শ্রম আদালতে মজুরী মামলার আরজি

শ্রম আদালতে দাখিলী মজুরী মামলার আরজির মুসাবিদা

 

মোকাম: মাননীয় দ্বিতীয় শ্রম আদালত, ঢাকা।

বি.এল. এ (মজুরী) মামলা নং- ২০৫/২০২৪

লাইলী আক্তার,

স্বামী- রবিউল,

গ্রাম- মোল্লানি, পোঃ বানিয়াহুল্লা,

থানা-ঠাকুরগাঁও জেলা-ঠাকুরগাঁও

——————- দরখাস্তকারী

 

-বনাম-

 

১। ইনফিনিটি ফেব্রিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ, পক্ষে- ব্যবস্থাপনা পরিচালক

 

২। ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইনফিনিটি ফেব্রিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লি:

 

৩। প্রোডাকশন ম্যানেজার, ইনফিনিটি ফেব্রিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লি:,

সর্ব সাং বাহাদুরপুর, মির্জাপুর বাজার, গাজীপুর, কর্পোরেট অফিস,

৪৩৫, রোড নং-৩০, নিউ ডিওএইচএস মহাখালী, ঢাকা

—————— প্রতিপক্ষগণ

 

বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১৩২() ধারা মোতাবেক দরখাস্ত

 

দরখাস্তকারী পক্ষের বিনীত নিবেদন এই যে,

১। দরখাস্তকারী প্রতিপক্ষের উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানে গত ১৫-০২-২০১২ ইং তারিখে চাকুরিতে যোগদান করিয়া চাকুরি করিয়া আসিতেছিলেন। দরখাস্তকারীর সর্বশেষ পদবী ছিল সুইং অপারেটর এবং আইডি কার্ড নং ০০১২৪। তাহার সর্বশেষ মাসিক মজুরী ছিল ৫৮০০/- টাকা এবং মূল মজুরী ছিল ৩,৩৫৭/- টাকা। তাহার চাকুরী জীবন ছিল সুন্দর ও পরিছন্ন।

 

২। দরখাস্তকারী এইভাবে চাকুরি করিয়া আসা অবস্থায় গত ০৭-০৫-২০১৪ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ৬.১৫ ঘটিকার সময় দরখাস্তকারীর স্বামীর কিডনিতে পাথর থাকায় প্রচণ্ড ব্যাথা অনুভূত হইলে গত ০৭-০৫-২০১৪ ইং এবং ০৮-০৫-২০১৪ ইং তারিখে কর্মস্থলে হাজির হইতে পারেন নাই। পরবর্তীতে গত ১০-০৫-২০১৪ইং তারিখে কাজে যোগদান করিতে গেলে কর্তৃপক্ষ কোনরূপ পূর্ব নোটিশ ছাড়াই দরখাস্তকারীকে তাহার স্থায়ী চাকুরী হইতে মৌখিকভাবে টারমিনেট করেন। দরখাস্তকারী টার্মিনেশনের লিখিত আদেশ এবং সেই মোতাবেক আইনানুগ পাওনাদি দাবী করিলে কোন কিছুই প্রদান করা হইবে না মর্মে জানাইয়া দরখাস্তকারীকে কর্তৃপক্ষ কারখানা হইতে বাহির করিয়া দেয়। তাই দরখাস্তকারী টার্মিনেশন বেনিফিট পাওয়ার অধিকারী।

 

৩। দরখাস্তকারীর পাওনা নিম্নরূপ:

 

(ক) নোটিশ পে ১২০ দিন অর্থাৎ ৪ মাসের মজুরী ৩৩৫৭/- — ১৩৪২৮/-

(খ) গ্র্যাচুইটি/ক্ষতিপূরণ ২ বছর চাকুরির জন্য (৩৩৫৭× ২)—– ৬,৭১৪/-

(গ) অর্জিত ছুটি ৪০ দিনের মজুরী —- ৭,৭৩৩/-

(ঘ) মে ২০১৪ইং মাসের ০৯ দিনের মজুরী —১,৬৮৪/-

(ঙ) মে ২০১৪ইং মাসের ১৫ ঘন্টা ওভারটাইম বাবদ — ৪৮৪/-

——————————————————————————–

সর্বমোট= ৩০,০৪৩/-

 

৪। প্রতিপক্ষগণ দরখাস্তকারীকে তাহার স্থায়ী চাকুরি মৌখিক ভাবে টার্মিনেট করার পর তাহার টার্মিনেশন জনিত পাওনাদি পাওয়ার জন্য প্রতিপক্ষের পিছনে পিছনে ঘুরিতে থাকেন। কিন্তু প্রতিপক্ষগণ দরখাস্তকারীর পাওনাদি পরিশোধ না করায় দরখাস্তকারী বাধ্য হইয়া উল্লেখিত পাওনাদি পাওয়ার জন্য গত ১২-০৫-২০১৪ ইং তারিখে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে একটি অনুযোগপত্র প্রেরণ করেন। প্রতিপক্ষগণ দরখাস্তকারীর অনুযোগ পত্রটি পাওয়ার পরও দরখাস্তাকারীর পাওনাদি পরিশোধ না করায় দরখাস্তকারী তাহার আইনানুগ পাওনাদি পাওয়ার জন্য মাননীয় আদালতে অত্র মামলাটি দায়ের করিলেন।

 

৫। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর ১২১ ধারার বিধান মতে মজুরী পরিশোধের জন্য প্রতিপক্ষগণ দায়ী বটে।

 

৬। বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর বিধান মতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দরখাস্তকারীর বকেয়া বেনিফিট ও অন্যান্য আইনানুগ পাওনাদি পরিশোধ না করিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করিয়া প্রতিপক্ষগণ উক্ত আইনের ৩০ ও ১২৩ ধারার বিধান লংঘন করিয়াছেন।

 

অতএব বিনীত প্রার্থনা, মাননীয় আদালত মেহেরবানী পূর্বক  দরখাস্তকারীর পাওনা বাবদ সর্বমোট ৩০,০৪৩/- টাকা এবং তৎসহ অত্র  আইনের ১৩২(৫) ধারা মোতাবেক ২৫% ক্ষতিপূরণসহ প্রদানের জন্য  প্রতিপক্ষগণকে নির্দেশ দান করতঃ সুবিচার করিতে মর্জি হয়। নিবেদন  ইতি, তারিখ: ১০/৪/২০১৬ খ্রিঃ

 

সত্যপাঠ

 

অত্র আরজিতে বর্ণিত যাবতীয় উক্তি আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য জানিয়া অদ্য আমার নিযুক্তিয় বিজ্ঞ কৌশুলীর চেম্বারে বসিয়া নিজ নাম  সহি সম্পাদন করিলাম।

 

বাদীর স্বাক্ষর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *