কোর্ট ম্যারেজ হলফনামা

কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য নিম্নলিখিতভাবে কোর্ট ম্যারেজ হলফনামা (Court marriage affidavit) সম্পাদন করতে হবে।

 

বিস্মিল্লাহির রহমানির রাহীম

মাননীয় নোটারী পাবলিক এর আদালত, ঢাকা, বাংলাদেশ।

-:কোর্ট ম্যারেজ:-

 

আমরা, ১ম পক্ষঃ মোঃ মিজানুর রহমান সুজন, পিতা- মোঃ আঃ সাত্তার মোল্লা, মাতা- মমতাজ বেগম, সাং- পুরাতন ধুসুরিয়া, পো:- ঝিটকা, থানা- হরিরামপুর ও জেলা- মানিকগঞ্জ। বয়স- ২১ বৎসর, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- ব্যবসা।

 

২য় পক্ষ: তানিয়া সুলতানা, পিতা- মৃত হামিদ খান, মাতা- সুফিয়া বেগম, সাং- গুপিনাথপুর চরপাড়া, পো:- ঝিটকা, থানা- হরিরামপুর ও জেলা- মানিকগঞ্জ। বয়স ১৮ বৎসর, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, ধর্ম- ইসলাম, পেশা- গৃহিনী।

 

পরম করুনাময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নাম স্মরণ করিয়া অতঃপর নবী করিম (সাঃ) এর প্রতি শতকোটি দুরুদ ও সালাম জানাইয়া এই মর্মে আমরা উভয়ে যৌথভাবে হলফনামা মূলে অঙ্গীকার ও শপথপূর্বক ঘোষণা করিতেছি যে,

 

১। আমরা হলফকারী/হলফকারীনিদ্বয় জন্মসূত্রে বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা ও নাগরিক বটে।

 

২। আমরা হলফকারী/হলফকারীনিদ্বয় উভয় সাবালক/সাবালিকা বিধায় আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভালমন্দ চিন্তা ভাবনা করার যথেষ্ট জ্ঞান আমাদের আছে এবং যে কোন প্রকার হলফ করার আইনগত অধিকারী বটে।

 

৩। আমরা হলফকারী ও হলফকারীনি দীর্ঘদিনের পরিচয়ের সুবাদে পরস্পরের সহিত কথাবার্তা, চাল-চলন, আচার-আচারণ ও আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ঘনিষ্টভাবে পরিচিত হই ও একে অপরকে ভালভাবে চিনি ও জানি। আমাদের এই চিনা-জানা, কথা-বার্তা ও চলাফেরার মাধ্যমে আমাদের মধে মহান আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত পবিত্র ভালোবাসার জন্ম নেয়।

 

৪। আমি ১ম পক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান সুজন ঘোষনা করিতেছি যে, উক্ত দ্বিতীয় পক্ষ তানিয়া সুলতানা এর বিনয়, ভদ্রতা, নম্নতা, মার্জিত, আচার-আচরণ ও ব্যক্তিত্বের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া তাহাকে মনে প্রাণে ভালোবাসিয়া ফেলি এবং সেও আমাকে মনে প্রাণে ভালোবাসিয়া আসিতেছে।

 

৫। আমি ২য় পক্ষ তানিয়া সুলতানা আরো ঘোষণা করিতেছি যে, মোঃ মিজানুর রহমান সুজন এর সহিত দীর্ঘদিন যাবৎ ঘনিষ্ঠ হইবার সুবাদে তার উত্তম চারিত্রিক গুণাবলীর প্রতি আকৃষ্ট হইয়া তাহাকে মনে প্রাণে ভালোবাসিয়া ফেলি এবং সেও আমাকে মনে প্রাণে ভালোবাসিয়া আসিতেছে। আমাদের পরস্পরের আচার ব্যবহার, চলাফেরা, উঠাবসা, চেহারা ব্যক্তিত্ব পরস্পরকে মুগ্ধ করিয়াছে এবং আমাদের ভালোবাসা এতই গভীরতা লাভ করিয়াছে যে, একজন ভিন্ন অন্যজন একদিনের জন্যও কিছু ভাবতে পারিনা। আমাদের বিবাহ না হইলে আমাদের জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হইবে এবং আমরা আরোও ঘোষণা করিতেছি যে, আমাদের মধ্যে পবিত্র বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপিত হইলে আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হইবে এবং আমরা সুখে শান্তিতে ঘর- সংসার করিতে পারিব।

 

৬। আমরা উভয় ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা আমাদের পবিত্র ভালোবাসাকে দীর্ঘ ও স্থায়ী রুপদানের নিমিত্তে পরস্পর পরস্পরের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইবার সিদ্ধান্তে উপনিত হইয়া একে অপরকে বিবাহ করার প্রস্তাব করিলে একে অপরকে প্রস্তাবের সম্মত হইয়াছি ও সুস্থির করিয়াছি। সেমতে অদ্য ০৫-০৫-২০০৯ ইং তারিখে ঢাকাস্থ জজ কোর্ট মাননীয় নোটারী পাবলিকের আদালতে স্বয়ং উপস্থিত হইয়া অত্র বিবাহের হলফনামা সহি সম্পাদন করিয়া পরসম্পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলাম।

 

৭। অদ্য হইতে আমরা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে সর্বত্র সর্বাবস্থায় পরিচিত হইব এবং ইসলামিক শরা- শরীয়ত মোতাবেক ঘর-সংসার করিব ও একজন অন্যজনের সুখে-দুঃখে আজীবন পাশাপাশি থাকিব।

 

৮। আমি ২য় পক্ষ হলফকারীনি তানিয়া সুলতানা, আরো ঘোষণা করিতেছি যে, আমি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে এবং কাহারো প্ররোচনায় ছাড়া অত্র বিবাহের হলফনামা সম্পাদন করিলাম। যদি ভবিষ্যতে আমরা পরিবার কেহ আমার উক্ত স্বামীসহ কাহারো নামে কোন প্রকার অভিযোগ আনেন তাহা আইন সম্মত গ্রহণযোগ্য হইবে না।

 

৯। আমি ১ম পক্ষ হলফকারী মোঃ মিজানুর রহমান সুজন, ২য় পক্ষ তানিয়া সুলতানাকে স্ত্রী হিসাবে আজীবন মর্যাদা দিব এবং আমার স্ত্রীকে কোনরুপ কষ্ট দিব না।

 

১০। আমাদের অত্র বিবাহ আমাদের উভয়ের সম্মতিতে এবং স্বেচ্ছায় সম্পাদিত হইল। অদ্য বিবাহে কোন পক্ষ কর্তৃক কোনরুপ জোর জবরদস্তি করা হয় নাই।

 

১১। আমাদের উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে আমাদের অত্র বিবাহের মোহরানা ৩,০০,০০১/- (তিন লক্ষ এক) টাকা মাত্র ধার্য করা হইল। মাসিক খোরপোষ ভদ্রোচিত হারে প্রদান করিব।

 

১২। আমরা উভয়ে আরো ঘোষণা করিতেছি যে, আমাদের উক্ত বিবাহের ব্যাপারে যদি আমাদের মা- বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয় স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী যে কেহ কোন প্রকার আপত্তি করে তবে উহা সর্ব আইন আদালতে অগ্রাহ্য ও বাতিল বলিয়া গন্য হইবে।

 

উপরোক্ত বর্ণনা আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সম্পূর্ণ সত্য ও নির্ভুল  জানিয়া, পড়িয়া, বুঝিয়া এবং অত্র হলফনামার যাবতীয় বর্ণনা অবগত  হইয়া অদ্য ঢাকাস্থ জজ কোর্টে মাননীয় নোটারী পাবলিকের আদালতে  উপস্থিত হইয়া আমাদের নিজ নিজ নাম সহি সম্পাদন করিলাম।

 

 

(হলফকারী/হলফকারীনিদ্বয়ের স্বাক্ষর)

 

উপরোক্ত হলফকারী/হলফকারীনিদ্বয় আমার পরিচিত। তাহারা আমার  সম্মুখে হাজির হইয়া সহি করিলে পর আমি তাহাদের সনাক্ত করিলাম।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *