সমঝোতা চুক্তিপত্র দলিল, তৃপক্ষীয়

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

 

আপোষনামা/ সমঝোতা চুক্তিপত্র

 

১। মোঃ মমিন মিয়া (৭২), জন্ম তারিখ- ০৮/১১/১৯৪২, পেশা- ব্যবসা,  এন.আই.ডি নং- ২৮২২৮৩৬৬৬১,

মোবাইল নং-

২। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৫৫), জন্ম তারিখ-  পেশা- ব্যবসা, এন.আই.ডি নং-

মোবাইল নং-

৩। মোঃ কাইয়ুম মিয়া (৬১), জন্ম তারিখ- ০৫/০৬/১৯৬৩, পেশা- ব্যবসা, এন.আই.ডি নং- ৯১২২৮৪৩৪৪৮,

মোবাইল নং-

৪। ফাতেমা বেগম (৭৩), জন্ম তারিখ- ১১/০৩/১৯৫১, পেশা- গৃহিনী, এন.আই.ডি নং- ২৬৯৬৬৫৩২৪৯২২৫, মোবাইল নং-

৫। হোসনেয়ারা বেগম (৫৮), স্বামী- এম এ এম রোকনউদ্দিন, জন্ম তারিখ- ৩১/১২/১৯৬৬, পেশা- গৃহিনী, এন.আই.ডি নং- ১২১৩৩১৪১১৩২৩৯, মোবাইল নং-

৬। মর্জিনা বেগম (৭১), জন্ম তারিখ- ১৮/০৫/১৯৫৩, পেশা- গৃহিনী, পাসপোর্ট নং- BK0805583,

মোবাইল নং-

১-৬ নং সকলের পিতা-মৃত মোঃ ইসমাইল মিয়া, সকলের মাতা- মৃত আক্তার বানু

 

৭। নিশাত হাসেম (৪৩), জন্ম তারিখ- ২৭/১০/১৯৮১, পেশা: ব্যবসা, জন্ম সনদ নং- ১৯৮১২৬৯২০১৯০৯২৫৬৯, মোবাইল নং-

৮। জেনিফার হাসেম (৪০), জন্ম তারিখ- ৩০/০৬/১৯৮৪, পেশা: ব্যবসা, জন্ম সনদ নং- ১৯৮৪২৬৯২০১৯০৯১২২৩, মোবাইল নং-

৯। রাইয়ান হাসেম (৩৩), জন্ম তারিখ- ২৩/১২/১৯৯১, পেশা: ব্যবসা, জন্ম সনদ নং- ১৯৯১২৬৯২০১৯০৯১১২৫, মোবাইল নং-

১০। হাদিকা হাসেম (১৬), জন্ম তারিখ-    , পেশা- ছাত্র, এন.আই.ডি নং-                               , মোবাইল নং-

১১। ফারহান হাসেম (১৪), জন্ম তারিখ- , পেশা- ছাত্র, এন.আই.ডি নং-                                মোবাইল নং-

(১০ – ১১ নং নাবালক হওয়ায় তাহাদের পক্ষে মাতা ১২ নং বাদী কেয়া বেগম বৈধ প্রতিনিধি)

৭ – ১১ নং সকলের পিতা- মৃত আবুল হাসেম (জজ মিয়া), মাতা- কেয়া বেগম,

 

১২। কেয়া বেগম (৭৪), স্বামী মৃত-আবুল হাসেম (জজ মিয়া), জন্ম তারিখ- ২২/০৮/১৯৭৭, পেশা- গৃহিনী, এন.আই.ডি নং- ১৯২২৮৫৫৩৯৮, মোবাইল নং-

১৩। রেহেনা পারভীন বিউটি (৫৭), স্বামী- মৃত মোঃ কাওসার মিয়া, জন্ম তারিখ- ১০/০৮/১৯৬৭, পেশা- গৃহিনী, এন.আই.ডি নং- ২৩৭২৮১৯৮২৬, মোবাইল নং-

১৪। মোঃ জাকির হোসেন রাজিন (৩৬), পিতা মৃত-কাওসার মিয়া, জন্ম তারিখ- ০৩/১১/১৯৮৮, পেশা- ব্যবসা, এন.আই.ডি নং- ৯১২২৮৮৮১৫০ মোবাইল নং-  ০১৬৭৫৫৮৫২২২

১৫। রিদওয়ান কাওসার (২৭), পিতা মৃত-কাওসার মিয়া, জন্ম তারিখ- ২৬/১১/১৯৯৭, পেশা- চাকুরি, পাসপোর্ট নং- BX0861333, মোবাইল নং-

১-১৫ সকলের ঠিকানা- ৩০/এ, নিউ ইস্কাটন রোড (ইসমাইল লেন), থানা-রমনা, জেলা-ঢাকা, ধর্ম- ইসলাম, জাতীয়তা- বাংলাদেশী,

——————— প্রথম পক্ষ।

 

১। এ.বি.এম মামহমুদুল হক (৬০), পিতা- মৃত ফজলুল হক, জন্ম তারিখ- , পেশা- ব্যবসা, ধর্ম- ইসলাম,  জাতীয়তা- বাংলাদেশী, এন.আই.ডি নং-                                  মোবাইল নং- ০১৭১২-১৭১৫২০

 

২। এ.বি.এম আব্দুল হক (৬৫), পিতা- মৃত ফজলুল হক, জন্ম তারিখ- , পেশা- ব্যবসা, ধর্ম- ইসলাম,  জাতীয়তা- বাংলাদেশী, এন.আই.ডি নং-                        মোবাইল নং-

১-২ নং সকলের সাং- ১৩৭/বি, ইসমাইল লেন, নিউ ইস্কাটন, বড়মগবাজার, রমনা, ঢাকা,

—————— দ্বিতীয় পক্ষ।

 

সারিনা আলম কন্সট্রাকশন এর পক্ষে মোঃ সরকার আলম, চেয়ারম্যান, ইউনাইটেড কন্সট্রাকশন, সাং-  ২/পি, ময়মনসিংহ রোড, সাবেক রমনা হালে শাহবাগ, ঢাকা -১০০০, জন্ম তারিখ- ০১/০১/১৯৯০, ধর্ম- ইসলাম, জাতীয়তা- বাংলাদেশী, এন.আই.ডি নং- ৪৮৫৪৯৭১২৫৫,  মোবাইল নং- ০১৭১১-২০৮৩৫৫

—————— তৃতীয় পক্ষ।

 

 

পরম পরুণাময় আল্লাহ তালায়ার নাম স্মরণ করিয়া অত্র আপোষ নামার বয়ান শুরু করিলাম। প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) এর পূর্বসূরী হাজী মুনসুর আহমেদের ওয়ারিশ সূত্রে তফসিল বর্ণিত বাড়িটি তাহাদের মাতা আক্তার বানুর নামে সিটি রেকর্ড অনুযায়ী ৩৫ নং খতিয়ানে ৫২৭৩ নং দাগে রেকর্ডীয় জমির পরিমাণ ৩.২৫ শতাংশের মালিক থাকাবস্থায় তেজগাঁও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রেজিস্ট্রিকৃত একখন্ড অপ্রত্যাহারযোগ্য ব্যাপক ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার অব এ্যাটর্নী দলিলের মাধ্যমে সারিনা আলম টেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানীকে আম-মোক্তার নিয়োগ করিয়া বেইজমেন্ট+জি+৯= ১০ (দশ) তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের ক্ষমতা দলিল প্রদান করেন।

 

পরবর্তীতে তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী), প্রথম পক্ষের পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি), তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেল, ঢাকায় ২৮/২০২১ নং মিস মোকাদ্দমা দায়েরের মাধ্যমে দ্বিতীয় পক্ষের (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) রেকর্ডীয় সিটি খতিয়ান ১০২৯ হইতে ৫.৭৩ শতাংশ জমি কর্তন পূর্বক প্রথম পক্ষের সিটি খতিয়ান নং ৩৫ এর সাথে যুক্ত করিয়া (৩.২৫+৫.৭৩)= ৮.৯৮ শতাংশ জমি নামজারী করিয়া ১৩৩০২ নং খতিয়ান সৃজন করিয়া খাজনাদি পরিশোধক্রমে ভোগ-দখল থাকাবস্থায় দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ঢাকা আদালতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), তেজগাঁও রাজস্ব সার্কেলের ২৮/২০২১ নং মিস মোকাদ্দমার রায়ের বিরুদ্ধে রিভিশন মামলা নং ৬৪৭/২০২১ দায়ের করিলে উক্ত রায় দ্বিতীয় পক্ষের (এ বি এম মাহামুদুল হক গং) বিরুদ্ধে গেলে দ্বিতীয় পক্ষ কর্তৃক বিজ্ঞ অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা এর আদালতে মিস আপিল মোকাদ্দমা নং ১৫৭/২০২২ দায়ের করেন যাহা বর্তমানে চলমান অবস্থায় রহিয়াছে।

 

মূল মালিক হিসাবে ভোগ দখলকার থাকা অবস্থায় প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) রেজিস্টার্ড অপ্রত্যাহারযোগ্য ব্যাপক ক্ষমতা সম্পন্ন পাওয়ার অফ এটর্ণীর মাধ্যমে তফসিল বর্ণিত বাড়িটি ডেভেলপ করার জন্য তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) কে ক্ষমতা প্রদান করেন এবং উহার দখল বুঝাইয়া দেন। তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) উক্ত ক্ষমতা বলে যথাসময়ে বর্ণিত বাড়িটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

 

এমতাবস্থায় দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির মালিকানা দাবি করিয়া তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) এর চলমান নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করেন। দ্বিতীয় পক্ষের মাতা আছিয়া খাতুন ১৯৪৮ সালের সাফ কবলা দলিল অনুযায়ী ১৮.৭৫ শতাংশ জমি ক্রয় করিয়াছেন। কিন্তু ১৯৫৯ সালের রেজিষ্ট্রি বন্টননামা দলিল নং ৩১১১ তারিখ ০৫/০৫/১৯৫৯ অনুযায়ী আছিয়া খাতুন ১৬.৫০ শতাংশ জমি আপোষ বন্টনে মালিক নিয়ত হন। পরবর্তীতে ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ১৯৫৯ সালের বন্টন মামলা যাহা পরবর্তীতে বিভিন্ন আদালতে রায় প্রাপ্ত হইয়া সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন মোকাদ্দমা নং ১৯৯৫/২০০০ এর মাধ্যমে দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) তাহাদের পক্ষে রায় ও ডিক্রি পাইয়া ডিক্রিজারী মোকাদ্দমা নং ০৩/২০২২ জারীর মাধ্যমে ২২.৫০ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হন যাহার ভিত্তিতে দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) তাহাদের দখলীয় অপর ০৩টি বাড়ি এবং প্রথম পক্ষের (মোঃ হাকিম মিয়া গং) মালিকানাধীন তফসিল বর্ণিত (৩০/এ নিউ ইস্কাটন) বাড়িটিও আদালত এবং পুলিশি সহযোগীতায় বিগত ইং ০২/০২/২০২৩ তারিখে দখল বুঝিয়া নেন। যদিও দ্বিতীয় পক্ষের নামে ১০২৯নং সিটি খতিয়ানে ১৫.২৫ শতাংশ জমি এবং দ্বিতীয় পক্ষের বোন আনোয়ারা আক্তারের নামে সিটি ১২৫ নং খতিয়ানে ৩.৫০ শতাংশ জমি হিসাবে রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী), প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) এর পক্ষে একই আদালতে (১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকা) উক্ত সম্পত্তির একক মালিকানার জন্য স্বত্ত্ব ঘোষণা এবং দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) এর বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রদানের জন্য ৫৬৩/২০২২ নং মোকদ্দমা দায়ের করিলে উক্ত বিজ্ঞ আদালত বিগত ০৩/০২/২০২৩ ইং তারিখে  দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) এর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারী করেন এবং তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) পূণরায় উক্ত জমি দখলে নিয়া নির্মাণ কাজ শুরু করিয়া ৩ (তিন) তলা পর্যন্ত সম্পন্ন করিয়া ৪র্থ তলার কলাম ও সাটারিং কাজ সম্পন্ন করিয়া ছাদ ঢালায়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করিলে দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং), তৃতীয় পক্ষ/সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানীর চেয়ারম্যান মোঃ সামসুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাখাওয়াত হসেন এবং প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) এর মোঃ হাকিম মিয়া, মোঃ কাইয়ুম মিয়া এবং মোঃ জাকির হোসেন রাজিনসহ আরও অনেককে আসামী করিয়া রমনা মডেল থানা, ঢাকায় জিআর মামলা নং  ১৬(৬)/২০২৩ দায়ের করেন যাহা ঢাকার সি.এম.এম আদালতে চার্জশীট গৃহিত হওয়ার পর বদলী হইয়া বর্তমানে বিজ্ঞ ২য় যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকায় মামলা নং ১৬৪৫১/২৪ মূলে চলমান রহিয়াছে। উক্ত মামলায় দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) বিগত  ২২/০৬/২০২৩ ইং তারিখে প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) এর মোঃ হাকিম মিয়া, মোঃ জাকির হোসেন রাজিন এবং তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) এর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাখাওয়াত হসেন এই ৩ জনকে গ্রেফতার করান এবং দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) বিগত ০৩/০২/২০২৩ ইং তারিখে বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকায় অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ অমান্য করিয়া উক্ত চলমান প্রজেক্টটি পূণরায় দখল করিলে তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী), দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) কে বিবাদী করিয়া একই আদালতে (বিজ্ঞ ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ঢাকা) বিগত ০৫/০৭/২০২৩ ইং তারিখে ভায়েলেশন মামলা নং ১৫/২০২৩ দায়ের করেন। অতঃপর তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) কর্তৃক দায়েরকৃত ৫৬৩/২০২২ নং মোকাদ্দমাটি খারিজের জন্য দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) ঢাকা জেলা জজ আদালতে রিভিশন মামলা নং ১৮৪/২০২৩ দায়ের করিলে আদালত উক্ত ৫৬৩/২০২২ নং মোকাদ্দমাটি খরিজ করিয়া দেন। পরবর্তীতে তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন) ঢাকা জেলা জজ আদালতের উক্ত খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে মাহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে সিভিল রিভিশন মামলা নং ৩৭/২০২৪ দায়ের করিলে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ বিগত ০৯/০১/২০২৪ ইং তারিখে ঢাকা জেলা জজ আদালতের খারিজ আদেশ স্থগিত করায় বর্তমানে মূল মামলাটি চলমান অবস্থায় রহিয়াছে।

 

তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) উক্ত নির্মিতব্য প্রজেক্টে কন্সট্রাকশন এবং মামলা মোকাদ্দমাসহ নানাবিধ খরচ হিসাব করিয়া অদ্যাবধি প্রায় ৫.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। বিধায় তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মানি স্যুট নং ১৭/২০২৪ দায়ের করেন।

 

এমতাবস্থায় উদ্ভুত পরিস্থিতির সকল কিছু পর্যালোচনান্তে সমঝোতা না করিয়া উক্ত প্রজেক্টে কাজ করার কোন সুযোগ না থাকায় বিরোধীয় বিষয় নিয়া উদ্ভুত জটিলতার শান্তিপূর্ণ সমাধানের নিমিত্তে প্রথম পক্ষ, দ্বিতীয় পক্ষ এবং তৃতীয় পক্ষ বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শে ও মামলার কাগজ-পত্রাদি পর্যালোচনা করিয়া একমত পোষণ করিয়া তাহাদের অভিভাবক, শুভাকাংখী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সম্মিলিত আলোচনাক্রমে নিম্নলিখিত শর্তাবলী সাপেক্ষে আপোষ নিষ্পত্তি করিলেনঃ

 

১। অত্র আপোষনামা/সমঝোতা চুক্তিপত্রে প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং), দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) এবং তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) কর্তৃক স্বাক্ষরের পর তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) রেজিস্ট্রিকৃত ব্যাপক ক্ষমতা সম্পন্ন অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অফ এটর্ণী দলিল অনুযায়ী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে “সারিনা ইসমাইল ইস্কাটন ভবন” এর নির্মাণ কাজ শুরু করিবেন এবং কোম্পানীর নিজ খরচে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করিবেন।

 

২। তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী), রেজিস্ট্রিকৃত ব্যাপক ক্ষমতা সম্পন্ন অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অফ এটর্ণী দলিল অনুযায়ী তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির এবং “সারিনা ইসমাইল ইস্কাটন ভবন” এর ৫০% এর মালিক নিয়ত হইবেন। সেমতে তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী) উক্ত ভবনের মোট ১৮ (আঠারো) টি ফ্লাটের মধ্যে ০৯ (নয়) টি ফ্লাট অর্থাৎ ৩য় তলায় ২টি ফ্ল্যাট, ৫ম তলায় ২টি ফ্ল্যাট, ৭ম তলায় ২টি ফ্ল্যাট, ৮ম তলায় ২টি ফ্লাট, ৯ম তলায় ১টি ফ্লাট এবং ০৯ (নয়) টি গাড়ি পার্কিং (গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৫ টি এবং বেইসমেন্টে ৪ টি) এর মালিক নিয়ত হইয়া নিজেদের ইচ্ছামত উহা ভোগদখল, বিক্রয় ও হস্তান্তর করিতে পারিবেন।

 

৩। প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) তাহাদের নামীয় রেকর্ড সিটি খতিয়ান নং ৩৫ অনুসারে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ৩.২৫ শতাংশ সম্পত্তির প্রকৃত মালিক হইবেন। তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ শেষে তাহাদের জমির হিস্যা অনুযায়ী প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) সম্পূর্ণ সম্পত্তির অবশিষ্ট ৫০% এর অর্থাৎ উল্লেখিত “সারিনা ইসমাইল ইস্কাটন ভবন” এর অবশিষ্ট ০৯ (নয়) টি ফ্লাটের মধ্যে ০৪ (চার) টি ফ্লাট অর্থাৎ ২য় তলায় ১টি ফ্ল্যাট, ৬ষ্ঠ তলায় ১টি ফ্ল্যাট, ৬ষ্ঠ তলায় ১টি ফ্ল্যাট, ১০ম তলায় ১টি ফ্ল্যাট এবং ০৪ (চার) টি গাড়ি পার্কিং (গ্রাউন্ড ফ্লোরে ২ টি এবং বেইসমেন্টে ২ টি) এর মালিক নিয়ত হইয়া নিজেদের ইচ্ছামত উহা ভোগদখল, বিক্রয় ও হস্তান্তর করিতে পারিবেন।

 

৪। দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) তাহাদের নামীয় রেকর্ড সিটি খতিয়ান নং ৩৫ ১০২৯ এবং ১৯৫৯ ইং সালের বন্টন মামলার রায় অনুসারে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির ৫.৭৩ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক হইবেন। তফসিল বর্ণিত সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণ শেষে জমির হিস্যা অনুযায়ী দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং) সম্পূর্ণ সম্পত্তির অবশিষ্ট ৫০% এর অর্থাৎ “সারিনা ইসমাইল ইস্কাটন ভবন” এর অবশিষ্ট ০৯ (নয়) টি ফ্লাটের মধ্যে ০৫ (পাঁচ) টি ফ্লাট অর্থাৎ ২য় তলায় ১টি ফ্ল্যাট, ৪র্থ তলায় ২টি ফ্ল্যাট, ৯ম তলায় ১টি ফ্ল্যাট, ১০ম তলায় ১টি ফ্লাট এবং ০৫ (পাঁচ) টি গাড়ি পার্কিং (গ্রাউন্ড ফ্লোরে ২ টি এবং বেইসমেন্টে ০৩ টি) এর মালিক নিয়ত হইয়া নিজেদের ইচ্ছামত উহা ভোগদখল, বিক্রয় ও হস্তান্তর করিতে পারিবেন।

 

৫। আমরা দ্বিতীয় পক্ষ (এ বি এম মাহামুদুল হক বাবুল গং), প্রথম পক্ষ ও তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রমনা থানার জি.আর মামলা নং ১৬(০৬)২৩ যাহা বর্তমানে দায়রা মামলা নং ১৬৪৫১/২৪ এবং অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আদালতে আপীল মামলা নং ১৫৭/২০২২ সহ সকল মামলা আগামী ০১ (এক) মাসের মধ্যে আমরা বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হইয়া আমাদের নিজ খরচে উঠাইয়া নিব।

 

৬। আমরা প্রথম পক্ষ (মোঃ হাকিম মিয়া গং) এবং তৃতীয় পক্ষ (সারিনা আলম ট্রেডিং এন্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানী), দ্বিতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ঢাকার ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দায়েরকৃত মামলা নং ৫৬৩/২০২২, ভায়োলেশন মামলা নং ১৫/২০২৩ এবং মানি স্যুট নং ১৭/২০২৪ সহ সকল মামলা আগামী ০১ (এক) মাসের মধ্যে আমরা বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হইয়া আমাদের নিজ খরচে উঠাইয়া নিব।

 

৭। সকল পক্ষ অত্র বিষয়টি সম্পর্কে একে অপরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে আর কোন মামলা মোকদ্দমা দায়ের করিবে না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহিত হইল এবং অত্র আপোষনামার শর্তাবলী ভঙ্গ করিয়া কোন পক্ষই কোন আদালতে আশ্রয় গ্রহণ করিলে তাহা সর্ব আইন কিংবা আদালতে অগ্রাহ্য বলিয়া বিবেচিত হইবে।

 

৮। অদ্যকার উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে আমরা সকল পক্ষ আমাদের মধ্যে সৃষ্ট ভুল বুঝাবুঝি ও সকল বিরোধের অবসান করিলাম। এখন হইতে আমরা সকল পক্ষ পূর্বের ন্যায় স্ব স্ব অবস্থানে থাকিয়া শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখিব এবং স্ব অবস্থানে বন্ধুসুলভ আচরণ করিব ইনশাহাল্লাহ।

 

এতদ্বার্থে আমরা সকল পক্ষ স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে, সুস্থ্য মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় অত্র আপোষনামা/সমঝোতা চুক্তিপত্র পড়িয়া, অন্যের দ্বারা পড়াইয়া উহার মর্মাথ অবগত হইয়া উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মোকাবেলায় নিজ নিজ নাম সহি স্বাক্ষর করিলাম।

 

তফসিল

জেলা- ঢাকা, থানা- তেজগাঁও হালে রমনা, মৌজা- বড়মগবাজার, সি.এস খতিয়ান নং ৭৩, দাগ নং ২৭৩, ২৭৪ ভূমি ১৪০ শতাংশ। এস.এ খতিয়ান নং ৩৯২, দাগ নং ৭৫৩, ভূমি ৬২ শতাংশ, আর.এস খতিয়ান নং ১২৮১, দাগ নং ৩০১৮, ৩০১৯, ৩০২০ ভূমি ৪৩.৯৪ শতাংশ এবং সিটি খতিয়ান নং ১৩৩০২, দাগ নং ৫২৭৩ ভূমির পরিমাণ ৩.২৫+৫.৭৩= ৮.৯৮ শতাংশ।

 

সারিনা ইসমাইল ইস্কাটন ভবন, বাড়ি নং ৩০/এ, ইসমাইল লেন, নিউ ইস্কাটনস্থ, রমনা, ঢাকা।

 

প্রথম ক্ষের নাম, ঠিকানা  স্বাক্ষর

১। মোঃ মমিন মিয়া –

 

২। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম –

 

৩। মোঃ কাইয়ুম মিয়া –

 

৪। ফাতেমা বেগম –

 

৫। হোসনেয়ারা বেগম –

 

৬। মর্জিনা বেগম –

 

৭। নিশাত হাসেম –

 

৮। জেনিফার হাসেম –

 

৯। রাইয়ান হাসেম –

 

১০। হাদিকা হাসেম –

 

১১। ফারহান হাসেম –

 

১২। কেয়া বেগম –

 

১৩। রেহেনা পারভীন বিউটি –

 

১৪। মোঃ জাকির হোসেন রাজিন –

 

১৫। রিদওয়ান কাওসার –

 

দ্বিতীয় ক্ষের নাম, ঠিকানা  স্বাক্ষর

১। এ.বি.এম মামহমুদুল হক –

২। এ.বি.এম আব্দুল হক –

 

তৃতীয় ক্ষের নাম, ঠিকানা  স্বাক্ষর

মোঃ সরকার আলম –

 

সাক্ষী/ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নাম, ঠিকানা  স্বাক্ষর

 

১।

 

২।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *