডিক্রী দিতে;
(খ) বাদীগণ সহ জনসাধারণ ২নং তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ব্যবহারে বিবাদী যাহাতে কোন বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে না পারে তৎমর্মে বিবাদীর বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী দিতে;
(গ) মোকদ্দমার যাবতীয় খরচ বাদীগণের অনুকূলে বিবাদীর প্রতিকূলে ডিক্রী দিতে;
(ঘ) আইন ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে বাদী আর যে, যে সকল প্রতিকার পাইতে হকদার তাহার ডিক্রী দিতে সদয় মর্জি হয়।
১নং তফসিল
জেলা-ঢাকা, থানা সাবেক ডেমরা, হালে-শ্যামপুর, মৌজা-জুরাইনস্থিত সি, এস খতিয়ান ৪৩৩, এস, এ খতিয়ান ৫৮৫, সি, এস এস, এ দাগ নং-৪৫৬ যাহার সিটি জরিপ খতিয়ান নং- ৬১৩৯, ১৭৭, ৩০৭৫, ৪৭৬৬, ৪৭৬৭, ৪৭৬৮ মোট জমির পরিমাণ ৪০ শতাংশ সম্পত্তি। যাহার চৌহদ্দীঃ- পূর্বে- সিরাজুল ইসলাম, পশ্চিমে-নালিশী রাস্তা, উত্তরে- রেজাউল করিম, দক্ষিণে-মজিবুর রহমান খান।
২নং তফসিল
(নালিশী রাস্তা)
জেলা-ঢাকা, থানা ও সাব রেজিষ্ট্রী অফিস ডেমরা অধীন সাবেক ৩৩৭নং হালে- ১৪৯নং মৌজা- জুরাইনস্থিত। সি, এস ও এস, এ-৪৫৩ নং দাগের কাতে ৯x১০=৯০ বর্গফুট ভূমি অত্র চুক্তিকৃত বটে। যাহা পূর্ব ও পশ্চিমে ৯ ফুট উত্তরে ও দক্ষিণে ১০ ফুট। যাহার চৌহদ্দীঃ- উত্তরে ও দক্ষিণে- মসজিদের জমি, পূর্ব-বাদীদের বাড়ী ও পশ্চিমে- ওয়াসার রাস্তা। যাহা নালিশী রাস্তা বটে।
সত্যপাঠ
উপরোক্ত বর্ণনা আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস তমতে সম্পূর্ণ সত্য ও সঠিক জানিয়অ আমার নিযুক্তীয় বিজ্ঞ আইনজীবি সাহেবের চেম্বারে বসিয়া অত্র সত্যপাঠ নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম।
————————–
সত্যপাঠকারীর স্বাক্ষর: