দলিল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি

রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ১৭ অনুযায়ী স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক।

 

 

দলিল রেজিস্ট্রেশনের ধাপসমূহ-

 

ধাপ ১- কাগজপত্র যাচাই (Vetting)

 

বিক্রেতার বা দাতার সকল কাগজপত্র যাচাই করতে হবে। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই ভূমি বিষয়ে অভিজ্ঞ একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা নেওয়া উচিৎ। কারণ আইনজীবীর কয়েক হাজার টাকা ফি বাচাতে গিয়ে আপনার কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে বিপদে পড়তে পারেন। যাচাইয়ের জন্য যে সকল কাগজ পত্র সংগ্রহ করতে হবে-

(ক) মালিকানা দলিল,

(খ) বায়া দলিল,

(গ) রেকর্ডীয় খতিয়ান,

(ঘ) নামজারি খতিয়ান,

(ঙ) খাজনার আপডেট রশিদ,

(চ) ডিসিআর,

(ছ) জাতীয় পরিচয় পত্র,

(জ) টিআাইএন সার্টিফিকেট,

(জ) ক্রেতা এবং বিক্রেতার পাসপোর্ট সাইজের ছবি

(ঝ) জমিটি সরকারি কোন কর্তৃপক্ষের অধীনস্ত থাকলে উক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা ছাড়পত্র ইত্যাদি।

 

ধাপ ২- তল্লাশি (Searching)-

নিজে অথবা একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তায় সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস থেকে তল্লাশি দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।

 

ধাপ ৩- দলিল প্রস্তুতকরণ-

সম্পত্তির বায়া দলিল, খতিয়ান ও অন্যান্য কাগজ-পত্রের ভালভাবে দেখিয়া দলিল প্রস্তুত করা হয়। সাধারণত বিজ্ঞ আইনজীবী বা দলিল লেখক দলিল প্রস্তুত করে থাকে। দলিল প্রস্তুত করার পর স্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করে পক্ষগণ উহাতে স্বাক্ষর করবেন।

 

ধাপ- ৪- দলিল নিবন্ধন ফি-

দলিল নিবন্ধনের ফি নিম্নরূপ-

(ক) রেজিস্ট্রেশন ফি,

(খ) স্থনীয় কর,

(গ) স্ট্যাম্প শুল্ক;

(ঘ) উৎসে কর এবং

(ঙ) ভ্যাট (বিক্রেতা ভূমি বা ভবন উন্নয়নকারী হলে) জমাকরণ।

 

(ক) হতে (ঘ) পে অর্ডারের মাধ্যমে এবং (ঙ) অনলাইন চালানের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় দিতে হবে।

 

ধাপ ৫- দলিল রেজিস্ট্রির জন্য সাবমিট-

দলিল সম্পাদন করিয়া সম্পাদনের ৩ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাবমিট করতে হবে। দলিলের সাথে সাবমিট করতে হবে-

(ক) মূল পে-অর্ডার,

(খ) চালান ও অন্যান্য কাগজ-পত্র।

(গ) বিক্রেতা কর্তৃক দলিলে স্বাক্ষর বা টিপ প্রদান।

 

ধাপ ৬- সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃক যাচাইকরণ-

সাব-রেজিস্ট্রার, দাখিলকৃত কাগজ-পত্রের বৈধতা যাচাই করবেন। দলিলের সাথে উপস্থাপিত কাগজ পত্র সঠিক পাওয়া গেলে পে-অর্ডার ও চালানসহ রেজিস্ট্রির জন্য দলিল গ্রহণ করবেন। কাগজ পত্র সঠিক পাওয়া না গেলে অন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 

ধাপ ৭- রসিদ/আদেশ প্রদান-

দলিল গ্রহণ করা হলে সরকারি বইয়ে টিপ গ্রহণ করা হয় এবং দলিল দাখিলকারীকে রসিদ প্রদান করা হয়। দলিল গ্রহণ করা না হলে দলিল রেজিস্ট্রেশন অগ্রাহ্যের আদেশ প্রদান করা হবে।

 

ধাপ ৮- মূল দলিল গ্রহণ-

দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য গ্রহণ করা হলে উক্ত সময় প্রদত্ত রসিদটি ক্রেতা নির্দিষ্ট সময় পর দাখিল করে মূল দলিলটি ফেরত পাবেন।

 

ধাপ ৯- আদেশের নকল সংগ্রহ-

দলিলটি রেজিস্ট্রেশন অগ্রাহ্য হলে ক্রেতা মূল দলিল এবং অগ্রাহ্য আদেশের নকল সংগ্রহ করবেন।

 

ধাপ ১০- আপিল মামলা দায়ের-

অগ্রাহ্য আদেশ প্রদানের ৩০ দিনের মধ্যে জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর আপিল মামলা দায়ের করতে হবে।

 

যেকোন ভূমি বা ফ্ল্যাটের দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন-

 

আইনবিদ ল’ অফিস

সার্বিক পরিচালনায়- এডভোকেট মুহাম্মদ মহীউদ্দীন

বাড়ি-১২ (২য় তলা), বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র রোড, বাংলা মটর, শাহাবাগ, ঢাকা

অথবা

বাড়ি- ৩৫, রোড-০৫, ব্লক-এ, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা

মোবাইল- 01711068609 / 01540105088

www.ainbid.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *