অর্থঋণ মোকদ্দমার আর্জি

অর্থঋণ আইন, ২০০৩ অনুযায়ী এই মামলাগুলি পরিচালিত হয়ে থাকে। তফসিলভুক্ত সম্পত্তি ও অন্যান্য সম্পত্তি বিক্রয়পূর্বক পাওনা টাকা আদায়ের মোকদ্দমার আর্জি।

 

মোকামঃ বিজ্ঞ অর্থঋণ আদালত নং, ঢাকা

অর্থঋণ মোকদ্দমা নং ১২৬/২০২৪

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড,

প্রধান কার্যালয় “সোনালী ব্যাংক ভবন”

৩৫-৪২,৪৪ মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা-১০০০ এবং

ইহার একটি শাখা, রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা-১০০০।

——————বাদী।

 

=বনাম=

 

১। সুমিস সুয়েটার লিমিটেড,

রেজিষ্টার্ড অফিসঃ বাড়ী নং ৪১৯ ৪র্থ তলা, লেন-৭, বারিধারা  ডিওএইচএস, ঢাকা-১২০৬। এবং

ফ্যাক্টরী- সারাবো, কাশিমপুর, জেলা-গাজীপুর।

 

২। এই এইচ এম এ মজিদ রহিম,

চেয়ারম্যান, সুমিস সুয়েটারস লিমিটেড।

সাং- সারাবো, কাশিমপুর, জেলা-গাজীপুর।

স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম- পারবর্তীপুর, পোঃ ও থানা- হরিণাকুন্ড,

জেলা- ঝিনাইসহ।

 

৩। জনাব এস এম এ সবুর,

ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, সুমিস সুয়েটারস লিমিটেড,

ঠিকানাঃ- বাড়ী নং ৪১৯ ৪র্থ তলা, লেন-৭, বারিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা-১২০৬।

স্থায়ী ঠিকানা- আঙুয়াবনী, পোঃ ও থানা- চিতলমারী, জেলা- বাগেরহাট।

 

৪। জনাব শেখ রাইজুল ইসলাম,

পরিচালক, সুমিস সুফেটারস লিমিটেড,

ঠিকানাঃ- বাড়ী নং ৪১৯ ৪র্থ তলা, লেন- ৭, বাধিধারা ডিওএইচএস, ঢাকা-১২০৬।

স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম ও পোঃ পুখুরিয়া, খানা- গোপালগঞ্জ সদর,

জেলা- গোপালগঞ্জ।

———————-বিবাদীগণ।

 

তফসিলভূক্ত সম্পত্তি ও অন্যান্য সম্পত্তি বিক্রয় পূর্বক পাওনা টাকা  আদায়ের মোকদ্দমা।

মোকদ্দমার মূল্য টাকাঃ ৭৬,০৯,৫৯,৩৯৯/-

 

বাদী পক্ষের বর্ণনা নিম্নরূপ এই যে,

 

১। তদানিন্তন পাকিস্তানের ১৯৪৯ ইং সনের ১৯ নং অর্ডিন্যান্স অনুসারে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান নামে একটি ব্যাংকিং কোম্পানী প্রতিষ্ঠা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হইবার পর ১৯৯৭২ ইং সনের ব্যাংক ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭২ ইং সনের ২৬ নং আদেশ) অনুসারে বাদী সোনালী ব্যাংক অর্থ লগ্নিকারী ব্যাংকিং কর্পোরেশন হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং বাংলাদেশে অবস্থিত প্রাক্তন ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এর সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ও দায় দায়িত্ব নব গঠিত সোনালী ব্যাংকে ন্যাস্ত হয় এবং সোনালী ব্যাংক ঐ আদেশ বলে চিরন্তন স্বত্ব ও সাধারণ সীল মোহর সহ গঠিত হয়। তৎপর সোনালী ব্যাংক, ব্যাংক কোম্পানী আইন ১৯৯১ এর আলোকে গঠিত হইয়া কোম্পানী আইন ১৯৯৪ এর আওতায় গত ০৩-০৬- ২০০৭ ইং তারিখে নিবন্ধিত হইয়া সোনালী ব্যাংক লিঃ হিসেবে এর সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ও দায় দায়িত্ব গ্রহণ পূর্বক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করিয়া আসিতেছে। বাদী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ৩৫-৪২, ৪৪ মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা, ঢাকা এবং ইহার একটি শাখা সোনালী ব্যাংক লিঃ রমনা কর্পোরেট শাখা, থানা- পল্টন, জেলা- ঢাকা। ইহা ছাড়া ও বাদীর দেশে ও বিদেশে বহু সংখ্যক শাখা ও সাবসিডিয়ারী অফিস রহিয়াছে।

 

২। ১নং বিবাদী কোম্পানী আইনের আওতায় নিবন্ধিত একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানী। উক্ত কোম্পানী দেশ ও বিদেশ হইতে কাঁচামাল ক্রয়/ আমদানী করতঃ উহা দ্বারা পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানী সংক্রান্ত ব্যবসায় নিয়োজিত একটি শিল্প সম্পৃক্ত ব্যবসায়িক কোম্পানী। ২নং বিবাদী ১নং বিবাদী কোম্পানীর চেয়ারম্যান। ৩নং বিবাদী ১নং বিবাদী কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২-৪নং বিবাদগণ সকলেই ১নং বিবাদী কোম্পনীর পরিচালক এবং ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জামিনদাতা।

 

৩। ২-৪নং বিবাদীগণ ১নং বিবাদী কোম্পানীর নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেন। তৎপর ১নং বিবাদী কোম্পানীর নামে প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করিবার লক্ষ্যে বিবাদীগণ বাদী ব্যাংকের নিকট গত ০৩-১২- ২০০৩ ইং ১৪-১২-২০০৩ এবং ১৫-১২-২০০৩ ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে প্রকল্প ঋণের জন্য আবেদন করেন। বাদী ব্যাংক এদেশের ব্যাংকিং জগতের সর্ববৃহৎ একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান। উক্ত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কোম্পানী, প্রতিষ্ঠান ও সর্ব সাধারণকে ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধা সহ বিভিন্ন প্রকার ঋণদান মারফত আর্থিক ভাবে সাহায্য ও সহযোগীতা প্রদান করিয়া থাকে। এই ক্ষেত্রে বাদী ব্যাংক তাহাদের আবেদন পত্র বিবেচনা করিয়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষেও অনুমোদনক্রমে শাখার গত ০১-০১-২০০৪ইং তারিখে মঞ্জুরী পত্রের মাধ্যমে ৩.১০ কোটি টাকা প্রকল্প ঋণ মঞ্জুরী প্রদান করেন। বিবাদীগণ উক্ত মঞ্জুরীপত্রের সমুদয় শর্তাবলী মানিয়া নিয়া মঞ্জুরীকৃত সমূদয় ঋণ সুবিধা ভোগ করেন।

 

৪। বিবাদীগণ গত ০১-০১-২০০৪ইং তারিখের মঞ্জুরী পত্রের মানিয়া নিয়া উক্ত ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য ‘খ’ তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বাদী ব্যাংকে জমা রাখিয়া রেজিস্ট্রি বন্ধকী দলিল নং ১৯৪ তারিখ ০৫-০১-২০০৪ইং এবং রেজিষ্ট্রি অপরিবর্তনীয় আমমোক্তার নামা দলিল নং ১৯৫ তারিখ ০৫-০১-২০০৪ইং ডিপি নোট, ডিপি নোট ডেলিভারী লেটার, ফরম এ স্পেশাল, ফরম কে স্পেশাল, ফরম এল স্পেশাল, ব্যাক্তিগত জিম্মানামা, হলফনামা, অঙ্গীকারনামা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় চার্জ দলিলাদি সহি সম্পাদন করতঃ ঋণসীমা ভোগ করেন।

 

৫। ৩নং বিবাদী ১০০% রপ্তানীমুখী ১নং বিবাদী কোম্পানী প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করিবার পর বিবাদীগণ পুনরায় ২১-০৮-২০০৪ ইং তারিখের পত্রের মাধমে প্রকল্পের বিদ্যমান দালান সম্প্রসারণ ও নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজনের নিমিত্তে বাদী ব্যাংকের নিকট আবেদন করিলে বাদী ব্যাংক তাহাদের আবেদন পত্র বিবেচনা করিয়া ব্যাংক কর্তৃপক্ষীয় অনুমোদনক্রমে ইহার ২২১১-২০০৪ ইং তারিখের মঞ্জুরীপত্রের মাধ্যমে ৩,০৪,৩৪,০০০/- টাকা ১২ মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ০৬ বছর মেয়াদী মেয়াদী ঋণ মঞ্জুরী প্রদান করেন। বিবাদীগণ মঞ্জুরীপত্রের সমুদয় শর্ত মানিয়া লইয়া মঞ্জুরীপত্রের ঋণ সুবিধা ভোগ করেন।

 

৬। বিবাদীগণের অনুকুলের বৃদ্ধিত প্রকল্প ঋণ সুবিধা পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য বিাদীগণ ‘খ’ তৎসিল ভূক্ত সম্পত্তির মূল দলিলাদি বাদী ব্যাংকে জমা রাখিয়া বাদী ব্যাংকের অনুকুলে রেজিস্ট্রি বহুতী জলিল নং ২৪২৩২ তারিখ ৩০-১১-২০০৪ ইং এবং রেজিস্ট্রি আম মোক্তার নামা দলিল নং ২৪২৫৩ তারিখ ৩০-১১-২০০৪ইং সহি সম্পাদন করিয়া দেন। ইহা ছাড়া পূর্বের বন্ধকীকৃত কা তহসিল ভূক্ত সম্পত্তি উক্ত ঋণের বিপরীতেও বন্ধক বহাল থাকিবার লক্ষ্যে গত ০৭-০৩-২০০৫ ইং তারিখে ডিড অব কন্টিনিউটি দলিল সহি সম্পাদন করিয়া দেন। এবং সকল বিবাদীগণ ব্যাক্তিগত জিম্মানামা ডিপি নোট, ডিপি নোট ডেলিভারী লেটার ইত্যাদি সহ প্রয়োজনীয় চার্জ ভলিলাদী সহি সম্পাদন করতঃ বর্ধিত প্রকল্প ঋণ সুবিধা ভোগ করেন। ।

 

৭। বিবাদী কোম্পানীর প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করিবার পর কোম্পানীল নামে বিদেশ হইতে প্রাপ্ত রপ্তানী এলসি (মাস্টার এল, সি) এর বিপরীতে পোশাক প্রস্তুত করতঃ বিদেশে রপ্তানী করিবার লক্ষ্যে ব্যাক টু ব্যাক এল সি এর মাধ্যমে ফেব্রিক্স এন্ড এক্সেসরিজ আমদানী/ ক্রয়ের জন্য বাদী ব্যাংকের নিকট ২০০৫ ও ২০০৬ সারের বিভিন্ন তারিখের পত্রের মাধ্যমে ব্যাক টু ব্যাক এলসি লিমিট ও প্রিশিপমেন্ট ক্যাশ ক্রেডিট (পি সি) ঋণের জন্য আবেদন করেন। বাদী ব্যাংক বিবাদীগণের আবেদনপত্র বিবেচনা করিয়া গত ২০০৫ ও ২০০৬ সারের বিভিন্ন তারিখে শাখা ব্যবস্থাপকের ব্যবসায়িক ক্ষমতায় ব্যাক টু ব্যাক এলসি লিমিট বাবদ ৩,০০,০০,০০০/- (তিন কোটি) টাকা এবং পিসি লিমিট বাবদ ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা ঋণ মঞ্জুরী প্রদান করেন।

 

৮। বিবাদীগণ মঞ্জুরী পত্রের সমুদয় শর্তাবলী মানিয়া নিয়া ঋণ সুবিধা ভোগ করতঃ বিবাদীগণের প্রাপ্ত মাস্টার এলসির বিপরীতে পোশাক প্রস্তুত করতঃ বিদেশে রপ্তানী করিবার লক্ষ্যে পোশাক প্রস্তুতের কাঁচামাল ফেবিক্স এন্ড এক্সেসরিজ বাদী ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যাক টু ব্যাক এল সি খুলিয়া দেশ/বিদেশ হইতে ক্রয়/আমদানী করিয়া পোশাক প্রস্তুত করতঃ বিদেশে রপ্তানী ব্যবসায় নিয়োজিত থাকে।

 

৯। বিবাদীগণ বর্ষিত ঋণ সুবিধা ভোগ করতঃ প্রকল্প ভবন সম্প্রসারণ ও নতুন মেশিনারিজ আমদানি কবতঃ প্রকল্প স্থাপন করেন। তৎপর বিবাদীগণের অনুকূলে প্রাপ্ত মাষ্টার এলসি এর বিপরীতে পোশাক প্রস্তুত করতঃ রপ্তানী করিবার লক্ষ্যে পোশাক পস্তুতের কাঁচামাল (ফ্রেবিক্স এন্ড এক্সেসরিজ) আমদানী/ ক্রয় করিবার জন্য বিবাদীগণের সহিত দেশী/ বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত প্রফরমা ইনভয়েজ অনুযায়ী মালামাল আমদানী/ ক্রয় করিবার জন্য বাদী ব্যাংকের নিকট ব্যাক টু ব্যাক এর সি খুলিবার জন্য গত ২২-০১-২০০৫, ০৬-১০-২০০৫, ০২- ২০০৬, ০৫-০২-২০০৬ (৩টি) ১৮-০৩-২০০৬ (৪টি), ১৯-০৩-২০০৬ (২টি), ২৮-০৩- ২০০৬, ২০-০৪-২০০৬, ০৭-০৫-২০০৬ (৫টি), ০৪-০৬-২০০৬ (৩টি), ০৫-০৬-২০০৬ (৩টি), ০৭-০৬-২০০৬ (৮টি), ০৮-০৬-২০০৬ (২টি), ২৫-০৬-২০০৬, ১৭-১০-২০০৬, ১৯- ১১-২০০৬ইং তারিখে ও অন্যান্য তারিখের পত্রের মাধ্যমে আবেদন করেন। বিবাদীগণের প্রাপ্ত এক্সপোর্ট এলসি (মাষ্টার এলসি) এর বিবরণ নিম্নে প্রদান করা হইলঃ

 

Serial No. Export L/C No. Dated US $
1. 234.613 29-11-2005 3,30.750.00
2. 1549915 07-09-2005 1,47,561.00
3. 234.614 01-12-2005 1,94,600.00
4. 234.628 12-01-2006 3,25,000.00
5. FIMOLUA06070001 14-03-2006 27,900.00
6. FIMOLUA06070002 14-03-2006 2,47,500.00
7. 053306L100024 09-03-2006 1,67,010.80
8. LC06/0095 18-04-2006 2,38,700.00
9. LC06/0097 21-04-2006 2,69,500.00
10. LC06/0098 21-04-2006 3,11,850.00
11. 00001LCC0605941 30-05-2006 2,27,500.00
12. 234956 29-05-2006 185,250,00
13. 234.957 29-05-2006 1,97,830.00
14. LC06/0147 05-06-2006 2,62,500.00
15. LC06/146 05-06-2006 34,500.00
16. LC06/0148 05-06-2006 3,85,000.00
17. 411370701025 26-07-2006 1,27,363.53
18. L:C06/0328 15-11-2006 3,51,000.00

 

এক্ষেত্রে বাদী ব্যাংক বিবাদীগণের আবেদনপত্র বিবেচনা করিয়া তাহাদেরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করিবার সৎ উদ্দেশ্যে বিবাদীগণের প্রাপ্ত উপরোক্ত মাষ্টার এলসির বিপরীতে পোষাক প্রস্তুতের কাঁচামাল (ফেরিক্স ও এক্সেসোরিজ) আমদানী/ ক্রয়ের জন্য দেশী/বিদেশী প্রতিষ্ঠানের সহিত বিবাদীগণের মধ্যে সম্পাদিত ফরমা ইনভেয়েস অনুযায়ী ১নং বিবাদী কোম্পানীর অনুকূলে বাদী ব্যাংক কর্তৃক নিম্নোক্ত ব্যাক টু ব্যাক এর সি খোলা হয়।

Serial No. Back to Back Dated US $
01. 033306040188 22-01-2006 9,600.0000

 

১০ এক্সেসোরিজ ও অনুসাঙ্গিক সামগ্রী আমদানী/ক্রয় করিবার জন্য খোলা হয়। উক্ত এলসি সমূহে আমদানীকৃত/ ক্রয়কৃত ফেবিক্সস্ ও এক্সেসোরিজ ও আনুসাঙ্গিক সামগ্রীর মূল্য উক্ত মালামাল জাহাজীকরণের দলিলাদী গ্রহণ/ট্রাক রিসিপ্ট গ্রহণের তারিখ হইতে এলসিতে বর্ণিত নির্ধারিত দিনের মধ্যে পরিশোধের শর্ত আরোপ থাকে। অন্যথায় মালামাল সরবরাহকারী ব্যাংক আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং বাণিজ্য নীতি অনুসারে ব্যাংকের মাধ্যমে তাহাদের সহিত রক্ষিত বাদী ব্যাংকের হিসাব ডেবিট পূর্বক বিল মূল্য মালামাল সরবরাহকারীকে পরিশোদের ক্ষমতা রাখে। উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র গুলির মূল্য সুদাসলে পরিশোধ নিমিইরবার জন্য বিবাদীগণ বাদী ব্যাংকের বরাবরে প্রতিটি ব্যাক টু ব্যাক ঋণ পত্রের বিপরীতে এপ্লিকেশন এগ্রিমেন্ট ফর ইরিভোকেবল লেটার অব ক্রেডিট সহি সম্পাদন করিয়া দেন।

 

১১ । উপরোক্ত ব্যাক টু ব্যাক এলসি অনুযায়ী বিদেশী/ দেশীয় মালামাল সরবরাহকারীগণ মালামাল জাহাজীকরণ করিয়া/ বিবাদীগণের প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করিয়া জাহাজী দলিলাদী/ চালান রশিদসহ বিল মূল্য বাদী ব্যাংকে প্রেরণ করেন। বিবাদীগণ জাহাজী দলিলাদী গ্রহণে সম্মতি প্রদান করেন। বাদী ব্যাংক উক্ত জাহাজী দলিলাদি চালান রশিদ সমূহ যাচাই করিয়া বিল অব এক্সচেঞ্জ ও ডেলিভারী চালানে বিবাদী কর্তৃক গ্রহণের বিষয়টি অবহিত হয় এবং তৎপ্রেক্ষিতে উক্ত বিলের বিপরীতে মালামাল সরবরাহকারীগন ব্যাংকে এলসি শর্তানুসারে নির্ধারিত দিন মেয়াদান্তে বিল মূল্য পরিশোধের নিমিত্তে একসেপটেন্স প্রদান করেন। বিবাদীগণ আমদানীকৃত/ ক্রয়কৃত মালামাল তাদের বন্ডেড ওয়ান হাইজে উত্তোলন করেন। তৎপর বিবাদীগণ বিভিন্ন ব্যাক টু ব্যাক এল সি এর বিপরীতে আমদানীকৃত মালামাল দ্বারা পোষাক পস্তুত করতঃ জাহাজী করণের লক্ষ্যে আণুষাঙ্গীক ব্যয় নির্বাহের জন্য বাদী ব্যাংকের নিকট ১৫-১০-২০০৬ইং ও সর্বশেষ ১১-০১- ২০০৯ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে প্রিশিপমেন্ট ক্যাশ ক্রেডিট ঋণের জন্য আবেদন করেন। বাদী ব্যাংক তাহাদের আবেদন পত্র বিবেচনা করিয়া বিভিন্ন তারিখে মোট ২,৫০,০০,০০০/- টাকা প্রিশিপমেন্ট ক্যাশ ক্রেডিট ঋণ প্রদান করেন। কিন্তু বিবাদীগণ ব্যাক টু ব্যাক এলসি এর মাধ্যমে আমদানীকৃত/ক্রয়কৃত ফেবিক্সস্ ও এক্সসোরিজ দ্বারা পোষাক প্রস্তুত করতঃ রপ্তানী না করিয়া এবং আমদানীকৃত বিল মূল্য ব্যাংকে পরিশোধ না করিয়া অসৎ উদ্দেশ্যে আমদানীকৃত মালামাল আত্মসাৎ করেন।

 

১২। বিবাদীগণ রপ্তানী এলসি শর্ত মোতাবেক নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে পোষাক পস্তুত করতঃ রপ্তানী করিতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং রপ্তানী এলসি এর বিপরীতে বিল মূল্য প্রত্যাবাসিত না হয় বাণিজ্য নীতি অনুসারে বাদী ব্যাংক ১নং বিবাদীর ঋণ হিসাবে নিফাক্ত ব্যাক টু ব্যাক এলসি এর বিপরীতে সর্বশেষ মেয়াদ পূর্তীতে বিল মূল্য পরিশোধের পরে নিম্নোক্তভাবে ফোর্সড ঋণ/ পিএডি ঋণ) সৃষ্টি করতঃ মালামাল সরবরাহকারী বিল মূল্য পরিশোধ করেন।

ক্রমিক নং ব্যাক টু ব্যাক নং এবং তারিখ পি এ পি নং এবং ফোসর্ড লোন সৃষ্টির তারিখ সৃষ্ট ফোসর্ড লোনের পরিমাণ (মাঃ ডলার)
01. 033306040188

dt: 22-01-2006

03-10-2006 9,600.00

 

02. 033306040183

dt: 09-10-2005

25-09-2006

 

31,024.50

 

03. 033306040185

dt: 22-01-2006

09-08-2006

 

14,066.90

 

04. 033306040180

dt: 22-01-2006

03-10-2006

 

65,000.00

 

05. 033306040182

dt: 22-01-2006

01-10-2006

 

10,757.25

 

06. 033306040181

dt: 22-01-2006

03-10-2006 17,000.12

 

07. 033306040299

dt: 30-01-2006

08-08-2006

 

9,000.00

 

08. 033306040411

dt: 07-02-2006

03-10-2006 1,91,000.00
09. 033306040915

dt: 07-02-2006

 

08-08-2006

 

9,000.00

 

10. 033306040412

dt: 07-02-2006

03-10-2006

 

14,382.90

 

 

উপরোক্ত ভাবে ১নং বিবাদী কোম্পানীর নামে ফোর্সড ঋণের দায় সৃষ্টি করিয়া দেশীয়/ বৈদেশিক মালামাল সরবরাহকারীগণের বিল মূল্য পরিশোধ করা হয়। কিন্তু বিবাদীগণ পোষাক প্রস্তুত করতঃ পোষাক রপ্তানী করিবার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয় এবং বাদী ব্যাংকের সুদসহ পাওনা টাকা পরিশোধ করা হইতে বিরত থাকেন। তৎপর বাদী ব্যাংকের পক্ষ হইতে ইহার পাওনা পরিশোধ করিবার জন্য বিবাদীগণের বরাবরে বিভিন্ন তারিখের পত্রের মাধ্যমে পি সি ঋণ এবং ব্যাক টু ব্যাক এলসির ঋণের বিপরীতে সৃষ্ট ফোর্সড লোনের টাকা পরিশোধের জন্য তাগিদ প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে ১-২নং বিবাদী ইহার ১৫-১০-২০০৬, ১৫-০৮-২০০৭, ১৪-১০-২০০৮, ২৩-১২-২০০৮ এবং ১১-০১-২০০৯ ইং তারিখে পত্রের মাধ্যমে বিদ্যমান প্রকল্প ঋণ, সৃষ্ট ফোর্সড লোন ও পিসি হিসাবের বকেয়া ১২ বছর মেয়াদে পরিশোধের লক্ষ্যে দুসবাদী রক্ত হিসাবে স্থানান্তর পূর্বক পুণঃতফসিলী করণের অনুরোধ করেন। কিন্তু ব্যাংকিং নিয়ম অনুযায়ী ডাউন পেমেন্ট এর টাকা কয়েকটি চেকের মাধ্যমে বিবাদীগণ প্রদান করেন কিন্তু উক্ত চেক নগদায়ানের জন্য পেশ করা হইলে চেক সমূহ নগদায়ন না হইয়া ফেরত আসে। অপরদিকে বর্ধিত ঋণের জন্য সহায়ক জামানতের কাগজাদী দাখিল করিবার জন্য বিবাদীগণকে অনুরোধ করিলে বিবাদীগণ সঠিক কাগজদী দাখিল না করায় বাদী গণ ১৩-০৭-২০০৯, ২০-০৭-২০০৯, ০৭-০৩-২০১০, ২৮-০৭-২০১১ ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে বন্ধকীকৃত সম্পত্তির দলিলাদিও ঘাটতি তথদি ও চেকের টাকা পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু বিবাদীগণ কোনরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বাদী ব্যাংক পুনরায় তাদেরকে ০১- ০৬-২০১০, ১৮-১০-১০-২০১০ ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে উক্ত বিষয় নিয়ে ব্যাংকে কর্তৃপক্ষেও সহিত আলাপ আলোচনা করার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু বিবাদীগণ কর্তৃপক্ষেও সহিত আলাপ আলোচনা করার জন্য উপস্থিত হন নাই। বিবাদীগণ ব্যাংকিং নিয়মানুযায়ী ডাউন পেমেন্ট এর টাকা প্রদান সহ প্রয়োজনীয় কাগজাদী ব্যাংকে জমা প্রদান করতঃ ঋণ পুনঃতফসিলীর জন আবেদন না করায় তাহাদের আবেদন বিবেচনা করা সম্ভব হয় নাই। তথাপিও বিবাদীগণ পুনরায় ১৪/০৮/২০০১ ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে ডাউন পেমেন্ট বাবদ প্রদত্ত চেকের টাকা নগদায়নের জন্য ব্যবস্থা না করিয়া পুনরায় ঋণ পুনঃতফসিলীর জন্য আবেদন করে। বাদী ব্যাংক পুনরায় ইহার ২১-০৮-২০১১ ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডাউন পেমেন্ট জমা প্রদান এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি/তথ্যদিসহ পুর্নাঙ্গ প্রস্তাব পেশ করার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু বিবাদী কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করিতে সম্পূর্ণ ভাবে ব্যর্থ হন।

 

১৩। তৎপর বাদী ব্যাংক ইহার গত ২৪-০৫-২০১১ইং তারিখের পত্রের মাধ্যমে বকেয়া টাকা পরিশোধ করিবার জন্য অনুরোধ জানান এবং স্টকলটকৃত মালামাল পরিদর্শনের জন্য ব্যাংক প্রতিনিধিকে সহযোগিতা করিবার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু বিবাদীগণ বকেয়া কিস্তির টাকা পরিশোধ না করিয়া ব্যাংকের পাওনা টাকা আত্মসাৎ করিবার সৎ উদ্দেশ্য তাহাদের গোডাউনে স্টকলটের মালামাল অবৈধভাবে আত্মসাৎ করিয়াছে। বাদী ব্যাংক বিবাদীর গোডাউনে রক্ষিত স্টকলট কৃত মালামাল পরিদর্শণ করিবার জন্য ১৩-১২-২০১০ইং তারিখে ব্যাংকের প্রতিনিধি প্রেরণ ফরেন। বিবাদীগণ বাদী ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে মালামাল পরিদর্শনের জন্য সহযোগিতা না করায় তাহারা মালামাল পরিদর্শন না করিয়া ফেরত আসেন। ইহাতে সুস্পষ্ট ভাবেই প্রমাণিত হয় যে, বিবাদীগণের গোডাউনে স্টকলটকৃত মালামার নাই বিধায়ই বাদী ব্যাংকের পরিদর্শক দলকে

গোডাউন পরিদর্শনের কোন সুযোগ সৃষ্টি করিয়া দেন নাই।

 

১৪। বিবাদীগণকে বারংবার পত্রের মাধ্যমে, ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে, টেলিফোনের মাধ্যমে এবং নোটিশের মাধ্যমে সুদসহ পাওনা পরিশোধ করিবার জন্য অনুরোধ করা স্বত্বেও বিবাদীগণ বাদী ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ না করায় বাদী ব্যাংকের পাওনা আদায়ের উদ্দেশ্যে বিবাদীগণের বরাবরে গত ২৪-০৫-২০১১ইং তারিখের চূড়ান্ত নোটিশ এবং ০৯-০৬-২০১১ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু বিবাদীগণ উক্ত নোটিশ প্রাপ্ত হওয়ার পরও বাদী ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করায় বাদী ব্যাংক বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রয় করিবার জন্য গত ১৯-১০-২০১১ইং তারিখে “দৈনিক সমকাল” পত্রিকায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু কোন দওদাতা নিলাম ডাকে অংশ গ্রহণ না করায় তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি বিক্রয় পূর্বক পাওনা টাকা বয় করা সম্ভব না হওয়ায় বিবাদীগণের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের ভিন্ন পাওনা টাকা আদায়ের অন্যকোন উপায়ান্তর না দেখিয়া বিবাদীগণের বিরুদ্ধে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য অত্র মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হইলেন

 

১৫। বাদী ব্যাংক ইহার ৩১/১২/২০১১ ইং তারিখ পর্যন্ত বিবাদীগণের নিকট বিভিন্ন ব্যাক টু ব্যাক এলসির বিপরীতে ফোর্সড লোন ঋণ বাবদ সুদসহ ৫৯,৭২,৯৪,৮১৭/- টাকা পাওনা রহিয়াছে এবং পি সি ঋণের বিপরীতে ৪,৬৫,২৪,৫৯৯ টাকা পাওনা রহিয়াছে। ১নং বিবাদী প্রতিষ্ঠানের নামে গৃহীত উপরোক্ত ঋণ সুদ সহ পরিশোধ নিশ্চিত করিবার জন্য ব্যক্তিগত দায় ও দায়িত্ব স্বীকার করিয়া ২নং বিবাদী বাদী ব্যাংকের বরাবরে ব্যক্তিগত গ্যারান্টি ও অঙ্গীকারনামা প্রদান করিয়াছেন বিধায় ১নং বিবাদীসহ ২-৪ নং বিবাদীগণ সুদ সহ সমুদয় ঋণের টাকা পরিশোধ করিতে আইনতঃ বাধ্য।

 

১৬। অত্র মোকদ্দমার কারণ প্রথম উদ্ভব হয় ১নং বিবাদী কোম্পানীর পক্ষে ২নং বিবাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাদী ব্যাংক ১নং বিবাদী কোম্পানীর অনুকূলে যখন প্রকল্প ঋণ এবং বিএমআরই ঋণ মঞ্জুরী প্রদান করেন তৎপর বিবাদীগণ যখন উক্ত ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতঃ ভোগ করেন কিন্তু মঞ্জুরী পত্রের শর্ত অনুযায়ী কিস্তির টাকা পরিশোধ করিতে যখন ব্যর্থ হন। তৎপর বিবাদীগণ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে বাদী ব্যাংক যে যে তারিখে ব্যাক টু ব্যাক এল সি লিমিট এবং প্রি-শিপমেন্ট ক্যাশ ক্রেডিট লিমিট মঞ্জুরী প্রদান করেন। তৎপর বিবাদীগণ ব্যাক টু ব্যাক যখন ঋণ পত্র খুলিয়া ফেব্রিক্স ও এক্সেসরিজ আমদানী/ক্রয় করেন। কিন্তু যখন রপ্তানী এলসির শর্ত মোতাবেক আমদানীকৃত/ক্রয়কৃত মালামার দ্বারা পোষাক প্রস্তুত করত: রপ্তানী করিতে ব্যর্থ হন। তৎপর যে যে তারিখের ঋণ পত্রের মেয়াদের মধ্যে মালামাল সবরাহকারী বিল মূল্য ১-৪ নং বিবাদীগণ পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হন। তৎপর যখন ১নং বিবাদী কোম্পানীর হিসাবে ফোর্সড লোন সৃষ্টি করত: বাদী ব্যাংক যে যে তারিখে মালামাল সরবরাহকারীর বিল মূল্য পরিশোধ করে। তৎপর যে যে তারিখে বিলমূল্য পরিশোধসহ প্রকল্প ঋণের টাকা পরিশোধ করা হইতে বিরত থাকে। তৎপর বাদী ব্যাংক যখন বন্ধকীকৃত সম্পত্তি বিক্রয় চেষ্ঠা করিয়া ঋণের টাকা সমন্বয় করিতে ব্যর্থ হয় তৎপর সর্বশেষ ০৯-০৬-২০১১ ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশের মেয়াদ শেষান্তে প্রতিদিন অত্র আদালতের এলাকাধীন শাহবাগ থানায় উদ্ভব হইয়া অদ্যাবধি বিদ্যমান রহিয়াছে।

 

১৭। অত্র আদালতের এলাকা ও কোর্ট ফি নির্ণয়ার্থে স্বত্বের দলিল গচ্ছিত নালিশী বিধায় “ক” তফসিল বর্ণিত মং- ৭৬,০৯,৫৯,৩৯৯/- টাকার উপর সর্বোচ্চ ৫০,০০০.০০ টাকার কোর্ট ফি মাননীয় আদালতে অত্র আরজির সহিত দাখিল করা হইল।

 

১৮। এমতাবস্থায় বাদী ব্যাংক মাননীয় আদালতের নিকট নিম্নরূপ ডিক্রী প্রদানের প্রার্থনা করিতেছিঃ-

 

(ক) বিবাদীগণের বিরুদ্ধে দাবীকৃত “ক” তফসিল বর্ণিত ৩১-১২-২০১১ ইং তারিখ পর্যন্ত বাদী  ব্যাংকের পাওনা ৭৬,০৯,৫৯,৩৯৯/- টাকা আদায়ের ডিক্রী দিতে বা ঐ টাকা পরিশোধের জন্য  আদালত কর্তৃক নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে ১৩% হারে সুদসহ ডিক্রীর তারিখ পর্যন্ত আর যে টাকা সুদ  উদ্ভব হয় ঐ সম্পূর্ণ টাকা আদায়ের ডিক্রী দিতে এবং সম্পূর্ণ টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐ হারে  সুদ আদায় করিবার ডিক্রী দিতে।

 

(খ) ০১-০১-২০১২ ইং তারিখ হইতে আদালত কর্তৃক নিদিষ্ট তারিখের মধ্যে ১২% হারে সুদসহ ডিক্রীর তারিখ পর্যন্ত আর যে টাকা সুদ উদ্ভব হয় ঐ সম্পূর্ণ টাকা আদায়ের ডিক্রী দিতে এবং সম্পূর্ণ  টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত ঐ হারে সুদ আদায় করিবার ডিক্রী দিতে।

 

(গ) বাদীর নালিশ পাওনা সুদসহ আদায় না হইলে বিবাদীর অন্যান্য বা নিজ নামীয় বা বেনামীয় ও নিজ নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তি বিক্রয় পূর্বক সম্পূর্ণ টাকা আদায়ের ডিক্রী দিতে।

 

(ঘ) আদালত অন্যান্য যে সমস্ত প্রতিকার ন্যায় ও আইন সঙ্গত মনে করিবেন বাদীর অনুকুরে সই  সমস্ত ডিক্রী দিতে।

 

(ঙ) মোকদ্দমার খরচ এর ডিক্রী দিতে।

 

তফসিল

৩১-১২-২০১১ ইং তারিখ পর্যন্ত বাদী ব্যাংকের পাওনা নিম্নরূপঃ

 

০১। প্রকল্প ঋণ বাবদ

মূল ঋণ টাকা ৫,৮৩,৩১,৮৫০/-
সুদ বাবদ (৩০-০৯-২০০৭ইং হইতে ৩১-১২-২০১১ইং পর্যন্ত) টাকা ৬,২৩,২২,১৮৬/-
অন্যান্য খরচ টাকা ৩৭,৭৮,৫৩২/-
মোট টাকা ১২,৪৪,৩২,২৫৬/-
পরিশোধিত (-) টাকা

 

৭২,৯২,৫৮৫/-

 

পাওনা টাকা ১১,৭১,৩৯,৯৮৩/-

 

কথায়ঃ এগারো কোটি একাত্তর লক্ষ্য উনচল্লিশ হাজার নয়শত তিরাশি টাকা মাত্র।

 

০২। ব্যাক টু ব্যাক ঋণ পত্রের বিপরীতে পিএডি (ফোর্সড) লোন বাবদ

মূল ঋণ টাকা ৩১,১৬,৩৫,১১৬/-
সুদ বাবদ (৩০-০৯-২০০৭ইং হইতে ৩১-১২-২০১১ইং পর্যন্ত) টাকা ২৯,৮৬,৫৭,০১৭/-
অন্যান্য খরচ টাকা ৬৭,৪৫৫/-
মোট টাকা ৬১,০৩,৫৯,৫৮৫/-
পরিশোধিত (-) টাকা ১,৩০,৬৪,৭৬৮/-
পাওনা টাকা ৫৯,৭২,৯৪,৮১৭/-

 

কথায়: উনষাট কোটি বাহাত্তর লক্ষ্য চুরানব্বই হাজার আটশত

 

০৩। ৩১-১২-২০১১ইং তারিখ পর্যন্ত প্রিশিপমেন্ট ঋণ বাবদ

প্রিশিপমেন্ট ঋণ বাবদ টাকা  ২,২৪,০০,০০০/-
সুদ বাবদ (১৫-০৫-২০০৬ইং হইতে ৩১-১২-২০১১ইং পর্যন্ত) ২,৬৮,৬০,২৬০/-
অন্যান্য খরচ টাকা ৩৬,৭৪,৫৬১/-
মোট টাকা ৫,০১,৯৯,১৬০/-
পরিশোধিত (-) টাকা ১,৩০,৬৪,৭৬৮/-
পাওনা টাকা ৪,৬৫,২৪,৫৯৯/-

 

কথায়: চার কোটি পয়ষট্টি লক্ষ চব্বিশ হাজার পাঁচশত নিরানব্বই টাকা মাত্র।

 

মোট টাকা (১১,৭১,৩৯,৯৮৩/-+৫৯,৭২,৯৪,৮১৭/-+৪,৬৫,২৪,৫৯৯/-)=৭৬,০৯,৫৯,৩৯৯/-

কথায়ঃ ছিয়াত্তর কোটি নয় লক্ষ ঊনষাট হাজার তিনশত নিরানব্বই টাকা মাত্র।

 

তফসিল

০১। জেলা- গাজীপুর, থানা- সাবরেজিস্ট্রি অফিস- গাজীপুর সদরাধনি, গাজীপুর কালোক্টরীর ২৭নং তৌজিভুক্ত, ৫১৯ নং মৌজা সারাবস্থিত, সাবেক ০৬, এস এ ১৭, আর এস ১৭ নং খতিয়ান ভুক্ত সাবেক ৪৭৫নং আরএস ৭৩২ নং দাগে ০৩ একর নাল জমির কাতে ০১ একর সম্পত্তি ও তদস্থিত ভবনাদি ও যন্ত্রপাতি এবং স্টকলিস্টসহ সম্পত্তির যাবতীয়।

চৌহদ্দিঃ উত্তরে- হাছেন আলী গং, দক্ষিণে- আটলান্টিক নিটিং কোম্পানী লিমিটেড, পূর্বে-কফিলউদ্দিন চেয়ারম্যান, পশ্চিমে- আটলান্টিক নিটিং কোম্পানী লিমিটেড এর জমি।

 

০২। জেলা- গাজীপুর, থানা- সাবরেজিস্ট্রি অফিস- গাজীপুর সদরধীন, গাজীপুর কালোক্টরীর ২৭নং তৌজিভুক্ত, ৫১৯ নং মৌজা সারাবন্তিত, সাবেক ০৬, এস এ ১৭, আরএস ১৭ খতিয়ান ভূক্ত সাবেক ৪৭৫নং, আর এস ৭৩২ নং দাগে ০২ একর নাল জমির কাতে ১১ শতাংশ নাল সম্পত্তি ও তদস্থিত ভবনাদি ও যন্ত্রপাতি এবং স্টকলিস্টসহ সম্পত্তির যাবতীয়।

 

চৌহদ্দিঃ উত্তরে- আটলান্টিক নিটিং কোম্পানী লিমিটেড, দক্ষিণে-আটলান্টিক নিটিং কোম্পানী লিমিটেড, পূর্বে- সুমিস সোয়েটোর লিমিটেড, পশ্চিমে- রাস্তা।

 

ফিরিস্তিঃ

 

০১। ঋণের জন্য বিবাদীর আবেদনপত্র তারিখঃ-০৩-১২-২০০৩, ১৪-১২-২০০৩, ১৫-১২-২০০৩, ও ২১-০৮-২০০৪ইং

০২। ঋণ মঞ্জুরী পত্র, তারিখঃ ০১-০১-২০০৪, ও ২২-০৮-২০০৪ইং

০৩। ব্যাক টু ব্যাক এর সি খোলার ও এমেন্ডমেন্ট করার আবেদন পত্র এবং এলসি সংক্রান্ত কাগজাদি।

০৪। বাদী ব্যাংকের পত্র।

০৫। ব্যক্তিগত জিম্মানামা- তারিখঃ ১০-০১-২০০৪

০৬। আন্ডারটেকিং তারিখঃ- ১০-০১-২০০৪, ০৭-০৩-২০০৫।

০৭। চার্জ দলিলাদি- তারিখঃ-১০-০১-২০০৪, ০৭-০৩-২০০৫।

০৮। ঋণ পরিশোধের তাগিদ পত্র তারিখঃ- ১৩-০৭-২০০৯, ২০-০৭-২০০৯, ০৭-০৩-২০১০, ০১- ২৪-০৫-২০১১ইং। ০৬-২০১০, ১৮-১০-২০০৬, ২৮-০৭-২০১১, ০৫-০৪-২০১১, ০৮-০৫২০১১, ২১-০৮-২০১১,

০৯। স্টকলিস্ট মালামাল সম্পর্কে তথ্য অবহিতকরণের পত্র তারিখঃ- ১৩-১২-২০১০ইং

১০। পরিদর্শন রিপোর্ট

১১। লিগ্যাল নোটিশ তারিখঃ- ০৯-০৬-২০১১ইং

১২। হিসাব বিবরণী।

 

হলফনামা

 

আমি মোঃ মিরন মিয়া, পিতা- মরহুম আবুল কাসেম মিয়া, এ,জি,এম, সোনালী ব্যাংক লি, রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা, বয়সঃ ৫২ বৎসর, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- চাকুরী, জাতীয়তা- বাংলাদেশী।

 

আমি এই মর্মে হলফ করিয়া বলিতেছি যে,

 

১। আমি উক্ত মামলার তদবীর কারক।

 

২। আমি মামলা বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবহিত আছি। উপরোক্ত লিখিত বর্ণনা সঠিক ও সত্য জানিয়া অত্র আদালতের হলফনামা কমিশনারের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া অদ্য ২৭-৩-২০১২ ইং তারিখে বেলা ১০.০০ ঘটিকার সময় অত্র হফলনামা নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম।

 

——————–

হলফকারীর স্বাক্ষর

 

উপরোক্ত ব্যক্তি আমার সম্মুখে হলফনামায় স্বাক্ষর করিয়াছে আমি তাহাকে সনাক্ত করিলাম।

 

—————–

এ্যাডভোকেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *