টাকা আদায়ের মোকদ্দমার আর্জি (Money Suit)

টাকা আদায়ের মোকদ্দমার আর্জি (Money Suit):

 

 

মোকাম: ১ম যুগ্ম জিলা জজ আদালত, ঢাকা।

মানি মোকদ্দমা নম্বর- ১২০/২০২৪

কে-লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড

(যাহা চৌধুরী গ্রুপ অফ কোম্পানীর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান),

পক্ষে তদিয় চেয়ারম্যান, বদরুল আলম চৌধুরী,

পিতা মরহুম-বদিউল আলম চৌধুরী,

সাকিন-২৩/ক, নিউ ইস্কাটন রোড, থানা-রমনা, ঢাকা-১০০০

——————-বাদী।

 

-বনাম-

 

মোঃ হারুনর রশিদ,

পিতা-নূরুদ্দিন,

সাকিন-মিয়াপাড়া, থানা ও জেলা-জামালপুর,

হালে-১১৪১ ডি. এম. এস. ভেলী,

নূরের চালা, থানা-বাড্ডা, জেলা-ঢাকা।

——————–বিবাদী।

 

টাকা আদায়ের মোকদ্দমা,

টাকার পরিমাণঃ-=২৩,০০,০০০/ (তেইশ লক্ষ) টাকা।

 

বাদী পক্ষে বিনীত নিবেদন এই যে,

 

১। বাদী “কে-লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড” চৌধুরী গ্রুপ অফ কোম্পানীর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। চৌধুরী গ্রুপ অফ কোম্পানী একাধিক কোম্পানীর সমন্বয়ে একটি বহুমূখী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। যাহার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বদরুল আলম চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আলম চৌধুরী। বর্ণিত আসিফ আলম চৌধুরী বদরুল আলম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র।

 

২। বাদী কোম্পানীর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর সহিত বিবাদী মোঃ হারুনর রশিদ এর কোন একটি কাজের মাধ্যমে পরিচয় ঘটিলে বিবাদী তাহাকে একজন বি. এস. সি. সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং এন. এ. পি. এইচ. কনসালটেন্সী ফার্মের প্রোপ্রাইটর এবং নাফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হিসাবে বাদী কোম্পানীর চেয়ারম্যান জনাব বদরুল আলম চৌধুরীর নিকট এবং কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আসিফ আলম চৌধুরীর নিকট পরিচয় দেন।

 

৩। উল্লেখ্য, বাদী কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ আলম চৌধুরী গুলশান থানাধীন সাবেক ভোলা সামাইর মৌজার রোড নম্বর-৮১, হোল্ডিং নম্বর-১১/এ, ১১/বি দাগ নম্বর যথাক্রমে ২৮১, ২৮২ এবং ২৮৩ হইতে মোট ৬.৭৫ কাঠা সম্পত্তি ২৮/০৬/২০০৭ তারিখের ১৬৭৯৭ নম্বর সাফ কবলা দলিল মূলে উহার তৎকালীন মালিক দখলকার জনৈক আব্দুল আজিজ শেখের নিকট হইতে উপযুক্ত মূল্যে খরিদ করতঃ খরিদ সূত্রে মালিক দখলকার নিয়ত হইয়া তাহার নামীয় সাইন বোর্ড দিয়া এবং সীমানা চিহ্নিত দেওয়াল দিয়া নিরাপত্তা প্রহরীদের জন্য টিনশেড নির্মাণ করিয়া নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ করতঃ ভোগ দখল করিতে থাকেন।

 

৪। পরবর্তীতে আসিফ আলম চৌধুরী লোক মুখে শুনিতে পান যে তাহার খরিদা সম্পত্তি না- কি রাজউক এর মালিকানাধীন এবং তিনি যাহার নিকট হইতে উক্ত সম্পত্তি খরিদ করিয়াছেন তাহাদের নামে মালিকানার দলিল পর্চা থাকিলেও উক্ত সম্পত্তির মালিক রাজউক। প্রসঙ্গতঃ আসিফ আলম চৌধুরী কিম্বা তাহার পিতা বদরুল আলম চৌধুরী কেহই সম্পত্তির মালিকানার দলিল দস্তাবেজ কিম্বা পর্চা সম্পর্কে কিম্বা সম্পত্তি সংক্রান্ত অন্যান্য কাগজপত্র সম্পর্কে তাহাদের তেমন কোন ধারণা না থাকায় তাহারা উক্ত বিষয়টি কথা প্রসঙ্গে বিবাদী হারুনর রশিদ এর সহিত আলোচনা করিলে বিবাদী উক্ত দলিল দস্তাবেজ ও কাগজপত্র দেখিতে চান। অতঃপর তাহারা (চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক) বিবাদীর দলিল দস্তাবেজ ও কাগজপত্র সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা দেখিয়া তাহাকে উক্ত সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট দলিল দস্তাবেজ ও পর্চা দেখাইলে তিনি উহা দেখিয়া উক্ত সম্পত্তি সম্পত্তি সম্পর্কে যাহা কিছু করা দরকার তাহা তিনি করিয়া দিতে পারিবেন অর্থাৎ তিনি তাহাদিগকে বলেন যে যেহেতু উক্ত সম্পত্তির ঢাকা সিটি জরীপও কোনরূপ আপত্তি ব্যতিরেকেই ব্যক্তির নামে প্রস্তুত হইয়াছে সুতরাং উক্ত সম্পত্তি কোন ক্রমেই রাজউকের হইতে পারে না মর্মে তাহাদিগকে জানান এবং উক্ত দলিল দস্তাবেজ ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তিনি সঙ্গে লইয়া যান। কয়েক দিন পর বিবাদী বাদী কোম্পানীর উল্লেখিত ঠিকানার অফিসে আসিয়া তাহাদিগকে জানান যে তিনি রাজউক এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহিত যোগাযোগ করিয়া আসিয়াছেন এবং তাহাদের উক্ত সম্পত্তি রাজউক এর সহিত যে কোন ধরণের বিরোধই থাকুক না কেন তিনি (বিবাদী) রাজউক হইতে উক্ত সম্পত্তি নিষ্কন্টক করিয়া দিতে পারিবেন তবে উহার বিনিময়ে তাহাকে (বিবাদীকে) ৪০ (চল্লিশ) লক্ষ টাকা দিতে হইবে এবং তিনি যদি উক্ত বিরোধ সমাধান করিয়া উক্ত সম্পত্তি নিষ্কন্টক করিয়া দিতে না পারেন তাহা হইলে তিনি উক্ত সমুদয় টাকা ফেরৎ প্রদান করিবেন। বলা আবশ্যক, যেহেতু উক্ত সম্পত্তিটি একটি মূল্যবান সম্পত্তি সেইহেতু তাহারা উভয়ই বিবাদীর কথায় সরল বিশ্বাসে বিগত ১৭/১১/২০০৮ তারিখে বিবাদীকে এককালীন ৩৫,৬৮,০০০/ টাকা প্রদান করেন এবং বিবাদী উক্ত টাকা বাদী কোম্পানীর চেয়ারম্যান বদরুল আলম চৌধুরীর নিকট হইতে তাহার স্ব-হস্তে লিখিত একটি সাদা কাগজে টাকা প্রাপ্তীর এবং কাজ করিতে না পারিলে ফেরৎ প্রদানের অঙ্গীকারে অঙ্গীকারাবদ্ধ হইয়া দস্তখত প্রদান পূর্বক উক্ত টাকা গ্রহণ করেন। বলা আবশ্যক, অবশিষ্ট টাকা বিবাদী পরবর্তীতে গ্রহণ করেন।

 

৫। পরবর্তীতে বিবাদী কাজের অগ্রগতি হইতেছে মর্মে জানাইয়া কোম্পানীর চেয়ারম্যান বদরুল আলম চৌধুরীর সহিত যোগাযোগ রক্ষা করিয়া চলেন এবং অবশিষ্ট ৫,৩২,০০০/ টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০৯ সালের মাঝামাঝি সময় হইতে বিবাদী তাহাদিগকে এড়াইয়া চলিতে থাকেন। বলা আবশ্যক, ইত্যবসরে আসিফ আলম চৌধুরী জােিত পারেন যে, তাহার খরিদা সম্পত্তি যাহার নিকট হইতে খরিদ করা হইয়াছে কিম্বা যাহাদের নামে উক্ত সম্পত্তি সম্পর্কে ঢাকা সিটি জরীপে রেকর্ড হইয়াছে প্রকৃতপক্ষে তাহারা উক্ত সম্পত্তির মালিক ছিলেন না যেভাবেই হোক ঢাকা সিটি জরীপে তাহারা তাহাদের নামে রেকর্ড করাইতে সক্ষম হইলেও প্রকৃতপক্ষে উক্ত সম্পত্তি অনেক পূর্বেই রাজউক একটি এল. এ. কেসের মাধ্যমে হুকুম দখল করায় উক্ত সম্পত্তির মালিক রাজউক এবং উক্ত সম্পত্তি কোনক্রমেই রাজউক তাহার অনুকূলে ছাড়িবে না।

 

৬। অতঃপর আসিফ আলম চৌধুরী বিবাদীর সহিত যোগাযোগ করিতে চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া তাহার লোক দিয়া বিবাদীকে তাহাদের অফিসে ডাকাইয়া আনিলে বিভিন্ন জিজ্ঞাসাবাদে বিবাদী তাহার প্রতারনার কথা স্বীকার করেন এবং অনতি বিলম্বে তিনি তাহার গৃহীত টাকা ফেরৎ প্রদানের অঙ্গীকার করেন। বলা আবশ্যক, বিবাদীকে টাকা পরিশোধের ব্যাপারে যে কোন ধরণের একটি ডকুমেন্টারী এভিডেন্স চাহিলে বিবাদী তাহার লোক দিয়া তাহার অফিস হইতে তাহার নাফ কনসালটেন্সী ফার্মের নামীয় ব্রাক ব্যাংকের হিসাব নম্বর ১৫১২২০০৫২৪৯২১০০১ এর চেক নম্বর CBL 1001038 খারা =২৩,০০,০০০/ (তেইশ লক্ষ) টাকার একটি চেক যাহা অত্র আরজীর তফসিলে দেখানো হইল উহা বিবাদী বাদীর নামে অর্থাৎ বাদী কে-লাইন বাংলাদেশ লিঃ এর নামে প্রদান করেন এবং উক্ত চেকটি নির্দ্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা দিলে ক্যাশ হইবে মর্মে তাহাকে আশ্বস্ত করেন। বলা আবশ্যক, বাদী কোম্পানী তাহার সাউথ ইষ্ট ব্যাংক ইস্কাটন শাখায় চেকটি জমা দিলে ব্রাক ব্যাংক মতিঝিল শাখা হইতে Insufficient Fund উল্লেখে চেকটি বিগত ২৬/১০/২০১০ তারিখে ফেরৎ আসে।

 

৭। উপরিউক্ত বর্ণনা অনুযায়ী তফসিল বর্ণিত চেকটি ফেরৎ আসিলে উক্ত ফেরৎ আসার বিষয়টি বাদীর চেয়ারম্যান বিবাদীকে টেলিফোনের মাধ্যমে অবহিত করিলে বিবাদী কোম্পানীর কার্যালয়ে আসিয়া জনাব বদরুল আলম চৌধুরী এবং আসিফ আলম চৌধুরীকে বিবাদীর বিরুদ্ধে এখনই কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করিবার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন এবং অনতি বিলম্বে বিবাদী তাহার গৃহীত সমুদয় টাকা তাহাদিগকে ফেরৎ প্রদান করিবেন। ফলে তাহারা বিবাদীর প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া বিবাদীর বিরুদ্ধে এন, আই, অ্যাক্টের অধীনে কোন নোটিশ প্রদান করেন নাই কিম্বা অন্য কোন আইনগত পদক্ষেপও গ্রহণ করেন নাই।

 

৮। বিবাদী তাহার একটি বড় বিল যাহা একটি কোম্পানীর নিকট পাওনা আছে উক্ত বিল পাইলেই সে তাহার গ্রহণকৃত সমুদয় টাকা এককালীন ফেরৎ প্রদান করিবেন মর্মে কেবলই সময় লইতে থাকেন এবং এইভাবে সময় লইতে লইতে চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হইয়া গেলে এক পর্যায়ে ২০১১ সনের মার্চ মাসের শেষের দিকে বিবাদী সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করিয়া দেন। এমনকি বিবাদীর বাসার ঠিকানায় কিম্বা তাহার অফিসের ঠিকানায় যোগাযোগ করিয়াও তাহাকে না পাইয়া এমনকি তাহার টেলিফোন সব সময় বন্ধ পাইয়া এবং অনেক খোঁজা-খুঁজি করিয়াও বিবাদীর কোন সন্ধান না পাইয়া বিবাদী যে ইচ্ছাকৃতভাবে কোম্পানীর নামে দেওয়া চেকের টাকা আত্মসাত করিবার অসৎ উদ্দেশ্যে তাহার হিসাবে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা স্বত্বেও তিনি তফসিল বর্ণিত চেকটি প্রদান করিয়াছেন এবং বর্তমানে আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তজ্জন্যই উহার চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহিত যোগাযোগ বন্ধ করিয়া দিয়াছেন তাহা অনুধাবন করিতে পারিয়া জনাব বদরুল আলম চৌধুরী বিগত ১৬/০৪/২০১১ তারিখে আমাদের সময় পত্রিকায় “এই প্রতারকের সন্ধান দিন” ছবিসহ একটি বিজ্ঞাপন দিতে বাধ্য হন। বলা আবশ্যক, উক্ত বিজ্ঞাপন প্রদান করিবার পরও বিবাদী তফসিল বর্ণিত চেকে উল্লেখিত টাকা কোম্পানীকে ফেরৎ প্রদান করেন নাই কিম্বা ফেরৎ প্রদানের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই।

 

৯। উল্লেখ্য, বিবাদী বাদীর চেয়ারম্যান এর নিকট হইতে বিবাদীর নিজ হস্তে লিখিত যে শর্তে তফসিল বর্ণিত টাকা গ্রহণ করিয়া ছিলেন বিবাদী যেহেতু তাহার প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী বাদীকে কাজ করিয়া দিতে পারেন নাই সেইহেতু বিবাদী তাহার গৃহীত সমুদয় টাকা ফেরৎ প্রদান করিতে বাধ্য। কিন্তু যেহেতু বিবাদী ইচ্ছাকৃতভাবে উক্ত টাকা ফেরৎ প্রদান করিতেছেন না এবং ভবিষ্যতেও করিবেন বলিয়া বাদীর নিকট প্রতীয়মান হইতেছে না সেইহেতু বাদী উক্ত টাকা আদায়ের নিমিত্তে অত্রাকারে টাকা আদায়ের মোকদ্দমা দায়ের করিতে বাধ্য হইলেন।

 

১০। উল্লেখ্য, বদরুল আলম চৌধুরী বাদী কে- ইন বাংলাদেশ লিমিটেড এর এবং একই সঙ্গে চৌধুরী গ্রুপ অফ কোম্পানীর চেয়ারম্যান হওয়ায় এবং বিবাদী কে-লাইন বাংলাদেশ লিমিটেড এর নামে নালিশী তফসিল বর্ণিত চেকটি প্রদান করায় উহার চেয়াম্যান হিসাবে বদরুল আলম চৌধুরীর মাধ্যমে বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল।

 

১১। উল্লেখ্য, বিবাদী অত্র আরজীতে উল্লেখিত ৪০,০০,০০০/ (চল্লিশ লক্ষ) টাকা গ্রহণ করিলেও উক্ত টাকার মধ্যে তফসিল বর্ণিত নালিশী চেক দ্বারা চেকে উল্লেখিত ২৩,০০,০০০/ (তেইশ লক্ষ) টাকা আদায়ের নিমিত্তে বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিলেন এবং অবশিষ্ট টাকা আদায়ের জন্য পৃথকভাবে অন্য মোকদ্দমা দায়ের করিবেন।

 

১২। মোকদ্দমার কারণঃ-বিবাদী কর্তৃক তফসিল বর্ণিত চেকটি বিগত ২৬/১০/১০ তারিখে Insufficient Fund উল্লেখে ফেরৎ আসিবার তারিখে অত্র মোকদ্দমার কারণ অত্রাদালতের এলাকাধীন রমনা থানার অর্ন্তগত সাউথ ইষ্ট ব্যাংক লিঃ ইস্কাটন শাখায় বাদী কোম্পানীর হিসাবে ফেরৎ আসিবার তারিখে উদ্ভব হইয়া এখনও বিদ্যমান আছে।

 

১৩। মোকদ্দমার মূল্যায়ণঃ– যেহেতু বর্তমান মোকদ্দমাটি একটি টাকা আদায়ের মোকদ্দমা সেইহেতু বর্তমান মোকদ্দমার মূল্য ২৩,০০,০০০/ (তেইশ লক্ষ) টাকা হওয়ায় উক্ত টাকার উপর ভ্যাটসহ অ্যাডভেলোরেম তথা সর্ব্বোচ্চ কোর্ট ফি ৫৭,৫০০/ (সাতান্ন হাজার পাঁচ শত) টাকার অ্যাডভেলোরেম কোর্ট ফি প্রদান করিয়া বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করা হইল এবং কোর্ট ফি উত্তোলনের মূল চালানের মূল কপি অত্রসহ দাখিল করা হইল।

 

অতএব বিনীত প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া করিয়াঃ-

 

(ক) তফসিল বর্ণিত নালিশী চেকে উল্লেখিত =২৩,০০,০০০/ (তেইশ  লক্ষ) টাকা বাদীর বরাবরে পরিশোধের নিমিত্তে বাদীর অনুকূলে এবং  বিবাদীর প্রতিকূলে ডিক্রী দিতে;

 

(খ) বিবাদী যদি ডিক্রীর মর্মমতে তফসিল বর্ণিত নালিশী চেকে উল্লেখিত টাকা নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধ না করেন তাহা হইলে  বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক উক্ত টাকা আদায়ের নিমিত্তে বাদীর অনুকূলে  এবং বিবাদীর প্রতিকূলে ডিক্রী দিতে;

 

(গ) মোকদ্দার অবস্থা ও ব্যবস্থা মতে বিজ্ঞ আদালতের ন্যায় বিচারে বাদী অন্য কোন প্রকার প্রতিকার প্রাপক হইলে তাহাও প্রদানের ডিক্রি  দিতে;

 

(ঘ) মোকদ্দমার যাবতীয় খরচ বাদীর অনুকূলে এবং বিবাদীর প্রতিকূলে  প্রদানের ডিক্রি দিতে মর্জি হয়।

 

তফসিলঃ

বিবাদী কর্তৃক তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নাফ কনসালটেন্সী ফার্মের নামীয় ব্রাক ব্যাংকের হিসাব নম্বর ১৫১২২০০৫২৪৯২১০০১ এর চেক নম্বর CBL 1001038 টাকার পরিমাণ ২৩,০০,০০০/ (তেইশ লক্ষ) টাকা মাত্র যাহা বাদী বিবাদীর নিকট হইতে আদায়ের প্রার্থনায় বর্তমান মোকদ্দমাটি দায়ের করিলেন।

 

সত্যপাঠঃ-

 

আরজীর সকল বিবরণ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে সত্য এবং  আমার কথামত প্রস্তুত করা হইয়াছে জানিয়া উহার সত্যতা  স্বীকারে বাদীর চেয়ারম্যান হিসাবে অত্র সত্যপাঠে দস্তখত  প্রদান করিলাম।

 

 

————————

বদরুল আলম চৌধুরী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *