চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমার আর্জি

চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমার আর্জি।

 

মোকাম: ৬ষ্ঠ সহকারী জজ আদালত, ঢাকা 

দেওয়ানী মোকদ্দমা নম্বর ১১২/২০২৪

হায়াত বেপারী জামে মসজিদ,

৭১ নং ঋষিকেশ দাস রোড, থানা-সূত্রাপুর, জেলা ও শহর-ঢাকা

পক্ষে তদিয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম,

পিতা মৃত মোঃ হিরাচান সরদার,

৬৬/১ ঋষিকেষ দাস রোড, থানা-সূত্রাপুর, জেলা-ঢাকা।

————–বাদী।

 

=বনাম=

 

আশরাফ উদ্দিন আহাম্মেদ,

পিতা মৃত-আব্দুল মোতালেব মিয়া,

৭২ নং ঋষিকেশ দাস রোড,

থানা-সূত্রাপুর, জেলা ও শহর-ঢাকা

—————বিবাদী।

 

চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা।

মোকদ্দমার তায়দাদঃ-১০০০/ (এক হাজার) টাকা।

 

বাদীর বিনীত নিবেদন এই যে,

 

১। ঢাকা শহরের অপর নাম মসজিদের শহর। ঢাকা শহরে বর্তমানে মসজিদের সংখ্যা কত তাহার সঠিক হিসাব হয়তবা সিটি কর্পোরেশনের নিকটও নাই। তবে ঢাকা শহর প্রতিষ্ঠিত হইবার পর পরই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তৎকালীন মুসলমানগণ তাহাদের স্ব স্ব মহল্লায় মসজিদ নির্মাণে আগাইয়া আসেন। ইতিহাস গ্রন্থ হইতে জানা যায় জনৈক হায়াত ব্যাপারী বর্তমান হৃষিকেষ দাস রোডে তাহার নিজ নামে অর্থাৎ “হায়াত ব্যাপারী জামে মসজিদ” নাম দিয়া ১৬৬৪ খ্রীষ্টাব্দে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন এবং পরবর্তীতে বাংলার তৎকালীন সুবেদার উক্ত মসজিদে প্রায় ১০০ (একশত) বিঘা সম্পত্তি দান করেন।

 

২। পরবর্তীতে বিভিন্ন ভূমি দস্যু মসজিদের উক্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি গ্রাস করিতে থাকিলে উক্ত সম্পত্তি হ্রাস পাইতে পাইতে সি. এস. জরীপ আমলে আসিলে মসজিদের নামে সি. এস. খতিয়ান নম্বর ৮৫৫৯ এবং সি. এস, দাগ নম্বর ১০৩ এবং জমির পরিমাণ মাত্র ৯৭৬ অযুতাংশ আসিয়া দাঁড়ায়।

 

৩। বর্ণিত মসজিদের নামে সি. এস. খতিয়ানে জমির পরিমাণ ৯৭৬ অযুতাংশ হইলেও পরবর্তীতে এস. এ. জরীপ আমলে আসিলে মসজিদের নামে এস. এ. খতিয়ান নম্বর ১৫৪৪ এবং এস. এ. দাগ নম্বর ৩১৪৭ এবং জমির পরিমাণ হ্রাস পাইয়া ৪০৮ অযুতাংশ হয় যাহা পরবর্তীতে আর. এস. খতিয়ান নম্বর ৩৪৫০ এবং আর. এস. দাগ নম্বর ৪৭৩৭ এবং জমির পরিমাণ ৪০৮ অযুতাংশ উক্ত মসজিদের নামে লিপিবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর জরীপ আমলে আসিলে বর্ণিত মসজিদের নামে মহানগর খতিয়ান নম্বর ৬৯ এবং দাগ নম্বর ২৩০০ এবং জমির পরিমাণ ৬০০ অযুতাংশ হিসাবে উক্ত খতিয়ানটি প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।

 

৪। উলেখ্য, অত্র আরজীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিসহ আরও কতিপয় সম্পত্তি উহার প্রকৃত মালিকের নিকট হইতে খরিদ সূত্রে মালিক দখলকার ছিলেন খান বাহাদুর কাজী আব্দুর রশিদ এবং তিনি উক্ত সম্পত্তিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় স্ত্রী মোসাম্মৎ জিবুনন্নেছা ৩ (তিন) পুত্র যথাক্রমে (ক) কাজী আব্দুর রশিদ, (খ) কাজী আব্দুল আউয়াল ও (গ) কাজী আব্দুস ছারও য়ার আমিনুর রশিদ এবং ১ (এক) কন্যা জোবেদা মমতাজ আরা বেগমকে তাহার একমাত্র ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া পরলোক গমন করেন।

 

৫। পরবর্তীতে বর্ণিত কাজী আব্দুর রশিদগং তাহাদের পিতার ত্যজ্য বিত্তে মুসলিম উত্তারিধকার আইন অনুযায়ী স্ব স্ব অংশে এজমালিতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহারা তাহাদের স্ব স্ব ভোগ দখলের সুবিধার্থে তাহাদের সমুদয় সম্পত্তি ঘরোয়া আপোষ বণ্টনে মৌখিকভাবে বণ্টন করিয়া লইলে অত্র আরজীর তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি যাহা অতঃপর অত্র আরজীতে নালিশী সম্পত্তি বলিয়া উলেখে হইবে উক্ত সম্পত্তি বর্ণিত কাজী আব্দুর রশিদ এর কন্যা বর্ণিত জোবেদা মমতাজ আর বেগম এর ছাহাম প্রাপ্ত হয়।

 

৬। বর্ণিত জোবেদা মমতাজ আরা বেগম তাহার ছাহাম প্রাপ্ত সম্পত্তিতে তাহার নিজস্ব ও একক মালিকানায় ভোগ দখলে থাকাবস্থায় এস. এ. জরীপ আমলে আসিলে তাহার নামে এস. এ. খতিয়ান নম্বর ১৫৪২ এবং দাগ নম্বর ৩১৪৪ উলেেেখ তাহার অপর সহ-শরীকদের সহিত বর্ণিত এস. এ. খতিয়ানটি সঠিক ও শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়। বলা আবশ্যক, একইভাবে বিগত ঢাকা সিটি জরীপ আমলে আসিলে তাহার নামে মহানগর খতিয়ান নম্বর ১৮৭৯ এবং দাগ নম্বর ২৩০১ এবং ২৩০৩ উলেেেখ বর্ণিত ঢাকা সিটি জরীপ খতিয়ানটি সঠিক ও শুদ্ধরূপে প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।

 

৭। উলেখ্য, বর্ণিত জোবেদা মমতাজ আরা রহমান ব্যক্তি জীবনে ধর্মভীরু এবং দানশীলা ছিলেন। তিনি অত্র আরজীর ১-৩নং পরিচ্ছেদে বর্ণিত হায়াৎ বেপারী জামে মসজিদের নিজস্ব সম্পত্তি হ্রাস পাইবার বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে জানিয়া/দেখিয়া তিনি খুবই ব্যথিত হন এবং অত্র আরজীর ৬নং পরিচ্ছেদে উলেিেখত এস. এ. ১৫৪২ খতিয়ানের ৩১৪৪ দাগের ১৩৫ অযুতাংশ সম্পত্তি উক্ত মসজিদের বরাবরে দান করিয়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অতঃপর বর্ণিত জোবেদা মমতাজ আরা রহমান কর্তৃক বিগত ০৭/০৩/১৯৮৪ তারিখে সম্পাদিত এবং জিলা ঢাকার জেলা রেজিস্ট্রার এর অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত ২৩২৭ নম্বর দানপত্র দলিল মূলে বর্ণিত ১৩৫ অযুতাংশ সম্পত্তি অর্থাৎ বর্তমান মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি বাদী হায়াত বেপারী জামে মসজিদের বরাবরে যাহা ৭১নং ঋষিকেশ দাস রোডে অবস্থিত উহার বরাবরে দান করতঃ দানকৃত নালিশী সম্পত্তির খাস দখল বাদীর বরাবরে বুঝাইয়া দিয়া চিরতরে নিঃস্বত্ববান হন।

 

৮। উলেখ্য বাদী উপরে বর্ণিত বর্ণনা অনুযায়ী তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া তাহার তাহার নিজ স্বত্ব প্রচারে এবং অন্যের স্বত্ব অস্বীকারে ভাবৎ দুনিয়ার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধ দখল জনিত স্বত্বে দ্বাদশ বর্ষের বহু উর্দ্ধকাল যাবৎ বাদী মসজিদের অজুখানা, মৃত ব্যক্তির লাশের গোসল দেওয়া এবং অবশিষ্ট জায়গায় সকাল বেলা ছোট ছেলে মেয়েদের মক্তব হিসাবে ইসলামী তালিম দেওয়ার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করিয়া আসিতেছেন। তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে কিম্বা উহার কোন অংশে বিবাদীর কিংবা অন্য কাহারও কোন স্বত্ব স্বার্থ মালিকানা কিম্বা দখলাধিকার কোন দিনও ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি বাদী মসজিদ এর নিজস্ব সম্পত্তি। বলা আবশ্যক, বাদী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি সম্পর্কে তাহার নামে নামজারী জমাভাগ করিবার প্রার্থনায় ৩৯৭৯/১২ নম্বর মিস কেস দায়ের করিয়াছেন যাহা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।

 

৯। উল্লেখ্য, অত্র মোকদ্দমার বিবাদী একজন ভূমি দস্যু। তিনি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কতিপয় দলিল সৃজন করিয়া নালিশী খতিয়ান ও দাগের কিছু সম্পত্তি তাহার নামে যোগসাজসীভাবে নামজারী জমাভাগ করাইতে সক্ষম হইলে বাদী তাহা জানিতে পারিয়া উহার বিরুদ্ধে মিস কেস নম্বর ১৪/২০১১ দায়ের করিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে তদন্ত করিবার জন্য জনৈক সার্ভেয়ারকে নির্দেশ দেন। ফলে তদন্তকারী সার্ভেয়ার সাহেব সরেজমিনে তদন্ত করিয়া এই মর্মে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন যে, “উক্ত নামজারী ও জমাভাগ কেস নথিতে সংযুক্ত দলিল সৃজনকৃত জাল দলিল দ্বারা নামজারী কেস মঞ্জুর করেন এবং দাখিলকৃত ঢাকা সিটি জরিপের ২২০৮নং খতিয়ান অত্রাফিসের রেকর্ডের সাথে কোন মিল নেই মর্মে প্রতিয়মান” মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বলা আবশ্যক, উক্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার ভূমি বিবাদীর নামীয় নামজারী জমাভাগ কেস নম্বর ৪৯৩৮/০৯-১০ এর আংশিক নামজারী বাতিল করিয়া দেন। বলা আবশ্যক, বিবাদীর সম্পূর্ণ নামজারী বাতিল না করায় অত্র বাদী উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে জিলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঢাকা বরাবরে ১৬২/২০১১ নম্বর মিস আপিল দায়ের করিয়াছেন যাহা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।

 

১০। উল্লেখ্য, বিবাদী উপরিউক্তভাবে তাহার নামে নামজারী জমাভাগ করইয়া লইলে এবং পরবর্তীতে উক্ত নামজারী বিষয়ে উপরিউক্ত আদেশ হইলে বিবাদী বাদীর স্বত্ব দখলীয় অপর কিছু সম্পত্তি যাহা বাদী মসজিদ এর বরাবরে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন হইতে লীজ প্রদান করা হইয়াছে উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে বাদীর বিরুদ্ধে অাদালতে দেওয়ানী ২৮৮/২০১১ নম্বর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা দায়ের করেন। বলা আবশ্যক, উক্ত মোকদ্দমার বাদী বিবাদীর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দিয়া শুনানী করিলেও অদ্যাবধি কোন আদেশ হয় নাই। তাহাছাড়া, বিবাদী উক্ত লীজকে অবৈধ ঘোষনার প্রার্থনায় ঢাকার ১ম যুগ্ম জিলা জজ আদালতে দেওয়ানী ৯৪২/২০১১ নম্বর ঘোষনা মূলক মোকদ্দমা দায়ের করিয়াছেন যাহা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।

 

১১। উল্লেখ্য, পূর্বেই বলা হইয়াছে যে, অত্র মোকদ্দমার বিবাদী একজন ভূমি দস্যু। তিনি জাল জালিয়াতি মূলে কতিপয় দলিল সৃজন করিয়া অত্র বাদী মসজিদের সম্পত্তি গ্রাস করিবার চেষ্টা করিয়া আসিতেছে এবং উহার ধারাবাহিকতায় বিবাদী তাহার অনুগত গুন্ডা পান্ডা লইয়া বিগত ১১/০৬/২০১২ তারিখে অত্র আরজীর তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে জোর পূর্বক প্রবেশ করিয়া বাদীকে বে-দখল করিবার চেষ্টা করিলে স্থানীয় জনসাধারণ বিবাদীকে বাঁধা প্রদান করিলে তিনি নালিশী সম্পত্তির দখল লইতে ব্যর্থ হইয়া ফিরিয়া যান এবং যাইবার কালে এই মর্মে হুমকী দিয়া যান যে অদ্য ফিরিয়া গেলেও তিনি অচিরেই আরও লোকজন লইয়া তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তির দখল লইবেন। ফলে বাদী পক্ষে সূত্রাপুর থানায় বিগত ১১/০৬/২০১২ তারিখে ৩৭৬ নম্বর জি. ডি. এন্ট্রি করেন। ফলে থানা কর্তৃপক্ষ জনৈক এস. আই. মনির হোসেন মোল্লাকে দ্বায়িত্ব দেন। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত হইয়া পক্ষদ্বয়ের দলিল দস্তাবেজ লইয়া ১৩/০৬/১২ তারিখে থানায় যাইতে বলেন। অতঃপর বাদী পক্ষে সংশ্লিষ্ট দলিল দস্তাবেজ লইয়া থানায় গেলে তিনি বাদীর দলিল দেখিয়া বিবাদীকে তাহার তথাকথিত দাবী পরিত্যাগ করিতে বলেন। কিন্তু তিনি তাহাতে কর্ণপাত না করিয়া তাহার গায়ের জোরে নালিশী সম্পত্তি দখল করিবেন মর্মে হুমকী দেন। অতঃপর এস. আই, মনির মোল্লা সাহেব বাদীর সাধারণ সম্পাদক সাহেবকে বলেন যে, যেহেতু পক্ষদ্বয়ের বিরোধটি একটি দেওয়ানী বিরোধ সেইহেতু তাহারা যেন উক্ত বিষয়টি দেওয়ানী আদালতে যাইয়া আদালত হইতে নিষেধাজ্ঞার আদেশ আনায়ন করিতে সচেষ্ট হন। তাহা না হইলে তাহারা পক্ষদ্বয়ের মধ্যে কোন খুন খারাবী হইলে তাহা প্রতিহত করিতে পারিবে না।

 

১২। উল্লেখ্য, যেহেতু নালিশী সম্পত্তিতে কিম্বা উহার কোন অংশে বিবাদীর কিম্বা তাহার তথাকথিত পূর্ববর্তীর কাহারও কোন স্বত্ব স্বার্থ মালিকানা কিম্বা দখলাধিকার কোন দিনও ছিল না এবং বর্তমানেও নাই। প্রকৃত পক্ষে বিবাদী যদি তাহার গায়ের জোরে নালিশী সম্পত্তির দখল লইতে আসেন তাহা হইলে দূর্দান্ত ও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল বিবাদীকে কিম্বা তাহার অনুগত লোকজনকে বাঁধা দিতে গেলে পক্ষদ্বয়ের মধ্যে দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধিয়া খুন জখম হইবার সমুহ সম্ভাবনা থাকিবে। তাই দূর্দান্ত ও অবাধ্য বিবাদীকে তাহার বে-আইনী কার্য্য কলাপ প্রতিহত করিবার নিমিত্তে বাদী অত্রাকারে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রীর প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিলেন।

 

১৩। মোকদ্দমার কারণঃ-বিবাদী তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তি হইতে বাদীকে বেদখল করিয়া উহার দখল লইবার জন্য বিগত ১১/০৬/২০১২ তারিখে আক্রমণ করিলে অত্র মোকদ্দমার কারণ সর্ব প্রথম উদ্ভব হয় এবং পরিশেষে বিগত ১৩/০৬/১২ তারিখে থানায় বসিয়া মিমাংসা ভাঙ্গিয়া গেলে এবং বিবাদী ঐ দিন নতুন করিয়া বাদীকে নালিশী সম্পত্তি হইতে বে-দখল করিবার হুমকী দিলে অত্র মোকদ্দমার কারণ অত্রাদালতের এক্তিয়ারাধীন সূত্রাপুর থানার অর্ন্তগত তফসিল বর্ণিত নালিশী সম্পত্তিতে উদ্ভব হইয়া এখনও বিদ্যমান আছে।

 

১৪। মোকদ্দমার মূল্যায়নঃ– যেহেতু বর্তমান মোকদ্দমাটি একটি চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মোকদ্দমা এবং যাহার মূল্য নির্ধারনের কোন ষ্ট্যান্ডার্ড নিয়ম নাই। সেইহেতু বাদীর প্রার্থীত প্রতিকারের মূল্য =১,০০০/ (এক হাজার) টাকা ধার্য্য করিয়া ধার্য্যকৃত মূল্যের উপর অ্যাডভেলোরেম কোর্ট ফি =৩০০ (তিনশত) টাকা প্রদান করিয়া বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল।

 

অতএব বাদীর বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়া,

 

(ক) নালিশী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে কিম্বা উহার কোন অংশে বিবাদী কিংবা তাহার অনুগত লোকজন জোর পূর্বক প্রবেশ করিয়া কিম্বা অন্য কোন ভাবে  প্রবেশ করিয়া বাদীকে বে-দখল করিতে না পারে কিম্বা তাহার শান্তিপূর্ণ ভোগ  দখলে কোন প্রকাশ বাঁধা-বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে না পারে তদমর্মে নালিশী সম্পত্তি  সম্পর্কে বাদীর অনুকুলে এবং বিবাদীর প্রতিকুলে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রী  দিতে;

 

এবং

 

(খ) মোকদ্দমার অবস্থায় ও ব্যবস্থা মতে বিজ্ঞ আদালতের ন্যায় বিচারে বাদী অন্য কোন প্রকার প্রতিকার প্রাপক হইলে তাহাও প্রদানের ডিক্রী দিতে;

 

এবং

 

(গ) মোকদ্দমার যাবতীয় খরচ বাদীর অনুকুলে এবং বিবাদীর প্রতিকুলে প্রদানের  ডিক্রী দিতে মর্জি হয়।

 

নালিশী সম্পত্তির তফসিলঃ

জিলা ঢাকার থানা সূত্রাপুর অধীন মৌজা সূত্রাপুরস্থিত সিট নম্বর-৪ যাহার এস. এ. খতিয়ান নম্বর ১৫৪২ এস. এ. দাগ নম্বর ৩১৪৪ যাহার আর, এস. খতিয়ান নম্বর ২০৩২ আর, এস, দাগ নম্বর ৪৭৪১ যাহার ঢাকা সিটি জরীপ খতিয়ান নম্বর ১৮৭৯ সিটি জরীপ দাগ নম্বর যথাক্রমে ২৩০১ এবং ২৩০৩ জমির পরিমাণ ০৪১৫ উহার কাতে ১৩৫ অযুতাংশ সম্পত্তি অত্র মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি যাহার চৌহদ্দিঃ-উত্তরেঃ-রাস্তা ও খান বাহাদুর সাহেবের বাড়ী, দক্ষিনেঃ-নালিশী এস. এ. দাগের চিহ্নিত ভূমি যাহা জোবায়দা মমতাজ আরার নিকট হইতে আব্দুল গাফফারের ক্রয়কৃত সম্পত্তি, পূর্বেঃ- খান বাহাদুর সাহেবের বাড়ী যাহা ১০২ দাগের সম্পত্তি এবং পশ্চিমেঃ-বর্তমানে ইউনিক পলি প্রডাক্টস এর কারখানা যাহার স্বত্বাধিকারী মোঃ সাজিদুর রহমান। অত্র চৌহদ্দিভূক্ত সম্পত্তি-ই অত্র মোকদ্দমার নালিশী সম্পত্তি বটে যাহার জন্য বাদী বর্তমান চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার ডিক্রীর প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিয়াছেন।

 

সত্যপাঠঃ-

অত্র আরজীর সকল বর্ণনা আমার জ্ঞান এবং বিশ্বাস মতে সত্য  জানিয়া উহার সত্যতা স্বীকারে বাদীর সাধারণ সম্পাদক  হিসাবে অত্র সত্যপাঠে নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম। ইতি  তারিখঃ- ২১/০৬/১২ খ্রীষ্টাব্দ।

 

———————

মোঃ তাজুল ইসলাম

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *